সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫ | ৮ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

বাজারে নৈরাজ্য থামছেই না

চাল, চিনি, ডাল, সয়াবিন তেলসহ নিত্যপণ্য যথেষ্ট মজুত থাকার পরও বাজারে চলছে অস্থিরতা। চাহিদা অনুযায়ী এসব পণ্যের আমদানি হচ্ছে নিয়মিত। তারপরও এসব নিত্যপণ্যের কোনোটিই সরকার নির্ধারিত মূল্যে পাওয়া যাচ্ছে না। শুধু তেল, চাল, ডাল নয়, রমজানকে সামনে রেখে ছোলা, আদা, রসুনের দামও এখন ক্রেতাদের নাগালের বাইরে। আর বিভিন্ন করপোরেট প্রতিষ্ঠান নিজেদের নামে এসব পণ্য প্যাকেটজাত করে নিচ্ছে আরও বাড়তি দাম।

ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই থেকে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের হুঁশিয়ার করার পরও নৈরাজ্য চলছে বাজারে। মিল থেকে শুরু করে পাইকারি, খুচরা ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে যে যার মতো ভোক্তাদের কাছে এসব পণ্য বিক্রি করছে।

এই পরিস্থিতিতে জাতীয় ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তর রবিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের সরবরাহ ও মুল্য পরিস্থিতি নিয়ে সভার আয়োজন করেছে। যেখানে ঢাকা মহানগর এলাকার সকল বাজার কমিটির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ খাত সংশ্লিষ্টদের উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। সভায় বাণিজ্যসচিব তপন কান্তি ঘোষও উপস্থিত থাকবেন।

আমদানি বেশি তবুও মিলছে না চিনি

বাংলাদেশ ব্যাংক, ট্যারিফ কমিশন ও টিসিবি সূত্র বলছে, দেশে চিনির বার্ষিক চাহিদা প্রায় ২০ লাখ টন। এর মধ্যে রমজানের চাহিদা ৩ লাখ টন। বাকি মাসগুলোতে গড় চাহিদা দেড় লাখ টন। দেশে উৎপাদন হয় ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টন। তাই চাহিদা মেটাতে অপরিশোধিত চিনি আমদানি করতে হয়। প্রতি মাসে এই চিনি আমদানি হচ্ছে। গত জানুয়ারি মাসেও ৫ লাখ ৬৫ হাজার টন অপরিশোধিত চিনি আমদানি করা হয়েছে। বর্তমানে দেশে চাহিদার তুলানায় বেশি চিনি মজুত আছে।

রিফাইনারি মিল মালিকরা ডলারের সংকট দেখিয়ে কয়েক দফা চিনির দাম বাড়িয়েছে। এই চিনিতে বিভিন্ন পর্যায়ে সব মিলে ৬১ শতাংশ কর দিতে হয়। ডলার সংকটের অজুহাতে ব্যবসায়ীরা দাম বেশি করে বাড়াতে চাইলে এনবিআর চিনি আমদানিতে ১০ শতাংশ শুল্ক ছাড় দিয়েছে। সর্বশেষ গত জানুয়ারিতে সরকারের খাদ্য ও চিনি শিল্প করপোরেশন প্রতি কেজি খোলা চিনি ১০৭ টাকা ও প্যাকেট চিনি ১১২ টাকা নির্ধারণ করে দেয়। তারপরও বাজারে পাওয়া যাচ্ছে না চিনি।

সরেজমিনে গেলে রাজধানীর কারওয়ান বাজার, টাউনহলসহ বিভিন্ন বাজারে গেলে খুচরা বিক্রেতা বলছেন, মিল থেকে চিনি না দেওয়ায় তারাও বিক্রি করতে পারছেন না। কোনো কোনো দোকানে চিনি পাওয়া গেলেও ১২০ থেকে ১৬০ টাকা কেজি বিক্রি করা হচ্ছে। টিসিবির তথ্যও বলছে বাজারে ১১০ থেকে ১২০ টাকা দরে চিনি বিক্রি হচ্ছে।

