রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪ | ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

চিনি নিয়ে ছিনিমিনি চলছেই, রমজানের আগে মজুতের অভিযোগ

মিলমালিকরা দাম বাড়াতে বাড়াতে সর্বশেষ ১ ফেব্রুয়ারি খোলা চিনির কেজি ১০৭ টাকা ও প্যাকেটজাত ১১২ টাকা করেছে। তারপরও তারা রমজান মাসকে টার্গেট করে কারসাজি করে আটকে রাখছে। ডিলারও পাইকারি ব্যবসায়ীদের চাহিদা মতো চিনি দিচ্ছে না।

সামান্য কিছু দিলেও আগের চেয়ে বেশি দাম আদায় করছে। এর ফলে খুচরা ব্যবসায়ীরাও চিনি পাচ্ছেন না। বাজারে সহজে মিলছে না চিনি। কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে চাহিদার তুলনায় অনেক বেশি দেশে চিনি আমদানি হয়েছে।

শনিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর কারওয়ান বাজার, কৃষিমার্কেটসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্যই জানা গেছে।

ডলার সংকটের কারণে গত কয়েক মাস থেকেই চিনি দাম বেড়ে যাচ্ছে। আগে কয়েক দফা দাম বাড়ানোর পরও চিনি পরিশোধনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ সুগার রিফাইনার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএসআরএ) দাবির মুখে সর্বশেষ গত ১ ফেব্রুয়ারি থেকে কেজিতে পাঁচ টাকা বাড়ানো হয়েছে। ফলে খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি পরিশোধিত খোলা চিনি ১০৭ টাকা ও প্যাকেটজাত চিনি বিক্রি ১১২ টাকা বিক্রির অনুমোদন দিয়েছে সরকার।

দাম বাড়ানোর ব্যাপারে যুক্তি দেখানো হয়, আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত চিনির মূল্যবৃদ্ধি, ডলারের বিনিময় হার বৃদ্ধি ও স্থানীয় পরিশোধনকারী মিলগুলোর উৎপাদন ব্যয় বিবেচনায় এনে দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ও তাতে অনুমোদন দিয়েছে।

কিন্তু চার দিন অতিবাহিত হলেও মিল থেকে ডিলার ও পাইকারি ব্যবসায়ীদের সহজেও দেওয়া হচ্ছে না চিনি। ফলে কারওয়ান বাজার, কৃষিমার্কেট, টাউনহলসহ বিভিন্ন পাইকারি ও খুচরা বাজারে এখনো পাওয়া যাচ্ছে না চিনি।

চিনি আছে কি, জানতে চাইলে কারওয়ান বাজারের ইউসুফ জেনারেল স্টোরের ইউসুফ, আলী স্টোরের মোহাম্মদ আলী, ইয়াসিন জেনারেল স্টোরের ইয়াসিনসহ প্রায় খুচরা ব্যবসায়ীরা ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, চিনি নেই। কোম্পানি থেকে দেয় না, তাই আমরা পাই না। এজন্য বিক্রি করতে পারছি না।

তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে তারা আরও বলেন, ‘সামনে রমজান। তাই কারসাজি করেই চিনি আটকে রাখছে। আমাদের দিচ্ছে না। ডিলারের কাছেও পাওয়া যাচ্ছে না।’

তাদের বক্তব্য জানার পর ওই মার্কেটের দ্বিতীয় তলায় মেঘনা গ্রুপের ফ্রেশ চিনির ডিলার মেসার্স জামাল ট্রেডার্স এর মো. জামাল হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, দাম বাড়ানোর পরও সহজে মিলমালিকরা চিনি দিচ্ছে না। তারা আগে যে লাভ দিতো দাম বাড়িয়ে খোলা ১০৭ টাকা ও প্যাকেট চিনি ১১২ টাকা করার পরও আমাদের লাভ কমিয়ে দিয়েছে। মানে কমিশন কম দিচ্ছে। তাহলে আমাদের ব্যবসা হবে কী করে।

