শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

দাম চড়া সব পণ্যের, নির্ধারিত দামে মিলছে না চিনি

সারাদেশে নতুন ধান উঠলেও বাজারে কমেনি চালের দাম। আর পেঁয়াজ ও জিরার দাম বেড়েই চলেছে। তেলের দাম বাড়ানোর পর পরই খুচরা বিক্রেতাদের কাছে চলে আসায় তা পাচ্ছেন ক্রেতারা। কিন্তু কেজিতে ১৬ টাকা বাড়ানোর পরও বিক্রেতারা চিনি পাচ্ছেন না। এখনো অধিকাংশ বিক্রেতা বলছেন চিনি নেই। অন্যদিকে, আলু, ঝিঙ্গা, ধুন্দলসহ সবজির দামও চড়া। বিক্রেতারা বলছেন, বেশি দামে কেনা, তাই চড়া দামেই বিক্রি করতে হচ্ছে।

শনিবার (১৩ মে) রাজধানীর কারওয়ানবাজারসহ বিভিন্ন খুচরা বাজারে ঘুরে এমন চিত্রই পাওয়া গেছে।

দাম বাড়িয়েও চিনি নেই

সরকার কেজিতে ১৬ টাকা দাম বাড়িয়ে খোলা চিনি ১২০ টাকা ও প্যাকেটজাত চিনি ১২৫ টাকা করে বিক্রির ঘোষণা দেন। কিন্তু বাজারে সহজে পাওয়া যাচ্ছে না চিনি। তবে কোনো কোনো দোকানে পাওয়া গেলেও তারা ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকা কেজি বিক্রি করছেন।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে কারওয়ানবাজারের সততা ট্রেডার্স, সালমান ট্রেডার্স, লক্ষীপুর স্টোর, আ. গনি স্টোরসহ অন্যান্য খুচরা ব্যবসায়ীরা ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ১০৪ টাকা থেকে ১৬ টাকা বাড়িয়ে ১২০ টাকা চিনির কেজি করা হয়েছে। তারপরও পাওয়া যাচ্ছে না। দাম বাড়ানোর পরও মিল থেকে চিনি দিচ্ছে না। তাই আমরা তো পাচ্ছি না। তবে কোথাও পাওয়া গেলেও তা ১৩০ থেকে ১৪০ টাকার কম বিক্রি করা যাচ্ছে না।

সালশান ট্রেডার্সের মাসুম বলেন, গোড়াই দাম বেশি। তাই চিনি রাখি না। আবার কৃষিমার্কেটের সিটি এন্টারপ্রেইজের আবু তাহেরসহ অনান্য ব্যবসায়ীরা জানান, সেই ঈদের আগে থেকে চিনি নেই।

জিয়াউর রহমান নামে এক ক্রেতা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘এ দোকান, সে দোকান করে প্রায় ১০ দোকান ঘুরেছি। কিন্তু সবাই বলছেন চিনি নেই। তবে এক দোকানদার বলেন, চিনি আছে, তবে দাম পড়বে ১৩৫ টাকা কেজি, নিলে নেন— না হলে যান’।

এদিকে সরকার সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ১২ টাকা বাড়ানোর পর বাজারে তা হাজির হয়ে গেছে। নতুন দাম অনুযায়ী ১ লিটার সয়াবিন তেল ১৯৯ টাকা, ২ লিটার ৩৯০ টাকা ও ৫ লিটার ৯৩০ থেকে ৯৬০ টাকা বিক্রি করছে ব্যবসায়ীরা।

বাড়তি জিরা ও আদার দাম

ঈদ শেষে জিরার দাম বেড়েই যাচ্ছে। তা একেবারে লাগামহীন হয়ে পড়েছে। সপ্তাহের ব্যবধানে ৫০ টাকা কেজিতে বেড়ে ৮৫০ টাকা কেজি হয়ে গেছে। এদিকে পেঁয়াজও সেই পথে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ১০ টাকা বেড়েছে। আদাতেও সুখবর নেই। বিদেশি আদার কেজি ৩৩০ থেকে ৩৫০ টাকা, দেশি আদা ২৮০ টাকা কেজি বিক্রি করছেন খুচরা ব্যবসায়ীরা। আর দেশি রসুন বিক্রি করা হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৬০ টাকা কেজি। তবে আগের মতোই মসুর ডাল ৯৫ থেকে ১৩৫ টাকা কেজি, প্যাকেট আটা ২ কেজি ১৩০ টাকা ও খোলা আটার কেজি ৬০ টাকা, ময়দা ১৫০ টাকা, ছোলা ৮৫ থেকে ৯০ টাকা কেজি বিক্রি করা হচ্ছে।

নতুন ধান উঠলেও কমেনি চালের দাম

দেশের হাওর, উত্তরাঞ্চলসহ প্রায় এলাকায় ধান উঠলেও তেমন কমেনি চালের দাম। আগের মতোই আছে বলে বিক্রেতারা জানান। বর্তমানে মোটা স্বর্ণা চাল ৫০ টাকা, ২৮ ও পাইজাম ৫২ থেকে ৬০ টাকা কেজি বিক্রি করা হচ্ছে। তবে বিভিন্ন কোম্পানির বস্তার মিনিকেট চালের কেজি ৭২ টাকা থেকে ৭৫ টাকা কেজি বিক্রি করছেন খুচরা ব্যবসায়ীরা। কারওয়ানবাজারের আল্লাহর দান রাইস এজেন্সির আ. আওয়ালসহ অন্য খুচরা ব্যবসায়ীরা জানান, নতুন বোরো ধান উঠলে মাঝারি চালের দাম কমবে মনে হয়েছিল। কিন্তু তেমন কমছে না। কারণ ধানের দাম বেশি। তবে সারা দেশের ধান উঠলে সরবরাহ বেশি হওয়ায় কিছুটা কমতে পারে।

