বৃহস্পতিবার, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ৬ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

মোকাম থেকে খুচরা দামে ফারাক তিনগুণ

আলুর ক্ষেতে (জমিতে) ৫ থেকে ৬ টাকা কেজি আলু। তাও কেনার লোক নেই। জমি থেকে উঠার খরচই উঠছে না। বিঘাতে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা লোকসান। কারণ প্রতি বিঘা আলু চাষে খরচ হয়েছে ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা। বর্তমানে অর্ধেক দামেও কেনার লোক পাওয়া যায় না। তাই কৃষকরা জমি থেকে আলু তুলতেও চাচ্ছে না। একেবারে দিশেহারা কৃষকরা। এভাবেই ক্ষেত ও মোকামে আলুর বাজারের শোচনীয় অবস্থার কথা ঢাকাপ্রকাশকে জানান ঠাকুরগাও জেলার হরিপুর থানার মেদনীসাগর গ্রামের মো. মামুন।

সেই আলু রাজধানীর কারওয়ান বাজারসহ বিভিন্ন আড়তে ১০ থেকে ১১ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। আর খুচরা বাজারে ১৫ থেকে ২০ টাকা। পুরাতন আলু বিক্রি করতে না পারায় দুই হাজার ১১২ কোটি টাকা লোকসান হয়েছে কৃষক, ব্যবসায়ী ও কোল্ডস্টোরেজ মালিকদের। সরকারের উদ্যোগ ছাড়া আলুর দাম বাড়ানো সম্ভব নয়। আলুর মতো টমটোরও খারাপ অবস্থা। ক্ষেত্রে কম দামে বিক্রি হলেও ঢাকাতে দ্বিগুণ দামে বিক্রি করছে খুচরা ব্যবসায়ীরা। বিভিন্ন বাজার ঘুরে ও সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে এমনই তথ্য জানা গেছে।

শুধু ঠাকুরগাও নয়, দিনাজপুর, রংপুর, রাজশাহী, মুন্সিগঞ্জসহ সারা দেশে আলুর একই দুরাবস্থা বলে সংশ্লিষ্ট কৃষক ও ব্যবসায়ীরা জানান।

তাদের কথার সত্যতা জানতে যোগাযোগ করা হলে রাজধানীর কারওয়ান বাজারের পাইকারি বাজার জনতা বাণিজ্যলয়ের ইকবাল হোসেন ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, ‘ডাইমন্ড আলুর কেজি কেনা হয়েছে ১১ টাকা কেজি। আর বিক্রি করা হচ্ছে ৭০ টাকা পাল্লা (৫ কেজি) বা ১৪ টাকা কেজি। কয়েক দিন থেকে বর্তমানে একটু দাম বেশি। তারপরও লোকসানে চলতে হচ্ছে। মরার মতো অবস্থা। গত ১৯ বছরের ব্যবসা জীবনে এতো খারাপ অবস্থা হয়নি। কারণ হিসেবে মুন্সিগঞ্জের এই আলু ব্যবসায়ী ব্যাখ্যা করে বলেন, ‘বেশি দামে কিনে বেশি দামে বিক্রি করা যায়। বর্তমানে কৃষকরাই তো ক্ষেতে দাম পাই না। তাহলে আমরা কিভাবে বেশি দামে বিক্রি করব।’

বাজার এতো খারাপ অর্থাৎ কম দাম কেন এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘পুরাতন আলু এখনো কোল্ডস্টেরেজে। তাইতো নতুন আলু ঢুকানো যাচ্ছে না। তবে লাল আলুর দাম একটু বেশি। মেহেদী হাসান জানান, ‘১৫ টাকা কেজি কিনে ২৫ টাকা কেজি বিক্রি করা হচ্ছে।

একই বাজারের সোনার বাংলা বাণিজ্যলায়ের মো. রাকিম বলেন, ‘বর্তমানে বাড়তি আলুর বাজার। পাইকারী ১০ থেকে ১১ টাকা কেজি বিক্রি করা হচ্ছে। আগে ছিলো ৯ থেকে ১০ টাকা। তবে বাছাই করা খুব ভালো মানেরটা ১৪ থেকে ১৫ টাকা বিক্রি করা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, একই আলু পাশেই প্রতি কেজিতে ৪ থেকে ৫ টাকা বেশি দামে খুচরা বাজারে বিক্রি করা হচ্ছে।

