শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫ | ২৯ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

গ্যাসের দাম বাড়ানোর বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীরা

গ্যাসের দাম বাড়াতে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)’র কাছে সম্প্রতি প্রস্তাব জমা দেয়া শুরু করেছে গ্যাস সঞ্চালন, উৎপাদন ও বিতরণ কোম্পানিগুলো। কিন্তু এ উদ্যোগে উদ্বেগ প্রকাশ করে বিরোধীতা করেছেন দেশের ব্যবসায়ী-শিল্পোদ্যোক্তরা।

বুধবার (১৯ জানুয়ারি) মতিঝিলে এফবিসিসিআই কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত পাওয়ার, এনার্জি, ইউটিলিস বিষয়ক এফবিসিসিআইর স্ট্যান্ডিং কমিটির প্রথম সভায় গ্যাসের দাম বাড়ানোর উদ্যোগে এ উদ্বেগের কথা জানান ব্যবসায়ীরা।

তারা বলছেন, গ্যাসের দাম বাড়লে উৎপাদন খরচও বাড়বে। যা শিল্পের প্রতিযোগিতা-সক্ষমতা কমিয়ে দেবে। মহামারিকালীন অর্থনীতির ঘুরে দাঁড়ানো ব্যাহত হবে।

বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান ও এনার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশন লিমিটেডের এমডি ও সিইও হুমায়ুন রশিদ।

বৈঠকে এফবিসিসিআইর সিনিয়র সহ-সভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু জানান, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে চীন ও ভারত আরও ২০ বছর কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু রাখবে। বাংলাদেশেও শিল্পের বিকাশের স্বার্থে দেশে মজুদ থাকা কয়লার সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করার উদ্যোগ নেয়া উচিত। গ্যাস অনুসন্ধান কার্যক্রম ব্যাপকভাবে শুরু করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু।

তিনি বলেন, ‘বাপেক্স একা না পারলে বেসরকারি খাতের সঙ্গে যৌথ অংশীদারিত্বে অনুসন্ধান কূপ খননে গতি আনা উচিত।’

স্ট্যান্ডিং কমিটির ডিরেক্টর-ইন-চার্জ ও এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক আবুল কাশেম খান বলেন, ‘দেশে জ্বালানি খাতে আমদানি নির্ভরতা বাড়ছে, যা ভবিষ্যতের জন্য নিরাপদ নয়। দীর্ঘমেয়াদী জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ও শিল্পায়ন অব্যাহত রাখতে দেশীয় সম্পদকে কাজে লাগানো জরুরি।’ কয়লা উত্তোলন করে বিদ্যুৎ উৎপাদনের পক্ষে মত দেন আবুল কাশেম খান।

এফবিসিসিআইর পরিচালক মো. নাসের বলেন, ‘বিতরণ ব্যবস্থায় চরম অব্যবস্থাপনার কারণে বিদ্যুৎ উৎপাদনের সুফল বঞ্চিত হচ্ছেন দেশের ব্যবসায়ীরা।’

এখাতে শৃঙ্খলা আনতে বিতরণ কোম্পানিগুলোর ব্যবস্থাপনার ভার বেসরকারি খাতে ছেড়ে দেয়ার পরামর্শ দেন স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য সাংবাদিক মোল্লা এম আমজাদ হোসেন।

তিনি বলেন, ‘তেল ও গ্যাস অনুসন্ধানের জন্য সরকারের অন্তত আরও ১০০টি কূপ খনন করা উচিত।’ এ ছাড়া অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলো পুরোপুরি প্রস্তুত না হওয়া পর্যন্ত বাইরের শিল্পকারখানাগুলোতে গ্যাস-বিদ্যুতের সংযোগ অব্যাহত রাখার পক্ষে মত দেন জ্বালানি বিষয়ক ম্যাগাজিন ‘এনার্জি অ্যান্ড পাওয়ার’ এর সম্পাদক মোল্লা এম আমজাদ হোসেন।

সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়াতে ওয়ান স্টপ সলিউশন, চরের অনাবাদী জমিতে সোলার প্যালেন স্থাপন, সরকারিভাবে গবেষণা ও উন্নয়ন কার্যক্রমের উদ্যোগ নেওয়া, বর্জ্য ও চালের কুড়া থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রকল্প হাতে নেওয়ার দাবি জানান কমিটির সদস্যরা।

বৈঠকের সভাপতি স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান বলেন, ‘বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে দেশি-বিদেশি উৎসের মধ্যে সমন্বয় নিশ্চিত করা না গেলে দেশের জ্বালানি খাতের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হবে।’

