সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫ | ৮ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

কৃচ্ছ্রসাধনের চাপে উন্নয়নে হাতকড়া

চলতি বছরে জানুয়ারি মাসে একনেক সভায় ১০টি প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। বিশ্ব ব্যাংকের দুর্নীতির তকমার জবাব দিয়ে পদ্মা সেতুর উদ্বোধন করা হয়েছে। ফাস্ট-ট্র্যাকের (মেগা প্রকল্প) মধ্যে বঙ্গবন্ধু ট্যানেল, মেট্রোরেলও আলোর মুখ দেখেছে। কিন্তু করোনা পরিস্থিতি এবং বৈশ্বিক মন্দাবস্থার কারণে কৃচ্ছ্র নীতিতে যেতে বাধ্য হয়েছে সরকার।

অনেক যাচাই-বাছাই করে প্রকল্প নেওয়া হচ্ছে। জরুরি না হলে তা ফেরত দেওয়া হচ্ছে। অর্থও কাটছাঁট করতে বাধ্য হয়েছে। এর প্রভাবে সব রেকর্ড ছাড়িয়ে বিদায়ী বছরে ডিসেম্বর মাসে কোনো প্রকল্প অনুমোদন হয়নি। অর্থ ব্যয়ে একেবারে হাতকড়া দেওয়ার মতো অবস্থা হয়েছে। অর্থ ব্যয় করতে না পারায় বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বাস্তবায়নও কমে গেছে।

ব্যয় সাশ্রয়ে কার্যকর কর্মপন্থা নিরূপণের লক্ষে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সিনিয়র সচিবদের একগুচ্ছ নির্দেশনা দেওয়া হয়। এরমধ্যে রাজস্ব ব্যয় সংকোচন, উন্নয়ন ব্যয়ের সর্বোত্তম ব্যবহার, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয়, অভ্যন্তরীণ সম্পদ বৃদ্ধি, নিত্যপণ্যের মূল্য সহনশীল পর্যায়ে রাখতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য বলা হয়। তারপর থেকেই বিভিন্ন মন্ত্রণালয় উন্নয়ন প্রকল্পের গুরুত্ব বুঝে ব্যয় সংকোচনের তালিকা করে।

২৫ শতাংশ অর্থ বরাদ্দ স্থগিত

বছরজুড়েই আলোচনায় ছিল বিশ্ব অর্থনৈতিক পরিস্থিতির কারণে সরকারের কৃচ্ছ্রসাধন নীতি গ্রহণ। গত জুলাই মাসেই গুরুত্ব অনুসারে প্রকল্পগুলোকে তিন শ্রেণিতে ভাগ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর ভিত্তিতে গত আগস্টে প্রকল্প পুনর্বিন্যাস করে পরিকল্পনা কমিশন। গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পগুলোকে ‘এ’ শ্রেণিভুক্ত করা হয়। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এই প্রকল্পগুলোর বাস্তবায়ন অব্যাহত আছে। এ রকম ৬৪৬টি প্রকল্প রয়েছে। গুরুত্বের দিক থেকে মধ্যম শ্রেণির প্রকল্পগুলোকে ‘বি’ শ্রেণি করা হয়েছে। এ রকম প্রকল্প আছে ৬৩৬টি। সরকারি অংশের ২৫ শতাংশ বরাদ্দ স্থগিত রাখা হয়েছে এসব প্রকল্পে। আর ‘সি’ শ্রেণিতে থাকা প্রকল্পের পুরো টাকা ছাড়ই আপাতত স্থগিত রাখা হয়েছে। এই শ্রেণির প্রকল্পের সংখ্যা ৮৫টি। ১ হাজার ৪৯৬টি প্রকল্পের বিপরীতে চলতি অর্থবছর এডিপিতে মোট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ২ লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা।

আওয়ামী লীগ ২০০৯ সালে সরকার গঠন করেই শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পিছিয়ে পড়া বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে অন্য প্রকল্পের সঙ্গে বড় বড় ১০টি প্রকল্প বাস্তবায়নে উদ্যোগ নিয়েছে। যা ফাস্ট-ট্র্যাক (মেগা প্রকল্প) নামে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে তদারকি করা হচ্ছে। দ্রুত বাস্তবায়নে প্রতি অর্থবছরে অনেক অর্থও বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে। এসব প্রকল্প অধিকাংশ বর্তমানে দৃশ্যমান। বিশ্বব্যাংকের দুর্নীতির অপবাদের জবাব দিয়ে সবাইকে তাক লাগিয়ে উদ্বোধন করা হয়েছে পদ্মা সেতু। এ ছাড়া, স্বপ্নের বঙ্গবন্ধু ট্যানেল (পাতাল সেতু) ও রাজধানীতে মেট্রোরেলও চালু করা হচ্ছে।

