রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪ | ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ট্যাক্স ছাড়ে বাড়ছে না কর-জিডিপির অনুপাত

সরকার বড় বড় প্রকল্পসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যয় মেটাতে প্রতি অর্থবছরে বাজেটে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা বাড়াচ্ছে। এই রাজস্ব বাড়লেও কর মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) অনুপাত বাড়ছে না। বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে (ট্যাক্স) রাজস্ব ও দেশীয় শিল্পের বিকাশে রাজস্ব ছাড় ও প্রণোদনা দেওয়ার কারণেই কর-জিডিপি বাড়ছে না। স্বল্পকর হার, কর অব্যাহতি ও কর অবকাশ সুবিধা দেওয়ার কারণে কর জিডিপির অনুপাত প্রকৃত অনুপাত থেকে ২ দশমিক ২৮ শতাংশ কম হচ্ছে। কিন্তু আইএমএফ বলছে ঋণ নিতে হলে তা বাড়াতে হবে।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সূত্র মতে, ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসে ২০০৯-১২ অর্থবছরে এক লাখ ১৩ হাজার টাকার বেশি বাজেট ঘোষণা করে। এতে এনবিআর এর রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্য ধরা হয় ৬১ হাজার কোটি টাকা। এর বিপরীতে আদায় হয়েছে ৬২ হাজার কোটি টাকার বেশি। এভাবে প্রতি অর্থবছরে বাজেটের আকার বাড়তে বাড়তে গত অর্থবছরে (২০২১-২২) ৬ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা করে। যেখানে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় ৩ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। এরমধ্যে আদায় হয়েছে ৩ লাখ ১৬ হাজার কোটি টাকার বেশি। প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৫ শতাংশের বেশি। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কর আদায় হয় মূলত ভ্যাট (মূল্য সংযোজন কর) বা মূসক, আয়কর ও কাস্টমস থেকে।

এই তিন খাতের কর আহরণ ভালো হলেও সেই তুলনায় কর জিডিপির অনুপাত খুবই কম। তা কাঙ্খিত পর্যায়ে পৌঁছাতে পারেনি। স্বল্পকর হার, কর অব্যাহতি ও কর অবকাশ সুবিধা দেওয়ার কারণে কর জিডিপির অনুপাত প্রকৃত অনুপাত থেকে ২ দশমিক ২৮ শতাংশ কম হচ্ছে। কিন্তু যে করেই হোক এটা বাড়াতে হবে। এই বাড়ানোসহ আর্থিকখাতে সংস্কারের শর্তে আইএমএফ সম্প্রতি ঋণ দিয়েছে।

এ ব্যাপারে গবেষণা প্রতিষ্ঠান পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট (পিআরআই) এর গবেষণা পরিচালক ড. এম এ রাজ্জাক বলেন, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ঋণের টাকা পেতে সরকারকে ২০২৬ অর্থবছর শেষে অতিরিক্ত ২ লাখ ৩৪ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আদায় করতে হবে। অভ্যন্তরীণ রাজস্ব খাতকে শক্তিশালী করতে আইএমএফ এ শর্ত দিয়েছে। তিনি বলেন, আইএমএফের ৪.৭ বিলিয়ন ডলার ঋণ পেতে শর্ত অনুযায়ী জিডিপিতে করের অবদান সাত দশমিক ৮ থেকে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৮ দশমিক ৩ শতাংশ, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ৮.৮ শতাংশ এবং ২০২৫-২৬ অর্থবছরের কর জিডিপি অনুপাত বাড়িয়ে ৯ দশমিক ৫ শতাংশে উন্নীত করতে হবে।

এনবিআর সূত্র বলছে, শিল্পখাতের পণ্য পরিবহন ও সরবরাহসহ অবকাঠামো খাতে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য কর অব্যাহতি সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ নির্মাণে ২২টি তথ্য প্রযুক্তিখাতে ২০০৮ সাল থেকে শতভাগ কর অব্যাহতি রয়েছে। রপ্তানিমুখী পোশাক ও বস্ত্র খাতেও ১২ শতাংশ কর সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া দেশীয় শিল্পের বিকাশে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত পণ্য বিক্রি ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত সম্পূর্ণ করমুক্ত সুবিধা দেওয়া হয়েছে।

