২০২৪ সালে রপ্তানি আয় হবে ৮০০০ কোটি ডলার: বাণিজ্যমন্ত্রী
বিভিন্ন সমস্যা থাকার পরও ব্যবসায়ীরাই দেশের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন বলে উল্লেখ করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
তিনি বলেন, ‘আপনাদের অবদানের কারণে বাংলাদেশকে এ পর্যায়ে আনা সম্ভব হয়েছে। এবার রপ্তানি আয় ৫১ বিলিয়ন (৫১০০ কোটি) ডলার ধরা হয়েছে। আপনাদের জন্য এ অর্জন সম্ভব হবে। কারণ, ভিয়েতনাম, চীন থেকে অনেকে বাণিজ্য করতে এ দেশে আসছেন। তা কাজে লাগাতে হবে। এতে রপ্তানি বাড়বে। ২০২৪ সালে তা ৮০ বিলিয়ন (আট হাজার কোটি) ডলার হবে।’
বৃহস্পতিবার (২০ জানুযারি) রাজধানীর সোনারগাঁ হোটেলে ২০১৮ সালের কমার্শিয়ালি ইম্পোর্টেন্ট পার্সন (সিআইপি) কার্ড প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বাণিজ্য সচিব তপন কান্তির সভাপতিত্বে এতে অতিথি ছিলেন এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন।
অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল পর্যায়ে আসতে বিশেষ অবদান রাখছেন সিআইপিরা। আমাকে মন্ত্রীর চেয়ে ব্যবসায়ী হিসেবে অনেকে বিবেচনা করেন। তাই আমিও ব্যবসাকে ভর করে এগিয়ে যেতে চাই। পণ্যের বাজার প্রসার ও বহুমুখীকরণের মাধ্যমে এগিয়ে যেতে হবে।’
করোনার কারণে গত দুই বছর সিআইপি কার্ড দেওয়া সম্ভব হয়নি। এবার পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হওয়ায় কার্ড দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী ও সাহসী পদক্ষেপের কারণেই এলডিসি গ্রাজুয়েশন সম্ভব হবে। করোনাকালেও বাণিজ্যে ভালো করছে। গত ছয় মাসে ৩০ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি আয় করা সম্ভব হয়েছে। এবার শুধু আরএমজি থেকেই ৩৫ বিলিয়ন ডলার আশা করা যায়। সরকার ও প্রাইভেট সেক্টর একসঙ্গে কাজ করলে সাফল্য অর্জন হবেই।’
এফসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন বলেন, ‘ব্যবসায়ীদের সিআইপিতে ভূষিত করায় আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে দেশের মর্যাদা বাড়ছে।’
২০২১ সাল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এ বছরই স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নত দেশের মর্যাদা অর্জন করা সম্ভব হয়েছে। মাথাপিছু আয় বেড়ে দুই হাজার ৫৫৪ ডলারে পৌঁছে গেছে। করোনাকালেও বাণিজ্য ও রপ্তানি বেড়েছে।’
রমজান মাসে পণ্যের আমদানির ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘আমদানি করতেই হবে। কিন্তু দামের ব্যাপারে নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে সঠিক সিদ্ধান্ত হচ্ছে না। তা আমলে নিতে হবে। তা না হলে ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্ত হবে।’
বেঙ্গল গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান আরও বলেন, ‘রপ্তানি বাজার ধরে রাখার জন্য গবেষণা ও উদ্ভাবনে জোর দিতে হবে।’
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে ব্যবসা বাণিজ্য ও রপ্তানিখাতে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য ইপিবি ১৩৮ ব্যক্তি ও বিভিন্ন সংগঠনের ৩৮ জনকে পদাধিকার বলে সিআইপি কার্ড দিয়েছে বৃহস্পতিবার (২০ জানুযারি)। করোনার কারণে ২০২০ ও ২০২১ সালে এ কার্ড দেওয়া সম্ভব হয়নি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে প্রতি বছর এই কার্ড দেওয়া হবে বলে ইপিবি জানায়।
জেডএ/এমএমএ/