শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪ | ১২ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

শ্রীলঙ্কার চেয়ে বাংলাদেশের পণ্যের দাম বেশি

ছবি সংগৃহিত

বিশ্ববাজারে খাদ্যপণ্যের দাম ক্রমান্বয়ে কমলেও দেশের বাজারে এর ছিটেফোঁটাও প্রভাব নেই। বরং উল্টো কোনো কোনো পণ্যের দাম বাড়ছে। অর্থনৈতিক অবস্থা টালমাটাল হওয়ায় কিছুদিন আগেও দক্ষিণ এশিয়ার দেশ শ্রীলঙ্কায় মূল্যস্ফীতি আকাশ ছুঁয়েছিল। কিন্তু অল্প দিনের ব্যবধানে দেশটিতে আর সেই অবস্থা নেই।

বিশ্ববাজারে খাদ্যপণ্যের দাম ক্রমান্বয়ে কমলেও দেশের বাজারে এর ছিটেফোঁটাও প্রভাব নেই। বরং উল্টো কোনো কোনো পণ্যের দাম বাড়ছে। অর্থনৈতিক অবস্থা টালমাটাল হওয়ায় কিছুদিন আগেও দক্ষিণ এশিয়ার দেশ শ্রীলঙ্কায় মূল্যস্ফীতি আকাশ ছুঁয়েছিল। কিন্তু অল্প দিনের ব্যবধানে দেশটিতে আর সেই অবস্থা নেই।

শ্রীলঙ্কার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, দেশটিতে বাংলাদেশি মুদ্রায় এক কেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে মাত্র ৪৫ টাকায় (এক টাকা সমান দশমিক ৩৪ শ্রীলঙ্কান রুপি ধরে)। অন্যদিকে বাংলাদেশে প্রতি কেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকায়। অর্থাৎ বাংলাদেশের চেয়ে শ্রীলঙ্কায় তিন গুণ কমে চিনি বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া শ্রীলঙ্কায় প্রতি কেজি রসুন বিক্রি হচ্ছে ২১০ টাকায়, পক্ষান্তরে বাংলাদেশে রসুন বিক্রি হচ্ছে ২২০ টাকা থেকে আড়াইশ’ টাকায়।

এদিকে বিশ্ববাজারে ভোজ্য তেলের দাম আরও কমেছে।

জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) মাসভিত্তিক ফুড প্রাইস ইনডেক্স অনুযায়ী, চলতি বছরের আগস্ট মাসে বিশ্ববাজারে ভোজ্য তেলের মূল্যসূচক আগের মাসের চেয়ে কমেছে। তার প্রভাব শ্রীলঙ্কায়ও পড়েছে। দেশটিতে বাংলাদেশের চেয়ে অর্ধেক দামে সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে। এগ্রিকালচার কোম্পানি সেলিনা ওয়ামুচির তথ্য অনুযায়ী, দেশটিতে খুচরায় প্রতি লিটার সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়। তবে বিশ্ববাজারে দাম কমলেও বাংলাদেশে তার প্রভাব পড়েনি। বাংলাদেশে প্রতি লিটার সয়াবিন তেল এখনো বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ১৭৫ টাকায়।
বাংলাদেশে আকাশছোঁয়া দামে বিক্রি হওয়া আদা শ্রীলঙ্কায় বাংলাদেশি মুদ্রায় ৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশে প্রতি কেজি আদার দাম ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা। অর্থাৎ পণ্যটি বাংলাদেশের চেয়ে কয়েক গুণ কমদামে শ্রীলঙ্কার বাজারে বিক্রি হচ্ছে।

পিয়াজের দামও শ্রীলঙ্কায় কিছুটা কম। বাংলাদেশি মুদ্রায় দেশটিতে এক কেজি পিয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭২ টাকায়। ঢাকায় যেটি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা কেজি। এ ছাড়া বাংলাদেশে প্রতি কেজি লবণের দাম ৩৮ থেকে ৪০ টাকা, শ্রীলঙ্কায় প্রতি কেজি লবণের দাম ৩৫ টাকা। দেশটিতে মসুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়, বাংলাদেশে প্রতি কেজি মসুর ডালের দাম ১৩৫ টাকা। শ্রীলঙ্কায় প্রতি কেজি শুকনা মরিচের দাম ৪০৮ টাকা আর বাংলাদেশে প্রতি কেজি শুকনা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৪২০ থেকে ৪৫০ টাকায়।

