মুরগি, ডিম, মাংস, সবজির বাজার স্থিতিশীল
সরকার তেলের দাম লিটারপ্রতি ৫ টাকা কমানোর ঘোষণা দিলেও বাজার তা দেখা যায়নি। তবে আগের তেল কিছুটা কম দামে বিক্রি করা হচ্ছে। আমনের মৌসুমে মোটা চালের দাম না কমলেও ২৮ চালের দাম কিছুটা কমেছে। আগের সপ্তাহের দামেই মুরগি, ডিম, মাংস, সবজি বিক্রি করা হচ্ছে। তবে নতুন আলু দাম কমে ২০ টাকা কেজি বিক্রি করতে দেখা গেছে।
শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) রাজধানীর কারওয়ান বাজার ঘুরে এমনই চিত্র দেখা গেছে।
নতুন আলুর দাম কমে ২০ টাকা
আগের সপ্তাহের মতো এ সপ্তাহেও নতুন আলুর দাম কেজিতে কমেছে ৫ টাকা। এরফলে ২৫ টাকা কেজির আলু ২০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। শীতের সবজি বাজারে আসায় মরিচের কেজি ৩০ টাকা, বেগুন ৩০ থেকে ৪০ টাকা, প্রতি পিস ফুল ও পাত কপি ২০ থেকে ৪০ টাকা, লাউ ৪০ থেকে ৬০ টাকা, শিমের কেজি ৩০ থেকে ৭০ টাকা, পটল ৪০ টাকা, ঢেঁড়স, মিষ্টি কুমড়া ৩০ টাকা, মূলা ও পেঁপের কেজি ২০ টাকা। তবে টমেটোর দাম কেজিতে ২০ টাকা কমে ৬০ থেকে ৭০ টাকা ও শসা ৪০ থেকে ৭০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।
স্থিতিশীল মাংস, ডিম, মাছের দাম
সবজি ও মাছের দাম কমার কারণে মুরগির দামও কম। ব্যবসায়ীরা জানান বলেন, প্রতি কেজি ব্রয়লার ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা, পাকিস্তানি মুরগি ২৩০ থেকে ২৪০ টাকা, লাল লেয়ার ২৫০ টাকা ও দেশি মুরগি ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে আগের মতো ডিম ১০০ থেকে ১১০ টাকা ডজন, হাঁসের ডিম ১৪০ টাকা, আগের মতোই গরুর মাংস ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকা, খাসির মাংস ৮৫০-৯০০ টাকা কেজি বিক্রি করা হচ্ছে ব্যবসায়ীরা জানান।
কমেছে ২৮ চালের দাম
ক্ষেত থেকে মাঠের আমন ধান উঠা শেষ হলেও কমেনি মোটা চালের দাম। রাজধানীর কারওয়ান বাজারের কিচেন মার্কেটের আল্লাহর দান রাইছের আ. আওয়াল তালুদার, বরিশাল রাইস এজেন্সির আল হাসিবসহ অন্য বিক্রেতারা ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, মোটা চালের দাম কমেনি। মোটা স্বর্ণা চাল ৫০ টাকা। তবে ২৮ চালের দাম কিছুটা কমেছে। তা ৫৫ থেকে ৫৮ টাকা কেজি বিক্রি করা হচ্ছে।
মিনিকেট চাল আগের মতো ৭৪ থেকে ৭৫ টাকা কেজি, বাসমতি ৮৮, নাজিরশাইল ৮২ থেকে ৯০ টাকা কেজি বিক্রি করা হচ্ছে। পোলাও চালের দামও কমেনি। খোলা এই চালের কেজি আগে ১২৫ টাকা বিক্রি করা হলেও তা ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকা বিক্রি করা হচ্ছে। তবে কোম্পানির প্যাকেট চালের ১৫০ টাকা কেজি বিক্রি করা হচ্ছে।
এখনো মিলে না কম দামের তেল
সরকার গত ৬ দিন আগে সয়াবিন তেলের দাম লিটারে পাঁচ টাকা কমানোর ঘোষণা দিয়েছে। প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১৮৭ টাকা। যা আগে ছিল ১৯২ টাকা লিটার। আর পামওয়েলে কমানো হয়েছে ১২১ থেকে ১১৭ টাকা। নতুন এই দাম ১৮ ডিসেম্বর থেকে কার্যকর হবে বলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে। তারপরও বাজারে পাওয়া যাচ্ছে না। তবে কোনো কোনো দোকানে আগের বেশি দামের তেল একটু কম দামে বিক্রি করছে ব্যবসায়ীরা।
এ ব্যাপালে শাহ আলম ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, এখনো ১, ২ লিটার তেল পাওয়া যাচ্ছে না। ডিলাররা দিতে পারছে না। তাই আমরাও বিক্রি করতে পারছি না। তবে আগের তেল একটু কম দামে বিক্রি করা হচ্ছে।
মসুর ডাল আগের মতো ৯৫-১৪০ টাকা কেজি, আটা ২ কেজি ১৪৪ টাকা থেকে ১৫০ টাকা ও ২ কেজি ময়দা ১৬০ টাকা বিক্রি করছে খুচরা ব্যবসায়ীরা। তবে এখনো সরকারে বেধে দেওয়া ১০৮ টাকা কেজি চিনি সব দোকানে পাওয়া যাচ্ছে না। কোনো দোকানে পাওয়া গেলেও তা বেশি দামে কিনতে হচ্ছে ক্রেতাদের।
আদার দাম কমে ১২০ টাকা
সপ্তাহের ব্যবধানে আদার দাম ১০ টাকা কমে দেশি আদা ১০০ টাকা ও চায়না ১২০ থেকে ১৩০ টাকা কেজি বিক্রি করা হচ্ছে। নতুন পেঁয়াজ বাজারে এসে গেছে। তাই এর দামও কমে ৩৫ থেকে ৫০ টাকা কেজি, দেশি রসুন ৭০ ও চায়না রসুন ১২০-১৪০ টাকা কেজি বিক্রি করা হচ্ছে বলে ব্যবসায়ীরা জানান।
আগের দামে মাছ
আগের মতোই রুই ও কাতলার কেজি ২২০-৪৫০ টাকা, চিংড়ি ৫০০-১২০০ টাকা কেজি, টেংরা, বোয়াল, আইড়ের দাম কমে ৫০০-৮০০ টাকা, কাচকি ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা, শিং ৪০০ থেকে ৬০০, কাজলি, বাতাসি ৬০০ টাকা বিক্রি করা হচ্ছে। এ ছাড়া, পাঙ্গাস, তেলাপিয়া ১৫০ থেকে ২০০ টাকা কেজি বিক্রি করা হচ্ছে। ইলিশের দামও কমতির দিকে। এক কেজির কম হলে ১০০০ টাকা কেজি, বেশি বড় হলে ১২০০ টাকা কেজি বিক্রি করা হচ্ছে। তবে ছোটগুলোর দাম একটু কম।
জেডএ/এমএমএ/