বর্তমানে আমাদেরই ১১০ টাকা দরে চিনি বিক্রি করছে কোম্পানি। কেজিতে এক টাকা খরচা আছে। তাহলে কয় টাকায় বিক্রি করব? খুচরা রেটতো ১১২ টাকা। তাহলে খুচরা ব্যবসায়ীরা কীভাবে নেবে? আগে খুচরা বিক্রেতাদের কেজিতে ৩ টাকা লাভ দেওয়া হতো অর্থাৎ কেজিতে ৫ টাকা কম রাখত। দাম বাড়িয়েও তা-ই লাভ করছে।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে এই ডিলার আরও বলেন, তারা কৌশল করে রমজান মাসকে টার্গেট করে বেশি দামের আশায় আটকে রাখছে চিনি। সরকারের দেখা উচিৎ। সিটি গ্রুপের ডিলারের কাছেও চিনি পাওয়া যায় না।

অপরদিকে, টাউনহল মার্কেটেও সহজে পাওয়া যাচ্ছে না চিনি। ওই মার্কেটের মনির স্টোরের আনোয়ার ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ‘চিনি তো পাই না। কয়েক দিন থেকে কোম্পানি থেকে শুধু বলছে আসবে, আসবে। তারও আসছে না।’

এদিকে কৃষিমার্কেটেও পাওয়া যাচ্ছে না চিনি। এ ব্যাপারে মেসার্স পারভেজ এন্টারপ্রাইজের পারভেজ বলেন, ‘চিনি পাওয়া যায় না। তাই আমরা রাখি না। কোম্পানি দিলেতো আমরা পাব, বিক্রি করব?’ তাই ওই মার্কেটের সিটি গ্রুপের ডিলার খালেক অ্যান্ড সন্স এর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে ম্যানেজার মো. সালেক এ প্রতিবেদককে বলেন, ১ ফেব্রুয়ারি থেকে চিনির কেজি ১০৭ টাকা ও প্যাকেটজাত চিনি ১১২ টাকা করা হলেও চাহিদা মতো পাওয়া যাচ্ছে না। অনেক চাহিদা থাকলেও কোনো দিন মাত্র ৫০ বস্তা পাচ্ছি। তাই ঘরে থাকে না। আসা মাত্র বিক্রি হয়ে যাচ্ছে।

তাদের বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে সিটি গ্রুপের পরিচালক বিশ্বজিৎ সাহার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোনের সংযোগ কেটে দেন। পরে উপদেষ্টা অমিতাব চক্রবর্তীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, মিটিং এ আছি। ম্যাসেজ দেন কি বিষয়ে। ডিলারদের চিনি না দেওয়ার ব্যাপারে তাকে ম্যাসেজ দেওয়া হলেও কোনো উত্তর দেননি।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, দেশে মোট চিনির চাহিদা ১৮ লাখ মেট্রিক টন। রমজান মাসে দুঈ লাখ টনের মতো চাহিদা হয়। তখনই হঠাৎ করে দাম বেড়ে যায় বাজারে। দেশে ৬০ হাজার টনের মতো দেশীয় আখ থেকে উৎপাদিত হয়। বাকি চাহিদা মেটাতে আমদানি করা ‘র সুগার’।

সিটি, মেঘনা, দেশবন্ধু, ইগলুসহ বিভিন্ন রিফাইনারি কোম্পানি পরিশোধন করে বাজারে বিক্রি করে। প্রতিদিন প্রায় ৫ হাজার টন চিনির চাহিদা। এসব কোম্পানির উৎপাদন সক্ষমতা ২০ হাজার টনের মতো। কিন্তু গ্যাস সংকটের কারণে গত আগস্ট থেকে উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। এ সুযোগে অস্থির হয়ে গেছে চিনির বাজার।

