রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫ | ১৪ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

ভোজ্যতেল ও চিনিতে নৈরাজ্য, সিন্ডিকেটকে দায়ী করছেন খুচরা বিক্রেতারা

চিনির দাম কমানো হয়েছে জানুয়ারিতে। কিন্তু সেই দামে মে মাসেও চিনি পাওয়া যাচ্ছে না। অন্যদিকে, সয়াবিন তেলের দাম বাড়ানো হয়েছে ৪ মে। তার কয়েক ঘণ্টা পর থেকেই বর্ধিত দামে তেল বিক্রি করা হচ্ছে। উভয় ক্ষেত্রেই মিল মালিকদের সিন্ডিকেটকে দায়ী করছেন খুচরা বিক্রেতারা।

খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, মিল মালিকদের সিন্ডিকেটের কারণে সরকার নির্ধারিত কম দামে চিনিই পাচ্ছেন না তারা। মিল মালিকদের কাছ থেকে বেশি দামে কেনার কারণে বিক্রিও করতে হবে বেশি দামে। কিন্তু খুচরা ব্যবসায়ীরা বেশি দামে বিক্রি করলে সরকারি সংস্থার জরিমানার সম্মুখীন হতে হয়।

অন্যদিকে, সয়াবিন তেলের দাম লিটারপ্রতি ১২টাকা বাড়ানো হলে বোতলের গায়ে আগের দাম উল্লেখ থাকার পরও বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। কারণ মিলারদের সিন্ডিকেটের কারনে আগের সয়াবিনও বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। তাই বেশি দামেই বিক্রি করতে হচ্ছে। ফলে ভোজ্যতেল ও চিনির বাজার মিল মালিকদের ইচ্ছা-অনিচ্ছার উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে বলেই দাবি খুচরা ব্যবসায়ীদের।

রাজধানীর কারওয়ান বাজার, মোহাম্মদপুরের কৃষিমার্কেট, টাউনহলসহ বিভিন্ন বাজারে গেলে এমনই ক্ষোভের চিত্র পাওয়া যাচ্ছে।

এ বিষয়ে জানতে চেয়ে সিটি গ্রুপের পরিচালক বিশ্বজিত সাহার সঙ্গে ঢাকাপ্রকাশ-এর পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হলে সবশুনে কোনো জবাব না দিয়ে ফোন কেটে দেন।

চিনির দাম তিন টাকা কমিয়ে ১০৪ টাকা কেজি ঘোষণা দিলেও সেই নির্ধারিত দামতো দূরের কথা, কিছু বেশি দামেও কোথায় পাওয়া যায় না। অভিযোগ উঠেছে, বেশি দামের আশায় মিলমালিকরা কৃত্রিম সঙ্কট তৈরি করায় এই অবস্থা। তবে কোনো কোনো ডিলার ও পাইকাররা মিল থেকে বেশি দামে কিনে তা খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করছেন। এ জন্য ভোক্তাদের অনেক বেশি দাম গুনতে হচ্ছে, ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা কেজি পর্যন্ত।

অপরদিকে, সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ১২ টাকা বাড়িয়ে ১৯৯ টাকা ঘোষণার পর থেকেই বাজারে দাম বাড়তে শুরু করেছে। খুচরা ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, নতুন রেটের তেল না আসলেও বাড়তি দামেই ভোক্তাদের কাছে বিক্রি করতে হচ্ছে।

এবার রমজানের আগে থেকেই চিনি নিয়ে চলছে ছিনিমিনি। সরকার গত ৮ এপ্রিল থেকে পরিশোধিত চিনির কেজিতে ৩ টাকা কমিয়ে করেছে ১০৪ টাকা। আর প্যাকেট চিনির দাম ৩ টাকা কমিয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে ১০৯ টাকা। কিন্তু সেই দামে তো দূরের কথা রমজান মাস শেষ হলেও প্রায় দোকানে চিনি পাওয়া যাচ্ছে না। আবার কোথাও পাওয়া গেলেও ভোক্তাদের বেশি দাম গুনতে হচ্ছে। মিল থেকেই বেশি দামে বিক্রি করা হচ্ছে বলে ডিলার ও পাইকারি ব্যবসায়ীদের অভিযোগ। এ জন্য খুচরা ব্যবসায়ীও ভোক্তাদের কাছে বেশি দামে ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা কেজি বিক্রি করছে।