ফলের দামও শ্রীলঙ্কার চেয়ে বাংলাদেশে বেশি। রাজধানীর বিভিন্ন ফলের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ৩০০ টাকার নিচে কোনো বিদেশি ফল পাওয়া যাচ্ছে না। অধিকাংশ ফলের দামই ৩৫০ টাকার উপরে। রাজধানীতে প্রতি কেজি মাল্টা ৩৮০, কমলা ৩৫০, ছোট কমলা ৩২০, গ্রিন আপেল ৪০০, গালা আপেল ৩৫০, সুজি আপেল ৩৩০ টাকা এবং আনার (ডালিম) ৪৫০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। অন্যদিকে শ্রীলঙ্কায় প্রতি কেজি আপেল ও কমলা বিক্রি হচ্ছে বাংলাদেশি মুদ্রায় ৮৫ থেকে ১০০ টাকায়।

বিশ্ববাজারে খাদ্যপণ্যের দাম আরও কমেছে: এদিকে বিশ্ববাজারে খাদ্যপণ্যের দাম আরও কমেছে। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) মাসভিত্তিক ফুড প্রাইস ইনডেক্স অনুযায়ী, চলতি বছরের জুলাই মাসের চেয়ে আগস্ট মাসে বিশ্ববাজারে খাদ্যের মূল্যসূচক অনেক কমেছে। গত বছরের মার্চে এই সূচক রেকর্ড উচ্চতায় ওঠার পর জুলাই মাসে তার মান প্রায় ৩৯ শতাংশীয় পয়েন্ট কমেছে। এফএও ফুড প্রাইস ইনডেক্স বলছে, জুলাই মাসে খাদ্য মূল্যসূচক ১২১ দশমিক ৪ পয়েন্টে নেমে এসেছে।

রাশিয়ার ইউক্রেনে হামলা শুরুর পর ২০২২ সালের মার্চ মাসে এই সূচক রেকর্ড ১৫৯ দশমিক ৭ পয়েন্টে উঠেছিল। এরপরের চার মাসেও এর মান ১৫০-এর উপরে ছিল। কিন্তু গত বছরের জুলাই মাসে তা ১৪০-এর ঘরে নেমে আসে। এরপর চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে তা কমে ১৩০ দশমিক ২ পয়েন্ট হয়। এফএও’র তথ্য অনুযায়ী, এক বছরের ব্যবধানে বিশ্ববাজারে ভোজ্য তেলের দাম অনেক কমেছে। গত বছরের জুলাই মাসে ভোজ্য তেলের মূল্যসূচক ছিল ১৬৯ পয়েন্ট। চলতি বছরের জুলাই মাসে মূল্যসূচক ৩৯ পয়েন্ট কমে ১২৯ দশমিক ৮ শতাংশীয় পয়েন্টে নেমে আসে। আগস্ট মাসে তা আরও কমে ১২৫ দশমিক ৮ শতাংশীয় পয়েন্টে নেমে এসেছে।

একই চিত্র দেখা গেছে দুগ্ধপণ্যের মূল্যসূচকেও। চলতি বছরের আগস্টে দুগ্ধপণ্যের বৈশ্বিক গড় মূল্যসূচক ১১১ দশমিক ৩ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে বলে প্রতিবেদনে জানিয়েছে এফএও, যা আগের বছরের জুলাই মাসের তুলনায় প্রায় ৩৫ শতাংশীয় পয়েন্ট কম।

গত মাসে আমিষ পণ্যের বৈশ্বিক গড় মূল্যসূচকও কমেছে। গত বছরের জুলাইয়ে আমিষ পণ্যের বৈশ্বিক গড় মূল্যসূচক ছিল ১১৭ দশমিক ৮ শতাংশীয় পয়েন্ট। চলতি বছরের আগস্ট মাসে এই মূল্যসূচক কমে ১১৪ দশমিক ৬ পয়েন্টে নেমে এসেছে। জুলাই মাসে আমিষ পণ্যের মূল্যসূচক ছিল ১১৮ দশমিক ২ শতাংশীয় পয়েন্ট। ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে আমিষ পণ্যের এই সূচকমানে নিম্নমুখী প্রবণতা দেখা গেছে।

