রাবারকে কৃষিপণ্য হিসেবে স্বীকৃতির দাবি

দেশের রাবার শিল্পের সম্প্রসারণ এবং গুণগত মানসম্পন্ন রাবার উৎপাদনের লক্ষ্যে বিদ্যমান সমস্যা নিরসনসহ সরকারের কাছে ১১ দফা দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ রাবার গার্ডেন ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন।
রবিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে রাবার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মুহাম্মদ হারুনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানান রাবার অ্যাসোসিয়েশনের উপদেষ্টা এবং এফবিসিসিআইর পরিচালক সৈয়দ মোয়াজ্জম হোসেন।
দাবিগুলো হলো- রাবারকে কৃষি পণ্য ঘোষণা, ৮০-এর দশকে বরাদ্দকৃত প্লটের চুক্তির নবায়ন, রাবার চাষিদের স্বল্প সুদে ঋণ সুবিধা প্রদান, বিদেশ থেকে উচ্চ ফলনশীল বীজ আমদানি, দেশে উৎপাদিত রাবার পণ্যের উপর ভ্যাট প্রত্যাহার, স্থানীয় রাবার শিল্পের সুরক্ষায় আমদানি পর্যায়ের রাবারের শুল্ক বৃদ্ধি, হেডম্যান রিপোর্টের যথেচ্ছ ব্যবহার বন্ধ করা, অবৈধ দখল বন্ধ করা, জমি হস্তান্তর ও নামজারি ব্যবস্থা করা এবং রাবার রিসার্চ ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা।
রাবার অ্যাসোসিয়েশনের উপদেষ্টা বলেন, রাবার বাংলাদেশের সাদা সোনা নামে পরিচিত। দেশের বাজারে যানবাহনের টায়ার, টিউব, জুতা, সেন্ডেল, হোসপাইপ, ফোম, খেলার সামগ্রীসহ শিল্পকারখানায় রাবারের চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। পৃথিবীর অন্যান্য রাবার উৎপাদনকারী দেশ এটিকে কৃষিপণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দিলেও আমাদের দেশে এখনো তা বাস্তবায়িত হয়নি। যার ফলে এ খাতের উদ্যোক্তারা সরকারের কৃষি বিষয়ক সব প্রণোদনা সহায়তা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। তাই এ খাতের বিকাশে রাবারকে কৃষিপণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হোক।
মোয়াজ্জম বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে পার্বত্য চট্টগ্রামে বেশ কয়েকটি বাগানের উপর ভূমিদস্যু, সন্ত্রাসী বাহিনীর তাণ্ডবে রাবার শিল্প ধ্বংসের মুখোমুখি হচ্ছে। ৬০-এর দশকে আমদানিকৃত বীজের চারা থেকে বর্তমানে আমাদের উৎপাদন কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে, তবে এ ধরনের বীজ ফলন ক্ষমতা কম থাকায় আমাদের উদ্যোক্তারা আর্থিক ক্ষতির মুখোমুখি হচ্ছে। তাই অন্যান্য দেশ থেকে উচ্চ ফলনশীল বীজ আমদানিতে কৃষি মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট সংস্থার সহযোগিতা কামনা করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ রাবার গার্ডেন ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব মো. মনসুর আলম, সাবেক সভাপতি কামাল উদ্দিন, সাবেক সহ-সভাপতি জহিরুল ইসলাম এবং বাংলাদেশ রাবার বোর্ডের সদস্য মো. সলিমুল হক চৌধুরীসহ সংগঠনের অন্য নেতারা।
জেডএ/এসজি
