রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪ | ৭ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

দাম চড়া সব পণ্যের, নির্ধারিত দামে মিলছে না চিনি

সারাদেশে নতুন ধান উঠলেও বাজারে কমেনি চালের দাম। আর পেঁয়াজ ও জিরার দাম বেড়েই চলেছে। তেলের দাম বাড়ানোর পর পরই খুচরা বিক্রেতাদের কাছে চলে আসায় তা পাচ্ছেন ক্রেতারা। কিন্তু কেজিতে ১৬ টাকা বাড়ানোর পরও বিক্রেতারা চিনি পাচ্ছেন না। এখনো অধিকাংশ বিক্রেতা বলছেন চিনি নেই। অন্যদিকে, আলু, ঝিঙ্গা, ধুন্দলসহ সবজির দামও চড়া। বিক্রেতারা বলছেন, বেশি দামে কেনা, তাই চড়া দামেই বিক্রি করতে হচ্ছে।

শনিবার (১৩ মে) রাজধানীর কারওয়ানবাজারসহ বিভিন্ন খুচরা বাজারে ঘুরে এমন চিত্রই পাওয়া গেছে।

দাম বাড়িয়েও চিনি নেই

সরকার কেজিতে ১৬ টাকা দাম বাড়িয়ে খোলা চিনি ১২০ টাকা ও প্যাকেটজাত চিনি ১২৫ টাকা করে বিক্রির ঘোষণা দেন। কিন্তু বাজারে সহজে পাওয়া যাচ্ছে না চিনি। তবে কোনো কোনো দোকানে পাওয়া গেলেও তারা ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকা কেজি বিক্রি করছেন।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে কারওয়ানবাজারের সততা ট্রেডার্স, সালমান ট্রেডার্স, লক্ষীপুর স্টোর, আ. গনি স্টোরসহ অন্যান্য খুচরা ব্যবসায়ীরা ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ১০৪ টাকা থেকে ১৬ টাকা বাড়িয়ে ১২০ টাকা চিনির কেজি করা হয়েছে। তারপরও পাওয়া যাচ্ছে না। দাম বাড়ানোর পরও মিল থেকে চিনি দিচ্ছে না। তাই আমরা তো পাচ্ছি না। তবে কোথাও পাওয়া গেলেও তা ১৩০ থেকে ১৪০ টাকার কম বিক্রি করা যাচ্ছে না।

সালশান ট্রেডার্সের মাসুম বলেন, গোড়াই দাম বেশি। তাই চিনি রাখি না। আবার কৃষিমার্কেটের সিটি এন্টারপ্রেইজের আবু তাহেরসহ অনান্য ব্যবসায়ীরা জানান, সেই ঈদের আগে থেকে চিনি নেই।

জিয়াউর রহমান নামে এক ক্রেতা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘এ দোকান, সে দোকান করে প্রায় ১০ দোকান ঘুরেছি। কিন্তু সবাই বলছেন চিনি নেই। তবে এক দোকানদার বলেন, চিনি আছে, তবে দাম পড়বে ১৩৫ টাকা কেজি, নিলে নেন— না হলে যান’।

এদিকে সরকার সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ১২ টাকা বাড়ানোর পর বাজারে তা হাজির হয়ে গেছে। নতুন দাম অনুযায়ী ১ লিটার সয়াবিন তেল ১৯৯ টাকা, ২ লিটার ৩৯০ টাকা ও ৫ লিটার ৯৩০ থেকে ৯৬০ টাকা বিক্রি করছে ব্যবসায়ীরা।