এ ছাড়া, ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের প্রভাবে ডলার সংকটে রিফাইনারি কোম্পানি দাম বৃদ্ধির চাপ দিলে সরকার গত ৬ অক্টোবর খোলা চিনি প্রতি কেজি ৯০ ও প্যাকেটজাত ৯৫ টাকা রেট করে দেয়। যা আগে খোলা ছিল ৮৪ টাকা ও প্যাকেট চিনি ৮৯ টাকা কেজি। তারপরও কোম্পানি থেকে লোকসান হচ্ছে এমন অভিযোগ করে দাম বৃদ্ধি চাপ দিলে গত ১৭ নভেম্বর সরকার একলাফে প্যাকেট চিনির দাম ৯৫ থেকে ১০৭ টাকা ও খোলা চিনির কেজি ৮৪ থেকে ১০২ টাকা কেজি ঘোষণা করে। আবার কেজিতে ৫ টাকা বাড়ানো হয়েছে। তারপরও চিনি নিয়ে হাওকাও মিটছে না।

কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে ভিন্ন কথা। যা দরকার তার চেয়ে বেশি চিনির আমদানি হয়েছে। এ ব্যাপারে তথ্য উপাত্ত তুলে ধরে নির্বাহী পরিচালক ও বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক বলেন, ডলার সংকটের কারণে চিনি আমদানি কম হচ্ছে এর কোনো ভিত্তি নেই। কারণ আমাদের ড্যাস বোর্ডের তথ্য বলছে, শুধু জানুয়ারি মাসেই ৫ লাখ ৬৫ হাজার ৯৪১ মে.টন চিনি আমদানি হয়েছে। যা গত বছরের একই সময়ে হয়েছিল ৫ লাখ ১১ হাজার ৪৯৩ টন। বছরের ব্যবধানে বেড়েছে ৯৪ হাজার টনের বেশি বা ১৮ দশমিক ৪৬ শতাংশ। অন্যান্য মাসেতো আমদানি হচ্ছে। রমজান মাসের আগেও আমদানি হবে।

জেডএ/এমএমএ/

Header Ad

গোপনে দুইজনকে বিয়ে, কাউকেই অধিকার বঞ্চিত করেননি জান্নাতুল

ছবি: সংগৃহীত

একইসঙ্গে দুই স্বামীর সঙ্গেই সংসার করছেন জান্নাতুল ফেরদৌস নামের এক নারী। স্ত্রীর অধিকার থেকে বঞ্চিত করেননি দুই স্বামীর কাউকেই। গোপনে মন জয় করে চলছিলেন দুই স্বামীর। প্রায় দুই বছর দুই স্বামীর সংসার করার পর অবশেষে বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

চার বছরের প্রেমের সম্পর্কের পর ২০২২ সালের ২৭ অক্টোবর নোটারি পাবলিকের কার্যালয়ে হলফনামার মাধ্যমে গোপনে বিয়ে করেন রাজবাড়ী সদরের আলীপুর ইউনিয়নের ইন্দ্রনারায়ণপুর গ্রামের আবু হানিফ শেখের ছেলে ইউটিউবার সাগর শেখ ও আলীপুর গ্রামের নুরুল ইসলাম ভূঁইয়ার মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌস।

বাবা, মা ও ভাই প্রবাসে থাকায় বাবার বাড়িতে একাই বসবাস করতেন জান্নাতুল। সেখানে যাতায়াত করতেন স্বামী সাগর শেখ। সংসার জীবন ভালোই চলছিল এ দম্পতির। হঠাৎ জান্নাতুলের বাবা প্রবাস থেকে দেশে ফেরায় শ্বশুরবাড়ি যাতায়াত বন্ধ হয়ে যায় সাগরের। এরই মধ্যে প্রথম বিয়ের কথা গোপন রেখে পরিবারের সিদ্ধান্তে অন্য এক যুবককে দ্বিতীয় বিয়ে করেন জান্নাতুল।

এদিকে স্ত্রীকে আনুষ্ঠানিকভাবে নিজের বাড়িতে তুলে না নেয়ায় শ্বশুরবাড়ি গিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে নিয়মিত সময় কাটান জান্নাতুলের দ্বিতীয় স্বামী। প্রথম স্বামী সাগরের দাবি, প্রায় দুই বছর ধরে তার সঙ্গেও স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক ঠিক রেখে চলছিলেন জান্নাতুল।

স্ত্রীর পরিবার তাকে মেনে না নেয়ায় তার বোনের বাসাসহ বিভিন্ন স্থানে একান্তে সময় কাটাতেন স্বামী-স্ত্রী। চলতি মাসের ২ নভেম্বর তারা একসঙ্গে নিজেদের দ্বিতীয় বিবাহবার্ষিকী পালন করেছেন বলেও দাবি করেন সাগর।