বিদায়ী বছরেও বিভিন্ন উন্নয়ন কাজ শেষে করতে দেড় হাজারের বেশি প্রকল্পে আড়াই হাজার কোটি টাকার বেশি বরাদ্দও দেয় সরকার। কিন্তু রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে সবকিছু এলোমেলো হয়ে গেছে। বাধ্য হয়ে সরকার ব্যয় সংকোচন করছে। এর প্রভাবে উন্নয়ন কাজও পিছিয়ে পড়েছে। বিভিন্ন মন্ত্রণালয় থেকে আসছে না তেমন নতুন প্রকল্প।

পরিকল্পনা কমিশন সূত্র মতে, বছর খানেক আগেও প্রকল্প অনুমোদনে প্রতি সপ্তাহেই হতো জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠক। কিন্তু সেই চিত্র পাল্টে গেছে।

গত ৪ জানুয়ারি মাসে একনেক সভায় সারা দেশের ভূমিহীন, গৃহহীন, ছিন্নমূল ও অসহায় ৪ লাখ ৮৬ হাজার পরিবারকে পাকা ঘর করে দেওয়ার জন্য আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পটি চতুর্থ সংশোধন করা হয়। এটিসহ ১০টি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে ওই সভায়। এরপরই কমতে থাকে একনেক সভা। প্রতিমাসে হচ্ছে গড়ে একটি। অন্যদিকে একনেকে প্রকল্পও উঠছে খুব কম। ফেরত পাঠানো হচ্ছে মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলো থেকে আসা অনেক প্রকল্প প্রস্তাব। মূলত সরকারি ব্যয়ে কৃচ্ছ্রসাধন নীতির কারণেই দেখা যাচ্ছে এমন চিত্র।

ডিসেম্বরে অনুমোদন হয়নি কোনো প্রকল্প

পরিকল্পনা কমিশন সূত্র মতে, বিভিন্ন মন্ত্রণালয় থেকে আসা প্রকল্প প্রস্তাব যাচাই-বাছাই শেষে অনুমোদনের জন্য একনেকে উত্থাপন করে পরিকল্পনা কমিশন। এই অনুমোদনের ভিত্তিতেই এডিপি বাস্তবায়ন কার্যক্রম শুরু হয়। সপ্তাহের প্রতি মঙ্গলবার একনেক সভা হয়ে থাকে। কিন্তু এখন তা আর প্রতি সপ্তায় হচ্ছে না। সর্বশেষ একনেক বৈঠক হয়েছে গত ২২ নভেম্বর। এরপর ডিসেম্বরে কোনো একনেক সভা হয়নি। গত পাঁচ মাসে মাত্র পাঁচটি একনেক সভা হয়েছে। অনুমোদন হয়েছে মাত্র ৪৫টি প্রকল্প। যেগুলোতে অর্থ বরাদ্দ প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকা। যেখানে গত বছরের একই সময়ে ১৮টি একনেক সভা হয়েছে। মূলত অন্যান্য বছরে ব্যাপকভাবে অর্থ বরাদ্দ পেলেও এবারে তার ভিন্ন চিত্র দেখা গেছে উন্নয়ন কাজে।

