বিভিন্ন চ্যানেলে দেশ থেকে অর্থ পাচার হয়েছে: সিপিডি
বিভিন্ন চ্যানেলে দেশ থেকে অর্থ পাচার হয়েছে বলে ৪৪ শতাংশ ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন। তবে কী পরিমাণ অর্থপাচার হয়েছে তা বলেননি তারা। বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) ‘বাংলাদেশে ব্যবসার পরিবেশ ২০২২’ শীর্ষক উদ্যোক্তা জরিপের ফলাফলে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
রবিবার (২৯ জানুয়ারি) ধানমন্ডিতে সিপিডি কার্যালয়ে জরিপের ফলাফল উপস্থাপন করেন সংস্থাটির গবেষণা বিষয়ক পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম। ওয়ার্ল্ড ইকনোমিক ফোরাম বিশ্বজুড়ে এ জরিপ পরিচালনা করে। গত দুই দশকের মতো গত বছরও সংস্থাটির পক্ষ থেকে বাংলাদেশে জরিপের কাজে অংশ নেয় সিপিডি।
উদ্যোক্তা মতামত জরিপের ফল প্রকাশের সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সিপিডির গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, দীর্ঘ মেয়াদী ব্যবসার পরিবেশ তুলে ধরা হয় আমাদের সার্ভে। কাজেই অন্যদের তুলনায় একটু ব্যতক্রম হতে পারে।
২০২২ সালের এপ্রিল থেকে জুলাই পর্যন্ত সময়ে ঢাকা, চট্টগ্রাম, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুরে বিভিন্ন সেক্টর ও কোম্পানির ৭৪ জন সিনিয়র ব্যবসায়ীদের তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহের মাধ্যমে ওই জরিপকাজ পরিচালনা করা হয়েছে। যার মধ্যে ৩৯ জন বড়, মাঝারি ১৪ ও ১৭ ক্ষুদ্র উদোক্তাদেরও তথ্য-উপাত্ত নেওয়া হয়েছে এই জরিপে।
সিপিডির এই গবেষণা পরিচালক আরও বলেন, অবকাঠামো, সুশাসন, ব্যবসার কর্মপরিবেশসহ ১০টি বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। তাই বাংলাদেশের আর্থিক খাতে বড় ধরনের সংস্কার প্রয়োজন। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ঋণের শর্ত মেনে চলার অংশ হিসেবে ব্যাংক কোম্পানি আইনের সংশোধন, ঋণে সুদহারের সীমা তুলে নেওয়া, বকেয়া ঋণে স্বচ্ছতা, কেন্দ্রীয় ব্যাংক, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) এবং ইন্স্যুরেন্স ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড রেগুলেটরি অথরিটির (আইডিআরএ) কার্যকর ভূমিকা প্রয়োজন।
জরিপ প্রতিবেদনে আরও বলা হয় মার্কেট খেলোয়ারদের দৌরাত্ব বন্ধ করতে বা বাজারে প্রতিযোগিতা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশন, ভোক্তা স্বার্থ সংরক্ষণ অধিদপ্তর, কেন্দ্রীয় ব্যাংক, এনবিআর ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের যথাযথ ভূমিকা পালন করা উচিত।
জেডএ/এমএমএ/