তবে দুই সপ্তাহ আগে স্ত্রীর সঙ্গে দ্বিতীয় স্বামীর ঘনিষ্ঠতার বিষয়ে জানতে পারেন সাগর। আর এতেই বাঁধে বিপত্তি। তার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন জান্নাতুল। এখন দ্বিতীয় স্বামী নিয়েই সংসার করতে আগ্রহী তিনি। বাধ্য হয়ে স্ত্রীকে ফিরে পেতে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদে অভিযোগ দায়েরের পাশাপাশি আদালতে মামলা করেছেন সাগর।

সাগর শেখ বলেন, জান্নাতুল ও আমার বিয়ের বিষয়টি জান্নাতুলের মা ও বোন জানতো। বিয়ের পর আমাদের সংসার জীবন ভালোই কাটছিল। তবে হঠাৎ করে জান্নাতুলের বাবা প্রবাস থেকে দেশে ফেরায় তাদের বাড়িতে আমার যাতায়াত বন্ধ হয়ে যায়। আমাদের বিয়ের চার মাসের মাথায় আমি ভিডিও কন্টেন্ট তৈরির কাজে কয়েকদিনের জন্য রাজবাড়ীর বাইরে যাই।

কাজ থেকে এসে শুনি আমার স্ত্রী জান্নাতুল অন্য এক ছেলেকে বিয়ে করেছে। আমি আমার স্ত্রীকে প্রশ্ন করলে সে বলে, ‘পরিবারের চাপে বিয়ে করেছি। ওই ছেলের সঙ্গে আমার কোন সম্পর্ক হয়নি। আমি তোমার স্ত্রী আছি, তোমারই থাকবো। আমার আম্মু দেশে আসলে আমি তোমার কাছে চলে আসবো।’

সাগর বলেন, ‘আমি জান্নাতুলদের বাড়ি যাতায়াত করতে না পারার কারণে বিভিন্ন সময় আমরা রাজবাড়ী শহরে আমার বোনের বাসায় ঘনিষ্ঠ সময় কাটাতাম। ওর কলেজে আনা-নেয়াসহ সবকিছু আমিই করতাম। এমনকি গত ২ নভেম্বরও আমরা আমার বোনের বাসায় আমাদের দ্বিতীয় বিবাহ বার্ষিকী পালন করেছি।

তবে বিবাহ বার্ষিকী পালনের দুদিন পরে আমি জানতে পারি জান্নাতুলের সঙ্গে ওই ছেলের (দ্বিতীয় স্বামীর) ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক চলছে। ওই ছেলে নিয়মিত জান্নাতুলের বাবার বাড়িতে এসে তার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সময় কাটাচ্ছে। এ বিষয়ে আমি জান্নাতুলকে প্রশ্ন করলে সে আমাকে গালাগালি করে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। এক পর্যায়ে সে আমার সঙ্গে সংসার করবে না বলেও জানায়।’

তিনি বলেন, ‘সম্প্রতি জান্নাতুলের মা প্রবাস থেকে দেশে ফিরেছে। তিনিও এখন আমাকে মেয়ের জামাই হিসেবে অস্বীকার করছেন। অথচ তার মেয়ের সঙ্গে আমার প্রেম থেকে শুরু করে বিয়ে পর্যন্ত সবকিছুই তিনি জানতেন।

এখন বাধ্য হয়ে আমি আমার স্ত্রীকে ফিরে পেতে আলীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের কাছে গত ১১ নভেম্বর লিখিত অভিযোগ করেছি। এছাড়া ১৭ নভেম্বর রাজবাড়ীর বিজ্ঞ ১নং আমলি আদালতে মামলা করেছি।’

সাগর আরও বলেন, ‘আমাকে ডিভোর্স না দিয়ে আমার স্ত্রী অন্য আরেকজনকে বিয়ে করে আমার সঙ্গে প্রতারণা করেছে। সে আমাকেও ম্যানেজ করে চলেছে, একইভাবে তার দ্বিতীয় স্বামীকেও ম্যানেজ করে চলেছে।