করোনা পরিস্থিতি এবং বৈশ্বিক মন্দাবস্থার কারণে কৃচ্ছ্র নীতিতে যেতে বাধ্য হয়েছে সরকার। অনেক যাচাই-বাছাই করে প্রকল্প নেওয়া হচ্ছে। জরুরি না হলে তা ফেরত দেওয়া হচ্ছে। ব্যয় সাশ্রয়নীতি গ্রহণের পর থেকেই নতুন প্রকল্পের ক্ষেত্রে নেওয়া হচ্ছে বাড়তি সতর্কতা। পুরোনো প্রকল্প সংশোধনের ক্ষেত্রে বেশি টাকার বিষয় থাকলে তা আমলে নেওয়া হচ্ছে না। প্রকল্প প্রস্তাবের ক্ষেত্রে খুঁটিনাটি বিষয় যুক্ত করতে বলা হচ্ছে। এসব কৌশলের কারণে একনেক পর্যায়ে নতুন বা সংশোধনীর জন্য খুব বেশি প্রকল্প আসতে পারছে না। ফলে একনেক বৈঠকও অনিয়মিত হয়ে পড়েছে। আগে যেভাবে কর্মব্যস্ততা ছিলো, সব সময় ব্যস্ত থাকতে হতো সেরকম দৃশ্য নেই পরিকল্পনা কমিশনে। যে কয়টি একনেক বৈঠক হচ্ছে, সেখানে প্রকল্প সংখ্যাও থাকছে স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক কম। কম টাকার ছোট প্রকল্পগুলোই কেবল বিবেচনায় নেওয়া হচ্ছে।

এদিকে সরকারের কৃচ্ছ্রসাধন নীতির প্রভাবে এডিপির বাস্তবায়নেও ধীরগতি নেমে এসেছে বছরটিতে। গত নভেম্বর পর্যন্ত চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের পাঁচ মাসে বাস্তবায়নের হার ছিল ১৮ শতাংশ। এখনো এক শতাংশ অর্থ ব্যয় করতে পারেনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ। যেখানে করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও ৫৬টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগ এই সময়ের চেয়ে বেশি হারে এডিপির বাস্তবায়ন হয়েছিল।

জেডএ/এমএমএ/

Header Ad
Header Ad

আমেরিকার সঙ্গে চুক্তি নিয়ে বিশ্বজুড়ে দেশগুলোর প্রতি কঠোর হুঁশিয়ারি চীনের

ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় এসেই চীনের সঙ্গে শুরু করেছেন বাণিজ্যযুদ্ধ। দুই দেশের পাল্টাপাল্টি শুল্ক আরোপে বিশ্ববাজারে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। এর মধ্যেই চীন বিশ্বজুড়ে দেশগুলোকে সতর্ক করে দিয়েছে, যেন তারা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে এমন কোনও বাণিজ্যচুক্তিতে না যায়, যা চীনের স্বার্থকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।

চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জানান, চীন বিশ্বাস করে—সব দেশই যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সমতার ভিত্তিতে আলোচনার মাধ্যমে নিজেদের বাণিজ্য বিরোধ মেটাতে পারে। তবে কেউ যদি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে এমন কোনও চুক্তি করে যা চীনের ক্ষতি করে, তাহলে বেইজিং তাতে কঠোরভাবে আপত্তি জানাবে। তিনি আরও বলেন, কেউ চীনের স্বার্থ ক্ষুণ্ণ করলে চীন 'সঠিক এবং সমুচিত প্রতিক্রিয়া' জানাবে।

এই হুঁশিয়ারি এমন সময়ে এসেছে, যখন ট্রাম্প প্রশাসন অন্যান্য দেশগুলোর ওপর চাপ দিচ্ছে—তারা যেন যুক্তরাষ্ট্র থেকে শুল্ক ছাড় পেতে চাইলে চীনের সঙ্গে বাণিজ্য সীমিত করে। চীনের অভিযোগ, যুক্তরাষ্ট্র সমতার কথা বলে একতরফাভাবে সব দেশের ওপর শুল্ক চাপিয়ে দিচ্ছে এবং দেশগুলোকে তথাকথিত ‘পারস্পরিক শুল্ক’ আলোচনায় বাধ্য করছে।

চীন জানিয়েছে, তারা নিজের অধিকার ও স্বার্থ রক্ষায় দৃঢ় ও সক্ষম এবং বিশ্বব্যাপী দেশগুলোর সঙ্গে একতাবদ্ধ হয়ে কাজ করতে চায়। ইতোমধ্যে প্রায় ৫০টি দেশ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাড়তি শুল্ক নিয়ে আলোচনায় নেমেছে। জাপান সয়াবিন ও চালের আমদানি বাড়ানোর কথা ভাবছে, আর ইন্দোনেশিয়া যুক্তরাষ্ট্র থেকে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কিনে অন্য উৎস নির্ভরতা কমাতে চাইছে।

