রাজনৈতিক প্রশ্রয়ে ঋণখেলাপি বাড়ছে, সেমিনারে বক্তারা

রাজনৈতিক আশ্রয়-প্রশ্রয়ে খেলাপি ঋণ দিন দিন বেড়েই চলেছে। কখনো ঋণখেলাপিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হয়নি। এক্ষেত্রে রাজনৈতিক সদিচ্ছা দরকার।
বৃহস্পতিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) মতিঝিলে ঢাকা চেম্বার আয়োজিত এক সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন।
ঢাকা চেম্বারের সভাপতি মো. সামির সাত্তারের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ।
সেমিনারে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সানেম-এর নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক ড. সেলিম রায়হান বলেন, ‘করোনায় প্রভাব না পড়লেও রাশিয়া ইউক্রেননে যুদ্ধের মারাত্মক প্রভাব পড়েছে। সরকার বললেও খেলাপি কমাতে পারছে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘এটা বেড়েই যাচ্ছে। অবশ্যই রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালীদের কারণে এটা সম্ভব হচ্ছে না। সামনে নির্বাচন। তাই রাজনীতিবিদদের প্রতিশ্রুতি থাকা উচিত যে খেলাপি বাড়বে না। এ ব্যাপারে হোমওয়ার্ক দরকার। ডলারের সংকট মেটাতে এলসি কন্ট্রোল কোনো সমাধান নয়। এতে বিনিয়োগ সমস্যা হচ্ছে।’
ব্যাংকিং খাতের ব্যাপারে তিনি বলেন, নীতি নির্ধারণীতে আরও বাস্তবসম্মত হতে হবে। ব্যাংকের সুদের হার ও বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময় হারের ব্যাপারে এখনই নজর দিতে হবে। কারণ, এক্সচেঞ্জ রেট চার রকম না, পাঁচ রকম। এটা হতে পারে না।
পাচারকৃত অর্থে আবার হুন্ডির মাধ্যমে দেশে চলে আসছে। বেশি রেট দেওয়ার কারণে হুন্ডির লাগাম টানা যাচ্ছে না। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে রেগুলেটরি বডিকে আরও শক্ত পদক্ষেপ নেওয়া দরকার। কারণ, সামনে নির্বাচনে। আরও অর্থপাচার বেড়ে যাবে।
সেমিনারে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘এলপিএল বা খেলাপি ঋণ বাড়ছে। এজন্য টাকা পাচ্ছি না। তাই খেলাপি বন্ধ করতে রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে। কেউ শাস্তি পেলে অবশ্যই খেলাপি বাড়ত না। ব্যাংক না থাকলে অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।’
খেলাপি ঋণের ব্যাপারে বাণিজ্যসচিব বলেন, ‘বেসরকারি খাতের লোকেরাই তো ব্যাংকের মালিক। যেখান থেকে টাকা আসবে না সেখানে কেন ঋণ দেয় তারা। তাদের কি কোনো দায় নেই? সব কিছু সরকারের কাছে ছেড়ে দিতে হবে? তাদেরও দেখা দরকার। যেখান থেকে ঋণ ফেরত আসবে না সেখানে যাতে ঋণ দেওয়া না হয় সে ব্যবস্থা করতে হবে।
জেডএ/এমএমএ/