বাড়তি জিরা ও আদার দাম

ঈদ শেষে জিরার দাম বেড়েই যাচ্ছে। তা একেবারে লাগামহীন হয়ে পড়েছে। সপ্তাহের ব্যবধানে ৫০ টাকা কেজিতে বেড়ে ৮৫০ টাকা কেজি হয়ে গেছে। এদিকে পেঁয়াজও সেই পথে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ১০ টাকা বেড়েছে। আদাতেও সুখবর নেই। বিদেশি আদার কেজি ৩৩০ থেকে ৩৫০ টাকা, দেশি আদা ২৮০ টাকা কেজি বিক্রি করছেন খুচরা ব্যবসায়ীরা। আর দেশি রসুন বিক্রি করা হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৬০ টাকা কেজি। তবে আগের মতোই মসুর ডাল ৯৫ থেকে ১৩৫ টাকা কেজি, প্যাকেট আটা ২ কেজি ১৩০ টাকা ও খোলা আটার কেজি ৬০ টাকা, ময়দা ১৫০ টাকা, ছোলা ৮৫ থেকে ৯০ টাকা কেজি বিক্রি করা হচ্ছে।

নতুন ধান উঠলেও কমেনি চালের দাম

দেশের হাওর, উত্তরাঞ্চলসহ প্রায় এলাকায় ধান উঠলেও তেমন কমেনি চালের দাম। আগের মতোই আছে বলে বিক্রেতারা জানান। বর্তমানে মোটা স্বর্ণা চাল ৫০ টাকা, ২৮ ও পাইজাম ৫২ থেকে ৬০ টাকা কেজি বিক্রি করা হচ্ছে। তবে বিভিন্ন কোম্পানির বস্তার মিনিকেট চালের কেজি ৭২ টাকা থেকে ৭৫ টাকা কেজি বিক্রি করছেন খুচরা ব্যবসায়ীরা। কারওয়ানবাজারের আল্লাহর দান রাইস এজেন্সির আ. আওয়ালসহ অন্য খুচরা ব্যবসায়ীরা জানান, নতুন বোরো ধান উঠলে মাঝারি চালের দাম কমবে মনে হয়েছিল। কিন্তু তেমন কমছে না। কারণ ধানের দাম বেশি। তবে সারা দেশের ধান উঠলে সরবরাহ বেশি হওয়ায় কিছুটা কমতে পারে।

আবার বেড়েছে ব্রয়লারের মুরগির দাম

ঈদে হঠাৎ করে মাংসের দাম বাড়লেও পরে সেভাবে কমেনি। কারওয়ানবাজারের জনপ্রিয় ব্রয়লার হাউজ, মায়ের দোয়া, ঢাকা ব্রয়লার, নুরজাহান ব্রয়লার হাউজের বিক্রিয়কর্মীরা জানান, ঈদের কয়দিন পর ব্রয়লারের দাম কমলেও এ সপ্তাহে আবার বেড়ে গেছে। বর্তমানে ব্রয়লার ২১০ থেকে ২৩০, পাকিস্তানি মুরগি ৩৩০ থেকে ৩৪০ টাকা ও দেশি মুরগির দাম ৭০০ টাকা কেজি বিক্রি করা হচ্ছে।

গরুর মাংস ৭৫০ টাকা, খাসির মাংস ১ হাজার থেকে ১ হাজার ১০০ টাকা কেজি বিক্রি করা হচ্ছে। ডিমের দামও আগের মতো বেশি দামে ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা ডজন বিক্রি করা হচ্ছে বলে বিক্রেতারা জানান।

এদিকে মাংসের দাম না কমার কারণে আগের দামেই মাছ বিক্রি করা হচ্ছে বলে কারওয়ানবাজার ও টাউনহলের ব্যবসায়ীরা জানান। বিক্রেতারা জানান, ঈদের পর থেকেই বাচ্চা মাছ ৪৫০ থেকে ৬০০ টাকা কেজি, রুই, কাতলা ২৫০-৪৫০ টাকা কেজি। চিংড়ি ৫০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা কেজি, টেংরা, বোয়াল, আইড় ৫০০ থেকে ৮০০ টাকা, কাচকি ৩০০-৩৫০ টাকা, শিং ৪০০-৬০০, কাজলি ও বাতাসি ৬০০ টাকা, পাঙ্গাস ও তেলাপিয়া ১৫০ থেকে ২০০ টাকা কেজি বিক্রি করা হচ্ছে। এ ছাড়া, আকারভেদে ইলিশ বিক্রি করা হচ্ছে ৫৫০ টাকা কেজি থেকে এক হাজার ৪০০ টাকা কেজি ।

