‘চিনি এত সাদা! কেমিক্যাল কি না দেখা দরকার’

চিনি এত সাদা কেন? কেমিক্যাল কি না খতিয়ে দেখা দরকার বলে মন্তব্য করেছেনে এফবিসিসিআইএর সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন।
তিনি বলেন, ‘সব ব্যবসায়ী খারাপ না। কিছু ব্যবসায়ী খারাপ থাকলে তা চিহ্নিত করতে হবে। ১৮ লাখ টাকার টিকিটে ব্রাজিলে গিয়ে দেখেছি চিনি এত সাদা হয় না।’
রবিবার (১২ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর মতিঝিলে এফবিসিসিআইয়ের সম্মেলনকক্ষে রমজান উপলক্ষে নিত্য পণ্যের মজুদ, সরবরাহ ও দামের ব্যাপারে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘আমাদের করপোরেটরা রিফাইন করে দাম বাড়াচ্ছে। যেভাবে চিনি দিচ্ছে তাতে গুণাগুণ থাকে কি না সন্দেহ। তা কেমিক্যাল কিনা দেখা দরকার। কারণ, এত সাদা চিনি বিশ্বে কোথাও নাই।’
সভায় ভোক্তা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এএইচএম শফিকুজ্জামান, মেঘনা গ্রুপের জিএম তসলিম উদ্দিন, সিটি গ্রুপের পরিচালক বিশ্বজিৎ সাহাসহ বিভিন্ন পণ্য অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি, সেক্রেটারি ও বিভিন্ন জেলার চেম্বার সভাপতিরা উপস্থিত ছিলেন।
খুচরা ব্যবসায়ী ও ডিলারদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে শীর্ষ ব্যবসায়ী নেতা বলেন, চিনির যে চাহিদা সে তুলনায় বেশি আমদানি হয়েছে। তারপরও দাম বেশি। আবার বাজারও পাওয়া যাচ্ছে না কেন। দাম নির্ধারণের সময় এফবিসিসিআর কেউ থাকে না। সিটি মেঘনাসহ করপোরেটর দাম নির্ধারণ করে ট্যারিফ কমিশনের সঙ্গে আলোচনা করে।
তারপরও কেন দাম ঠিক রাখছে না। অবশ্যই খুচরা ওই পাইকারি ব্যবসায়ীদের দশ শতাংশ পর্যন্ত লভ্যাংশ দিতে হবে। মিন থেকে সরাসরি চিনি তেল বিক্রি করলে খুচরা ব্যবসায়ী তাহলে কী করবে। দাম নির্ধারণের ব্যাপারে মিলমালিকদের ডাকা হবে।
তিনি আরও অভিযোগ করে বলেন, ‘মাল দেব, কাগজ দেব না এটা তো হবে না। আমরাও তো ব্যবসা করি আমরা কাগজ দিয়ে ব্যবসা করছি। তাহলে আপনাদের বিরুদ্ধে কেন এত অভিযোগ। আসলে করপোরেটদের কোথাও সমস্যা আছে তা আলোচনা করে সমাধান করা দরকার। ব্যবসায়ীরা ট্যাক্স দিয়ে ভ্যাট দেয় তাই হতাশ আবার কিছু নেই। সৎ পথে, বৈধ পথে ব্যবসা করতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা ব্যবসায়ী, আবার আমরা ক্রেতা এই মনোভাব দেখাতে হবে। যুদ্ধ বন্ধ না হলে আন্তর্জাতিক পণ্যের দাম কমার সম্ভাবনা নাই।’
আমদানিকৃত নিত্যপণ্যের ট্যাক্স-ভ্যাট কমাতে সরকারের প্রতি আহ্বানও জানান তিনি।
এমএমএ/