সর্বশেষ, গত ১ জানুয়ারি চিনির দাম বাড়িয়ে খোলা চিনির দাম নির্ধারণ করা হয়েছিল ১০৭ টাকা কেজি এবং প্যাকেটজাত চিনির দাম নির্ধারণ করা হয়েছিলো ১১২ টাকা কেজি। এরপর দ্রব্যমূল্য ও বাজার পর্যালোচনা করে টাস্কফোর্স সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী, পরিশোধিত খোলা চিনির সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১০৪ টাকা কেজি। প্রতি কেজিতে দাম কমানো হয়েছে তিন টাকা।

কিন্তু সরেজমিনে বাজারে দেখা গেছে উল্টোচিত্র। কারওয়ান বাজাররের মেসার্স রতন স্টোরের মালিক রতন ঢাকাপ্রকাশ-কে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমরা কি মুখে শুধু শুনব দাম কমেছে? আর বেশি দামে কিনতে হবে? তাও ঠিকমতো পাওয়া যায় না। সরকার চিনির কেজিতে তিন টাকা কমানোর ঘোষণা দেওয়ার পর আমরা পাচ্ছি না কেন। সিটিগ্রুপ, মেঘনা, দেশবন্ধুসহ কয়েকটি চিনি কলের কাছে সরকার জিম্মি হয়ে গেছে। ১৭ কোটি মানুষকেও জিম্মি করে রাখছে। তারা যা ইচ্ছা তাই করছে।

রতন স্টোরের সত্ত্বাধিকারী আরও বলেন, রমজান মাসে ভোক্তা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মিটিং করে বললেন, চিনির দাম কমানো হয়েছে। যার যতো লাগবে পাবেন। কিন্তু আমরা চাহিদা মতো তো দূরের কথা ঈদ শেষেও সামান্যতম চিনি পাচ্ছি না। আবার কোনো ডিলার ও পাইকারি ব্যবসায়ীর কাছে পেলেও অনেক বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। এভাবে কি ব্যবসা হয়? কেউ টাকা লুট করবে সরকার চুপ করে থাকবে। আর আমরা বেশি দামে কিনে বিক্রি করলে গালি শুনতে হয়। জরিমানা দিতে হয়। মিল মালিকদের ধরতে হবে। না হলে ভোক্তাদের পকেট কাটা বন্ধ হবে না। আমিও ভোক্তা। আবার বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। কিন্তু আয় তো আর বাড়েনি। বরং বিক্রি কমে গেছে।

তেলের দামের ব্যাপারে জানতে চাইলে এই খুচরা ব্যবসায়ী আরও বলেন, মিলমালিকরা চিনির দাম কমানোর ঘোষণা দিলেও কমেনি। বরং বেড়েই যাচ্ছে। আবার তেলের দাম বাড়ানোর ঘোষণা দিলে নতুন রেটের তেল মিল থেকে বাজারে আসেনি। কিন্তু কয়েকটি মিল সিন্ডিকেট করে বেশি দামে বিক্রি করছে। এ জন্য পাইকারি ও ডিলাররাও আমাদের কাছে বেশি দাম নিচ্ছে।

আগে ৫ লিটারের এমআরপি ছিলো ৯০৪ টাকা উল্লেখ করে রতন বলেন, তখন তা কিনতাম ৮৭০ টাকা। সেই তেল কিনতে হচ্ছে ৯০৬ টাকা। মাত্র ৪ টাকা লাভ করে ৯১০ টাকা বিক্রি করা হচ্ছে। কিন্তু মিল থেকে যে বাড়তি দাম নিচ্ছে সরকার কি করছে? আবার ভোক্তা অধিদপ্তর এসে আমাদের ধরে। বেশি দাম নেওয়ায় জরিমানা করে। কিন্তু যারা সিন্ডিকেট করে বেশি টাকা আদায় করছে তাদের কিছু হয় না কেন?

তাদের বিরুদ্ধে তো সরকার মামলা করেছে। এমন তথ্যের প্রত্যুত্তরে তিনি বলেন, তাহলে তারা আসল দামে মাল দিচ্ছে না কেন?

