এখনো নাগালের বাইরেই মাছ-মাংস
সপ্তাহের ব্যবধানে ডিমের দাম ১০ টাকা কমে ১২৫ থেকে ১৩০ টাকা ডজন বিক্রি হচ্ছে। পেঁয়াজের দামও কমে ৩০ থেকে ৩৫ টাকা কেজি। তবে আগের মতোই বেশি দামে মুরগি ও মাছ বিক্রি হচ্ছে। গ্রীষ্মকাল ঘনিয়ে আসায় সবজির মধ্যে করলা ও পটলের দাম কমে ১০০ টাকা কেজি বিক্রি করা হচ্ছে। তবে এখনো সব দোকানে পাওয়া যায় না চিনি। প্যাজেটজাত চালের মধ্যে প্রাণের মিনিকেট ৯৫ টাকা কেজি বিক্রি করা হচ্ছে বলে মুদি ব্যবসায়ীরা।
শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর কারওয়ান বাজার ঘুরে এমনই চিত্র দেখা গেছে।
চিনি আছে, চিনি নেই
বিভিন্ন অজুহাতে মিলমালিকরা ১ ফেব্রুয়ারি থেকে দাম বাড়িয়ে খোলা চিনির কেজি ১০৭ টাকা ও প্যাকেটজাত চিনির কেজি ১১২ টাকা করেছে। তারপরও বাজারে পাওয়া যাচ্ছে না। এ ব্যাপারে ইউসুফ জেনারেল স্টোরের ইউসুফসহ অন্যান্য মুদি ব্যবসায়ীরা ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, চিনি নেই এটা স্বাভাবিক। তবে বেশি দামে পাওয়া যাচ্ছে। কেজিতে এক টাকা লাভ করলে পাওয়া যাচ্ছে। ১১২ টাকা বিক্রি করা হচ্ছে। তবে এখনো চাহিদা মতো পাওয়া যায় না। সামনে রমজান এ অজুহাতেই মিল থেকে চিনি দিচ্ছ না।
তারা আরও জানান, আগের মতোই ১ লিটার সয়াবিন তেল ১৮৫ থেকে ১৮৭ টাকা, ২ লিটার ৩৭০ থেকে ৩৮০ টাকা ও ৫ লিটার ৮৭০ থেকে ৯০৫ টাকা বিক্রি করা হচ্ছে। মসুর ডাল ৯৫-১৪০ টাকা কেজি বিক্রি করা হচ্ছে। প্যাকেট আটা ২ কেজি ১৩০ টাকা ও খোলা আটার কেজি ৬০ টাকা, ময়দা ১৫০ টাকা কেজি বিক্রি করা হচ্ছে।
কমেনি মুরগির দাম
গত সপ্তাহের মতো গরু মাংস ৭০০ টাকা, খাসির মাংস ১০০০ টাকা থেকে ১১০০ টাকা কেজি। পোল্ট্রি মুরগি ২১০ থেকে ২২০ টাকা, পাকিস্তানি মুরগির কেজি ৩১০ টাকা বিক্রি করা হচ্ছে বলে ব্যবসায়ীরা জানান। দাম বৃদ্ধির ব্যাপারে তারা বলছেন, সবকিছুর দাম বাড়তি। তাই মুরগির দামও বাড়ছে। তবে লেয়ার ২৮০, দেশি মুরগি আগের মতোই ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকা কেজি। তবে ডিমের দাম কিছুটা কমে ডজন ১২৫-১৩০ টাকা বিক্রি করা হচ্ছে।
মাংসের দাম বাড়তির কারণে আগের সপ্তাহের মতোই রুই, কাতলা, ইলিশসহ প্রায় মাছ বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। হ্যদয়সহ অন্য মাছ বিক্রেতারা জানান রুই ও কাতলার কেজি ২৫০-৪৫০ টাকা, চিংড়ি ৫০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা কেজি, টেংরা, বোয়াল, আইড় ৫০০-৮০০ টাকা, কাচকি ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা, শিং ৪০০ থেকে ৬০০, কাজলি, বাতাসি ৬০০ টাকা, পাঙ্গাস, তেলাপিয়া ১৫০ থেকে ২০০ টাকা কেজি বিক্রি করা হচ্ছে। এ ছাড়া, ইলিশের দাম বেড়ে আকার ভেদে ১২০০ থেকে ১৪০০ টাকা কেজি বিক্রি করা হচ্ছে।
কমছে পেঁয়াজ, আদা ও রসুন
পেঁয়াজের দাম কমতেই আছে। পাল্লা ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা, আর কেজি ৩০ থেকে ৪০ টাকা। আর দেশি রসুনের কেজি ১৩০ থেকে ১৫০ টাকা, চায়না রসুনের দামও কমে ২৬০ টাকা কেজি , দেশি আদার দামও কমে ১১০-১৪০ টাকা ও বিদেশি আদা ২৬০ টাকা কেজি বিক্রি করা হচ্ছে বলে জানান খুচরা বিক্রেতারা।
মিনিকেট চাল ৯০ টাকা কেজি
কোনোক্রমেই কমে না চালের দাম। বিভিন্ন কোম্পানির বস্তার চাল ৭২ টাকা বিক্রি করা হলেও প্রায় সিটি গ্রুপসহ বিভিন্ন কোম্পানির মিনিকেট চাল ৭৫ টাকা কেজি বিক্রি করা হচ্ছে। তবে প্রাণের ৫ কেজি মিনিকেট বিক্রি হচ্ছে ৪৫০ টাকা বলে আদনান জেনারেল স্টোরের কবির জানান। অন্য চাল ব্যবসায়ীরা জানান, মোটা স্বর্ণা চাল ৪৪ টাকা, আটাশ ও পাইজাম ৫৪ থেকে ৫৬ ও মিনিকেট চাল ৭০ থেকে ৭২ টাকা টাকা কেজি বিক্রি করা হচ্ছে।
কমেছে করলা, পটলের দাম
গ্রীষ্মকাল ঘনিয়ে আসায় করলা ও পটলের দাম কমছে। আগের সপ্তাহে করলা ও পটল ১২০ থেকে ১৫০ টাকা কেজি বিক্রি করা হলেও বর্তমানে তা ১০০ টাকা কেজি বিক্রি করা হচ্ছে বলে সবজি ব্যবসায়ীরা জানান। ঢেঁড়শের দামও কমে ১০০, টমেটো ২০ থেকে ৩০ টাকা কেজি, আলু ২৫ থেকে ৩০ টাকা, প্রতি পিস ফুলকপি ও বাঁধাকপি ২০ থেকে ৪০ টাকা, লাউ ৬০ টাকা, শিমের কেজি ২৫ থেকে ৫০ টাকা, মিষ্টি কুমড়ার কেজি ৩০ টাকা, মুলা ও পেঁপের কেজি ২০ থেকে ৩০ টাকা। শসা ও গাজরের দাম ৩০ থেকে ৪০ টাকা, লাল ও পালং শাকের আটি ১০ টাকা, মরিচ ১০০ থেকে ১২০ টাকা, বেগুন ৬০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে বলে খুচরা বিক্রেতারা জানান।
জেডএ/এমএমএ/