এখনো পাওয়া যাচ্ছে না চিনি, স্থিতিশীল সবজির বাজার
লিটারে ৫ টাকা কমে ১৮৫ টাকা করে সয়াবিন তেল পাওয়া গেলেও ১০৮ টাকা কেজি চিনি এখনো পাওয়া যাচ্ছে না। বেশি দাম না দিলে প্রায় খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, চিনি নেই। আগের দামেই চাল, ডিম, গরু ও খাসির মাংস, সবজি বিক্রি করা হচ্ছে। তবে সপ্তাহের ব্যবধানে পাকিস্তানি মুরগির দাম কেজিতে বেড়েছে ২০ থেকে ৩০ টাকা ও মরিচের কেজিতে ৩০ থেকে ৪০ টাকা।
শনিবার (৩১ ডিসেম্বর) রাজধানীর কারওয়ান বাজার ঘুরে এমনই চিত্র দেখা গেছে।
মরিচের দাম বেড়ে ৮০ টাকা কেজি
আগের সপ্তাহে ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজি মরিচ বিক্রি করা হলেও আজকে তা ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজি বিক্রি করা হচ্ছে। সরবরাহ কমে যাওয়ায় বেড়েছে দাম।
তবে আগের সপ্তাহের মতো শনিবার নতুন আলুর কেজি ২৫ টাকা ৩০ টাকা কেজি। মরিচের দাম বেড়ে ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজি, বেগুণের দামও কিছুটা বেড়ে ৪০ থেকে ৫০ টাকা, প্রতি পিস ফুল ও পাত কপি ২০ থেকে ৪০ টাকা, লাউ ৪০ থেকে ৬০ টাকা, শিমের কেজি ২৫ থেকে ৫০ টাকা, পটল ৪০ টাকা, ঢেঁড়স, মিষ্টি কুমড়া ৩০ টাকা, মূলা ও পেঁপের কেজি ২০ টাকা। দিন বদলের পালায় টমেটোর দামও কমছে। বর্তমানে কেজি ৪০ থেকে ৬০ টাকা, শসা ৪০ থেকে ৬০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।
দাম বেড়েছে পাকিস্তানি মুরগীর
সবজি ও মাছের দাম কমার কারণে মুরগির দামও কম। ব্যবসায়ীরা জানান বলেন, প্রতি কেজি ব্রয়লার ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা, লাল লেয়ার ২৫০ টাকা ও দেশি মুরগি ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। তবে পাকিস্তানি মুরগির কেজি আগের সপ্তাহে দামের তুলনায় ২৩০ থেকে ২৪০ টাকা কেজি বিক্রি করা হচ্ছে। আগের মতো ডিম ১০০ থেকে ১১০ টাকা ডজন, হাঁসের ডিম ১৪০ টাকা, আগের মতোই গরুর মাংস ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকা, খাসির মাংস ৮৫০-৯০০ টাকা কেজি বিক্রি করা হচ্ছে ব্যবসায়ীরা জানান।
দাম কমেছে শুধু ২৮ চালের
ক্ষেত থেকে মাঠের আমন ধান উঠা শেষ হলেও কমেনি মোটা চালের দাম। রাজধানীর কারওয়ান বাজারের কিচেন মার্কেটের আল্লাহর দান রাইছের আ. আওয়াল তালুদার, বরিশাল রাইস এজেন্সির আল হাসিবসহ অন্য বিক্রেতারা ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, মোটা চালের দাম কমেনি। মোটা স্বর্ণা চাল ৪৮ থেকে ৫০ টাকা। তবে ২৮ চালের দাম কিছুটা কমেছে। তা ৫৫ থেকে ৫৮ টাকা কেজি বিক্রি করা হচ্ছে। মিনিকেট আগের মতো ৭৪ থেকে ৭৫ টাকা কেজি, বাসমতি ৮৮, নাজিরশাইল ৮২ থেকে ৯০ টাকা কেজি বিক্রি করা হচ্ছে। পোলাও চালের দামও কমেনি। খোলা এই চালের কেজি আগে ১২৫ টাকা বিক্রি করা হলেও তা ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকা বিক্রি করা হচ্ছে। তবে কোম্পানির প্যাকেট চালের ১৫০ টাকা কেজি বিক্রি করা হচ্ছে।
পাওয়া যাচ্ছে কম দামের তেল
সরকার প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের নতুন দাম ১৮৭ টাকা নির্ধারণ করেছে। বাজারে তা পাওয়া যাচ্ছে। যা আগে ছিল ১৯২ টাকা লিটার। আর পামওয়েলে করা হয়েছে ১১৭ টাকা। এ ব্যাপারে আল্লাহর দান মামুন ও আল আমিন জেনারেল স্টোরের তোফাজ্জ্ল ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, এখন ১, ২ ও ৫ লিটারের তেল পাওয়া যাচ্ছে কম দামে। তাই আমরাও বিক্রি করতে পারছি। ১ লিটার ১৮৫ টাকা ২ লিটার ৩৭০ ও ৫ লিটার ৮৮০ টাকা বিক্রি করা হচ্ছে।
আগের মতো মসুর ডাল ৯৫-১৪০ টাকা কেজি, ২ কেজি আটা ১৪৪ টাকা থেকে ১৫০ টাকা,খোলা আটার কেজি ৬০ ও ২ কেজি ময়দা ১৬০ টাকা বিক্রি করছে খুচরা ব্যবসায়ীরা। তবে এখনো সরকারে বেধে দেওয়া ১০৮ টাকা কেজি চিনি সব দোকানে পাওয়া যাচ্ছে না। কোনো দোকানে পাওয়া গেলেও তা ১১৫ টাকা কেজি বিক্রি করছে।
স্থিতিশীল পেঁয়াজ, আদা ও রসুনের দাম
আগের সপ্তাহের মতো আদার দাম ১০০ টাকা থেকে ১৩০ টাকা কেজি বিক্রি করা হচ্ছে। নতুন পেঁয়াজ বাজারে এসে গেছে। তাই এর দামও কমে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা কেজি, দেশি রসুন ৭০ ও চায়না রসুন ১২০-১৪০ টাকা কেজি বিক্রি করা হচ্ছে বলে ব্যবসায়ীরা জানান।
স্থিতিশীল মাছের দাম
আগের সপ্তাহের মতোই রুই ও কাতলা, ইলিশসহ প্রায় মাঝ বিক্রি করা হওচ্ছ। বিক্রেতারা জানান রুই ও কাতলার কেজি ২২০-৪৫০ টাকা, চিংড়ি ৫০০-১২০০ টাকা কেজি, টেংরা, বোয়াল, আইড়ের দাম কমে ৫০০-৮০০ টাকা, কাচকি ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা, শিং ৪০০ থেকে ৬০০, কাজলি, বাতাসি ৬০০ টাকা বিক্রি করা হচ্ছে। তবে পাঙ্গাস, তেলাপিয়া ১৫০ থেকে ২০০ টাকা কেজি বিক্রি করা হচ্ছে। ইলিশের দামও কমতির দিকে। এক কেজির কম হলে ১০০০ টাকা কেজি, বেশি বড় হলে ১২০০ টাকা কেজি বিক্রি করা হচ্ছে। তবে ছোটগুলোর দাম একটু কম।
জেডএ/এএস