উল্লেখ্য, ট্রাম্প গত ২ এপ্রিল বহু দেশের ওপর শুল্ক আরোপ স্থগিত করলেও, চীনের ওপর তা বহাল রেখেছেন। চীনই এই শুল্ক নীতির মূল লক্ষ্য। এর জবাবে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার তিনটি দেশ সফর করেছেন, যেখানে মূল উদ্দেশ্য ছিল—আঞ্চলিক সম্পর্ক জোরদার করা এবং যুক্তরাষ্ট্রের একতরফা বাণিজ্যনীতির বিরুদ্ধে ঐক্য গড়ে তোলা।

(সূত্র: রয়টার্স, সিএনএন, দ্য গার্ডিয়ান)

Header Ad
Header Ad

৪৬তম বিসিএস লিখিত পরীক্ষা, মানতে হবে ৪ নির্দেশনা

ছবি: সংগৃহীত

আগামী ৮ মে শুরু হচ্ছে ৪৬তম বিসিএসের আবশ্যিক বিষয়ের লিখিত পরীক্ষা, যা চলবে ১৯ মে পর্যন্ত। এই পরীক্ষাগুলো ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, সিলেট, রংপুর ও ময়মনসিংহ কেন্দ্রসহ দেশব্যাপী একযোগে অনুষ্ঠিত হবে। পরীক্ষার্থীদের জন্য চারটি গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)।

রবিবার (২০ এপ্রিল) পিএসির প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পরীক্ষার হলে নিষিদ্ধ সামগ্রী পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্ট পরীক্ষার্থীর প্রার্থিতা বাতিল করা হবে এবং তাকে ভবিষ্যতের সব নিয়োগ পরীক্ষার জন্য অযোগ্য ঘোষণা করা হবে।

লিখিত পরীক্ষায় মানতে হবে যেসব নির্দেশনা:

১. পরীক্ষার হলে বই, ঘড়ি, মুঠোফোন, ক্যালকুলেটর, ইলেকট্রনিক ডিভাইস, ব্যাংক/ক্রেডিট কার্ডসদৃশ ডিভাইস, গয়না, ব্রেসলেট ও ব্যাগ আনা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। এসব সামগ্রীসহ কাউকে পরীক্ষার হলে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।

২. পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রবেশের সময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশের উপস্থিতিতে, মেটাল ডিটেক্টরের সাহায্যে মুঠোফোন ও অন্যান্য নিষিদ্ধ সামগ্রী তল্লাশি করা হবে। প্রবেশপত্র অবশ্যই সঙ্গে থাকতে হবে।

৩. পরীক্ষার দিন নিষিদ্ধ সামগ্রী সঙ্গে না আনার জন্য এসএমএসের মাধ্যমে সতর্কবার্তা পাঠানো হবে। পরীক্ষার্থীদের এই নির্দেশনা অবশ্যই অনুসরণ করতে হবে।

৪. পরীক্ষার সময় কানের ওপর কোনো আবরণ রাখা যাবে না এবং কানে হিয়ারিং এইড ব্যবহারের প্রয়োজন হলে, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শপত্রসহ কমিশনের পূর্বানুমোদন নিতে হবে।

৪৬তম বিসিএসে মোট ৩,১৪০টি পদের বিপরীতে সবচেয়ে বেশি নিয়োগ দেওয়া হবে স্বাস্থ্য ক্যাডারে। এর মধ্যে সহকারী সার্জন ১,৬৮২ জন এবং সহকারী ডেন্টাল সার্জন ১৬ জন নেওয়া হবে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ নিয়োগ থাকবে শিক্ষা ক্যাডারে, যেখানে ৫২০ জন প্রার্থীকে বিভিন্ন বিষয়ে নিয়োগ দেওয়া হবে।

Header Ad
Header Ad

প্রাইমএশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী পারভেজ হত্যায় আটক ৩ জন

প্রাইমএশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের নিহত শিক্ষার্থী পারভেজ। ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর বনানীতে প্রাইমএশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী পারভেজ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। সোমবার (২১ এপ্রিল) ভোরে তাদের আটক করা হয় বলে গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাসেল সারোয়ার। তবে আটককৃতদের নাম-পরিচয় এখনো প্রকাশ করা হয়নি।

