বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫ | ১১ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

'জ্বালানিতে নাগরিকের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে'

সুষ্ঠু জ্বালানি নীতির মাধ্যমে জ্বালানি খাতে নাগরিকের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে; কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) প্রণীত খসড়া জ্বালানি নীতির ওপর নাগরিক মতবিনিময় সভায় এমন মন্তব্য করেন বক্তারা।
 
ডিজিটাল বাংলাদেশ রূপান্তরে জ্বালানি মৌলিক অধিকারের রূপ পেয়েছে। রাষ্ট্রীয়ভাবে প্রত্যেক নাগরিকের জ্বালানির অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। এজন্য একটি পরিছন্ন সুষ্ঠ নীতিমালার বিকল্প নেই; দাবি জানিয়ে শনিবার (৪ ডিসেম্বর) ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি চট্টগ্রামে এ নাগরিক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
 
সভায় সভাপতিত্ব করেন ক্যাব কেন্দ্রীয় ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন মতবিনিময় সভায় রিসোর্স পার্সন হিসাবে বক্তব্য রাখেন ক্যাবের জ্বালানি উপদেষ্ঠা অধ্যাপক ড. এম শামসুল আলম।
 
তিনি বলেন, জনগনের পক্ষে জ্বালানি নীতিমালা দাবি; আমরা প্রস্তাবনা করছি। এনার্জি ট্রানজেকশনে পরিবেশ সুরক্ষা নীতিমালা সঠিকভাবে নির্ধারণ করতে হবে। স্বাধীন দেশে জ্বালানি সম্পদ রক্ষার জন্য সংগ্রাম বিরল। আমরা সেই সম্পদ রক্ষা করতে পারিনি। আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানির দাম কমলেও দেশীয় বাজারে দাম কমে না। তবে দাম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দেশি বাজারে দাম বেড়ে যায়। ন্যায্য দামের চেয়ে জ্বালানির বেশি দাম নেয়া হচ্ছে। সরকারকে বিদ্যুতে ১৫ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিতে হচ্ছে। আমরা সেটা থেকে বের হতে পারিনি।
 
তিনি আরও বলেন, ভোক্তা স্বার্থ রক্ষার সময় সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলি নিস্ক্রিয় হয়ে থাকে। মন্ত্রণালয়ে যে লোকগুলোকে রাখা হয়েছে তারা যদি ব্যবসার অংশ হয়, তাহলেই সমস্যা। এ সুযোগে বেসরকারি খাত সুযোগ খুঁজবে। এই জ্বালানি খাত পরিচালনায় সরকারের অবস্থান পরিস্কার হওয়া উচিত। জ্বালানি অধিকার সুরক্ষিত হলে সব ব্যয় কমে যাবে। জাতীয় আয় বেড়ে যাবে। সামনে জ্বালানি এভাবে দাম বাড়লে আমরা লক্ষ্য থেকে ছিটাকে পড়বো।
 
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. তানজিম উদ্দিন খান বলেন, জ্বালানি সমস্যা একটি রাজনৈতিক সমস্যা। এই সমস্যার কারণে আজ আমাদের অধিকার লুণ্ঠনের স্বীকার। মৌলিক অধিকারের বিবেচনায় জ্বালানি উপর অধিকার জন্মায়। এই অধিকার সঠিকভাবে বাস্তবায়ন সরকারের দায়িত্ব।
 
তিনি আরও বলেন, এলএনজি, সিএনজি খাতে বিশাল বিশাল কোম্পানি গড়ে উঠেছে। সেখানে ভোক্তাদের অধিকার নিশ্চিত করতে পারিনি। জ্বালানি নীতির মাধ্যমে ভোক্তাদের অধিকার নিশ্চিতের সময় এসেছে।
 
ইউএসটিসির ভিসি প্রফেসর ড. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, নেপালে বাড়ীর ছাদে সোলার প্যানেল বসিয়ে সেখান থেকে ন্যাশনাল গ্রিডে জ্বালানি সরবরাহ করা হচ্ছে। প্রতি কিলোওয়াট বিদ্যুৎ কত টাকা খরচ পড়ছে সেটা আমরা জানি। কিন্তু পারমানবিক, কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র আমাদের অন্ধকারে রেখেছে। প্রতি কিলোওয়াটের দাম কত সেটা আমরা জানি না। নেপালে শতভাগ সোলারে চলে গেছে। জামার্নী সব পাওয়ার প্ল্যান্ট বন্ধ করে একটা সময়ে নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে চলে যাবে।
 
