খরচ কমাতে আবারও প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ

প্রকল্পের কাজ দ্রুত শেষ করতে এবং খরচ কমাতে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘খরচ বন্ধ করা যাবে না। শিল্প, কৃষি সব ক্ষেত্রে উৎপাদন বৃদ্ধি করতে সবাইকে অংশ গ্রহণ করতে হবে।’
মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারী) রাজধানীর আগারগাঁয়ে পরিকল্পনা কমিশনের এনইসি সম্মেলন কক্ষে এই সভা অনুষ্টিত হয় জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় প্রধানমন্ত্রী এই নির্দেশনা দিয়েছেন।
সভায় মিঠামাইন উড়াল সেতুসহ ১০ হাজার ৬৮৩ কোটি টাকা ব্যয়ে ১১টি প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়। এরমধ্যে বিদেশি ঋণ ২ হাজার ৭৯৮ কোটি টাকা। বাকি অর্থ সরকারি কোষাগার থেকে ব্যয় করা হবে।
সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।
মন্ত্রী বলেন, সভায় সাতটি মন্ত্রণালয়ের ১১টি প্রকল্পের মধ্যে ছয়টি নতুন প্রকল্প ও পাঁচটি সংশোধিত প্রকল্প রয়েছে। এই সংশোধিত প্রকল্প অনুমোদনের সময় প্রধানমন্ত্রী এই অনুশাসন দিয়েছেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম, পরিকল্পনাসচিব সত্যজিৎ কর্মকারসহ বিভিন্ন সদস্য (সচিব) উপস্থিত ছিলেন।
একনেকে অনুমোদিত প্রকল্পগুলো হচ্ছে-চট্টগ্রাম জেলার পটিয়া উপজেলার শ্রীমাই নদীতে নির্মাণ। এ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ১৩৩ কোটি ৫৩ লাখ টাকা। বরিশাল জেলার কারখানা বিঘাই এবং পায়রা নদীর ভাঙন থেকে শেখ হাসিনা সেনানিবাস এলাকা রক্ষা প্রকল্প। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৬৭৬ কোটি টাকা। ঢাকা জেলার দোহার উপজেলাধীন মাঝিরচর থেকে নারিশা বাজার হয়ে মোকসেদপুর পর্যন্ত পদ্মা নদী ড্রেজিং ও বাম তীর সংরক্ষণ সংশোধিত প্রকল্প। বাংলাদেশ জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ উপকুলীয় ছোট দ্বীপ এবং নদীর চরের জন্য অভিযোজন উদ্যোগ প্রকল্প। এদে ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৭৮ কোটি টাকা। মাতারবাড়ী কয়লানির্ভর বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র নির্মাণ সংশোধিত প্রকল্প। এদে বাড়তি ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৬৫ কোটি টাকা। এ ছাড়া, ফুলী নদীর তলদেশে বহুলেন সড়ক টানেল নির্মাণ প্রকল্পটিও সংশোধন করা হয়েছে। এতে বাড়তি ব্যয় ধরা হয়েছে ৩১৫ কোটি টাকা।
নতুন প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে কিশোরগঞ্জ জেলার মিঠামইন উপজেলা সদর থেকে করিমগঞ্জ উপজেলার মচিখালি পর্যন্ত উড়াল সড়ক নির্মাণ। এ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৫ হাজার ৬৫১ কোটি টাকা। ইস্টাবিলিশমেন্ট অব গ্লোবার মেরিটাইম ডিজট্রিজ অ্যান্ড সেফলি সিস্টেম অ্যান্ড ইন্টারগ্রেটেড মেরিটাইম নেভিগেশন সিস্টেম প্রকল্প রয়েছে। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৯২ কোটি টাকা। বাংলাদেশে ২৫টি শহরে অন্তর্ভুক্তিমূলক স্যানিটেশন প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ২ হাজার ২১১ কোটি টাকা। ক্লাইমেট চেঞ্জ অ্যাডপটেড আরবান ডেভলপমেন্ট পেজ-২ খুলনা প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৪৯১ কোটি টাকা এবং ৯৯ কোটি টাকা ব্যয়ে ঘোড়াশাল চতুর্থ ইউনিট রি-পাওয়ারিং প্রকল্পের অনুমোদনও দেওয়া হয়েছে।
জেডএ/এমএমএ/