এটা আইন ও ধর্মীয় দুই দিক থেকেই অপরাধ। এছাড়া আমি এ পর্যন্ত আমার স্ত্রীর পেছনে ২৫ থেকে ৩০ লাখ টাকা ব্যয় করেছি। তারপরও আমি আমার স্ত্রীকে ফেরত চাই। তাকে আমি আমার জীবনের চেয়েও বেশি ভালোবাসি।’

এদিকে, বিষয়টি নিয়ে ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজী হননি জান্নাতুলের দ্বিতীয় স্বামী। তবে তার দাবি, জান্নাতুলের সঙ্গে সাগরের প্রেমের সম্পর্ক ছিল বলে তিনি জানতেন। সাগরের সঙ্গে বিয়ের বিষয়টি তিনি জানতেন না।

জান্নতুলের দ্বিতীয় স্বামীর বাবা বলেন, ‘কোন এক সূত্রে আমার শ্বশুর জান্নাতুলদের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে তাকে পছন্দ করে। পরে আমি গিয়ে তার বাবার কাছে বিয়ের প্রস্তাব দিলে বিয়ের দিন ধার্য হয়। বিয়ের আগের দিন সাগর নামে এক ছেলে আমার ছেলেকে ফোন করে বলে জান্নাতুলের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক আছে।

সে জান্নাতুলের সঙ্গে নিজের একটি ছবিও আমার ছেলেকে পাঠায়। এরপর আমি ওই এলাকায় আমার আত্মীয়দের কাছে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি জান্নাতুলের সঙ্গে সাগরের কোন সম্পর্ক ছিল না। এছাড়া জান্নাতুলকেও আমি সরাসরি প্রশ্ন করলে সেও সম্পর্কের বিষয়টি অস্বীকার করে।

পরে ঘরোয়া আয়োজনে জান্নাতুলের সঙ্গে আমার ছেলের বিয়ে হয়। এখন সাগর নামে ছেলেটি জান্নাতুলকে তার স্ত্রী হিসেবে দাবি করছে। আমি যতদূর জেনেছি সাগরের স্ত্রী ও সন্তান আছে। এখন বিষয়টি আইনগতভাবেই সমাধান হবে।

আর জান্নাতুল ফেরদৌসের সঙ্গে কথা বলতে তার বাবার বাড়িতে গেলে ভেতরে ঢোকার অনুমতি মেলেনি।’

বাইরে দাঁড় করিয়ে রেখে তার মা হাচিনা বেগম বলেন, ‘সাগরের সঙ্গে আমার মেয়ের বিয়ে হয়েছিল৷ তবে বিয়ের দুই মাসের মাথায় তাদের ডিভোর্স হয়ে যায়। আমার মেয়ে তো ছোট বুঝে নাই, যে কারণে সেসময় ওরা ডিভোর্সের কাগজ ছিঁড়ে ফেলেছে। এর ৪/৫ মাস পরে আমার মেয়ের আবার বিয়ে হয়েছে। সাগর আমার মেয়েকে চাপে ফেলে এতোদিন তার সঙ্গে সময় কাটাতে বাধ্য করেছে।’

আলীপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আবু বকর সিদ্দিক জানান, ‘সাগর ও জান্নাতুলের বিবাহ বিচ্ছেদ হলে তার নোটিশের একটি কপি ইউনিয়ন পরিষদে আসার কথা। এরকম কোন কপি কখনো পাননি তারা।’

তিনি বলেন, ‘সাগর আমার ইউনিয়ন পরিষদে অভিযোগ করেছে। আমিও খোঁজ নিয়ে জানতে পেরেছি সাগর জান্নাতুলের প্রথম স্বামী। সে সাগরকে তালাক না দিয়েই বিয়ের চার মাসের মাথায় অন্য এক ছেলেকে বিয়ে করে। প্রায় দুই বছর সে চালাকি করে দুই স্বামীর সঙ্গেই সংসার করেছে। সাগরের কাছ থেকে জান্নাতুল অনেক টাকা-পয়সা খেয়েছে বলেও আমি জানতে পেরেছি।’