আন্তর্জাতিক বাজারের অজুহাতে বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন গত ৪ মে প্রতি লিটারে ১২ টাকা দাম বাড়িয়ে ১৯৯ টাকা, ৫ লিটার ৯৬০ টাকা ও খোলা তেল ১৩৫ টাকা লিটার করেছে। সরকারও তা মেনে নিয়েছে। কিন্তু দুই দিন না যেতেই মজুত ফুরিয়ে যাওয়ার অজুহাতে বাজারে দাম বেড়ে গেছে।

একই বাজারের লক্ষীপুর স্টোরের ফরিদ বলেন, চিনি আছে ১৫০ টাকা কেজি। এতো বেশি বলা মাত্র তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমগো বলে লাভ কি? গোড়াতে ধরলে সব ঠিক হয়ে যাবে। তারাই বেশি দাম নিচ্ছে। আমরা গালি খাচ্ছি।

কারওয়ান বাজাররের ইউসুফ জেনারেল স্টোরের মো. ইউসুফও ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, বেশি দামে চিনি কিনে জরিমানা খেতে চাই না। তবে তেলের ব্যাপারে বলেন, আছে। তবে লাভের ধান টিয়ায় খাচ্ছে। মানে আগে ৫ লিটার ৮৭০ টাকায় কিনে ৮৮০ থেকে ৮৯০ টাকা বিক্রি করতাম। এখন গায়ের রেটেই কিনতে হচ্ছে। সেই রেটেই আবার বিক্রি করা হচ্ছে। কারণ বেশি নিলে জরিমানা খেতে হয়।
শুধু এই ব্যবসায়ীই নন, কারওয়ান বাজারের সততা ট্রেডার্স, সালমান ট্রেডার্স, আ. গনি স্টোরসহ অন্যান্য খুচরা ব্যবসায়ীরাও ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, শুধু শুনছি চিনির দাম কমেছে কিন্তু পাচ্ছি তো না। কোথাও পাওয়া গেলেও তা ১৩০ টাকা। মেঘনা গ্রুপের ডিলার জামান ট্রেডার্সের মালিক জামান বলেন, না পারি কইতে না পারি সইতে। মিল থেকেই বেশি দামে চিনি কিনতে হচ্ছে। তাও আবার সহজে পাওয়া যায় না।

মোহাম্মদপুর টাউনহলের মনির জেনারেল স্টোরের আনোয়ার হোসেন ও একতা জেনারেল স্টোরের সুমনও জানালেন একই তথ্য। তারা ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, চিনি নেই। সহজে পাওয়া যাচ্ছে না। আবার পাওয়া গেলেও দাম বেশি। যতোই দিন যাচ্ছে দাম বাড়ছেই। কি হয়েছে যে সরকার নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না। এভাবে চলতে পারে না। ব্যবসা করব কিভাবে। তেল দাম বাড়ানোর ঘোষণা আসার সঙ্গে সঙ্গেই আগের দাম লেখা তেলই বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। তাই বিক্রিও করতে হচ্ছে বেশি দামে।

এদিকে কৃষিমার্কেটের সিটি এন্টারপ্রাইজের আবু তাহের ও বিক্রমপুরের জসিমও বলেন, চিনি তো নেই। দেশে হচ্ছে কি? সরকার বলছে চিনি দাম কমিয়েছি। কিন্তু বাজারে পাওয়া যাচ্ছে না। মিলে যে চিনি উৎপাদন হচ্ছে সেগুলো যাচ্ছে কোথায়? তেলের ব্যাপারে জানতে চাইলে একইভাবে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, নতুন রেটের তেল আসেনি। তারপরও আগের কম দামের তেল হাওয়া। কৃষিমার্কেটে পাওয়ায় যায় না।

চিনি ও তেলের ব্যাপারে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে ভোক্তাদের মধ্যেও চরমভাবে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। টাউনহলে জুয়েল নামে এক বেসরকারি ব্যাংক কর্মকর্তা বলেন, আমাদের বেতন বাড়েনি। কিন্তু এ দোকান সে দোকান ঘুরে বেশি দামেই চিনি কিনতে হচ্ছে। এভাবে সিন্ডিকেট করে রাঘব-বোয়ালরা টাকা লুট করছে, পকেট কাটছে সরকারের দেখা উচিত।

শুধু এই ভোক্তা নয় প্রায় বাজারের ভোক্তাদের একই অভিযোগ, গত বছর তেল লুকিয়ে বেশি দামে বিক্রি করা হয়েছে। এবার চিনি নিয়ে চলছে ছিনিমিনি। দুই দিন থেকে আবার শুরু হয়েছে তেল নিয়ে খেলা। বাড়তি দামের রেট না আসলেও বেশি দামে কিনতে হচ্ছে।