তা জানতে পাশের সুজনের কাছে আলু কতো টাকা কেজি এমন প্রশ্নের উত্তরে বলেন,’১৬ টাকা, বাছাই করা বেশি ভালোটা ২০ টাকা কেজি। পাইকারিতে কম। তাহলে খুচরাইিএতো বেশি কেন? এমন উত্তরে তিনি বলেন, বেশি দামে কেনা। সঙ্গে বিভিন্ন খরচা আছে। লাভ তো করতে হবে। একই কথা জানান আবুদল খালেক। তিনি ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, রাত থেকে সকাল ৮টার মধ্যে আড়তদারের বিক্রির পরে পাইকারি ১১ টাকা কেজি ও খুচরা ১৬ টাকা কেজি আলু বিক্রি করা হয়।

আলুর এতো খারাপ বাজার কেন? জানতে চাইলে ঠাকুরগাওয়ের মামুন বলেন, ‘এবার আলুর আবাদ বেশি হয়েছে। সরবরাহ বেশি। আবার পুরাতন আলুই কোল্ডস্টোরেজে থেকে গেছে। সেগুলোও লোকসান করে কম দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘ প্রতি ট্রাকের ভাড়া ২২ থেকে ২৩ হাজার টাকা। প্রতি বস্তায় ৬০ থেকে ৬৫ কেজি আলু ধরে। তাতে প্রতি কেজিতে খরচ পড়ে দেড় থেকে এক টাকা ৭৫ পয়সা। সঙ্গে ঢাকাতে আড়ৎদারী এক টাকা এবং বস্তা ও মজুরিতে আরও এক টাকা খরচ হয় প্রতি কেজি আলুতে। এভাবে সব ঝামেলা মোকাবেলা করে ঢাকার বিভিন্ন আড়তে আলু পৌছাতে হয়। তারপরও চাহিদা নেই। নিতে চাই না। প্রতি কেজি আলু ঢাকায় ১০ কেজিও বিক্রি হয় না।

তাহলে এভাবেই ক্ষেতে পড়ে থাকবে আলু, দাম বাড়বে না? এমন প্রশ্নের উত্তরে মামুন বলেন, ‘ মাস খানেক পর আলু একটু আরও পুষ্ট হবে। তখন কোল্ডস্টোরেজে রাখার মতো হবে। স্টক করা শুরু করলে একটু দাম বাড়তে পারে। বাজার কিছুটা চড়া হতে পারে।’

কৃষি বিপণন অধিদফতরের সূত্র মতে, কৃষক পর্যায়ে এক কেজি আলু উৎপাদনে খরচ হয় ৭ টাকা ৬০ পয়সা। সেই পণ্য উৎপাদনকারী থেকে ভোক্তা পর্যায়ে আসতে বেশ কয়েকটি ধাপ পেরুতে হয়। এর মধ্যে রয়েছে- স্থানীয় ব্যবসায়ী, স্থানীয় মজুদদার, স্থানীয় খুচরা বাজার, ব্যাপারি, পাইকারি ব্যবসায়ী, কেন্দ্রীয় বাজার বা টার্মিনাল, আড়তদার, প্রক্রিয়াজাতকারী, খুচরা বাজার, খুচরা ব্যবসায়ী। এছাড়া বিভিন্ন স্থানে চাঁদাবাজিও রয়েছে।