এর আগে, শনিবার বিকেলে পারভেজের সহপাঠীদের সঙ্গে পাশের ইউনিভার্সিটি অব স্কলার্সের দুই ছাত্রীকে ঘিরে হাসাহাসির জেরে বাগবিতণ্ডা হয়। পরে বিষয়টি মীমাংসা হয়েছে বলে জানায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। কিন্তু ক্যাম্পাস থেকে বের হওয়ার পরপরই পারভেজকে ৩০ থেকে ৪০ জনের একটি দল ঘিরে ধরে এবং ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। পরে তাকে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

রোববার দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্ত শেষে পারভেজের মরদেহ নেওয়া হয় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে, যেখানে প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর রাত ১০টার দিকে ময়মনসিংহের ভালুকার কাইচান গ্রামে তার দাফন সম্পন্ন হয়।

এই ঘটনায় পারভেজের মামাতো ভাই হুমায়ুন কবীর বাদী হয়ে বনানী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় প্রাইমএশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও বহিরাগতসহ আটজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া অজ্ঞাত পরিচয়ের আরও ২৫-৩০ জনকে আসামি করা হয়েছে। মামলার অভিযুক্তরা হলেন—মেহেরাজ ইসলাম (২০), আবু জহর গিফফারি পিয়াস (২০), মো. মাহাথির হাসান (২০), সোবহান নিয়াজ তুষার (২৪), হৃদয় মিয়াজি (২৩), রিফাত (২১), আলী (২১) ও ফাহিম (২২)। তবে উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, ঘটনার সূত্রপাত যাকে ঘিরে, সেই ‘কথিত প্রেমিকা’ শনাক্ত হলেও মামলায় তার নাম নেই।

পুলিশ জানিয়েছে, তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের শনাক্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে এবং ঘটনার মূল রহস্য উদ্ঘাটনে কাজ চলছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

আমেরিকার সঙ্গে চুক্তি নিয়ে বিশ্বজুড়ে দেশগুলোর প্রতি কঠোর হুঁশিয়ারি চীনের
৪৬তম বিসিএস লিখিত পরীক্ষা, মানতে হবে ৪ নির্দেশনা
প্রাইমএশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী পারভেজ হত্যায় আটক ৩ জন
ঢাকাসহ ১৪ অঞ্চলে ঝড়-বৃষ্টির সম্ভাবনা: আবহাওয়া অফিস
গ্রীষ্মে স্বাভাবিক থাকবে বিদ্যুৎ সরবরাহ: বিপিডিবি চেয়ারম্যান
পরমাণু কর্মসূচি থেকে না সরার ঘোষণা ইরানের
পর্যটকদের ভ্যাটের অর্থ ফেরত দেবে সৌদি সরকার
আজ কাতার যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস
ভুল বোঝাবুঝিতে গাজায় ১৪ জরুরি সেবাদাতা কর্মীকে হত্যা!
জেলা প্রশাসকের দফতরে স্মারকলিপি দিল আওয়ামী লীগ
বিয়ের আশ্বাসে স্বামীর ১১ লাখ টাকা নিয়ে ঘর ছাড়লেন নারী, প্রেমিকের ফাঁদে পড়ে দলবেঁধে ধর্ষণের শিকার
বিয়ে না করেই পঞ্চাশে অন্তঃসত্ত্বা অভিনেত্রী, তোলপাড় নেটদুনিয়া
পারভেজের মৃত্যুতে গ্রামের বাড়িতে মাতম, পাগলপ্রায় মা-বাবা ও একমাত্র বোন
বাংলাদেশের হয়ে খেলতে রাজি কিউবা মিচেল
আসিফ মাহমুদ ও মাহফুজ আলমের পদত্যাগ দাবি করলেন নুর
২০২৫ শেষ হওয়ার আগেই ৫০ সেঞ্চুরিতে দেশের প্রথম এনামুল হক
ভিসা বাতিল করায় ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ভারতীয় ও চীনা শিক্ষার্থীদের মামলা
একনেকে ২৪ হাজার কোটি টাকার ১৬ প্রকল্প অনুমোদন
বিগত ৩ নির্বাচনের সঙ্গে জড়িতদের বিচার চায় এনসিপি
এপ্রিলে ১৯ দিনেই প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স ২১ হাজার কোটি টাকা ছাড়াল