কৃষিখাত, ফল ও শাক-সবজি প্রক্রিয়াজাতকরণে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য কর সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। শুধু তাই নয়, বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ তৈরি করতে বাংলাদেশের রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলের শিল্প থেকে আয়ের উপর ৫ থেকে ৭ বছরের জন্য ১০০ থেকে ২৫ শতাংশ পর্যন্ত কর অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল, হাইটেক পার্ক ও পিপিপি প্রকল্পেও বিশেষ কর অব্যাহতি দেওয়া হচ্ছে।

এ ছাড়া তৃতীয় লিঙ্গ ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তির কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতেও কর ছাড় দেওয়া হচ্ছে। সর্বশেষ করোনাকালেও স্বাস্থ্যখাতের সুরক্ষা দিতে কর ছাড় দেওয়া হয়েছে।

১৯৭২ সালে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড গঠনের পর ব্যক্তি শ্রেণির কাছে কর আদায় করা হয়। এরপর সময়ের পরিবর্তনে ১৯৮৪ সালে আয়কর আইন, ১৯৯৩ সালে করদাতা শনাক্তকরণ নম্বর (টিআইএন) প্রচলন হয়। তারপর থেকেই প্রত্যেক ব্যক্তির আয়ের উপর কর ধার্য করা হয়। একে আরও গ্রহণযোগ্য করতে ২০০৯ সালে জাতীয় আয়কর দিবস ও ২০১০ সাল থেকে আয়কর মেলার আয়োজন করা হচ্ছে। এরপর আয়করকে আরও সহজলভ্য করার জন্য ই-টিআইএন ও ই রিটার্ন দাখিল ব্যবস্থার প্রবর্তন করা হয়।

এনবিআর সূত্রে আরও জানা গেছে, ১৯৭২-৭৩ অর্থবছরে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের মোট রাজস্ব আদায়ে আয়কর (প্রত্যক্ষ কর) আদায় হয়েছিল প্রায় ১১ কোটি টাকা বা ১০ শতাংশের কম। গত অর্থবছরে এসে আয়কর আদায়ের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে এক লাখ ২১ হাজার কোটি টাকা বা ৩৪ শতাংশ। ২ লাখ ৮৫ হাজার রিটার্ন দাখিলের মাধ্যমে এই আয়কর আদায় হয়েছে। তারপরও কর জিডিপির অনুপাত কম।

এ ব্যাপারে এনবিআর এর কমিশনার সৈয়দ মুসফিকুর রহমান বলেন, আমরা আয়কর, ভ্যাট ও কাস্টমস এর মাধ্যমে রাজস্বের ৯৬ শতাংশ আহরণ করি। বাকি ৪ শতাংশ সরকার বিভিন্ন উৎস থেকে বাজেটের রাজস্ব আদায় করে। ভ্যাট বেশি করে আদায় করার জন্য ১৯৯১ সালে প্রথম ভ্যাট প্রথা চালু করা হয়। এরপর ২০১২ সালে ভ্যাট আইন হলেও বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতার কারণে ৭ বছর পর ২০১৯ সালে তা কার্যকর হয়। কিন্তু সরকার যে উন্নয়ন কৌশল অবলম্বন করেছে অর্থাৎ ২০৩১ সালের মধ্যে উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশে যেতে রাজস্ব আরও বাড়াতে হবে। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে কর জিডিপির অনুপাত ১৩ দশমিক ৫০ শতাংশে উন্নীত করতে হবে। বর্তমানে ১০ শতাংশের নিচে রয়েছে। আমরা এভাবে আয় করলেও মাত্র দশমিক ২২ শতাংশ বিনিয়োগ করা হয় অর্থাৎ ১০০ টাকা আয় করলে ২২ পয়সা ব্যয় করা হয়। তাই রাজস্ব আহরণে পদ্ধতিগত সংস্কার দরকার, সিস্টেমে পরিবর্তন আনতে হবে।

এদিকে এনবিআর এর আরেক সদস্য শওকত আলী সাদিক বলেন, আমাদের স্মার্ট ভ্যাট ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। করের আওতা বাড়ানোর জন্য ই-রিটার্ন দাখিল, ইএফডি মেশিন চালুসহ বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। গুগল, অ্যামাজনসহ অনেক কোম্পানিকে করের আওতায় আনা হয়েছে।