আবু বক্কার বলেন, ‘সাগরের অভিযোগের ভিত্তিতে আমি জান্নাতুলের বাবাকে নোটিশের মাধ্যমে ইউনিয়ন পরিষদে ডাকি। তবে নোটিশ পেয়ে তিনি তার ছোটভাই ও তাদের এলাকার ইউপি সদস্য আবুল কালামকে সঙ্গে নিয়ে আমার বাড়িতে এসে বলেন, আমি যেন পরিষদে বসে বিষয়টি সমাধান করে দেই। তবে এর ১/২ দিন পরে তিনি জানান, এ বিষয়ে তারা বসতে চান না।

আইনগতভাবে তারা বিষয়টি সমাধান করতে চান। পরে আবার তারা বসতে সম্মত হলে জান্নাতুল ও তার বাবা এবং তাদের এলাকার ইউপি সদস্য আবুল কালামসহ পরিষদের অন্য সদস্যদের নিয়ে বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ইউনিয়ন পরিষদে বসেছিলাম। সাগরও সেখানে ছিল। তবে সেখানে জান্নাতুল বলে দিয়েছে সে কোনভাবেই সাগরের সঙ্গে ঘর সংসার করবে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের পুরুষ শাসিত সমাজে নারীরা নির্যাতিত হয়। কিন্তু ছেলেরা যে কতোটুকু নির্যাতিত হয় তা এই সম্পর্কের জের দেখলে বোঝা যায়। আমাদের সমাজে ছেলেরা আরও বেশি নির্যাতিত হচ্ছে। সেটা নীরবে নিভৃতে ছেলেরা সহ্য করে যাচ্ছে। আমি আশা করবো আপনারা সাংবাদিক ভাইয়েরা বিষয়টি তুলে ধরবেন।

আপনাদের সংবাদের মাধ্যমে মানুষ যাতে সচেতন হতে পারে। আজকে আমার ইউনিয়নে এমন ঘটনা ঘটেছে। আর কোন ইউনিয়নে যেন এমন ঘটনা কোনদিন না ঘটে।’

Header Ad

শহীদ আব্দুল্লাহর বাড়িতে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মোবারক হোসেন

ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

২৪ এর গনঅভূ্থানে ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম যোদ্ধা, সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের মেধাবী শিক্ষার্থী, শহীদ আব্দুল্লাহর বাড়িতে যান বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মোবারক হোসেন।

এ সময় মোবাইল ফোনে লাউডস্পিকারে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা.শফিকুর রহমান বলেন, আব্দুল্লাহ দেশের জন্য মানুষের জন্য মানবতার কল্যাণের জন্য জীবনকে উৎস্বর্গ করে আল্লাহর দরবারে চলে গেছেন, আল্লাহ তাকে শহীদ হিসাবে কবুল করুন। শহীদরা মরে না। তারা আল্লাহর জীম্মায় জীবন্ত থাকে। এ সময় শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন তিনি।

শনিবার (২৩ নভেম্বর) দুপুর ১২ টার দিকে যশোরের বেনাপোল পোর্ট থানার বড় আঁচড়া গ্রামে বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মোবারক হোসেন আব্দুল্লাহর বাড়িতে গিয়ে শোকসন্তপ্ত পরিবারের খোঁজ খবর নেন,কবর জিয়ারত করেন এবং তার রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করেন।

এর আগে তিনি নাভারণ দারুল আমান ট্রাষ্টে ওলামা সম্মেলনে যোগদান করেন। পরে ২০১৬ সালে গুম হওয়া ইসলামি ছাত্র শিবিরে নেতা রেজোয়ানের বাড়িতে যান এবং খোঁজ খবর ও সমবেদনা জানান।