সবজির দামও চড়া

অন্যান্য জিনিসের মতো সবজির বাজারেও অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। পেঁপের কেজি ৭০ টাকা ছাড়িয়েছে। ঝিঙ্গা, ধুন্দুল ও চিচিঙ্গার কেজি ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজি বিক্রি করা হচ্ছে বলে বিক্রেতারা জানান। বর্তমানে লেবু ২০ থেকে ৪০ টাকা ডজন বিক্রি করা হচ্ছে। কারওয়ানবাজারের স্বপন বলেন, বর্তমানে লেবুর ডজন ২০ থেকে ৪০ টাকা ডজন বিক্রি করা হচ্ছে। মরিচের কেজি ৮০ থেকে ১০০ থেকে কেজি বিক্রি করা হচ্ছে।

ঈদ ফুরিয়ে যাওয়ায় শসার দামও কমেছে। তা ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি, বেগুন ৬০ থেকে ৭০ টাকা, পটল ও করলা ৬০ থেকে ৭০ টাকা, টমেটো ৫০ থেকে ৬০ টাকা, আলু ৩৫ টাকা থেকে ৫০, লাউ ৬০ থেকে ৮০ টাকা, মিষ্টি কুমড়ার কেজি ৩০ টাকা, গাঁজর ৩০-৪০ টাকা বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা। সজনার দাম বেড়ে ১২০ টাকা কেজি, লাল ও পালং শাকের আঁটি ১০ টাকা, ও ধনিয়ার পাতা ১০ থেকে ১৫ টাকা ও পুঁইশাক ২০ টাকা আঁটি বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে দেখা গেছে, এলাকাভেদে একই পণ্য কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা কম বেশি দামে বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা। একই সঙ্গে পাইকারি ও খুচরা পর্যায়েও পণ্যভেদে ৫ থেকে ১০ টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।

জেডএ/আরএ/

Header Ad
Header Ad

বঙ্গবন্ধু রেলওয়ে সেতুর নাম পরিবর্তন হয়ে যা হলো

বঙ্গবন্ধু রেলওয়ে সেতুর নাম পরিবর্তন। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

যমুনা নদীর ওপরে নির্মিত রেল সেতুর নাম পরিবর্তন করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। সিরাজগঞ্জ ও টাঙ্গাইলকে সংযোগকারী এই রেল সেতুর নাম ‘জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রেল সেতু’ পরিবর্তন করে নতুন নামকরণ করা হয়েছে ‘যমুনা রেল সেতু’।

রোববার (২২ ডিসেম্বর) দুপুরে বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. আফজাল হোসেন এ তথ্য জানান।

রেলওয়ের মহাপরিচালক বলেন, যমুনা নদীতে নির্মিত রেল সেতুর নাম বঙ্গবন্ধু রেল সেতু থাকছে না। এটি এখন যমুনা রেল সেতু নামেই উদ্বোধন করা হবে। ২০২৫ সালের জানুয়ারি মাসে এই রেল সেতু উদ্বোধন করা হতে পারে।

আফজাল হোসেন জানান, এখন যমুনার বঙ্গবন্ধু বহুমুখী সেতুতে মিটারগেজের যে রেলসংযোগ রয়েছে তাতে সর্বোচ্চ ৪৩ দশমিক ৭০ কিলো-নিউটন/মিটার ওজন বহনের অনুমতি রয়েছে। ট্রেনে বেশি বগি যুক্ত করার সুযোগ নেই, সঙ্গে রয়েছে এক লাইনের সীমাবদ্ধতা।

এই সেতুতে ঘণ্টায় মাত্র ২০ কিলোমিটার গতিতে ৪ দশমিক ৮ কিলোমিটার সেতু পার হতে একেকটি ট্রেনের ২৫ মিনিটের মতো সময় লেগে যায়। সেতুর ওপর একটি লাইন হওয়ায় দুই পাড়ের স্টেশনে সিগন্যালের জন্য অপেক্ষা করতে হচ্ছে দীর্ঘসময়। সবমিলিয়ে মাত্র ৫ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে লাগছে এক ঘণ্টার বেশি।

এদিকে, বিকেলে রেল সেতুর প্রধান প্রকৌশলী তানভীরুল ইসলাম জানান, পূর্বের নাম পরিবর্তন করে যমুনা রেল সেতু নামকরণ ও দুই রেল স্টেশনের নাম পরিবর্তন করে যমুনা সেতুর পূর্ব প্রান্তের নাম ইব্রাহীমাবাদ ও পশ্চিম প্রান্তের নাম সয়দাবাদ নামকরণ করেছে সংশ্লিষ্ট অধিদফতর।

এর আগে, গত শুক্রবার ২০ ডিসেম্বর নবনির্মিত ইব্রাহীমাবাদ সেতু পূর্ব ও সেতু পশ্চিম প্রান্তের সয়দাবাদ আধুনিক রেল স্টেশন পরিদর্শনে আসেন রেল সচিব ফাহিমুল ইসলাম। পরিদর্শনকালে তিনি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, যমুনা রেল সেতু আগামী বছরের জানুয়ারির শেষ বা ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে উদ্বোধন করা হবে।

উল্লেখ্য, ১৯৯৮ সালে যমুনা নদীর ওপর নির্মিত বঙ্গবন্ধু সেতু চালু হওয়ার পরই ঢাকার সঙ্গে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের রেল যোগাযোগ স্থাপিত হয়। তবে, ২০০৮ সালে সেতুটিতে ফাটল দেখা দেওয়ায় কমিয়ে দেওয়া হয় ট্রেনের গতি। বর্তমানে প্রতিদিন প্রায় ৩৮টি ট্রেন ঘণ্টায় ২০ কিলোমিটার গতিতে সেতু পারাপার হচ্ছে।

এসব সমস্যা সমাধানে বিগত সরকার ২০২০ সালের ৩ মার্চ যমুনা নদীর ওপর বঙ্গবন্ধু সেতুর ৩০০ মিটার উজানে আলাদা রেল সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেয়। ওই বছর ২৯ নভেম্বর সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়ালি সেতুটি নির্মাণকাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। এরপর ২০২১ সালের মার্চে রেল সেতুর পিলার নির্মাণে পাইলিংয়ের কাজ শুরু হয়।

প্রথমে প্রকল্পটির নির্মাণ ব্যয় ৯ হাজার ৭৩৪ কোটি ৭ লাখ টাকা নির্ধারিত হলেও পরবর্তীতে তা ১৬ হাজার ৭৮০ কোটি ৯৬ লাখ টাকায় উন্নীত হয়েছে। এর মধ্যে ২৭ দশমিক ৬০ শতাংশ অর্থায়ন এসেছে দেশীয় উৎস থেকে এবং ৭২ দশমিক ৪০ শতাংশ ঋণ দিয়েছে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা)।

