‘চার কোটি টাকা জরিমানা করলেও কোষাগারে জমা হয় না’

ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই-এর সিনিয়র সহ-সভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু বলেছেন, বাংলাদেশের ৬ কোটি মানুষ হোল্ডিং ট্যাক্স দেয়। কিন্তু ৭০ লাখ মানুষও ট্যাক্স দিচ্ছে না।
তিনি বলেন, ‘তাই সব ব্যবসায়ীদের কাছে গিয়ে সার্ভে করতে হবে। তাদের খুঁজে খুঁজে ট্যাক্স এর আওতায় আনতে হবে। হয়রানি না করে সব ব্যবসায়ীদের ভ্যাটের আওতায় আনা হয়। কারণ, দেখা গেছে এক ব্যবসায়ীর কাছে চার কোটি টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। কিন্তু সেই অর্থ সরকারের কোষাগারে জমা হয়নি।’
রবিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাজস্ব সম্মেলনে তিনি সব কথা বলেন। রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এর উদ্যোগে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
এনবিআর এর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম এর সভাপতিত্বে ‘জাতীয় উন্নয়নে ভ্যাটের ভূমিকা: বর্তমান ও ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক এ সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বলেন, আমাদের কাছে অভিযোগ এসেছে রাজস্ব বোর্ডের কর্মকর্তা এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে চার কোটি টাকা জরিমানা আদায় করেছে। কিন্তু সে লাভবান হলেও এক টাকাও রাজস্ব খাতে জমা হয়নি। কর্মকর্তাদের পকেটে গেছে সব টাকা। তাই ভ্যাট গোয়েন্দা নজরদারি বাড়াতে হবে। যাতে ব্যবসায়ীদের হয়রানির সম্মুখীন হতে না হয়।
এই ব্যবসায়ী বলেন, বেশি রাজস্ব আদায় করলে বা ভ্যাট ফাকি বের করলে কর্মকর্তাদের পুরস্কৃত করা হয়। এ কাজ করতে গিয়ে ব্যবসায়ীদের হয়রানি করা হয়। কিন্তু যারা বেশি রাজস্ব দিবে সে সব ব্যবসায়ীদেরও প্রণোদনার ব্যবস্থা করতে হবে। তারা হোল্ডিং ট্যাক্স দিলে কর দিবে না কেন। তা বের করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, হয়রানি না করে সব ব্যবসায়ীকে ভ্যাটের আওতায় আনতে হবে। কারণ যারা ভাট দিচ্ছে তাদের উপর চাপ বাড়ছে। করের নেট বাড়াতে হবে। শুধু জেলা নয় উপজেলা পর্যায়ে এনবিআর অফিস করতে হবে।
বর্তমানে ডলার সংকট ও জ্বালানি সমস্যার কারণে ব্যবসার অবস্থা নাজুক। হয়রানি কমাতে প্রয়োজনে বেশি অর্থবরাদ্দ দিয়ে অটোমেশনকে শক্তিশালী করতে হবে। এফবিসিসিআই এটা চাই।
জেডএ/এমএমএ/