খুচরা ব্যবসায়ী ও ভোক্তাদের অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, রমজান মাসে ব্যবসায়ীদের বলেছিলাম যার যতো চিনি লাগবে চাইলে মিল থেকে দেওয়া হবে। কিন্তু এভাবে দাম বাড়লেও কোনো ব্যবসায়ী অভিযোগ করেনি।

ব্যবসায়ীরা বলেছেন, মিডিয়াতে তো প্রায় দিন খবর হচ্ছে ভোক্তা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক তা দেখেন না?- এমন জবাবে এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেন, এটা নিয়ে আমরা কাজ করছি। আজও ঢাকার বাইরে আছি।

এর চেয়ে বেশি কিছু জানতে চাইলে মহাপরিচালক বাণিজ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলার পরমার্শ দিয়ে বলেন, উনি এর ভালো ব্যাখ্যা দিতে পারবেন। মিলমালিকদের ধরা হচ্ছে না এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আমরা প্রায় খাতের সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে সভা করে বাড়তি দামের ব্যাপারে ব্যাখ্যা চাচ্ছি। তাদের মতামত নিয়ে সরকারের কাছে দামের ব্যাপারে সুপারিশ করছি। কর্পোরেটদের বিরুদ্ধে মামলাও হয়েছে। প্রতিযোগিতা কমিশন সেটা করেছে। কাজেই কর্পোরেটদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয় না সেটা বলা যাবে না।

শুধু বড় বড় বাজারে নয়, রাজধানীর বিভিন্ন অলিগলির ছোট দোকানেও দেখা গেছে বেশি দাম ছাড়া পাওয়া যাচ্ছে না চিনি। আবার আগের কম রেটের তেল বেশি দামে বিক্রি করা হচ্ছে।

আরইউ/এএস

Header Ad
Header Ad

চার ম্যাচের নিষেধাজ্ঞায় তাওহিদ হৃদয়, বাড়ছে নাটকের রঙ

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের ক্রিকেটে সাম্প্রতিক সময়ের সবচেয়ে বিতর্কিত চরিত্র হয়ে উঠেছেন তাওহিদ হৃদয়। তাঁকে ঘিরে যেন একের পর এক নাটকীয় ঘটনা ঘটছে, আর প্রতিদিনই সেই নাটকে যোগ হচ্ছে নতুন নতুন পর্ব। এবার ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের আয়োজক ক্রিকেট কমিটি অব মেট্টোপলিস (সিসিডিএম) মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবকে আনুষ্ঠানিকভাবে চিঠি দিয়ে জানিয়েছে, হৃদয় চার ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছেন।

সবশেষ গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের বিপক্ষে ম্যাচে আউট হওয়ার পর প্রতিক্রিয়া দেখানোর অভিযোগ ওঠে মোহামেডানের এই অধিনায়কের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে তাঁকে শুনানিতে ডাকা হলেও তিনি হাজির হননি। পরে ম্যাচ রেফারি আখতার আহমেদ তাঁকে লেভেল-১ অপরাধে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন এবং একটি ডিমেরিট পয়েন্ট দেন।

এর আগে হৃদয়ের ডিমেরিট পয়েন্ট ছিল ৭। নতুন করে ১ পয়েন্ট যোগ হওয়ায় তা দাঁড়িয়েছে ৮-এ। বিসিবির আচরণবিধির ৭.৫ ধারা অনুযায়ী, কোনো খেলোয়াড়ের ডিমেরিট পয়েন্ট ৮ ছুঁলে তাকে চার ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়। সেই অনুযায়ীই হৃদয়ের ওপর চার ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে, যা তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর হবে।

ফলে আগামীকাল আবাহনীর বিপক্ষে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের ‘অলিখিত ফাইনালে’ মোহামেডানের পক্ষে মাঠে নামতে পারবেন না হৃদয়। এটি মোহামেডানের জন্য বড় ধাক্কা হিসেবেই দেখা হচ্ছে।

 

তাওহিদ হৃদয়। ছবি: সংগৃহীত

এর আগে, ১২ এপ্রিল আবাহনীর বিপক্ষে ম্যাচে আম্পায়ারদের সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে এক ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা পেয়েছিলেন হৃদয়। পরে সংবাদমাধ্যমে এসে আম্পায়ারদের বিরুদ্ধে ‘মুখ খোলার হুমকি’ দেওয়ায় সেই নিষেধাজ্ঞা বাড়িয়ে দুই ম্যাচ করা হয় এবং সঙ্গে যোগ হয় ৭ ডিমেরিট পয়েন্ট।