এসময় তিনি জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে মৃত্যু বরনকারী সকলে ন্যায় বিচার পাবেন বলে পরিবারের সদস্যদের সান্তনা দেন। এবং গনঅভূ্থানে নিহত সকল পরিবারের সাথে বাংলাদেশ জামায়াত ইসলাম আছে থাকবে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদ সদস্য মাওলানা আজিজুর রহমান, যশোরের জেলা আমীর অধ্যক্ষ মাওলানা গোলাম রসূল, সাবেক জেলা আমীর মাওলানা হাবীবুর রহমান, জেলা জামায়াতের নেতা মাওলানা আবু জাফর, মাওঃ শিহাব উদ্দিন শার্শা থানা আমীর রেজাউল ইসলাম, সেক্রেটারী মাওলানা ইউসুফ আলী ও ঝিকরগাছা থানা আমীর মাওলানা আসাদুল আলম প্রমূখ।

Header Ad

বিরামপুরে আদিবাসী নারীর লাশ উদ্ধার

ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

দিনাজপুরের বিরামপুরে বিশনি পাহান (৫৫) নামের এক আদিবাসী নারীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

শনিবার (২৩ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় উপজেলার কাটলা ইউনিয়নের ময়না মোড় এলাকার ধানক্ষেত থেকে ওই নারীর হাতবাঁধা লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত বিশনি পাহান উপজেলার কাটলা ইউনিয়নের বেণুপুর গ্রামের সাধন পাহানের মেয়ে।

নিহতের ভাই চরকা পাহান বলেন, আমার ছোট বোনের স্বামী বিশনি পাহানকে ছেড়ে চলে গেছেন। সে প্রতিরাতেই নেশা করতো। বাবা মারা যাওয়ার পর থেকেই আমার বাড়িতে থাকতো আমার বোন। আমার বোন এলাকায় মানুষের জমিতে কৃষি কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতো। শুক্রবার বিকেলে এলাকার এক ব্যক্তির জমিতে ধান কাটার কাজ শেষ করে আর বাড়িতে ফেরেননি। রাতে অনেক খোঁজাখুঁজির পরও তাকে কোথাও পাওয়া যায়নি। শনিবার সকালে ধানক্ষেতে হাতবাঁধা অবস্থায় তার লাশ পাওয়া যায়।

বিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমতাজুল হক জানান, এলাকাবাসীর দেওয়া খবরে ঘটনাস্থল থেকে আদিবাসী এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা যাচ্ছে তাকে কে বা কাহারা হত্যা করেছে। তদন্ত করলেই প্রকৃত ঘটনা বেরিয়ে আসবে।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

গোপনে দুইজনকে বিয়ে, কাউকেই অধিকার বঞ্চিত করেননি জান্নাতুল
শহীদ আব্দুল্লাহর বাড়িতে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মোবারক হোসেন
বিরামপুরে আদিবাসী নারীর লাশ উদ্ধার
বিএনপির কাঁধে অনেক দ্বায়িত্ব: তারেক রহমান
'জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন হওয়া উচিত'- তোফায়েল আহমেদ
৩ মাসে জ্বালানি খাতে সাশ্রয় হয়েছে ৩৭০ কোটি টাকা : জ্বালানি উপদেষ্টা
জুটি বাধলেন মিঠুন চক্রবর্তী-আফসানা মিমি
দেশ ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় দ্রুত নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই : তারেক রহমান
২৪ ঘণ্টার মধ্যে বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপের আশঙ্কা
অক্টোবরে সড়কে প্রাণ গেছে ৪৭৫ জনের
গায়ানায় দলের সঙ্গে যোগ দিলেন সাকিব
আইপিএল নিলামের আগেই নিষিদ্ধ হলেন ভারতের ২ ক্রিকেটার
গাজীপুরে পিকনিকের বাসে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যু
কবে বিয়ে করবেন জানালেন তামান্না ভাটিয়া
পঞ্চগড়ে ৫০০ টাকায় সন্তান বিক্রি, অতঃপর যা ঘটল...
অ্যান্টিগায় প্রথম দিন শেষে স্বস্তিতে টাইগাররা
সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন পরীমণির প্রথম স্বামী
বিচারের আগে আ.লীগের মাঠে থাকার সুযোগ নেই: উপদেষ্টা নাহিদ
মাকে হত্যার পর থানায় হাজির ছেলে
৮ ক্রিকেটারসহ ৯ জনকে নিষিদ্ধ করলো বিসিবি