জেডিএ/এমএসপি

Header Ad
Header Ad

ড. ইউনূস ও গুতেরেসের কক্সবাজার সফর আজ, ইফতার করবেন লাখো রোহিঙ্গার সঙ্গে

জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি: সংগৃহীত

জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্প পরিদর্শন করবেন আজ (১৪ মার্চ)। এই সফরে তারা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সঙ্গে ইফতার করবেন।

জাতিসংঘের মহাসচিব বেলা ১১টায় ঢাকা ত্যাগ করে কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন। এটি তার বাংলাদেশের দ্বিতীয় সফর, এবং প্রায় সাত বছর পর তিনি আবার এই দেশে আসছেন। সফরের প্রথম দিনেই গুতেরেস ড. ইউনূসের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন, এবং এরপর দুপুরে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করবেন।

গুতেরেসের কক্সবাজার সফরের অংশ হিসেবে, তিনি রোহিঙ্গা কালচারাল সেন্টারে সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড উপভোগ করবেন, রোহিঙ্গা লার্নিং সেন্টারে যুবকদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন এবং রোহিঙ্গাদের উৎপাদিত পাটজাত পণ্যের কারখানাও পরিদর্শন করবেন।

ড. ইউনূস, কক্সবাজার বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর একটি প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন এবং একটি জলবায়ু উদ্বাস্তু কেন্দ্র পরিদর্শন করবেন। পরে তিনি জাতিসংঘের মহাসচিবের সঙ্গে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গিয়ে তাদের সঙ্গে ইফতারে অংশ নেবেন।

এই সফরের গুরুত্ব বিশেষভাবে বেড়েছে, কারণ রোহিঙ্গাদের জন্য আন্তর্জাতিক সাহায্য অর্ধেকের বেশি কমে যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে জাতিসংঘ মহাসচিবের এই সফর আন্তর্জাতিক দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

এছাড়া, বাংলাদেশের ভবিষ্যত পরিস্থিতি বিশেষ করে জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে গুতেরেসের এই সফর আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আলোচিত হতে পারে।

Header Ad
Header Ad

ঢাকা বশ্বিবিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. আরেফিন সিদ্দিক মারা গেছেন

আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সাবেক উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্নাইলাইহি রাজিউন)। বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) রাত ১০টা ৪৫ মিনিটে রাজধানীর ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।

অধ্যাপক আরেফিন সিদ্দিকের ছোট ভাই সাইফুল্লাহ সিদ্দিক তুহিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ১০টা ৪৫ মিনিটে চিকিৎসক জানিয়েছেন, তিনি (আরেফিন সিদ্দিক) আর নেই। শুক্রবার বাদ জুমা ধানমন্ডি ঈদগা মসজিদে জানাজা শেষে আজিমপুর কবরস্থানে দাফন করা হবে। তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যদি চায় তাহলে দ্বিতীয় জানাজা বিশ্ববিদ্যালয়ে হতে পারে।

এর আগে, গত ৬ মার্চ দুপুর সোয়া ২টার দিকে সুস্থ ও স্বাভাবিক অবস্থায় ব্যাংক থেকে টাকা তোলেন অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক। এরপর আড়াইটার দিকে ঢাকা ক্লাবের বেকারিতে কেনাকাটা করতে গিয়ে হঠাৎ পড়ে যান। তাৎক্ষণিক তাকে বারডেম হাসপাতালে আনা হয়। সেখানে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে জানা যায়, তিনি মাথায় আঘাত পেয়েছেন এবং স্ট্রোক করেছেন। এরপর ঢাবির সাবেক এ উপাচার্যকে আইসিইউতে নেওয়া হয়। পরে অবস্থার আরও অবনতি হলে তাকে ভেন্টিলেশন দেওয়া হয়।

গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিককে ২০০৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৭তম উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। ২০১৭ সালে তিনি উপাচার্যের দায়িত্ব পালন শেষ করে আবারও গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে অধ্যাপক হিসেবে যোগ দেন। ২০২০ সালের জুন মাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকতা থেকে অবসরে যান তিনি।

Header Ad
Header Ad

আমি জানি না, ওরা কেন মাঠ থেকে অবসর নিতে চায় না : খালেদ মাহমুদ সুজন

আমি জানি না, ওরা কেন মাঠ থেকে অবসর নিতে চায় না : খালেদ মাহমুদ সুজন। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের ক্রিকেটে আন্তর্জাতিক মঞ্চ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায় নেওয়ার সংস্কৃতি এখনো গড়ে ওঠেনি। সর্বশেষ মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অবসরের ঘোষণা দেওয়ার পর এই প্রসঙ্গ আবার আলোচনায় এসেছে।

২০০৬ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ঘরের মাঠে সিরিজ খেলে ফুলের তোড়া হাতে নিয়ে হাসিমুখে বিদায় নিয়েছিলেন খালেদ মাহমুদ সুজন। একইভাবে ২০০৮ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বিদায় নিয়েছিলেন মোহাম্মদ রফিক। কিন্তু এরপর থেকে দুই দশকের বেশি সময়েও বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের মধ্যে মাঠ থেকে আনুষ্ঠানিক বিদায়ের দৃশ্য দেখা যায়নি।

এ প্রসঙ্গে খালেদ মাহমুদ সুজন বলেন, “ওদের ক্যারিয়ার বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য অসাধারণ ছিল। মাঠ থেকে বিদায় নেওয়ার সুযোগ ওদের প্রাপ্য ছিল। যারা ভালোবেসেছে ও সমর্থন দিয়েছে, তারাও চাইত গ্যালারি ভরা দর্শকের হাততালির মধ্যে তারা বিদায় নিক। কিন্তু সেই সুযোগটা আর হলো না। কেন মাঠে অবসর নেয়নি, সেটা ওরাই ভালো বলতে পারবে।”

অনেকে মনে করেন, বোর্ডের পরিকল্পনার অভাবের কারণেই এমনটা ঘটছে। তবে সুজন এই দাবির সঙ্গে একমত নন। তিনি বলেন, “যখন আমি অবসর নিয়েছিলাম, আগেই জানিয়েছিলাম সেটাই আমার শেষ ম্যাচ। কিন্তু যদি কেউ না জানায়, বোর্ড বুঝবে কীভাবে? ক্রিকেটাররা আগেই বললে বোর্ডও সম্মানজনক বিদায়ের ব্যবস্থা করতে পারে।”

সম্প্রতি মুশফিকুর রহিম ওয়ানডে ক্রিকেট থেকে এবং মাহমুদউল্লাহ সব ফরম্যাট থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন। তাদের এমন সিদ্ধান্তকে সময়োপযোগী বলেই মনে করছেন সুজন। তার মতে, “ওরা চাইলে হয়তো আরও কিছুদিন খেলতে পারত। কিন্তু মাঠ থেকে বিদায় নিলে সেটা আরও স্মরণীয় হয়ে থাকত।”

মাঠ থেকে বিদায় নেওয়ার সংস্কৃতি গড়ে তোলা না গেলে ভবিষ্যতেও এই ধরনের পরিস্থিতি চলতেই থাকবে বলে মনে করছেন অনেকেই।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

ড. ইউনূস ও গুতেরেসের কক্সবাজার সফর আজ, ইফতার করবেন লাখো রোহিঙ্গার সঙ্গে
ঢাকা বশ্বিবিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. আরেফিন সিদ্দিক মারা গেছেন
আমি জানি না, ওরা কেন মাঠ থেকে অবসর নিতে চায় না : খালেদ মাহমুদ সুজন
উপদেষ্টা মাহফুজ শাহরিয়ার কবিরদের ভাষাতেই কথা বলেছেন : জামায়াত
নওগাঁ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের পূর্ণাঙ্গ আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা
শিশু আছিয়ার দাফন সম্পন্ন, অভিযুক্তের বাড়িতে আগুন দিলো বিক্ষুব্ধ জনতা
বেইজিংয়ে শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন ড. ইউনূস
‘২০২৬ সালেই বাংলাদেশকে এলডিসি থেকে উত্তরণ করা হবে’
নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি শোভনের বাবা গ্রেপ্তার
শুক্রবার থেকে বন্ধ হচ্ছে দেশের সব পর্ন ওয়েবসাইট
ট্রাম্পের গাজা দখলের পরিকল্পনা থেকে সরে আসা নিয়ে যা বলল হামাস
গাম্বিয়ার সঙ্গে ভিসা অব্যাহতি চুক্তি দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও গভীরতর করবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
স্ত্রীসহ সাবেক বিজিবি প্রধান সাফিনুল ইসলামের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
মাগুরার শিশু ধর্ষণ ও হত্যার বিচার ৭ দিনের মধ্যে শুরু হবে: আইন উপদেষ্টা
আছিয়ার মরদেহ সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টারে মাগুরায় নেওয়া হবে
ঢাকায় পৌঁছেছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস
সোয়া ২ কোটি শিশুকে খাওয়ানো হবে ভিটামিন-এ প্লাস ক্যাপসুল
ধর্ষণের হুমকি পেলেন ভাইরাল কন্যা ফারজানা সিঁথি, অতঃপর...
যমুনা সেতু মহাসড়কে দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ, আহত ২৫
নওগাঁ মেডিকেল কলেজ নিয়ে ষড়যন্ত্র বন্ধ ও স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণের দাবি