তবে ওই নিষেধাজ্ঞা নিয়েও কম নাটক হয়নি। দুই দফায় নিষেধাজ্ঞা কমানো ও বাড়ানো নিয়ে বিসিবির ভেতরে জল ঘোলা হয়। শেষ পর্যন্ত জানানো হয়, হৃদয়ের দুই ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে, তবে সেটির কার্যকারিতা এক বছরের জন্য স্থগিত থাকবে। এ সিদ্ধান্তের পরেই দেশের অভিজ্ঞ আম্পায়ার শরফৌদ্দোলা ঘোষণা দেন, তিনি আর ঘরোয়া ক্রিকেটে আম্পায়ারিং করবেন না।

এসব বিতর্কের মধ্যে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের বিপক্ষে ম্যাচে নিজের আউটের প্রতিক্রিয়া দেখিয়ে আবারও নতুন করে নিষেধাজ্ঞায় পড়লেন হৃদয়। ফলে ঘরোয়া ক্রিকেটের এই নাটকে নতুন মাত্রা যোগ হলো।

 

Header Ad
Header Ad

উত্তেজনার মধ্যেই যুদ্ধজাহাজ থেকে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালাল ভারত

ছবি: সংগৃহীত

পাকিস্তানের সঙ্গে চলমান কূটনৈতিক উত্তেজনার মধ্যে আরব সাগরে একাধিক অ্যান্টি-শিপ (জাহাজ বিধ্বংসী) ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা চালিয়েছে ভারতীয় নৌবাহিনী। ভারতীয় নৌবাহিনী বলছে, এ সফলতা দেশের সমুদ্র নিরাপত্তা ও যুদ্ধ প্রস্তুতির ক্ষেত্রে এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক।

রোববার (২৬ এপ্রিল) এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, আরব সাগরে মোতায়েন ভারতীয় যুদ্ধজাহাজ থেকে ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্রসহ ভূমি বিধ্বংসী ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের নিক্ষেপের একাধিক দৃশ্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করেছে নৌবাহিনী।

ভারতীয় নৌবাহিনী এক্স (সাবেক টুইটার) পোস্টে জানায়, 'দীর্ঘ পাল্লার নির্ভুল হামলার সক্ষমতা যাচাই ও প্রদর্শনের অংশ হিসেবে প্ল্যাটফর্ম ও সিস্টেম প্রস্তুতি নিশ্চিত করতে একাধিক সফল অ্যান্টি-শিপ মিসাইল পরীক্ষা চালানো হয়েছে। ভারতীয় নৌবাহিনী দেশের সামুদ্রিক স্বার্থ রক্ষায় যেকোনো সময়, যেকোনো স্থানে এবং যেকোনো পরিস্থিতিতে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত, বিশ্বাসযোগ্য ও ভবিষ্যতমুখী।'

এই পরীক্ষাগুলো এমন একসময় পরিচালিত হয়েছে, যখন জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগামে ২২ এপ্রিল এক হামলায় অন্তত ২৬ জন নিহত হয়। ওই ঘটনার পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা আরও বেড়ে গেছে। পাকিস্তান নৌবাহিনীর নির্ধারিত সারফেস-টু-সারফেস মিসাইল পরীক্ষার আগে ভারতের এই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।

কাশ্মীরে হামলার পর ভারতের পক্ষ থেকে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একাধিক কঠোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে দুই দেশের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ সিন্ধু পানি চুক্তি স্থগিতের পদক্ষেপ। অন্যদিকে, পাকিস্তান হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে, সিন্ধু নদের পানি বন্ধ করা হলে তা যুদ্ধ ঘোষণার শামিল হবে।

উত্তেজনাকর পরিস্থিতির মধ্যেই পরপর তিন রাত নিয়ন্ত্রণ রেখায় (এলওসি) ভারত ও পাকিস্তান সেনাদের মধ্যে গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটেছে।

Header Ad
Header Ad

ছেলে খুঁজে পাচ্ছি না, একজন জীবনসঙ্গী দরকার: মিলা

পপ সংগীতশিল্পী মিলা ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় পপ সংগীতশিল্পী মিলা ইসলাম আবারও জীবনসঙ্গীর খোঁজে রয়েছেন। সম্প্রতি গণমাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মিলা জানান, “আমি আমার জন্য ছেলে খুঁজে পাচ্ছি না!”