আরেক কর কমিশনার ইকবাল হোসেন বলেন, অর্থনীতির চাহিদা বিবেচনা করে বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট ও দেশীয় শিল্পের বিকাশে বিভিন্ন ক্ষেত্রে কর ছাড় ও প্রণোদনা দেওয়া হচ্ছে। আমাদের গবেষণায় দেখা গেছে এ কারণে ২ দশমিক ২৮ শতাংশ কম হচ্ছে কর-জিডিপির অনুপাত। তাই কর-জিডিপির অনুপাত বাড়ছে না। তারপরও আমরা প্রত্যক্ষ করে গুরুত্ব দিচ্ছি। জানুয়ারি পর্যন্ত ৮৪ লাখ ৪৯ হাজার করদাতা নিবন্ধিত হয়েছে। আর রিটার্ন দাখিল হয়েছে ২ লাখ ৮৫ হাজার। ২০১৫ সালে করদাতা নিবন্ধিত ছিল মাত্র ১৬ লাখ ৫১ হাজার এবং রিটার্ন দাখিল করেছিল এক লাখ ৯২ হাজার।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম সদ্য শেষ হওয়া রাজস্ব সম্মেলনে দেওয়া বক্তব্যে বলেছেন, আমরা ট্যাক্স বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছি। জমি রেজিস্ট্রেশনসহ ৩৮টি জায়গায় রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। ডিপিডিসির সঙ্গেও চুক্তি হয়েছে। বিদ্যুৎ বিল ও জমির দলিল দেখে করদাতা শনাক্ত করা হচ্ছে। তবে সব কিছু অটোমেশন করা হলেই যে ফল ভালো পাওয়া যাবে তা না। কারণ সফটওয়্যার রান করার জন্য দক্ষ মানুষ নেই। তা একান্ত দরকার।

এনএইচবি/আরএ/

Header Ad

গোপনে দুইজনকে বিয়ে, কাউকেই অধিকার বঞ্চিত করেননি জান্নাতুল

ছবি: সংগৃহীত

একইসঙ্গে দুই স্বামীর সঙ্গেই সংসার করছেন জান্নাতুল ফেরদৌস নামের এক নারী। স্ত্রীর অধিকার থেকে বঞ্চিত করেননি দুই স্বামীর কাউকেই। গোপনে মন জয় করে চলছিলেন দুই স্বামীর। প্রায় দুই বছর দুই স্বামীর সংসার করার পর অবশেষে বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

চার বছরের প্রেমের সম্পর্কের পর ২০২২ সালের ২৭ অক্টোবর নোটারি পাবলিকের কার্যালয়ে হলফনামার মাধ্যমে গোপনে বিয়ে করেন রাজবাড়ী সদরের আলীপুর ইউনিয়নের ইন্দ্রনারায়ণপুর গ্রামের আবু হানিফ শেখের ছেলে ইউটিউবার সাগর শেখ ও আলীপুর গ্রামের নুরুল ইসলাম ভূঁইয়ার মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌস।

বাবা, মা ও ভাই প্রবাসে থাকায় বাবার বাড়িতে একাই বসবাস করতেন জান্নাতুল। সেখানে যাতায়াত করতেন স্বামী সাগর শেখ। সংসার জীবন ভালোই চলছিল এ দম্পতির। হঠাৎ জান্নাতুলের বাবা প্রবাস থেকে দেশে ফেরায় শ্বশুরবাড়ি যাতায়াত বন্ধ হয়ে যায় সাগরের। এরই মধ্যে প্রথম বিয়ের কথা গোপন রেখে পরিবারের সিদ্ধান্তে অন্য এক যুবককে দ্বিতীয় বিয়ে করেন জান্নাতুল।

এদিকে স্ত্রীকে আনুষ্ঠানিকভাবে নিজের বাড়িতে তুলে না নেয়ায় শ্বশুরবাড়ি গিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে নিয়মিত সময় কাটান জান্নাতুলের দ্বিতীয় স্বামী। প্রথম স্বামী সাগরের দাবি, প্রায় দুই বছর ধরে তার সঙ্গেও স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক ঠিক রেখে চলছিলেন জান্নাতুল।