আবার বেড়েছে ব্রয়লারের মুরগির দাম

ঈদে হঠাৎ করে মাংসের দাম বাড়লেও পরে সেভাবে কমেনি। কারওয়ানবাজারের জনপ্রিয় ব্রয়লার হাউজ, মায়ের দোয়া, ঢাকা ব্রয়লার, নুরজাহান ব্রয়লার হাউজের বিক্রিয়কর্মীরা জানান, ঈদের কয়দিন পর ব্রয়লারের দাম কমলেও এ সপ্তাহে আবার বেড়ে গেছে। বর্তমানে ব্রয়লার ২১০ থেকে ২৩০, পাকিস্তানি মুরগি ৩৩০ থেকে ৩৪০ টাকা ও দেশি মুরগির দাম ৭০০ টাকা কেজি বিক্রি করা হচ্ছে।

গরুর মাংস ৭৫০ টাকা, খাসির মাংস ১ হাজার থেকে ১ হাজার ১০০ টাকা কেজি বিক্রি করা হচ্ছে। ডিমের দামও আগের মতো বেশি দামে ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা ডজন বিক্রি করা হচ্ছে বলে বিক্রেতারা জানান।

এদিকে মাংসের দাম না কমার কারণে আগের দামেই মাছ বিক্রি করা হচ্ছে বলে কারওয়ানবাজার ও টাউনহলের ব্যবসায়ীরা জানান। বিক্রেতারা জানান, ঈদের পর থেকেই বাচ্চা মাছ ৪৫০ থেকে ৬০০ টাকা কেজি, রুই, কাতলা ২৫০-৪৫০ টাকা কেজি। চিংড়ি ৫০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা কেজি, টেংরা, বোয়াল, আইড় ৫০০ থেকে ৮০০ টাকা, কাচকি ৩০০-৩৫০ টাকা, শিং ৪০০-৬০০, কাজলি ও বাতাসি ৬০০ টাকা, পাঙ্গাস ও তেলাপিয়া ১৫০ থেকে ২০০ টাকা কেজি বিক্রি করা হচ্ছে। এ ছাড়া, আকারভেদে ইলিশ বিক্রি করা হচ্ছে ৫৫০ টাকা কেজি থেকে এক হাজার ৪০০ টাকা কেজি ।

সবজির দামও চড়া

অন্যান্য জিনিসের মতো সবজির বাজারেও অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। পেঁপের কেজি ৭০ টাকা ছাড়িয়েছে। ঝিঙ্গা, ধুন্দুল ও চিচিঙ্গার কেজি ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজি বিক্রি করা হচ্ছে বলে বিক্রেতারা জানান। বর্তমানে লেবু ২০ থেকে ৪০ টাকা ডজন বিক্রি করা হচ্ছে। কারওয়ানবাজারের স্বপন বলেন, বর্তমানে লেবুর ডজন ২০ থেকে ৪০ টাকা ডজন বিক্রি করা হচ্ছে। মরিচের কেজি ৮০ থেকে ১০০ থেকে কেজি বিক্রি করা হচ্ছে।

ঈদ ফুরিয়ে যাওয়ায় শসার দামও কমেছে। তা ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি, বেগুন ৬০ থেকে ৭০ টাকা, পটল ও করলা ৬০ থেকে ৭০ টাকা, টমেটো ৫০ থেকে ৬০ টাকা, আলু ৩৫ টাকা থেকে ৫০, লাউ ৬০ থেকে ৮০ টাকা, মিষ্টি কুমড়ার কেজি ৩০ টাকা, গাঁজর ৩০-৪০ টাকা বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা। সজনার দাম বেড়ে ১২০ টাকা কেজি, লাল ও পালং শাকের আঁটি ১০ টাকা, ও ধনিয়ার পাতা ১০ থেকে ১৫ টাকা ও পুঁইশাক ২০ টাকা আঁটি বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে দেখা গেছে, এলাকাভেদে একই পণ্য কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা কম বেশি দামে বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা। একই সঙ্গে পাইকারি ও খুচরা পর্যায়েও পণ্যভেদে ৫ থেকে ১০ টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।

জেডএ/আরএ/

Header Ad

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের এ কুশল বিনিময় হয়।

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া পৌঁছালে উপস্থিত সবাই তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টা তার পাশে এসে দাঁড়ান এবং শারীরিক খোঁজখবর নেন। এ সময় খালেদা জিয়া তাদের অভিনন্দন জানান এবং দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এ সময় এই ৩ উপদেষ্টা বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে দোয়া চান এবং সরকারের সংস্কার কাজে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা চান।

এদিকে সেনাকুঞ্জে গেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।

Header Ad

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

ছবি: সংগৃহীত

আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আজকেও ছিল এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

এর আগে, সবশেষ গত ১৯ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় টানা চার দফা কমার পর ভরিতে ২ হাজার ৯৪০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২০ নভেম্বর থেকে।

এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫১ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩০ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২১ বার।

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত