ভোজ্যতেলের দামের সিদ্ধান্ত ৬ ফেব্রুয়ারি
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, ‘আমরা মুখে আল্লাহ-খোদা বললেও কিন্তু রমজানে এই ধর্মীয় অনুভূতি অনেকের মধ্যেই কাজ করে না। যারা রমজানকে ঘিরে কিছু করার চেষ্টা করেন, তারা সংযত হোন। ভোজ্যতেলের দামের ব্যাপারে বৈঠকে কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি। ৬ ফেব্রুয়ারি বৈঠকেই ভোজ্যতেলের একটি হালনাগাদ দাম নির্ধারণ করা হবে। বাড়ানোর প্রয়োজন হলে বাড়াব এবং কমানোর প্রয়োজন হলে কমাব।’
ভোজ্যতেলের মূল্য নির্ধারণ পদ্ধতি সংশোধন ও ব্যয় বিবরণী হালনাগাদ বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব তথ্য দেন বাণিজ্যমন্ত্রী। সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে বুধবার (১৯ জানুয়ারি) এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমি ব্যবসায়ীদের অনুরোধ করেছি, আপনারা আরেকটু সময় দেন আমাদের। মন্ত্রণালয়ের অফিশিয়ালদের (কর্মকর্তা) বলে দিয়েছি আপনারা অধিকতর সঠিক তথ্যটি আবারও সংগ্রহ করুন। হালনাগাদ মূল্য নির্ধারণে অভ্যন্তরীণ ও বৈশ্বিক পরিস্থিতি অধিকতর পর্যালোচনা করতে আরও ১৫ দিন সময় লাগবে বলে জানান টিপু মুনশি।
তিনি বলেন, ‘আমি ব্যবসায়ীদের অনুরোধ করেছি, আপনারা আরেকটু সময় দেন আমাদের। ১৫ দিন পর ১৬ দিনের মাথায় আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি আমরা আবার মন্ত্রণালয়ে ব্যবসায়ীদের নিয়ে বসব। ওই বৈঠকেই ভোজ্যতেলের একটি হালনাগাদ দাম নির্ধারণ করব। তখন বাড়ানোর প্রয়োজন হলে বাড়াব এবং কমানোর প্রয়োজন হলে কমাব।’
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘যারা ভোজ্যতেল আমদানি করে, তারা বারবার বলছে আন্তর্জাতিক বাজার পরিস্থিতি বিবেচনায় ভোজ্যতেলের দাম বাড়াতে। এখন দাম কমলেও তারা যখন আমদানি করেছে, তখন দাম বাড়তিই ছিল, তবে বিষয় হলো যে ক্যালকুলেশন করে আমরা ভোজ্যতেলের মূল্য নির্ধারণ করি, সেটা নিয়ে নতুন করে ভাবার সময় এসেছে।
আন্তর্জাতিক বাজার পরিস্থিতি বিবেচনায় এই মুহূর্তে দাম কমানোর কোনো সম্ভাবনা আছে কি না জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘ এখনই এই বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত দেয়া যাবে না। বিষয়টির জন্য কারিগরি কমিটি আছে। বিশেষজ্ঞরা এ বিষয়ে একটি সুপারিশ করবেন।
রমজানে ভোজ্যতেলের সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে সরকারের উদ্যোগের বিষয়ে জানতে চাইলে টিপু মুনশি বলেন, ‘সরকারের উদ্যোগ রয়েছে। ব্যবসায়ীরা প্রস্তুতি নিচ্ছে, কিন্তু তখন সমস্যা হয়ে দাঁড়ায় আমাদের মানসিকতা।’
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্যসচিব তপন কান্তি ঘোষ, মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য ও আমদানি) এ এইচ এম সফিকুজ্জামানসহ খাত সংশ্লিষ্ট খাতের শীর্ষ ব্যবসায়ীরা।
জেডএ/