স্ত্রীর পরিবার তাকে মেনে না নেয়ায় তার বোনের বাসাসহ বিভিন্ন স্থানে একান্তে সময় কাটাতেন স্বামী-স্ত্রী। চলতি মাসের ২ নভেম্বর তারা একসঙ্গে নিজেদের দ্বিতীয় বিবাহবার্ষিকী পালন করেছেন বলেও দাবি করেন সাগর।

তবে দুই সপ্তাহ আগে স্ত্রীর সঙ্গে দ্বিতীয় স্বামীর ঘনিষ্ঠতার বিষয়ে জানতে পারেন সাগর। আর এতেই বাঁধে বিপত্তি। তার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন জান্নাতুল। এখন দ্বিতীয় স্বামী নিয়েই সংসার করতে আগ্রহী তিনি। বাধ্য হয়ে স্ত্রীকে ফিরে পেতে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদে অভিযোগ দায়েরের পাশাপাশি আদালতে মামলা করেছেন সাগর।

সাগর শেখ বলেন, জান্নাতুল ও আমার বিয়ের বিষয়টি জান্নাতুলের মা ও বোন জানতো। বিয়ের পর আমাদের সংসার জীবন ভালোই কাটছিল। তবে হঠাৎ করে জান্নাতুলের বাবা প্রবাস থেকে দেশে ফেরায় তাদের বাড়িতে আমার যাতায়াত বন্ধ হয়ে যায়। আমাদের বিয়ের চার মাসের মাথায় আমি ভিডিও কন্টেন্ট তৈরির কাজে কয়েকদিনের জন্য রাজবাড়ীর বাইরে যাই।

কাজ থেকে এসে শুনি আমার স্ত্রী জান্নাতুল অন্য এক ছেলেকে বিয়ে করেছে। আমি আমার স্ত্রীকে প্রশ্ন করলে সে বলে, ‘পরিবারের চাপে বিয়ে করেছি। ওই ছেলের সঙ্গে আমার কোন সম্পর্ক হয়নি। আমি তোমার স্ত্রী আছি, তোমারই থাকবো। আমার আম্মু দেশে আসলে আমি তোমার কাছে চলে আসবো।’

সাগর বলেন, ‘আমি জান্নাতুলদের বাড়ি যাতায়াত করতে না পারার কারণে বিভিন্ন সময় আমরা রাজবাড়ী শহরে আমার বোনের বাসায় ঘনিষ্ঠ সময় কাটাতাম। ওর কলেজে আনা-নেয়াসহ সবকিছু আমিই করতাম। এমনকি গত ২ নভেম্বরও আমরা আমার বোনের বাসায় আমাদের দ্বিতীয় বিবাহ বার্ষিকী পালন করেছি।

তবে বিবাহ বার্ষিকী পালনের দুদিন পরে আমি জানতে পারি জান্নাতুলের সঙ্গে ওই ছেলের (দ্বিতীয় স্বামীর) ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক চলছে। ওই ছেলে নিয়মিত জান্নাতুলের বাবার বাড়িতে এসে তার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সময় কাটাচ্ছে। এ বিষয়ে আমি জান্নাতুলকে প্রশ্ন করলে সে আমাকে গালাগালি করে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। এক পর্যায়ে সে আমার সঙ্গে সংসার করবে না বলেও জানায়।’

তিনি বলেন, ‘সম্প্রতি জান্নাতুলের মা প্রবাস থেকে দেশে ফিরেছে। তিনিও এখন আমাকে মেয়ের জামাই হিসেবে অস্বীকার করছেন। অথচ তার মেয়ের সঙ্গে আমার প্রেম থেকে শুরু করে বিয়ে পর্যন্ত সবকিছুই তিনি জানতেন।

এখন বাধ্য হয়ে আমি আমার স্ত্রীকে ফিরে পেতে আলীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের কাছে গত ১১ নভেম্বর লিখিত অভিযোগ করেছি। এছাড়া ১৭ নভেম্বর রাজবাড়ীর বিজ্ঞ ১নং আমলি আদালতে মামলা করেছি।’