ছোলার দামেও আগুন

রমজানকে সামনে রেখে ছোলার দাম বেড়ে গেছে অস্বাভাবিকভাবে। দেশে বছরে ছোলার চাহিদা মাত্র দেড় লাখ টন। রমজানে সেই চাহিদা কিছুটা বাড়ে। সেটি বিবেচনায় নিয়ে গত চার মাসে প্রায় দেড় লাখ টন ছোলা আমদানির এলসি খোলা হয়েছে। ইতিমধ্যে অনেকগুলো ছোলা দেশে চলেও এসেছে। তারপরও ছোলার দাম বাড়তির দিকে। এক বছরে ছোলার দাম কেজিতে বেড়েছে ২০ টাকা। আর গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে কেজি প্রতি ১০ টাকা বেড়ে এখন ৯০ থেকে ৯৫ টাকা বিক্রি হচ্ছে।

চালের বাজারে বড় কোম্পানির দস্যুতা

বাংলাদেশ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র বলছে, দেশে চালের বার্ষিক চাহিদা প্রায় ২ কোটি ২৭ লাখ টন। আর দেশে চালের উৎপাদন হয়েছে ৪ কোটি ৪ লাখ টন। বতর্মানে দেশে চাল এবং ধানের পর্যাপ্ত মজুত রয়েছে। খাদ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, সরকারের গুদামে খাদ্যশস্য মজুদ প্রায় ২০ লাখ টন। তারপরও মোটা থেকে চিকন চালের দাম কমে না।

টিসিবি বলছে, বর্তমানে মোটা চাল ৪৮ থেকে ৫২ টাকা কেজি, চিকন চাল ৭৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। পর্যাপ্ত মজুত ও উৎপাদন ভালো হওয়ার পরও বছরের ব্যবধানে চালের দাম কেজিতে বেড়েছে ৭ থেকে ১০ টাকা। নিয়ন্ত্রণহীন চালের বাজারের বড় দস্যু হচ্ছে প্রাণ, আকিজ, সিটি গ্রুপসহ বিভিন্ন কোম্পানি। যারা নিজেদের নামে চাল প্যাকেটজাত করে কেজিতে কমপক্ষে ৫ থেকে ৭টাকা বেশি নিচ্ছে।

কৃষি অর্থনীতিবিদ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম সম্প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, চালের বাজারে পুরো প্রতারণা চলছে। তারা মোটা ধানকে তিনটা মেশিনে চিকন করে বেশি দামে বিক্রি করছে। স্বর্ণা ধানকে কেটেকুটে পুষ্পবতি চাল বলে বিক্রি করছে। এতে ভোক্তাদের সঙ্গে প্রতারণা করা হচ্ছে। ভোক্তাদের খরচ বাড়ছে। তিনি বলেন, যে নামে ধান সেই নামে চাল বিক্রি করতে হবে। এজন্য বাজার ব্যবস্থাপনার সংস্কার দরকার। কারণ একদিকে চালের অপচয়, অন্যদিকে পুষ্টির মান কমছে, ভোক্তারা প্রতারণা শিকার হচ্ছে।

আটার বাজারও অস্থির

দেশে বার্ষিক গমের চাহিদা প্রায় ৭০ লাখ টন। এর মধ্যে দেশে উৎপাদন হচ্ছে ১২ লাখ টন। বাকি গম আমদানি করতে হয়। বর্তমানে আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি টন গমের দাম ৩৬০ দশমিক ৮২ ডলার। তারপরও দেশের বাজারে আটার দাম কমছে না। সিটি গ্রুপ, এসিআই, বসুন্ধরাসহ বিভিন্ন করপোরেট কোম্পানির ২ কেজির প্যাকেটজাত আটা ১৩০ টাকা ও খোলা আটা ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, এক বছর আগে প্রতি কেজি আটা ৪০ থেকে ৪৫ টাকা কেজি বিক্রি হতো। টিসিবিও বলছে, বছরের ব্যবধানে কেজিতে আটার দাম বেড়েছে ৫৬ থেকে ৬৬ টাকা। ময়দার দামও বছরের ব্যবধানে বেড়েছে কেজিতে ৩২ থেকে ৪১ টাকা। কারণ বর্তমানে প্রতি কেজি ময়দা ৬৮ থেকে ৭৫ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।