তবে বিশ্ববাজারে চিনির মূল্যসূচক এখনো কমেনি। এপ্রিল, মে ও জুন মাসের তুলনায় চিনির মূল্যসূচক কিছুটা কমলেও গত বছরের জুলাই মাসের তুলনায় বিশ্ববাজারে এই পণ্যটির মূল্যসূচক বেড়েছে। যদিও বিশ্ববাজারের চেয়ে বাংলাদেশে চিনির মূল্যবৃদ্ধির হার অনেক বেশি।তথ্য সূত্র :মানবকণ্ঠ

 

Header Ad
Header Ad

ইয়েমেনের বিমানবন্দর-বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ইসরায়েলি বিমান হামলা  

ছবি: সংগৃহীত

ইয়েমেনের রাজধানী সানার বিমানবন্দর, সেনাবাহিনীর ঘাঁটি ও অন্য একটি শহরের বিদ্যুৎ কেন্দ্রে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী। সানা ছাড়াও দেশটির বন্দরনগরী হুদাইদাহতেও বিমান হামলা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার ইয়েমেনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হুথিদের ও ইসরায়েলি গণমাধ্যমের খবরে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

বিদ্রোহী গোষ্ঠী হুথি পরিচালিত আল-মাসিরাহ টেলিভিশন চ্যানেলের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সানা বিমানবন্দর ও এর পার্শ্ববর্তী আল-দাইলামি সেনা ঘাঁটি এবং হুদাইদাহর একটি বিদ্যুৎ কেন্দ্রকে লক্ষ্যবস্তু করেছে ইহুদিবাদী ইসরায়েল। ইসরায়েলি এই হামলার জবাব দেওয়ার হুমকি দিয়েছে হুথি বিদ্রোহীরা।

ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি বলেছে, রাজধানী সানা ও হুদাইদাহ শহরে হামলার ঘটনাকে ‘‘ইসরায়েলি আগ্রাসন’’ বলে অভিহিত করেছে আল-মাসিরাহ টেলিভিশন। এই হামলার বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেনি ইসরায়েল।

প্রত্যক্ষদর্শী ও হুথি বিদ্রোহীরা বলেছেন, রাজধানী সানার একটি বিমানবন্দর ও সামরিক ঘাঁটি লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে। এছাড়া পশ্চিমাঞ্চলীয় বন্দরনগরী হুদাইদাহর একটি বিদ্যুৎ কেন্দ্রেও হামলা করা হয়েছে।

তবে ইসরায়েলি হামলায় ইয়েমেনে কোনও হতাহত কিংবা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে কি না, তাৎক্ষণিকভাবে তা জানা যায়নি। কয়েকদিন আগে ইসরায়েলি ভূখণ্ডের বিভিন্ন স্থাপনায় ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরা। এরপর থেকেই ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী ইয়েমেনে হুথি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে বড় ধরনের অভিযানের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলে হুঁশিয়ারি দিয়ে আসছে।

গত বছরের অক্টোবরে শুরু হওয়া গাজা যুদ্ধের প্রথম মাস থেকেই ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে ইসরায়েলে হামলা চালিয়ে আসছে ইরান-সমর্থিত ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরা। গত সপ্তাহে হুথিদের চালানো ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইসরায়েলে এক ডজনেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছেন। প্রতিশোধ হিসেবে ইসরায়েলও হুথিদের বিরুদ্ধে দফায় দফায় হামলা করছে।

চলতি সপ্তাহের শুরুর দিকে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী বলেছিলেন, হুথিদের বিরুদ্ধে ‘‘কঠোর আঘাত’’ হানার প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। এই গোষ্ঠীর শীর্ষ নেতৃত্বকে নির্মুল করা হবে বলে হুমকি দিয়েছেন তিনি।

Header Ad
Header Ad

সুপ্রিম কোর্টসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ

ছবি: সংগৃহীত

 

সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণ, প্রধান বিচারপতির বাসভবন, জাজেস কমপ্লেক্স, বিচারপতি ভবন, সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচারপতিদের বাসভবন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল, অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়, সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশন ভবন ও তৎসংলগ্ন এলাকায় সার্বিক নিরাপত্তা এবং অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা জোরদারের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ।

বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল ড. আজিজ আহমেদের সই করা একটি সার্কুলারে এ তথ্য জানানো হয়।

সার্কুলারে বলা হয়, উপর্যুক্ত বিষয়ে নির্দেশিত হয়ে জানানো যাচ্ছে যে, প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্র বাংলাদেশ সচিবালয়ে ঘটে যাওয়া ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট দেশের বিচার অঙ্গনের সর্বোচ্চ স্থান। বাংলাদেশের মাননীয় প্রধান বিচারপতি মহোদয় এবং সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের মাননীয় বিচারপতি মহোদয়গণ বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টে বিচারকার্য পরিচালনা করে থাকেন। এ ছাড়া দেশের বহুল আলোচিত ও গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন মামলার নথিসহ কয়েক লাখ মামলার নথি অত্র কোর্টে রক্ষিত আছে।

আইনের শাসন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা এবং দেশ ও জাতির বৃহত্তর স্বার্থে বিচারপ্রার্থী জনগণকে বিচারিকসেবা প্রদান করা এবং বিভিন্ন মামলার নথি সংরক্ষণের নিশ্চয়তা প্রদানের নিমিত্ত বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট কম্পাউন্ড, বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতির বাসভবন, জাজেস কমপ্লেক্স, বিচারপতি ভবন, সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের মাননীয় বিচারপতি মহোদয়গণের বাসভবন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল, অ্যাটর্নি জেনারেরের কার্যালয়, সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশন ভবন ও তৎসংলগ্ন এলাকায় সার্বিক নিরাপত্তা জোরদার করা অতীব জরুরি।

এ অবস্থায় বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট কম্পাউন্ড, বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতির বাসভবন, জাজেস কমপ্লেক্স, বিচারপতি ভবন, সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের মাননীয় বিচারপতি মহোদয়গণের বাসভবন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল, অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়, সু্প্রিম কোর্ট বার এসোসিয়েশন ভবন ও তৎসংলগ্ন এলাকায় সার্বিক নিরাপত্তা জোরদারকরণের নিমিত্ত জরুরি ভিত্তিতে পর্যাপ্তসংখ্যক পুলিশ সদস্য মোতায়েনপূর্বক সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করাসহ এ বিষয়ে আনুষঙ্গিক কার্য সম্পন্ন করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।

Header Ad
Header Ad

তিব্বতে ‘বিশ্বের বৃহত্তম’ জলবিদ্যুৎ বাঁধ তৈরি করবে চীন  

ছবি: সংগৃহীত

তিব্বতে বিশ্বের বৃহত্তম জলবিদ্যুৎ বাঁধ নির্মাণের অনুমোদন দিয়েছে চীন। তিব্বত মালভূমির পূর্ব পাশে এই প্রকল্প শুরু হতে যাচ্ছে। এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে নিম্নপ্রবাহে ভারত ও বাংলাদেশের লাখ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, ইয়ারলুং জাংপো নদীর নিম্নপ্রবাহে এই বাঁধ তৈরি হবে বলে। চীনের পাওয়ার কনস্ট্রাকশন কর্পোরেশনের ২০২০ সালের হিসাব অনুযায়ী, এ প্রকল্প থেকে বার্ষিক ৩০ হাজার কোটি কিলোওয়াট-ঘণ্টা বিদ্যুৎ উৎপাদিত হবে।

বর্তমানে বিশ্বের বৃহত্তম জলবিদ্যুৎ প্রকল্প চীনের মধ্যাঞ্চলীয় থ্রি গর্জেস বাঁধ। এই প্রকল্পের উৎপাদন ক্ষমতা বার্ষিক ৮ হাজার ৮২০ কিলোওয়াট-ঘণ্টা।

চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদ সংস্থা সিনহুয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়, এই প্রকল্পটি চীনের শূন্য কার্বন লক্ষ্য পূরণে বড় ধরনের ভূমিকা রাখবে। আর প্রকৌশল সংশ্লিষ্ট শিল্পগুলোকে উজ্জীবিত করবে এবং তিব্বতে কর্মসংস্থানের ক্ষেত্র প্রসারিত হবে।

প্রকৌশলগত খরচসহ এই বাঁধ নির্মাণের সার্বিক ব্যয় থ্রি গর্জেস বাঁধ প্রকল্পকে ছাড়িয়ে যেতে পারে। থ্রি গর্জেস বাঁধ প্রকল্পে ব্যয় হয়েছিল ৩ হাজার ৪৮৩ কোটি ডলার। এই প্রকল্পের কারণে বাস্তুচ্যুত ১৪ লাখ মানুষকে পুনর্বাসন করা হয়েছিল। ফলে এই প্রকল্পের মোট ব্যয় বাজেটের চারগুণের বেশি ছিল।

তিব্বতের প্রকল্পের কারণে কত মানুষ বাস্তুচ্যুত হবে আর এটি স্থানীয় আবাসনকে কতটা ক্ষতিগ্রস্ত করবে কর্তৃপক্ষ তার কোনো ইঙ্গিত দেয়নি। তবে চীনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তিব্বতে জলবিদ্যুৎ প্রকল্পগুলো পরিবেশের ওপর বা নিম্নপ্রবাহে পানি সরবরাহের ক্ষেত্রে বড় ধরনের কোনো প্রভাব ফেলবে না।

চীন এমন দাবি করলেও ভারত ও বাংলাদেশ এ বাঁধ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। এই প্রকল্পের সম্ভাব্য প্রভাবে স্থানীয় আবাসনের পাশাপাশি নিম্নপ্রবাহের নদীগুলোর পানি প্রবাহ ও গতিপথকেও প্রভাবিত করবে। এতে দুই দেশের লাখ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

ইয়েমেনের বিমানবন্দর-বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ইসরায়েলি বিমান হামলা  
সুপ্রিম কোর্টসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ
তিব্বতে ‘বিশ্বের বৃহত্তম’ জলবিদ্যুৎ বাঁধ তৈরি করবে চীন  
ফায়ার ফাইটার নয়ন এর বাড়ীতে শোকের মাতম চলছে
চট্টগ্রামের এক ইঞ্চি মাটিতে হাত দিলে কারও চোখ থাকবে না: ব্যারিস্টার ফুয়াদ  
সেন্টমার্টিন থেকে ফেরার পথে নষ্ট জাহাজ, মাঝপথে আটকা ৭১ যাত্রী
তিতাসের ১৬ হাজার অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন
দর্শনা চেকপোস্টে ভারতীয় মদসহ এক ভুয়া পুলিশ আটক
আগুনে পুড়ল ক্রীড়া মন্ত্রণালয়, যেখানে অফিস করবেন আসিফ মাহমুদ
অবৈধ বালু ঘাটে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান, পালিয়ে গেল বালুখেকোরা  
নসরুল হামিদের ৯৮ ব্যাংক হিসাবে অস্বাভাবিক লেনদেন: দুদকের মামলা
ত্রিপুরা পল্লীতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় চারজন গ্রেপ্তার
সচিবালয় কিভাবে আওয়ামী মুক্ত করতে হয় সেটা ছাত্র জনতা জানে: হাসনাত আব্দুল্লাহ
অবৈধ বসবাসকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা ৩১ জানুয়ারির পর
সচিবালয়ের অগ্নিকাণ্ড তদন্তে উচ্চ পর্যায়ের নতুন কমিটি
টাঙ্গাইলে ২৭ মামলার আসামিসহ ডাকাতচক্রের ৪ সদস্য গ্রেফতার  
তাবলিগ জামাতের কার্যক্রম থেকে বিরত থাকতে সাদ অনুসারীদের অনুরোধ
দেশের অবস্থা ভালো না, শেখ হাসিনা আবারও আসবে: সোলায়মান সেলিম
রেলের পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক হলেন মোঃ সুবক্তগীন
সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্তের দাবি মির্জা ফখরুলের