সার্বিক ব্যাপারে জানতে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইর সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, ‘আলুর দাম কম থাকলে সরকারের ভালো। তাইতো গত আগষ্ট থেকে কৃষিমন্ত্রী, বাণিজ্যমন্ত্রীসহ বিভিন্ন সংস্থার কাছে বারবার ধরনা দেওয়া হয়েছে। তারপরও কোনো উদ্যোগ নেয়নি। পুরাতন ৪০ লাখ বস্তা আলু ফেলে দিতে হয়েছে। প্রতি বস্তায় আলু ছিলো গড়ে ৬০ কেজি। আট টাকা কেজি ধরলে এসব আলুতে দুই হাজার ১১২ কোটি টাকা লোকসান হয়েছে কৃষক, ব্যবসায়ী ও কোল্ডস্টোরেজের। তারপরও সরকারের মাথা ব্যথা নেই। ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘২০২০ সালে দাম বাড়লে তখন র্যাব, ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে জরিমানা করতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। কিন্তু বর্তমানে উৎপাদন খরচের অর্ধেকও দাম নেই তাতে কোনো মাথা ব্যথা নেই।’

অপর এক প্রশ্নের জবাবে সাতটি কোল্ডস্টোরেজের এই মালিক বলেন, ‘সরকার সুযোগ না দিলে এক সময়ে কৃষক আলু চাষ করা বন্ধ করে দিবে। তখন ভারতসহ বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করে বেশি দামে ভোক্তাদের কিনতে হবে। অনেকে এটা চাচ্ছে বলেই কোনো উদ্যোগ নেই না।’ তিনি আরও বলেন সারা দেশে প্রায় চারশটি কোল্ডস্টোরেজ রয়েছে। তাতে সব আলু ধরবে না। সরকারের উদ্যোগ ছাড়া বাড়বে না আলুর দাম।’

আলুর পথেই টমেটো:
এদিকে টমোটোর দামের অবস্থাও আলুর মতো। রাজশাহীর গোদাগাড়ীর কৃষক ও ব্যবসায়ী শাহজাহান বলেন, বৃষ্টিতে অনেক টমোটোর ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া মৌসুম শেষ হয়ে আসছে। তারপরও কম দামেই বিক্রি হচ্ছে টমোটো। আড়তে ১০ থেকে ১২ টাকার বেশি কেজি নিতে চাই না। শুধু গোদাগাড়িতে নয়, বানেশ্বরসহ অন্যান্য বাজারেরও একই দশা। কম দামে বিক্রি হচ্ছে টমেটো।

কিন্তু সেই টমেটো রাজধানীর বিভিন্ন পা্ইকারি ও খুচরা বাজারে দ্বিগুণ দামে অর্থাৎ ৩০ টাকা কেজি পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। সরেজমিনে এমনই চিত্র পাওয়া গেছে। কারওয়ান বাজারের খুচরা ব্যবসায়ী মো. আনোয়ার এ প্রতিবেদককে জানান, ‘পাইকারী কেনা হয়েছে ২০ টাকা কেজি। খুচরা বিক্রি করা হচ্ছে ৩০ টাকা। সময় শেষ হয়ে আসছে। তাই দাম আর কমবে না।

টমোটোর খুচরা-পাইকারি দামের ব্যাপারে একই বাজারের চাঁদপুর বাণিজ্যালয়ের মেহেদী হাসানও জানান.‘পাইকারী কেনা হয়েছে ১৫ টাকা কেজি। তা খুচরা বিক্রি করা হচ্ছে ২২ থেকে ২৫ টাকা কেজি। একই কাজারের খুবচরা ব্যবসায়ী করিম বলেন, ‘৩৫০ টাকা ক্যারেট (৩০ কোজি) টমেটো কেনা হয়েছে। তাতে প্রতি কেজিতে ১২ টাকার কম হয়। তা খুচরা ২০ টাকা কেজি বিক্রি করা হচ্ছে। আর নৌকিব বলেন, ৪০০ টাকা ক্যারেট (৩০ কোজি) কিনে ১১০ টাকা পাল্লা (৫ কোজি) বা ২২ টাকা কেজি বিক্রি করা হচ্ছে। তাতে লাভ খুব বেশি নেই।‘