ভোজ্যতেলর বাজারও নিয়ন্ত্রহীণ

সরকারের তথ্য অনুযায়ী,বছরে দেশে ভোজ্যতেলের চাহিদা ২০ লাখ টন। এরমধ্যে দেশে সরিষার উৎপাদন হয় ২ লাখ টনের বেশি। বাকিটা আমদানি করে চাহিদা মেটাতে হয়। প্রতি মাসে গড়ে দেড় লাখ টন চাহিদা হলেও রমজানে চাহিদা বেড়ে দাঁড়ায় ৩ লাখ টন। বর্তমানে আন্তর্জাতিক বাজারে ভোজ্যতেল বিক্রি হচ্ছে প্রতি ব্যারল ১২১৯ ডলার। সেই তেল পরিশোধন করে মিলমালিকরা বোতলজাত করে ১৮০ থেকে ১৮৫ টাকা লিটার বিক্রি করছে। আর খোলা তেল বিক্রি হচ্ছে প্রতি লিটার ১৬৮ থেকে ১৭২ টাকা। পাম অয়েল বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা লিটার।

খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, বিশ্বে তেলের দাম বাড়লে দেশের বাজারে দ্রুত দাম বেড়ে যায়। কিন্তু বিশ্ববাজারে দাম কমলে দেশের বাজারে দাম আর কমে না।

ডালেও বাড়তি দাম

রমজানকে সামনে রেখে দেশে ডালের চাহিদা বেড়েছে। এ কারণে ডালের আমদানিও বেড়েছে। একইসঙ্গে দামও বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত মাসে চিকন ডাল ১২৫ থেকে ১৩০ টাকা কেজি বিক্রি হলেও বর্তমানেখুচরা পর্যায়ে ১৪০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। আর মোটা দানার মুশুর ডাল প্রতি কেজি ৯৫ থেকে ১০০ টাকা বিক্রি হলেও বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ১০৫ থেকে ১১০ টাকা কেজি দরে। খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, আমাদের বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। তাই বিক্রিও করতে হচ্ছে বেশি দামে।

ট্যারিফ কমিশন বলছে, এক মাস আগে আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি টন ডালের দাম ছিলো ৫১২ দশমিক ২২ ডলার। যা বর্তমানে কমে ৫০০ ডলারের নিচে নেমে এসেছে। এক মাসের ব্যবধানে মূল্য কমেছে প্রায় ৩ শতাংশ। তা ছাড়া, মসুর ডাল আমদানিতে কোনো শুল্ক লাগে না।

বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে আদা, রসুন

দেশের বাজারে আদা ও রসুনের দাম নিয়ে অস্থিরতা কাটছে না। দেশে রসুনের বার্ষিক চাহিদা সাড়ে ৬ লাখ টন। উৎপাদন হচ্ছে ৭ লাখ টনের বেশি। প্রতি কেজি ৭০ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তারপরও কিছু আমদানি করা হচ্ছে। আন্তর্জাতিক বাজারে এই রসুনের টন ৪০৬ ডলার।

আমদানি করা এই রসুন দেশের বাজারে ১৮০ টাকা কেজি বিক্রি দরে। দেশে পর্যাপ্ত রসুন উৎপাদন হলেও ডলারের সংকটের অজুহাতে কোনো কোনো সপ্তাহে বিদেশি রসুন প্রতি কেজি ৩০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করছে খুচরা বিক্রেতারা।