তিনি আরও বলেন, আমার জ্বালানি আমি উৎপাদন করবো, সে অধিকার আমাকে দিতে হবে। শহরের লোকেরা বিদ্যুতের যে সুবিধা পায়, গ্রামের লোকেরাও সে সুবিধা দিতে হবে। বিদ্যুতের অপচয়ের দায় কে নিবে? সেটাও দেখতে হবে। দেশ ডিজিটাল হচ্ছে, বিদ্যুৎ শক্তি থাকবে। নবায়নযোগ্য জ্বালানি একমাত্র বাংলাদেশে সম্ভব।
 
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান অনুষদের সাবেক ডীন অধ্যাপক হোসেন কবীর বলেন, ভোক্তার অধিকার, জনগণের সম্পদ লুটের কথা আমরা বলছি। এলএনজি, সিএনজি গ্যাসের কথা বলা হচ্ছে। আধুনিক এই সময়ে জ্বালানি অত্যাবশ্যকীয় হয়ে উঠেছে। এটা সরকারের আওতায় থাকতে হবে। রাষ্ট্রের ভোক্তার অধিকার এটা আর  রাষ্টই সেটা লুণ্ঠন করছে। ভোক্তারা যে অধিকার নিশ্চিত করার কথা তারা সেটা ব্যত্যয় ঘটাচ্ছে। রাষ্ট্রের বাহিনী আমাদের সুরক্ষা দিবে, আজকে তারা ব্যবসা করছে। সবাই ব্যবসা করলে ইকোসিস্টেমের কি হবে?
 
তিনি বলেন, রাষ্ট্রের দায়িত্ব আমার অধিকার সুরক্ষা দেয়ার, সে কাজ করছে না। যারা দায়িত্বে তারা নিজেরা ব্যবসা করছে। জনগণকে কথা বলতে দিতে হবে।
 
চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়ন সাবেক সভাপতি এম নাসিরুল হক বলেন, আমাদের উর্বর মাটি, সুর্যের আলো আছে। এখানে বীজ বুনে দিলেই ফসল হয়। আমাদের ছেলে মেয়েরা অনেক উদ্যমী। আমাদের মধ্যে ঐক্যমত আছে। স্বাধীনতার সময় কাউকে ডাকতে হয়নি। একটা ম্যাসেজ পাঠিয়ে কাজ হয়োছে।
 
তিনি বলেন, ব্যক্তি মালিকানায় বিদ্যুৎ খাত থাকতে পারে না। ৫০ পয়সায় কাপ্তাই থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা গেলে ১৮ টাকায় কেন ব্যক্তি পর্যায় থেকে বিদ্যুৎ কিনছে? ব্যক্তিরা পারলে সরকার পারে না কেন? দুর্নীতি কমানো দরকার। জাতীয় সুপারিশ ব্যতিত জ্বালানির দাম না বাড়ানো দরকার।
 
সরকারি হাজী মোহাম্মদ মহসিন কলেজের রসায়ন বিভাগের সাবেক অধ্যাপক পরিবেশবিদ ড. ইদ্রিস আলী বলেন, বাহাত্তর সালে খাদ্য, আবাসনসহ অনেক সংকট ছিল। সেটা থেকে বেরিয়ে এসেছি আমরা। দেশ শেষ হয়ে যায়নি। অনেক সূচকে পৃথিবীতে আমরা এক নম্বরে আছি। সুশাসন ও গণতন্ত্রের ঘাটতি আছে। গণতন্ত্রের ঘাটতি থাকলে অনেক সমস্যা হয়। এখনো আশাহত হওয়ার কিছু নেই। জাতীয় আয় বাড়ছে, আমরা এগিয়ে যাব।
 
চট্টগ্রাম চেম্বারের সাবেক পরিচালক মাহফুজুল হক শাহ বলেন, জ্বালানির ব্যাপারে সুষ্ঠু-সুন্দর নীতিমালা এখনো হয়নি। এখাতে ব্যবসায়ীদের সুরক্ষা দেয়া হচ্ছে বলে যে অভিযোগ সেটা ঠিক নয়। এলপিজির ক্ষেত্রে আমরা দেখি ৫৪টি কোম্পানির মধ্যে মাত্র ৪/৫টি কোম্পানি ব্যবসা করছে। বাকিরা দেওলিয়ার পথে। এখনো এটা নিয়ে কোন নীতিমালা হয়নি। বাস্তব সম্মত প্রস্তাবনা নিয়ে জ্বালানি অধিকার নিশ্চিতে আমাদের সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।
 
মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তব্যে এস এম নাজের হোসাইন  বলেন, জ্বালানি নীতি এবং নাগরিক অধিকার দরকার সবাই সেটাতে একমত। জ্বালানি নীতি বাস্তবায়নের দাবিতে ঢাকার পর চট্টগ্রামে প্রথম আন্দোলনের সূচনা হলো। এই নীতিমালা কার্যকর করতে হবে।
 
তিনি বলেন, আমাদের মধ্যে হতাশা থাকবে, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশ অনেক ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন হয়েছে। মৌলিক অধিকারের মধ্যে জ্বালানি জড়িত। রাষ্ট্রিয়ভাবে নীতি না থাকলে অধিকার লঙ্ঘিত হবে। নাগরিকরা চুপ থাকলে ব্যবসায়ীরা দখলে নিবে। নাগরিকদের কথা বলতে হবে। সত্যিকার অর্থে জ্বালানিতে জনগণের মালিকানা প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
 
ক্যাব চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাধারন সম্পাদক কাজী ইকবাল বাহার ছাবেরীর সুচনা বক্তব্যে উন্মুক্ত আলোচনায় অংশনেন প্রাণ-প্রকৃতি মঞ্চের শমসের আলী, ন্যাপের সাংগঠনিক সম্পাদক মিথুল দাশ গুপ্ত, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের এস এম সোহরাব উদ্দীন, প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সঞ্জয় বিশ্বাস, গণসংহতি আন্দোলনের হাসান মারুফ রুমি, প্রকৌশলী শাহনেওয়াজ চৌধুরী, ইউএসটিসির ডীন প্রফেসর দেব প্রসাদ পাল, প্রকৌশলী সনাতন চৌধুরী, উন্নয়ন কর্মী ওবায়দুর রহমান, ক্যাব দক্ষিন জেলা সভাপতি আবদুল মান্নান, ক্যাব ফেনী জেলার সাধারন সম্পাদক অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর নান্টু, ক্যাব যুব গ্রুপের সভাপতি চৌধুরী কেএনএম রিয়াদসহ বিভিন্ন পেশা ও শ্রেণির প্রতিনিধিরা অংশনেন।
 
কেএফ/
 
 
Header Ad
Header Ad

পারভেজ হত্যার ঘটনায় সেই দুই নারী শিক্ষার্থী গ্রেপ্তার

ছবি: সংগৃহীত

প্রাইম এশিয়া ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম পারভেজ হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহভাজন দুই নারী শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) বিকেলে পূর্ব জুরাইনের একটি বাসা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার ওই ২ শিক্ষার্থী হলেন- ইউনিভার্সিটি অব স্কলার্সের ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের ফাতেমা তাহসিন ঐশী ও ইংরেজি বিভাগের ফারিয়া হক টিনা।

ডিবি জানায়, ওই দুই নারী শিক্ষার্থী জুরাইন আশরাফ মাস্টার আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের পাশের হোল্ডিং একটি ভবনের ২য় তলায় ২ দিন আগে বাসা ভাড়া নেয়। এই তথ্যের ভিত্তিতে ডিবির টিম অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে।

এর আগে পারভেজ হত্যার ঘটনায় দুই ছাত্রীকে সাময়িক বহিষ্কার করে ইউনিভার্সিটি অব স্কলার্স। গত মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) ইউনিভার্সিটি অব স্কলার্সের রেজিস্ট্রার ক্যাপ্টেন মোবাশ্বের আলী খন্দকার স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এদিকে পারভেজ হত্যা মামলায় এজাহারনামীয় ৩ নম্বর আসামি মো. মাহাথির হাসান আদালতে সেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এ নিয়ে হত্যার দায় স্বীকার করে আলোচিত এই মামলায় মোট দুই আসামি জবানবন্দি দিল। এর আগে দায় স্বিকার করে স্বীকারোক্তি দিয়েছিলেন আরেক আসামি আল কামাল শেখ।