জেডএ/

Header Ad
Header Ad

অবশেষে সরিয়ে দেওয়া হলো মাউশির বিতর্কিত ডিজিকে

অধ্যাপক ড. এহতেসাম উল হক ও মাউশির লোগো। ছবি: সংগৃহীত

শিক্ষক নেতাদের আন্দোলন ও গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালক (ডিজি) পদ থেকে অধ্যাপক ড. এহতেসাম উল হককে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তিনি শিক্ষা ক্যাডারের ১৪তম বিসিএসের কর্মকর্তা এবং পটুয়াখালী সরকারি কলেজের অধ্যাপক ছিলেন।

বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। সম্প্রতি তার বিতর্কিত কার্যক্রম নিয়ে সংবাদ প্রকাশের পর তাকে ওএসডি (বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) করে মাউশিতে সংযুক্ত করা হয়েছে। এদিকে, নতুন মহাপরিচালক হিসেবে অধ্যাপক মুহাম্মদ আজাদ খানকে চলতি দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের উপসচিব মো. মাহবুব আলম স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে, অধ্যাপক মুহাম্মদ আজাদ খানের এই দায়িত্ব কেবল সাময়িক, যা পদোন্নতি হিসেবে গণ্য হবে না। পরবর্তীতে নিয়মিত নিয়োগের মাধ্যমে মহাপরিচালক নিয়োগ হলে এই চলতি দায়িত্ব বাতিল হয়ে যাবে।

অধ্যাপক এহতেসাম উল হকের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। এর আগে তিনি বরিশাল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ থাকাকালীন শিক্ষার্থীদের ওপর নিপীড়ন চালানোর অভিযোগে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েন। অভিযোগ রয়েছে, আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের তথ্য তিনি পুলিশের কাছে সরবরাহ করেছিলেন।

২০২৩ সালের ৫ আগস্ট তার অপসারণের দাবিতে কলেজের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করে। দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার ও অসদাচরণের অভিযোগ তুলে তার অপসারণের দাবি জানায় শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ২০২১ সালের জুন মাসে বরিশাল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজে যোগদানের পর থেকে তিনি নানা অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতা চালিয়ে যান। তিনি বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের তৎকালীন মেয়র এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আত্মীয় সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহর ঘনিষ্ঠ ছিলেন।

অভিযোগ রয়েছে, অধ্যক্ষ থাকাকালীন তিনি শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করতেন এবং আন্দোলনে অসহযোগিতা করতেন। এমনকি কলেজের গাড়ি ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করতেন, যা তার শ্বশুরবাড়ির লোকজনও ব্যবহার করতেন। তিনি কলেজের বিদ্যুৎ ব্যবহার করে নিজের বাসায় গ্রিল নির্মাণসহ অন্যান্য কাজ করিয়েছেন। কেউ প্রতিবাদ করলে চাকরি খেয়ে ফেলার হুমকি দিতেন এবং বার্ষিক গোপনীয় প্রতিবেদন (এসিআর) খারাপ করে দেওয়ার ভয় দেখাতেন। এছাড়া, চুক্তিভিত্তিক শিক্ষক ও কর্মচারীদের বেতন না দিয়ে বিদায় করে দেওয়ারও অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

ডিজি পদ থেকে এহতেসাম উল হককে অপসারণের খবরে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তাদের মতে, একজন বিতর্কিত ব্যক্তি শিক্ষাখাতের এত বড় দায়িত্বে থাকতে পারেন না। তার অপসারণের মাধ্যমে প্রশাসনের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার প্রতি সরকারের সদিচ্ছার প্রতিফলন ঘটেছে।

Header Ad
Header Ad

২০১৮ সালের নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করা ৩৩ ডিসি ওএসডি

ছবি: সংগৃহীত

২০১৮ সালের বিতর্কিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করা ৩৩ জন জেলা প্রশাসককে (ডিসি) বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করা হয়েছে। বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত ছয়টি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বিতর্কিত নির্বাচনে জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালনের কারণে এই কর্মকর্তাদের ওএসডি করা হয়েছে। এর আগে একই কারণে আরও ১২ জন কর্মকর্তাকে ওএসডি করা হয়েছিল।