সাগর আরও বলেন, ‘আমাকে ডিভোর্স না দিয়ে আমার স্ত্রী অন্য আরেকজনকে বিয়ে করে আমার সঙ্গে প্রতারণা করেছে। সে আমাকেও ম্যানেজ করে চলেছে, একইভাবে তার দ্বিতীয় স্বামীকেও ম্যানেজ করে চলেছে।

এটা আইন ও ধর্মীয় দুই দিক থেকেই অপরাধ। এছাড়া আমি এ পর্যন্ত আমার স্ত্রীর পেছনে ২৫ থেকে ৩০ লাখ টাকা ব্যয় করেছি। তারপরও আমি আমার স্ত্রীকে ফেরত চাই। তাকে আমি আমার জীবনের চেয়েও বেশি ভালোবাসি।’

এদিকে, বিষয়টি নিয়ে ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজী হননি জান্নাতুলের দ্বিতীয় স্বামী। তবে তার দাবি, জান্নাতুলের সঙ্গে সাগরের প্রেমের সম্পর্ক ছিল বলে তিনি জানতেন। সাগরের সঙ্গে বিয়ের বিষয়টি তিনি জানতেন না।

জান্নতুলের দ্বিতীয় স্বামীর বাবা বলেন, ‘কোন এক সূত্রে আমার শ্বশুর জান্নাতুলদের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে তাকে পছন্দ করে। পরে আমি গিয়ে তার বাবার কাছে বিয়ের প্রস্তাব দিলে বিয়ের দিন ধার্য হয়। বিয়ের আগের দিন সাগর নামে এক ছেলে আমার ছেলেকে ফোন করে বলে জান্নাতুলের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক আছে।

সে জান্নাতুলের সঙ্গে নিজের একটি ছবিও আমার ছেলেকে পাঠায়। এরপর আমি ওই এলাকায় আমার আত্মীয়দের কাছে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি জান্নাতুলের সঙ্গে সাগরের কোন সম্পর্ক ছিল না। এছাড়া জান্নাতুলকেও আমি সরাসরি প্রশ্ন করলে সেও সম্পর্কের বিষয়টি অস্বীকার করে।

পরে ঘরোয়া আয়োজনে জান্নাতুলের সঙ্গে আমার ছেলের বিয়ে হয়। এখন সাগর নামে ছেলেটি জান্নাতুলকে তার স্ত্রী হিসেবে দাবি করছে। আমি যতদূর জেনেছি সাগরের স্ত্রী ও সন্তান আছে। এখন বিষয়টি আইনগতভাবেই সমাধান হবে।

আর জান্নাতুল ফেরদৌসের সঙ্গে কথা বলতে তার বাবার বাড়িতে গেলে ভেতরে ঢোকার অনুমতি মেলেনি।’

বাইরে দাঁড় করিয়ে রেখে তার মা হাচিনা বেগম বলেন, ‘সাগরের সঙ্গে আমার মেয়ের বিয়ে হয়েছিল৷ তবে বিয়ের দুই মাসের মাথায় তাদের ডিভোর্স হয়ে যায়। আমার মেয়ে তো ছোট বুঝে নাই, যে কারণে সেসময় ওরা ডিভোর্সের কাগজ ছিঁড়ে ফেলেছে। এর ৪/৫ মাস পরে আমার মেয়ের আবার বিয়ে হয়েছে। সাগর আমার মেয়েকে চাপে ফেলে এতোদিন তার সঙ্গে সময় কাটাতে বাধ্য করেছে।’

আলীপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আবু বকর সিদ্দিক জানান, ‘সাগর ও জান্নাতুলের বিবাহ বিচ্ছেদ হলে তার নোটিশের একটি কপি ইউনিয়ন পরিষদে আসার কথা। এরকম কোন কপি কখনো পাননি তারা।’

তিনি বলেন, ‘সাগর আমার ইউনিয়ন পরিষদে অভিযোগ করেছে। আমিও খোঁজ নিয়ে জানতে পেরেছি সাগর জান্নাতুলের প্রথম স্বামী। সে সাগরকে তালাক না দিয়েই বিয়ের চার মাসের মাথায় অন্য এক ছেলেকে বিয়ে করে। প্রায় দুই বছর সে চালাকি করে দুই স্বামীর সঙ্গেই সংসার করেছে। সাগরের কাছ থেকে জান্নাতুল অনেক টাকা-পয়সা খেয়েছে বলেও আমি জানতে পেরেছি।’