অপরদিকে, দেশে আদার চাহিদা ৩ লাখ টনের বেশি হলেও উৎপাদন হচ্ছে ২ লাখ টনের বেশি। দেশি আদা ১৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। রমজান মাসে আদার চাহিদা কিছুটা বেড়ে যায়। এই সুযোগে দামও বাড়িয়ে নেয় ব্যবসায়ীরা। বর্তমানে দেশি আদা প্রতি কেজি ১৮০ টাকা এবং বিদেশি আদা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকায়।

এনএইচবি/এমএমএ/

Header Ad
Header Ad

গ্রীষ্মে স্বাভাবিক থাকবে বিদ্যুৎ সরবরাহ: বিপিডিবি চেয়ারম্যান

ছবি: সংগৃহীত

চলতি গ্রীষ্মে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক থাকবে বলে আশাবাদ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মো. রেজাউল করিম। তিনি জানান, বিদ্যমান সব বিদ্যুৎকেন্দ্র সচল রাখতে কাজ করে যাচ্ছে কর্তৃপক্ষ, যাতে গ্রীষ্মকালে চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ উৎপাদন নিশ্চিত করা যায়।

বার্তা সংস্থা বাসসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, বর্তমানে গড়ে দৈনিক ১৪,০০০ থেকে ১৪,৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে, যেখানে গড় চাহিদা প্রায় ১৫,০০০ মেগাওয়াট। গ্রীষ্মে এই চাহিদা সর্বোচ্চ ১৭,৮০০ মেগাওয়াট পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে, যেখানে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১৭,২৬০ মেগাওয়াট।

গত শনিবার দেশে উৎপাদিত বিদ্যুৎ ছিল ১১,৯৭১ মেগাওয়াট, যার বিপরীতে চাহিদা ছিল ১৪,৪৫১ মেগাওয়াট। রবিবার কর্মদিবস হওয়ায় চাহিদা আরও বেড়ে যায়। যদিও গ্রীষ্মে প্রায় ৭৫০ মেগাওয়াট ঘাটতির আশঙ্কা রয়েছে, বিপিডিবি মনে করে এই ঘাটতি কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হবে।

চেয়ারম্যান জানান, বিদ্যুৎ বিভ্রাটের পেছনে কারিগরি ত্রুটি বা প্রাকৃতিক দুর্যোগ (যেমন ঝড় বা বৃষ্টিপাত) একটি বড় কারণ। এছাড়া গ্যাসের চাহিদা পূরণে সরকার তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানি করছে, যা বিদ্যুৎ উৎপাদনের অন্যতম প্রধান জ্বালানি। ইতোমধ্যে স্পট মার্কেট থেকে দুটি কার্গো এলএনজি আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন করেছে সরকার। এর আগে মার্চে যুক্তরাষ্ট্রের একটি কোম্পানি থেকেও এলএনজি আনা হয়েছে।

বিদ্যুৎ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান জানিয়েছেন, লোডশেডিং কমাতে সরকার নানা পদক্ষেপ নিয়েছে। সাশ্রয়ের লক্ষ্যে সরকারি অফিস, ব্যাংক, বাসাবাড়ি ও মসজিদে এসির তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে না নামানোর পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। এভাবে প্রতিদিন ২,০০০ থেকে ৩,০০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সাশ্রয় করা সম্ভব হবে।

সরবরাহ ও চাহিদার ভারসাম্য রক্ষায় সরকারের নানা উদ্যোগের কারণে চলতি গ্রীষ্মে বিদ্যুৎ পরিস্থিতি তুলনামূলক স্বস্তিদায়ক থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে।

সূত্র: বাসস

Header Ad
Header Ad

পরমাণু কর্মসূচি থেকে না সরার ঘোষণা ইরানের

ছবি: সংগৃহীত

ইরান তার পরমাণু কর্মসূচি থেকে একচুলও সরছে না বলে জানিয়েছে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ইরানের আইন ও আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী কাজেম ঘারিবাবাদি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করার অধিকার ইরানের জন্য একটি ‘লাল রেখা’। যুক্তরাষ্ট্রের সাথে পরোক্ষ আলোচনাতেও এই অবস্থান থেকে কোনোভাবেই সরে আসা হবে না।