ওএসডি হওয়া কর্মকর্তাদের মধ্যে রয়েছেন বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনের পরিচালক (যুগ্মসচিব) কবীর মাহমুদ, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পরিচালক (যুগ্মসচিব) মো. মাহমুদুল আলম, কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের আঞ্চলিক পরিচালক (যুগ্মসচিব) মো. আবুল ফজল মীর, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের সদস্য-পরিচালক (যুগ্মসচিব) মঈনউল ইসলাম, বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সদস্য (যুগ্মসচিব) মো. ওয়াহিদুজ্জামান, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব (সংযুক্ত) এ কে এম মামুনুর রশিদ এবং বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের (বাপবিবো) সদস্য (যুগ্মসচিব) ড. কে এম কামরুজ্জামান সেলিম।

এছাড়া তালিকায় রয়েছেন নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব কাজী আবু তাহের, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) সদস্য (যুগ্মসচিব) মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের যুগ্মসচিব (সংযুক্ত) আনার কলি মাহবুব, বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের সদস্য (যুগ্মসচিব) সৈয়দা ফারহানা কাউনাইন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের পরিচালক মো. মতিউল ইসলাম চৌধুরী, কৃষি মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব সাবিনা ইয়াসমিন, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক মো. আতাউল গনি এবং সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব (সংযুক্ত) আবু আলী মো. সাজ্জাদ হোসেন।

এছাড়া, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব এ জেড এম নুরুল হক, বাংলাদেশ রাবার বোর্ডের পরিচালক (যুগ্ম-সচিব) এস এম আজিয়র রহমান, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের সচিব (যুগ্ম-সচিব) মো. মাসুদ আলম সিদ্দিক এবং সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের যুগ্ম-সচিব গোপাল চন্দ্র দাশসহ আরও বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা রয়েছেন।

প্রসঙ্গত, বিতর্কিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর থেকেই ওই সময়ের রিটার্নিং কর্মকর্তাদের ভূমিকা নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হয়। এবার সেই নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করা কর্মকর্তাদের পর্যায়ক্রমে ওএসডি করা হচ্ছে বলে মনে করছেন প্রশাসনিক বিশ্লেষকরা।

Header Ad
Header Ad

ট্রাম্পের বিস্ফোরক দাবি: চলমান যুদ্ধের সূচনা ইউক্রেনই করেছিল

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: সংগৃহীত

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের জন্য ইউক্রেনকেই দায়ী করে নতুন বিতর্ক উসকে দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মার্কিন রাজনীতিতে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ঘনিষ্ঠ সমর্থক হিসেবে পরিচিত ট্রাম্প এবার ইউক্রেনের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন। তিনি দাবি করেছেন, চলমান যুদ্ধের সূচনা ইউক্রেনই করেছিল।

মঙ্গলবার (স্থানীয় সময়) ফ্লোরিডার মার-আ-লাগোতে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপচারিতায় ট্রাম্প ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির প্রতি কঠোর মনোভাব প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ইউক্রেনে একটি নতুন নির্বাচন হওয়া উচিত। বিশ্লেষকদের মতে, এটি জেলেনস্কিকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনারই ইঙ্গিত।

ট্রাম্প আরও বলেন, ইউক্রেনে দীর্ঘদিন ধরে কোনো নির্বাচন হয়নি এবং সেখানে সামরিক আইন চলছে। তার দাবি, জেলেনস্কির জনপ্রিয়তা মাত্র চার শতাংশে নেমে গেছে, আর দেশটি ধ্বংসের পথে। যদিও যুদ্ধকালীন সময়ে নির্ভরযোগ্য জনমত জরিপ পাওয়া কঠিন, তবে বিভিন্ন প্রতিবেদনে দেখা গেছে, জেলেনস্কির জনপ্রিয়তা ট্রাম্পের দাবির মতো এতটা কমেনি।

এছাড়া, ইউক্রেনের নির্বাচন প্রসঙ্গে ট্রাম্প বলেন, "তারা কি জনগণের মতামত নিয়েছে? তারা আলোচনার টেবিলে বসতে চায়, কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে সেখানে কোনো নির্বাচন হয়নি।"