আবু বক্কার বলেন, ‘সাগরের অভিযোগের ভিত্তিতে আমি জান্নাতুলের বাবাকে নোটিশের মাধ্যমে ইউনিয়ন পরিষদে ডাকি। তবে নোটিশ পেয়ে তিনি তার ছোটভাই ও তাদের এলাকার ইউপি সদস্য আবুল কালামকে সঙ্গে নিয়ে আমার বাড়িতে এসে বলেন, আমি যেন পরিষদে বসে বিষয়টি সমাধান করে দেই। তবে এর ১/২ দিন পরে তিনি জানান, এ বিষয়ে তারা বসতে চান না।

আইনগতভাবে তারা বিষয়টি সমাধান করতে চান। পরে আবার তারা বসতে সম্মত হলে জান্নাতুল ও তার বাবা এবং তাদের এলাকার ইউপি সদস্য আবুল কালামসহ পরিষদের অন্য সদস্যদের নিয়ে বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ইউনিয়ন পরিষদে বসেছিলাম। সাগরও সেখানে ছিল। তবে সেখানে জান্নাতুল বলে দিয়েছে সে কোনভাবেই সাগরের সঙ্গে ঘর সংসার করবে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের পুরুষ শাসিত সমাজে নারীরা নির্যাতিত হয়। কিন্তু ছেলেরা যে কতোটুকু নির্যাতিত হয় তা এই সম্পর্কের জের দেখলে বোঝা যায়। আমাদের সমাজে ছেলেরা আরও বেশি নির্যাতিত হচ্ছে। সেটা নীরবে নিভৃতে ছেলেরা সহ্য করে যাচ্ছে। আমি আশা করবো আপনারা সাংবাদিক ভাইয়েরা বিষয়টি তুলে ধরবেন।

আপনাদের সংবাদের মাধ্যমে মানুষ যাতে সচেতন হতে পারে। আজকে আমার ইউনিয়নে এমন ঘটনা ঘটেছে। আর কোন ইউনিয়নে যেন এমন ঘটনা কোনদিন না ঘটে।’

Header Ad

শহীদ আব্দুল্লাহর বাড়িতে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মোবারক হোসেন

ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

২৪ এর গনঅভূ্থানে ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম যোদ্ধা, সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের মেধাবী শিক্ষার্থী, শহীদ আব্দুল্লাহর বাড়িতে যান বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মোবারক হোসেন।

এ সময় মোবাইল ফোনে লাউডস্পিকারে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা.শফিকুর রহমান বলেন, আব্দুল্লাহ দেশের জন্য মানুষের জন্য মানবতার কল্যাণের জন্য জীবনকে উৎস্বর্গ করে আল্লাহর দরবারে চলে গেছেন, আল্লাহ তাকে শহীদ হিসাবে কবুল করুন। শহীদরা মরে না। তারা আল্লাহর জীম্মায় জীবন্ত থাকে। এ সময় শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন তিনি।

শনিবার (২৩ নভেম্বর) দুপুর ১২ টার দিকে যশোরের বেনাপোল পোর্ট থানার বড় আঁচড়া গ্রামে বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মোবারক হোসেন আব্দুল্লাহর বাড়িতে গিয়ে শোকসন্তপ্ত পরিবারের খোঁজ খবর নেন,কবর জিয়ারত করেন এবং তার রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করেন।

এর আগে তিনি নাভারণ দারুল আমান ট্রাষ্টে ওলামা সম্মেলনে যোগদান করেন। পরে ২০১৬ সালে গুম হওয়া ইসলামি ছাত্র শিবিরে নেতা রেজোয়ানের বাড়িতে যান এবং খোঁজ খবর ও সমবেদনা জানান।