রবিবার ইরানের সংসদের জাতীয় নিরাপত্তা ও পররাষ্ট্র নীতি কমিশনের এক বৈঠকে এই মন্তব্য করেন ঘারিবাবাদি। বৈঠকে তিনি ইতালির রোমে তেহরান-ওয়াশিংটনের মধ্যে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় দফার পরোক্ষ আলোচনা সম্পর্কে আইনপ্রণেতাদের বিস্তারিত অবহিত করেন।

কমিটির মুখপাত্র ইব্রাহিম রেজাই জানিয়েছেন, ঘারিবাবাদি আলোচনার মূল বিষয়গুলো তুলে ধরেছেন। বৈঠকে তিনি পুনরায় জোর দিয়ে বলেছেন, ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করতে চায় না এবং দেশটির পরমাণু কার্যক্রম সম্পূর্ণরূপে শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যে পরিচালিত হচ্ছে।

ঘারিবাবাদি আরও বলেন, আলোচনার অন্যতম প্রধান বিষয় ছিল ইরানের ওপর আরোপিত বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞা—বিশেষ করে মার্কিন কংগ্রেসের আইন এবং সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশ। ইরান চায়, এসব নিষেধাজ্ঞা যেন সম্পূর্ণরূপে এবং কার্যকরভাবে প্রত্যাহার করা হয়। শুধুমাত্র প্রতীকীভাবে নয়, বরং ইরানি জনগণের জন্য বাস্তব অর্থনৈতিক সুফল নিশ্চিত করতে হবে।

সূত্র: প্রেস টিভি

Header Ad
Header Ad

পর্যটকদের ভ্যাটের অর্থ ফেরত দেবে সৌদি সরকার

ছবি: সংগৃহীত

পর্যটকদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এক সিদ্ধান্ত নিয়েছে সৌদি আরব সরকার। এখন থেকে সৌদিতে অবস্থানকালে পণ্য ও সেবার উপর পরিশোধিত ১৫ শতাংশ মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) দেশে ফেরার সময় ফেরত পাবেন পর্যটকরা। সংশ্লিষ্ট ভ্যাট বিধিমালায় প্রয়োজনীয় সংশোধনী এনে এই নিয়ম গত ১৮ এপ্রিল থেকে কার্যকর করা হয়েছে।

নতুন নিয়ম অনুযায়ী, অনুমোদিত সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো পর্যটকদের জন্য প্রদত্ত উপযুক্ত পণ্য ও সেবার উপর শূন্য শতাংশ হারে ভ্যাট আরোপ করবে এবং সৌদি আরব ত্যাগের সময় পরিশোধিত ভ্যাটের অর্থ ফেরত দেবে। এতে পর্যটকদের ভ্রমণ ব্যয় হ্রাস পাবে এবং সৌদির পর্যটন খাত আরও চাঙা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

সৌদি আরবের জাকাত, ট্যাক্স ও কাস্টমস কর্তৃপক্ষ (জেডএটিসিএ) জানিয়েছে, কর ফেরতের পুরো প্রক্রিয়া পরিচালনার জন্য এক বা একাধিক অনুমোদিত সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানকে দায়িত্ব দেওয়া হবে। এসব প্রতিষ্ঠান পর্যটকদের পক্ষে কর ফেরতের আবেদন এবং তা কার্যকর করবে। তবে নিয়ম লঙ্ঘন বা অনিয়ম হলে, পর্যটক ও সেবাদাতা—উভয়ই ফেরত নেওয়া অর্থের জন্য যৌথভাবে দায়ী হবেন।

জিসিসিভুক্ত (গালফ কো-অপারেশন কাউন্সিল) দেশগুলোর পর্যটকরাও এই কর ছাড়ের সুবিধা পাবেন। তবে এই সুবিধা চলমান থাকবে যতদিন না পর্যন্ত ইলেকট্রনিক সার্ভিস আইন কার্যকর হয়। জেডএটিসিএ’র গভর্নর এই কর ফেরতের প্রক্রিয়া ও নিয়মাবলি নির্ধারণ করবেন।