Header Ad
Header Ad

ইজতেমা ময়দানে সাদপন্থীদের হামলার প্রতিবাদে নওগাঁয় মানববন্ধন

ইজতেমা ময়দানে সাদপন্থীদের হামলার প্রতিবাদে নওগাঁয় মানববন্ধন। ছবি: সংগৃহীত

টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে সাদপন্থীদের হামলায় নিহত ও আহত হওয়ার ঘটনার প্রতিবাদে নওগাঁয় মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার (২২ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় শহরের মুক্তির মোড়ে ওলামা মাশায়েখ, তাবলীগ সাথী ও সর্বস্তরের তৌহিদি জনতার ব্যানারে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে মার্কাস জামে মসজিদের খতিব জামিলুর রহমানের নেতৃত্বে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে বক্তারা ইজতেমায় হামলা ও হতাহতের ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বলেন, ঘুমন্ত অবস্থায় তাবলীগ নামধারী বিপথগামী পথভ্রষ্ট উগ্র সন্ত্রাসী সাদপন্থীরা সন্ত্রাসী কায়দা হামলা চালিয়ে অন্তত চার জনকে হত্যা করে। এছাড়াও অসংখ্য শান্তিপ্রিয় সাধারণ মুসল্লী, ওলামাগণ নৃশংস হামলার শিকার হয়ে গুরুতর অবস্থায় দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে প্রাইভেট কিনে নিয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাই হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার করে শাস্তি ও সাদপন্থিদের সন্ত্রাসী কার্যক্রম বন্ধে সরকারকে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান। পাশাপাশি মুসলিম উম্মাহর ঐক্য ও শান্তি বজায় রাখতে সবাইকে সজাগ থাকার আহ্বান জানানো হয়।

মানববন্ধনে বিভিন্ন উপজেলা থেকে আসা ১ হাজারের বেশি মুসল্লি উপস্থিত ছিলেন। পরে তারা জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন।

Header Ad
Header Ad

আমনের ভরা মৌসুমেও বাড়তি চালের দাম, কারসাজিতে কারা?

ফাইল ছবি

বোরো মৌসুমের পর চালের দাম বাড়তে থাকায় ক্রেতাদের আশা ছিল, আমন মৌসুমে দাম কমবে। শুরুতে সেই প্রত্যাশার কিছুটা প্রতিফলনও দেখা গিয়েছিল। আমন মৌসুমের শুরুতে কিছু প্রকারের চালের দাম এক-দুই টাকা পর্যন্ত কমেছিল। তবে, গত সপ্তাহ থেকে দাম বাড়তে শুরু করে, এবং চলতি সপ্তাহে সেই বৃদ্ধির গতি আরও তীব্র হয়েছে।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, চালের দাম বাড়তি প্রবণতা পেয়েছে পাইকারি এবং খুচরা দুই পর্যায়েই। গত দুই সপ্তাহে পাইকারি বাজারে ৫০ কেজির একেকটি বস্তার দাম বেড়েছে ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত। এর প্রভাব পড়েছে খুচরা বাজারে, যেখানে মিনিকেট চালের দাম কেজিতে বেড়েছে ৭ থেকে ৮ টাকা এবং মোটা ও মাঝারি চালের দাম বেড়েছে ৪ থেকে ৫ টাকা।

দামের এই বৃদ্ধির জন্য খুচরা বিক্রেতা, পাইকারি ব্যবসায়ী, এবং মিল-মালিকরা একে অপরকে দোষারোপ করছেন। ক্রেতারা পড়েছেন বিপাকে। ব্যবসায়ীদের দাবি, আন্তর্জাতিক বাজারে চালের উঁচু দাম ও ডলারের উচ্চমূল্যের কারণে আমদানি খরচ বাড়ছে, যা বাজারে মূল্যবৃদ্ধির কারণ।

এ বিষয়ে এক ক্রেতা বলেন, আমাদের নির্দিষ্ট মাসিক বাজেট থাকে। হঠাৎ করে কোনো পণ্যের দাম বেড়ে গেলে সেই ঘাটতি পূরণ করা খুবই কঠিন হয়ে পড়ে। তবুও চাল কিনতেই হয়, না খেয়ে তো আর থাকা যায় না।

বাজারে বর্তমানে সবচেয়ে সস্তা চাল গুটিস্বর্ণা, যার দাম বেড়ে প্রতি কেজি ৫২ টাকায় পৌঁছেছে। পাইজাম বিক্রি হচ্ছে ৫৮ টাকায়, আর মিনিকেট মানভেদে ৭২ থেকে ৭৮ টাকায়। নাজিরশাইল চালের দাম কেজিপ্রতি ৭৫ থেকে ৮০ টাকার নিচে নেই। খুচরা ও পাইকারি বিক্রেতারা অভিযোগ করছেন, মিলাররা সিন্ডিকেট করে বাজারে দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে।