Header Ad
Header Ad

আমাদের মধ্যে হিংসা নেই, আমরা আওয়ামী লীগ নই: রুমিন ফারহানা

বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা। ছবি: সংগৃহীত

নতুন রাজনৈতিক শক্তি মাঠে এলেও বিএনপির কোনো আপত্তি নেই উল্লেখ করে দলটির সহ-আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বলেছেন, আমাদের মধ্যে হিংসা নেই, আমরা আওয়ামী লীগ নই। বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে দিনাজপুর শহরের একটি কমিউনিটি সেন্টারে বিএনপির 'রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা ও জনসম্পৃক্তি' বিষয়ক কর্মশালায় এ মন্তব্য করেন তিনি।

রুমিন বলেন, “আমরা যখন দেখি কেউ রাজনীতি করতে চায়, স্বচ্ছ পথে সামনে আসতে চায়, তখন তাদের স্বাগত জানাই। বাংলাদেশে একসময় সব দল নিষিদ্ধ ছিল, কেউ ভিন্নমত প্রকাশ করতে পারত না। সেই অন্ধকার থেকে দেশকে বের করে এনেছিলেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান।”

তিনি আরও বলেন, “দেশে যখন দুর্ভিক্ষ, দারিদ্র্য আর লজ্জা নিবারণের জন্য নারীকে জাল পরতে হতো, তখন বাংলাদেশকে বলা হতো তলাবিহীন ঝুড়ি। সেখান থেকে রেমিট্যান্স, কৃষি ও গার্মেন্টসে বিপ্লব ঘটিয়েছেন জিয়া। আর সংসদীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছেন দেশনেত্রী খালেদা জিয়া।”

বর্তমান সরকার ও অন্তর্বর্তী সরকারের সমালোচনায় সরব হয়ে রুমিন বলেন, “যে সরকার সুপ্রিম কোর্টের একটি অর্ডারে ‘দৈনন্দিন কাজ চালিয়ে নেওয়ার’ দায়িত্ব পেয়েছে, তারা কীভাবে রাষ্ট্রীয় সব সিদ্ধান্ত নেয়? এই সরকার অনির্বাচিত, জনভিত্তিহীন। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও জানে, তাদের স্থায়িত্ব নেই।”

তিনি বলেন, “যদি দলীয় সরকার হতো, তাহলে তার কেন্দ্র থেকে তৃণমূল পর্যন্ত একটা জবাবদিহিতা থাকত। এই সরকারের ক্ষেত্রে সেটা নেই বলেই পুলিশও নিরুৎসাহিত।”

নির্বাচনের সময় ও অবস্থান নিয়ে সরকারের টালবাহানার সমালোচনা করে বলেন, “ডিসেম্বর, ফেব্রুয়ারি, জুন—কখন হবে নির্বাচন, কেউ জানে না। এটা প্রমাণ করে সরকার নিজের অবস্থান নিয়ে নিশ্চিত নয়।”

কর্মশালায় ভার্চ্যুয়ালি বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেন, “আমাদের ৩১ দফা বাস্তবায়ন করবই। আমরা জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করবো, সেটা যেকোনো মূল্যে।”

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন দিনাজপুর জেলা বিএনপির সভাপতি মোফাজ্জল হোসেন দুলাল। আরও বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় বিএনপির নেতা সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, অধ্যাপক মোরশেদ হাসান, ডা. মওদুদ হোসেন পাভেল, সাত্তার পাটোয়ারী ও অ্যাডভোকেট শারমিন ফারহানা পুতুল প্রমুখ।

Header Ad
Header Ad

পাকিস্তানে ঢুকে আটক বিএসএফ জওয়ান, দু’দেশের সীমান্তে ফের উত্তেজনা

পাকিস্তানে ঢুকে আটক বিএসএফ জওয়ান। ছবি: সংগৃহীত

কাশ্মীরের পেহেলগামে ভয়াবহ হামলার রেশ কাটতে না কাটতেই ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে নতুন করে চাপে পড়েছে সম্পর্ক। এমন পরিস্থিতির মধ্যেই ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)-এর এক জওয়ান পাকিস্তানি সেনাদের হাতে আটক হয়েছেন।

ঘটনাটি ঘটে বুধবার (২৩ এপ্রিল), ভারতের পাঞ্জাবের ফিরোজপুর সেক্টরের আন্তর্জাতিক সীমান্তে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে জানিয়েছে, বিএসএফ-এর ১৮২ নম্বর ব্যাটালিয়নের কনস্টেবল পিকে সিং ভুলবশত সীমান্ত পার হয়ে পাকিস্তানে প্রবেশ করেন এবং সঙ্গে সঙ্গেই তাকে আটক করে পাকিস্তান রেঞ্জার্স।