এসময় তিনি জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে মৃত্যু বরনকারী সকলে ন্যায় বিচার পাবেন বলে পরিবারের সদস্যদের সান্তনা দেন। এবং গনঅভূ্থানে নিহত সকল পরিবারের সাথে বাংলাদেশ জামায়াত ইসলাম আছে থাকবে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদ সদস্য মাওলানা আজিজুর রহমান, যশোরের জেলা আমীর অধ্যক্ষ মাওলানা গোলাম রসূল, সাবেক জেলা আমীর মাওলানা হাবীবুর রহমান, জেলা জামায়াতের নেতা মাওলানা আবু জাফর, মাওঃ শিহাব উদ্দিন শার্শা থানা আমীর রেজাউল ইসলাম, সেক্রেটারী মাওলানা ইউসুফ আলী ও ঝিকরগাছা থানা আমীর মাওলানা আসাদুল আলম প্রমূখ।

Header Ad

বিরামপুরে আদিবাসী নারীর লাশ উদ্ধার

ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

দিনাজপুরের বিরামপুরে বিশনি পাহান (৫৫) নামের এক আদিবাসী নারীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

শনিবার (২৩ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় উপজেলার কাটলা ইউনিয়নের ময়না মোড় এলাকার ধানক্ষেত থেকে ওই নারীর হাতবাঁধা লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত বিশনি পাহান উপজেলার কাটলা ইউনিয়নের বেণুপুর গ্রামের সাধন পাহানের মেয়ে।

নিহতের ভাই চরকা পাহান বলেন, আমার ছোট বোনের স্বামী বিশনি পাহানকে ছেড়ে চলে গেছেন। সে প্রতিরাতেই নেশা করতো। বাবা মারা যাওয়ার পর থেকেই আমার বাড়িতে থাকতো আমার বোন। আমার বোন এলাকায় মানুষের জমিতে কৃষি কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতো। শুক্রবার বিকেলে এলাকার এক ব্যক্তির জমিতে ধান কাটার কাজ শেষ করে আর বাড়িতে ফেরেননি। রাতে অনেক খোঁজাখুঁজির পরও তাকে কোথাও পাওয়া যায়নি। শনিবার সকালে ধানক্ষেতে হাতবাঁধা অবস্থায় তার লাশ পাওয়া যায়।

বিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমতাজুল হক জানান, এলাকাবাসীর দেওয়া খবরে ঘটনাস্থল থেকে আদিবাসী এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা যাচ্ছে তাকে কে বা কাহারা হত্যা করেছে। তদন্ত করলেই প্রকৃত ঘটনা বেরিয়ে আসবে।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

গোপনে দুইজনকে বিয়ে, কাউকেই অধিকার বঞ্চিত করেননি জান্নাতুল
শহীদ আব্দুল্লাহর বাড়িতে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মোবারক হোসেন
বিরামপুরে আদিবাসী নারীর লাশ উদ্ধার
বিএনপির কাঁধে অনেক দ্বায়িত্ব: তারেক রহমান
'জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন হওয়া উচিত'- তোফায়েল আহমেদ
৩ মাসে জ্বালানি খাতে সাশ্রয় হয়েছে ৩৭০ কোটি টাকা : জ্বালানি উপদেষ্টা
জুটি বাধলেন মিঠুন চক্রবর্তী-আফসানা মিমি
দেশ ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় দ্রুত নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই : তারেক রহমান
২৪ ঘণ্টার মধ্যে বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপের আশঙ্কা
অক্টোবরে সড়কে প্রাণ গেছে ৪৭৫ জনের
গায়ানায় দলের সঙ্গে যোগ দিলেন সাকিব
আইপিএল নিলামের আগেই নিষিদ্ধ হলেন ভারতের ২ ক্রিকেটার
গাজীপুরে পিকনিকের বাসে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যু
কবে বিয়ে করবেন জানালেন তামান্না ভাটিয়া
পঞ্চগড়ে ৫০০ টাকায় সন্তান বিক্রি, অতঃপর যা ঘটল...
অ্যান্টিগায় প্রথম দিন শেষে স্বস্তিতে টাইগাররা
সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন পরীমণির প্রথম স্বামী
বিচারের আগে আ.লীগের মাঠে থাকার সুযোগ নেই: উপদেষ্টা নাহিদ
মাকে হত্যার পর থানায় হাজির ছেলে
৮ ক্রিকেটারসহ ৯ জনকে নিষিদ্ধ করলো বিসিবি