চিনির দাম কেজিতে ৩ টাকা কমল

পরিশোধিত চিনির দাম আবার বেঁধে দিয়েছে সরকার। এবার দাম কেজিতে তিন টাকা কমানো হয়েছে। যদিও সরকারের বেঁধে দেওয়া দামে বাজারে চিনি পাওয়া যায় না।
বৃহস্পতিবার (৬ এপ্রিল) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক জরুরি স্মারকে জানানো হয়েছে, পরিশোধিত খোলা চিনির সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে কেজিতে ১০৪ টাকা আর পরিশোধিত প্যাকেটজাত চিনির দাম নির্ধারণ করা হয়েছে কেজিতে ১০৯ টাকা।
এর আগে চলতি বছরের ২৬ জানুয়ারি প্যাকেটজাত পরিশোধিত চিনির দাম কেজিতে ১১২ টাকা এবং খোলা চিনির দাম ১০৭ টাকা নির্ধারণ করা হয়। সেই হিসাবে এবার চিনির দাম কেজিতে তিন টাকা করে কমানো হয়েছে।
চিনির নতুন এই দাম ৮ এপ্রিল থেকে কার্যকর হবে।
জানা গেছে, বিশ্ববাজারে চিনির দাম কমার কারণে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় নিয়মিত দাম সমন্বয়ের অংশ হিসেবে চিনির এই দাম নির্ধারণ করেছে।
এদিকে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ বা টিসিবির মূল্য তালিকা অনুসারে আজ রাজধানীর বাজারে চিনির সর্বনিম্ন দাম ছিল কেজিপ্রতি ১১২ টাকা আর সর্বোচ্চ দাম ছিল ১১৫ টাকা।
শনিবার থেকে বাজারে এই দামে চিনি বিক্রি হবে কি না, তা নিয়ে অবশ্য অনিশ্চয়তা থেকেই যাচ্ছে। কারণ, সরকার গত ৭ মাসে চিনির দাম পাঁচবার বেঁধে দিয়েও বাজারের লাগাম টানতে পারেনি।
ব্যবসায়ীদের দাবির মুখে শেষমেশ শুল্ক কমায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এত কিছুর পরও সরকারের বেঁধে দেওয়া দামে চিনি পাওয়া যাচ্ছে না।
টিসিবির হিসাব অনুযায়ী, গত এক বছরে চিনির দাম ৪৫ শতাংশের বেশি বেড়েছে। গত বছরের এই দিনে অর্থাৎ ৬ এপ্রিল চিনির সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ দাম ছিল কেজিপ্রতি ৭৬ ও ৮০ টাকা। আজ তা ১১২ ও ১১৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
রোজার আগে সরকার চিনি আমদানিতে শুল্কছাড় দিয়েছিল। কিন্তু রোজা আসার পর শুল্কছাড়ের প্রভাব দেখা যায়নি। উল্টো শুল্ক কমানোর পর সরকারি হিসাবেই চিনির দাম বেড়েছে।
এই বাস্তবতায় বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি কিছুদিন আগে বলেছিলেন, রোজার মধ্যে চিনির দাম কেজিতে পাঁচ টাকা কমতে পারে। এরপর আজ বাণিজ্য মন্ত্রণালয় নতুন করে চিনির দাম বেঁধে দিল।
এমএমএ/