এ বিষয়ে এক বিক্রেতা বলেন, মিলে দাম বেড়েছে। তারা চাল দিতে চায় না, অনেকে নতুন অর্ডারও নিচ্ছে না।

ধানের চড়া দামের অজুহাত তুলছেন আড়তদাররা। পাশাপাশি দাম বৃদ্ধির জন্য গুটিকয়েক করপোরেট প্রতিষ্ঠানের কারসাজিকেও দায়ী করছেন তারা। এ বিষয়ে এক আড়তদার গণমাধ্যমকে বলেন, মিলাররা চালের দাম অস্বাভাবিক বাড়িয়ে দিয়েছে। তারা এতটা না বাড়ালেও পারতো। এক-দুইদিনের ব্যবধানে দুইশ থেকে চারশো টাকা দাম বাড়ার ইতিহাস কখনও নেই।

তবে স্থানীয় উৎপাদনে চালের চাহিদা মিটছে না বলে দাবি করেছেন মিল মালিকরা। তারা বলছেন, আমদানি করা চালের বাড়তি দাম এবং ডলারের উচ্চমূল্যের প্রভাব পড়ছে দামে।

বিষয়টি নিয়ে ফরহাদ হোসেন চকদার নামের এক মিল মালিক বলেন, আমদানি করা পণ্য খুব ধীরে দেশে আসছে। তাছাড়া সেগুলোর দামও চড়া। এর প্রভাব দেশের অভ্যন্তরীণ বাজারে পড়েছে। আমদানিতে খরচ কমলে দেশের বাজারেও দাম কমবে।

মোস্তাফিজার রহমান নামের এক আমদানিকারক বলেন, ডলারের দাম বাড়ার ফলে আমাদের আমদানি খরচ বেড়েছে। এজন্য খুচরা পর্যায়ে দাম বেড়েছে। ডলারের দামের লাগাম টানতে পারলে বাজারে স্বস্তি ফিরবে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

বঙ্গবন্ধু রেলওয়ে সেতুর নাম পরিবর্তন হয়ে যা হলো
ইজতেমা ময়দানে সাদপন্থীদের হামলার প্রতিবাদে নওগাঁয় মানববন্ধন
আমনের ভরা মৌসুমেও বাড়তি চালের দাম, কারসাজিতে কারা?
গোবিন্দগঞ্জে ট্রাকচাপায় নারীসহ ২ জন নিহত
বুয়েট শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় তিন আসামি ২ দিনের রিমান্ডে
আবারও বৃষ্টির আভাস, তাপমাত্রা কমে বাড়তে পারে শীত
উপদেষ্টা হাসান আরিফের মৃত্যুতে সোমবার রাষ্ট্রীয় শোক
সুরের জাদুতে ঢাকার মঞ্চ মাতালেন রাহাত ফতেহ আলী খান
আনিসুল হকের তিন ব্যাংকে ২১ কোটি টাকার সন্ধান পেয়েছে দুদক
নরসিংদীতে ছাত্রদল কর্মীকে গুলি করে হত্যা
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড নোটিশের বিষয়ে নিশ্চিত নয় ট্রাইব্যুনাল
ভারতের কাছে হেরে বাংলাদেশের স্বপ্নভঙ্গ
এক দশক পর ফিরলো ‘আমার দেশ’ পত্রিকা
৩০০ মিলিয়ন ডলার পাচার: হাসিনা ও জয়ের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু দুদকের
ইয়েমেনে হুথিদের লক্ষ্যবস্তুতে মার্কিন বিমান হামলা
লোকসানের মিথ্যা গল্প শোনাচ্ছে ব্রিডার ফার্মগুলো
একজন ঢাকা অন্যজন কলকাতায় সংসার ভাঙছে মিথিলার
আইনজীবী আলিফ হত্যা: তদন্ত কমিটির সব সদস্যের পদত্যাগ
যে কোন সময় বাংলাদেশের পাশে নতুন দেশ
গাজীপুরে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়ে আওয়ামী লীগ নেতার স্ত্রীর মৃত্যু