২০১৭ সালে পাইলট এস এম পারভেজ সানজারিকে বিয়ে করেন তিনি। তবে বিয়ের এক বছরের মধ্যেই যৌতুক ও নির্যাতনের অভিযোগ এনে বিচ্ছেদ ঘটান মিলা। এরপর থেকে দীর্ঘ সাত বছর একাই কাটিয়েছেন এই গায়িকা।

মিলা বলেন, “দুইটা কারণে এখনো খুঁজে পাইনি— এক, আমি আবার কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েছি। দুই, নিজে নিজে খুঁজে প্রেম করা আমার পক্ষে কঠিন, কারণ আমি সময় দিতে পারি না।” তিনি আরও বলেন, “বিয়ে খুব বেশি জরুরি বিষয় নয়। তবে একজন জীবনসঙ্গী দরকার, যে আমাকে বুঝবে।”

পপ সংগীতশিল্পী মিলা ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত

একজন জীবনসঙ্গীর ক্ষেত্রে মিলা কিছু শর্তও দিয়েছেন। তার ভাষায়, “ছেলেটা সুদর্শন হোক, সেটা ভালো, তবে সবচেয়ে জরুরি হলো— দায়িত্বশীল হতে হবে, বন্ধুর মতো আচরণ করতে হবে, আমার প্রতি মায়া থাকতে হবে। পাশাপাশি পশুপাখির প্রতিও মায়া থাকতে হবে।”

আর্থিক বিষয়েও বাস্তবতা তুলে ধরেন এই সংগীতশিল্পী। বলেন, “বর্তমানে পরিবার চালানোর মতো ইনকাম থাকলেই চলে। টাকাওয়ালা জামাই চাই না, কিন্তু ইনকাম জরুরি।”

স্টেজ শো করা একজন শিল্পী হিসেবে নিজের জীবনধারাও তুলে ধরেন মিলা। বলেন, “আমি কোথাও শো করতে গেলে রাত ১০টার মধ্যে বাসায় ফেরা নাও হতে পারে। যে আমার লাইফ পার্টনার হবে, তাকে অন্তত এটুকু বুঝতে হবে।”

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

চার ম্যাচের নিষেধাজ্ঞায় তাওহিদ হৃদয়, বাড়ছে নাটকের রঙ
উত্তেজনার মধ্যেই যুদ্ধজাহাজ থেকে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালাল ভারত
ছেলে খুঁজে পাচ্ছি না, একজন জীবনসঙ্গী দরকার: মিলা
টাঙ্গাইলে শ্রমিকদলের নেতাকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
পাকিস্তানের সঙ্গে বাণিজ্য বন্ধে ভারতের ১.১৪ বিলিয়ন ডলার ক্ষতির শঙ্কা
দেশের পথে প্রধান উপদেষ্টা
রাজনীতির চেয়ারে ঘুণপোকা ধরেছে, এটি সংস্কার করা প্রয়োজন: ব্যারিস্টার ফুয়াদ
উত্তাল ইউআইইউ ক্যাম্পাস, ভিসি-ডিনসহ ১১ কর্মকর্তার পদত্যাগ
এপ্রিলেই দেশে ফিরছেন খালেদা জিয়া, সঙ্গে থাকবেন দুই পুত্রবধূ
বাংলাদেশ ব্যাংকের অধীনে বিশাল নিয়োগ, পদ ৬০৮
ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় ফ্যাসিবাদী শাসক পালাতে বাধ্য হয়েছে: আলী রীয়াজ
মহেশপুর সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে দুই বাংলাদেশি নিহত
যেকোনো মূল্যে নিজের পানির অধিকার রক্ষা করবে পাকিস্তান: ‍শেহবাজ শরীফ
স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম নির্বাসিত কবি দাউদ হায়দার মারা গেছেন
পাকিস্তানে সেনাবাহিনী-সন্ত্রাসী গোলাগুলি, দুই সেনাসদস্যসহ নিহত ১৭
টাঙ্গাইলে ট্রাক-সিএনজি মুখোমুখি সংঘর্ষে চালকসহ নিহত ২
হজের ফ্লাইট শুরু মঙ্গলবার, উদ্বোধন করবেন ধর্ম উপদেষ্টা
ইরানের বন্দরে ভয়াবহ বিস্ফোরণে নিহত বেড়ে ১৪, আহত সাড়ে ৭ শতাধিক
ধর্ষণের শিকার জুলাই আন্দোলনে শহীদের মেয়ের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
সিন্ধুর পানি ছাড়ল ভারত, হঠাৎ বন্যায় ডুবলো পাকিস্তানের কাশ্মীর