প্রসঙ্গত, ইউক্রেনে ২০২৪ সালের এপ্রিলে নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও দেশটির সংবিধান অনুযায়ী, যুদ্ধকালীন সময়ে জাতীয় নির্বাচন আয়োজন সম্ভব নয়। বিশ্লেষকরা বলছেন, ট্রাম্পের এই মন্তব্য কৌতুকপূর্ণ, কারণ তিনি নিজেই ২০২০ সালের মার্কিন নির্বাচনের ফলাফল মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন।

ট্রাম্প আরও দাবি করেন, ইউক্রেন চাইলে যুদ্ধ বন্ধ করতে পারতো এবং তাদের উচিত ছিল রাশিয়ার সঙ্গে সমঝোতায় যাওয়া। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এর অর্থ হলো—ইউক্রেনকে হয় রাশিয়ার মিত্র সরকার গঠনের প্রস্তাবে রাজি হতে হতো, নয়তো প্রতিরোধ ছেড়ে দিয়ে আত্মসমর্পণ করতে হতো।

বিশ্লেষকদের মতে, ট্রাম্পের সাম্প্রতিক অবস্থান ইঙ্গিত দেয় যে, তিনি পুনরায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে ইউক্রেনকে সমর্থন না দিয়ে বরং রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে একটি বিতর্কিত শান্তিচুক্তির দিকে এগোতে পারেন, যা পুতিনের জন্য বড় ধরনের কূটনৈতিক জয় হিসেবে বিবেচিত হবে।

সূত্র: সিএনএন

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

অবশেষে সরিয়ে দেওয়া হলো মাউশির বিতর্কিত ডিজিকে
২০১৮ সালের নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করা ৩৩ ডিসি ওএসডি
ট্রাম্পের বিস্ফোরক দাবি: চলমান যুদ্ধের সূচনা ইউক্রেনই করেছিল
ডিবির সাবেক প্রধান হারুনের ১০০ বিঘা জমি, ৫ ভবন ও ২ ফ্ল্যাট ক্রোকের নির্দেশ
দিল্লির নতুন মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন রেখা গুপ্তা, বিজেপির সিদ্ধান্তে চমক
একুশের প্রথম প্রহরে রাষ্ট্রপতির শহীদ মিনারে না যাওয়ার আহ্বান
নামাজি জীবনসঙ্গী খুঁজছেন আইশা খান
গাইবান্ধায় গাঁজাসহ আটক এএসআইকে কারাগারে প্রেরণ
উপদেষ্টাদের মিটিংয়ে কোন প্রটোকলে গিয়েছিলেন হাসনাত-পাটোয়ারী: ছাত্রদল সেক্রেটারি
সরকারে থেকে ‘নতুন দল’ গঠন করলে মেনে নেওয়া হবে না: মির্জা ফখরুল
হোস্টিং সামিট ২০২৫ অনুষ্ঠিত
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির উদ্বোধনী ম্যাচে পাকিস্তানকে ৩২১ রানের বড় লক্ষ্য দিলো নিউজিল্যান্ড
বৈষম্যবিরোধী নামধারী শীর্ষ নেতার নির্দেশে কুয়েটে ছাত্রদলের ওপর হামলা: রাকিব
যান্ত্রিক ত্রুটিতে আবারও বন্ধ বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র
কুবিতে ছাত্র সংসদের দাবিতে মানববন্ধন ও সন্ত্রাসবিরোধী বিক্ষোভ মিছিল
২২০ জনকে নিয়োগ দেবে সমরাস্ত্র কারখানা, এসএসসি পাসেও আবেদন
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে ২ দিনব্যাপি খামারি প্রশিক্ষণ
সবার সাত দিন কারাগারে থাকা উচিত: আদালতে পলক
বিপ্লবী সরকারের ডাক থেকে সরে এলেন কাফি  
নাঈম ভাই হেনা কোথায়?: ‘তুই অনেক দেরি করে ফেলেছিস বাপ্পা’