নিয়মাবলির মধ্যে থাকবে—পর্যটকদের কর ফেরতের ধাপসমূহ, পর্যটক হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ার শর্ত, কোন পণ্য এই সুবিধার আওতায় আসবে, ন্যূনতম ক্রয়মূল্য, কোন বিক্রেতারা সুবিধা দিতে পারবেন এবং কর ফেরতের আবেদন পদ্ধতি।

অন্যদিকে, সংশোধিত ভ্যাট বিধিমালায় বলা হয়েছে, যদি কোনো ব্যবসা কার্যক্রম অন্যের কাছে হস্তান্তর করা হয়, তাহলে নতুন মালিককে ৩০ দিনের মধ্যে জেডএটিসিএ-কে তা জানাতে হবে। তবে পূর্ববর্তী মালিকের রেজিস্ট্রেশন বাতিল হয়ে থাকলে এ নিয়ম প্রযোজ্য হবে না। এমনকি রেজিস্ট্রেশন বাতিল হলেও, আগের মালিক পুরনো কর সংক্রান্ত দায়-দেনা থেকে অব্যাহতি পাবেন না এবং তাকে প্রয়োজনীয় নথিপত্র সংরক্ষণ করতে হবে।

সূত্র: সৌদি গেজেট

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

গ্রীষ্মে স্বাভাবিক থাকবে বিদ্যুৎ সরবরাহ: বিপিডিবি চেয়ারম্যান
পরমাণু কর্মসূচি থেকে না সরার ঘোষণা ইরানের
পর্যটকদের ভ্যাটের অর্থ ফেরত দেবে সৌদি সরকার
আজ কাতার যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস
ভুল বোঝাবুঝিতে গাজায় ১৪ জরুরি সেবাদাতা কর্মীকে হত্যা!
জেলা প্রশাসকের দফতরে স্মারকলিপি দিল আওয়ামী লীগ
বিয়ের আশ্বাসে স্বামীর ১১ লাখ টাকা নিয়ে ঘর ছাড়লেন নারী, প্রেমিকের ফাঁদে পড়ে দলবেঁধে ধর্ষণের শিকার
বিয়ে না করেই পঞ্চাশে অন্তঃসত্ত্বা অভিনেত্রী, তোলপাড় নেটদুনিয়া
পারভেজের মৃত্যুতে গ্রামের বাড়িতে মাতম, পাগলপ্রায় মা-বাবা ও একমাত্র বোন
বাংলাদেশের হয়ে খেলতে রাজি কিউবা মিচেল
আসিফ মাহমুদ ও মাহফুজ আলমের পদত্যাগ দাবি করলেন নুর
২০২৫ শেষ হওয়ার আগেই ৫০ সেঞ্চুরিতে দেশের প্রথম এনামুল হক
ভিসা বাতিল করায় ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ভারতীয় ও চীনা শিক্ষার্থীদের মামলা
একনেকে ২৪ হাজার কোটি টাকার ১৬ প্রকল্প অনুমোদন
বিগত ৩ নির্বাচনের সঙ্গে জড়িতদের বিচার চায় এনসিপি
এপ্রিলে ১৯ দিনেই প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স ২১ হাজার কোটি টাকা ছাড়াল
দুইবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী না হওয়া নিয়ে বিএনপির অভিমত
ফাইয়াজের মামলায় আইন মন্ত্রণালয়ের এখতিয়ার নেই: আসিফ নজরুল
ভারতের উত্তরপ্রদেশে এক ছাত্রীকে ৭ দিন ধরে আটকে ২৩ জন মিলে ধর্ষণ!
বিরামপুরে পিকআপের ধাক্কায় এসএসসি পরীক্ষার্থীর মর্মান্তিক মৃত্যু