জানা গেছে, সামরিক পোশাকে এবং রাইফেলসহ সীমান্তে টহল দেওয়ার সময় তিনি স্থানীয় কৃষকদের সহায়তা করছিলেন। সে সময় অসাবধানতাবশত তিনি সীমান্তের ওপারে চলে যান।

তাকে ফিরিয়ে আনতে দুই দেশের সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর মধ্যে পতাকা বৈঠক শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে ভারতীয় কর্মকর্তারা। আলোচনার মাধ্যমে জওয়ানকে নিরাপদে দেশে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে।

এদিকে, জম্মু-কাশ্মীরের পেহেলগামে সশস্ত্র গোষ্ঠীর হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে। এই হামলার জেরে ভারত কঠোর অবস্থান গ্রহণ করলে, পাল্টা জবাব দেয় পাকিস্তান।

পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির বৈঠকে ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক সীমিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর আওতায় ভারতীয় বিমানের জন্য পাকিস্তানের আকাশসীমা বন্ধ, ওয়াগাহ সীমান্তে চলাচল বন্ধ, দ্বিপাক্ষিক সব চুক্তি স্থগিত, এবং বিনা ভিসার সব সুবিধা বাতিলের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

পাশাপাশি, ইসলামাবাদ থেকে পাঠানো এক কড়া ভাষার বিবৃতিতে জানানো হয়, ভারত যদি সিন্ধু নদের পানির প্রবাহ ব্যাহত করে, তাহলে তা ‘যুদ্ধের উসকানি’ হিসেবে দেখা হবে এবং উপযুক্ত জবাব দেওয়া হবে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

পারভেজ হত্যার ঘটনায় সেই দুই নারী শিক্ষার্থী গ্রেপ্তার
আমাদের মধ্যে হিংসা নেই, আমরা আওয়ামী লীগ নই: রুমিন ফারহানা
পাকিস্তানে ঢুকে আটক বিএসএফ জওয়ান, দু’দেশের সীমান্তে ফের উত্তেজনা
টাঙ্গাইলে ফাঁকা গুলি ছু‌ড়ে ৭৮ লাখ টাকা ডাকাতি, গ্রেফতার ২
পাবনায় ইজিবাইক-মোটরসাইকেল সংঘর্ষে ২ এসএসসি পরীক্ষার্থী নিহত
পাকিস্তানের আকাশে ঢুকতে পারবে না ভারতীয় বিমান, নতুন চাপে মোদি
টানা ৫ দিন চুয়াডাঙ্গায় বইছে তাপপ্রবাহ, বিপর্যস্ত জনজীবন
বাংলাদেশ সফর স্থগিত করলেন পাকিস্তান পররাষ্ট্রমন্ত্রী
আমাদের নিয়ত পরিষ্কার, যা কমিটমেন্ট করেছি তা বাস্তবায়ন করবো: তারেক রহমান
টাইমস হায়ার এডুকেশন র‍্যাঙ্কিং: দেশের শীর্ষে বুয়েট ও ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়
অশ্লীলতা ছড়ানোর অভিযোগে ডা. জাহাঙ্গীর কবির-তাসনিম জারার বিরুদ্ধে আইনি নোটিশ (ভিডিও)
তন্ময়সহ শেখ পরিবারের ৪ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
চলতি বছরে দেশে আরো ৩০ লাখ মানুষ দরিদ্র হতে পারে: বিশ্বব্যাংক
৮ দিন পর মুক্তি পেলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অপহৃত ৫ শিক্ষার্থী
পাকিস্তানের সঙ্গে কখনও দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলবে না ভারত
৮ দিনের নোটিশে সরকারি কর্মচারীদের চাকরিচ্যুত করা যাবে তদন্ত ছাড়াই
ভেঙে গেল সামিরা খান মাহির ৪ বছরের প্রেম
বাংলাদেশে অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচন চায় অস্ট্রেলিয়া
বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারদের বৈষম্য নিরসনের দাবি জানিয়ে রাবিতে বিক্ষোভ
কাশ্মিরে উগ্রপন্থীদের সঙ্গে সংঘর্ষে ভারতীয় সেনা নিহত