‘মুক্ত বাণিজ্য সুবিধা পেলে জাপানে বাড়বে রপ্তানি’
জাপান বাংলাদেশের অন্যতম বাণিজ্য এবং উন্নয়ন সহযোগী উল্লেখ করে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, বিগত ৫০ বছর জাপান বাংলাদেশকে বিভিন্নভাবে সহযোগিতা দিয়ে আসছে।
তিনি বলেন, ‘জাপান এখন বাংলাদেশের বড় রপ্তানি বাজার। দু’দেশের বাণিজ্য দিনদিন বাড়ছে। আগামীতে মুক্ত বাণিজ্য সুবিধা পাওয়া গেলে এ রপ্তানি আরও বাড়বে। বাংলাদেশে জাপানের অনেক বিনিয়োগ রয়েছে।’
সোমবার (১২ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) বা অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব চুক্তি(ইপিএ) স্বাক্ষরের লক্ষ্যে যৌথ সম্ভাব্যতা সমীক্ষা আরম্ভকরণ বিষয়ে যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, অতিসম্প্রতি নারায়নগঞ্জ জেলার আড়াই হাজার উপজেলায় স্পেশাল ইকোনমিক জোনে ১ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছে।
২০২৬ সালে বাংলাদেশ এলডিসি গ্রাজুয়েশন করবে। বিভিন্ন দেশের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি করে সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা করছে। জাপানের সাথে ফ্রি ট্রেড অ্যাগ্রিমন্ট (এফটিএ) বা ইকোনমিক পার্টনারশিপ এগ্রিমেন্ট (ইপিএ) এর মতো মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি করে সহযোগিতা গ্রহণের প্রয়োজন হবে। সেজন্য বাংলাদেশ জাপানের সঙ্গে এ মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষরের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, গত অর্থ বছরে বাংলাদেশ জাপানে ১.৩৫৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য রপ্তানি করেছে, একই সময়ে ২.৪১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য আমদানি করেছে।
জাপানের বাজারে এখন এক বিলিয়নের বেশি বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানি হচ্ছে। আগামীতে মুক্ত বাণিজ্য সুবিধা পাওয়া গেলে এ রপ্তানি আরও বাড়বে। ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত দেশ গড়ে তোলার জন্য বাংলাদেশ পরিকল্পিতভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। এ অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ জাপানকে পাশে চায়।
জাপানের বিদায়ী এ্যাম্বাসেডর ইতো নাওকি বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে জাপানের অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক দীর্ঘ ৫০ বছরের। আরও বাণিজ্য বৃদ্ধির সুযোগ রয়েছে, এ সুযোগকে কাজে লাগাতে হবে। জাপান বাংলাদেশের সাথে ইকোনমিক পার্টনারশিপ এগ্রিমেন্ট স্বাক্ষর করে বাণিজ্যেক সম্পর্ক আরও বৃদ্ধি করতে চায়। বাংলাদেশের উন্নয়ন যাত্রায় জাপান পাশে থাকবে।
এর আগে ঢাকায় নিযুক্ত জাপানের অ্যাম্বাসেডর ইতো নাওকি বাণিজ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বিদায়ী সাক্ষাৎ করেন। এ সময় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ, অতিরিক্ত সচিব (রপ্তানি) মো. রহিম উপস্থিত ছিলেন।
জেডএ/এমএমএ/