ভোজ্য তেলের দাম নির্ধারণ করে দেওয়া হবে: বাণিজ্য মন্ত্রী
বাণিজ্য মন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, ভোজ্য তেলের দাম নিয়ে বার বার কথা হচ্ছে। আপনারা জানেন যে, আমাদের প্রতি বছর ২০ লক্ষ টন ভোজ্য তেল প্রয়োজন। আমাদের উৎপাদন মাত্র দুই লাখ টন। বাকিটা আমদানি করতে হয়। বাইরে থেকে আনার কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে যখন দাম বাড়ে তখন তার বিরূপ প্রভাব আমাদের বাজারে পড়ে। রিসেন্টলি আরেকটা বড় সমস্যা হচ্ছে কন্টেইনার যেখানে দুই হাজার, আড়াই হাজার ছিল, আট হাজার, দশ হাজার হয়ে গেছে। তার ফলে দামের উপর প্রভাব পড়ে। তার জন্য দেড়-দুই মাস পর পর আমরা বারবার ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বসে দাম পুনঃনির্ধারণ করতে হচ্ছে এডজাস্ট করতে হচ্ছে।
বুধবার (১৯ জানুয়ারি) রাজধানীর ওসমানী মিলনায়তনে ডিসি সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রী এবং প্রধানমন্ত্রীর শিল্প ও বেসরকারি বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান ডিসিদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন বাণিজ্য মন্ত্রী টিপু মুনশি। সঙ্গে ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর শিল্প ও বেসরকারি বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান।
টিপু মুনশি বলেন, একটা বিষয় হচ্ছে, আমরা যদি নন কো-অপারেশন করি, এডজাস্ট না করি, তাহলে সামনে রমজান মাস, তারা তো এলসি ওপেন করবে না। একটা ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি হবে। তাদের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে আগামী মাসের ৬ বা ৭ তারিখে বসে আবার ফিক্সড করব, আন্তর্জাতিক বাজার, আনুষঙ্গিক খরচ, প্রোফিট সব কিছু বিবেচনা করে দাম ঠিক করব। না হলে বাজার আবার অস্থির হবে। তেলের ব্যাপারে আমরা আজ সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
ব্যবসায়ীরা এলসি ওপেন করবেনা, তার মানে ব্যবসয়ীরা সরকারের চেয়ে শক্তিশালী? এমন প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্য মন্ত্রী বলেন, এটা প্রোফিট এন্ড লস। আপনার গায়ে যে কোট টা আছে সেটা আপনি চয়েজ করবেন আপনি কত দিয়ে কিনবেন। এটা আমি চয়েজ করে দিতে পারি না। ব্যবসায়ী যদি এলসি ওপেন না করে তাহলে দ্যাট ইজ হিজ ডিসক্রিশন।
এসময় সালমান এফ রহমান বলেন, আপনি যে প্রশ্নটা করেছেন সেটা না করে ওটা জিজ্ঞেস করেন এলসি খুলবে না কেন? এলসি খুলবে না যদি সে দেখে লস হয় তাহলে সরকার কি তাকে ফোর্স করতে পারে যে তুমি আমদানি করে তুমি লস এ বিক্রি কর। আমাদেরকে যেটা দেখতে হবে, সে যেন অতিরিক্ত প্রোফিট বা মুনাফা না করে। কিন্তু লস এ তো সে আমদানি করবে না। তার জন্য উনাদের সঙ্গে বসা হয়েছে। তারা কত লাভ করবে ওটা আমরা ফিক্সড করে দেব।
বাণিজ্য মন্ত্রী বলেন, সামনে রমজান মাস। আমরা ডিসিদের বলেছি, আমরা মন্ত্রণালয় থেকে যেসব নিত্যপণ্যের দাম নির্ধার করে দিয়েছি সেগুলোর বিষয়ে যেন তারা স্ট্রংলি মনিটরিং করেন। পাশাপাশি সামনে রমজান মাসে যেন তারা শক্ত ভূমিকায় থাকেন, আইনগত ব্যবস্থা নেন। পাশাপাশি কুরবানির সময়ে চামড়ার বিষয়ে শিল্প মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সবাই মিলে যেন মনিটরিং করি যাতে মানুষ যেন ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত না হয়। এসব বিষয়ে ডিসিদের বলা হয়েছে।
এনএইচবি/এএস