সংকটেও লক্ষ্য ছাড়িয়েছে রপ্তানি আয়
করোনার ধকল সামলে না উঠতেই ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধে বিশ্বে অর্থনৈতিক অবস্থা টালমাটাল। এ সংকটের মধ্যেও তৈরি পোশাক পণ্যসহ রপ্তানি আয় লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়েছে নভেম্বরে।
২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে (জুলাই-নভেম্বর) ২ হাজার ১৯৪ কোটি ৬০ লাখ (২১.৯৪ বিলিয়ন) ডলার আয় হয়েছে দেশে। লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ২১ দশমিক ৭৭ বিলিয়ন ডলার। বেশি আয় হয়েছে দশমিক ৮১ শতাংশ।
প্রবৃদ্ধি হয়েছে প্রায় ১১ শতাংশ। কারণ গত বছরের একই সময়ের ১৯ দশমিক ৭৯ বিলিয়ন ডলার আয় হয়েছিল। ইপিবির হালনাগাদ প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা গেছে।
ইপিবির প্রতিবেদনে দেথা গেছে বাংলাদেশের ৩১ ধরনের পণ্য বিশ্ববাজারে রপ্তানি হয়েছে। সেখান থেকে মোট আয় হয়েছে ৫০৯ কোটি ২৫ লাখ ৬০ হাজার ডলার। যা ২০২১-২২ অর্থবছরের নভেম্বর মাসে রপ্তানি আয় হয়েছিল ৪০৪ কোটি ১৩ লাখ ৯০ হাজার ডলার।
সেই হিসেবে গত বছরের তুলনায় বিশ্ববাজারে পণ্য রপ্তানি আয় বেড়েছে ১০৫ কোটি ১১ লাখ ৭০ হাজার ডলার। যা শতাংশের ২৬ দশমিক ০১ শতাংশ রপ্তানি আয় বেড়েছে। নভেম্বর মাসে রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪৩৫ কোটি ডলার। সেই লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৭৪ কোটি ২৫ লাখ ৬০ হাজার ডলার বেশি আয় হয়েছে। অর্থাৎ, লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১৭ দশমিক ০৭ শতাংশ বেশি রপ্তানি আয় হয়েছে।
প্রতিবেদনে দেখা গেছে, সবচেয়ে বেশি রপ্তানি আয় এসেছে পোশাক পণ্য রপ্তানি থেকে। এ খাতে লক্ষ্যের চেয়ে বেশি আয় হয়েছে ৪ দশমিক ৩৬ শতাংশ। কারণ, লক্ষ্য ধরা হয়েছিল ১৭ দশমিক ৫৬ বিলিয়ন ডলার। আয় হয়েছে ১৮ দশমিক ৩৩ বিলিয়ন ডলার। যা গত অর্থবছরের এই সময়ে আয় হয়েছিল ১৫ দশমিক ৮৫ বিলিয়ন ডলার। প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৫ দশমিক ৬১ শতাংশ।
প্রতিবেদনে আরও দেখা যায় রপ্তানি খাতে ২০২১ সালের তুলনায় ২০২২ সালের নভেম্বর মাসে রপ্তানি আয় বেড়েছে ৩৫ দশমিক ৩৬ শতাংশ। কারণ ২০২১ সালের নভেম্বরে বাংলাদেশের ৪০১ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক পণ্য রপ্তানি হয়েছে। ২০২২ সালের নভেম্বর মাসে রপ্তানি আয় হয়েছে ৫০৯ কোটি ডলার।
রপ্তানিকারকরা বলছেন, বিশ্বমন্দায় অনেক দেশের অবস্থা খারাপ। গত সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসে তার ধাক্কা লেগেছিল। সেই নেতিবাচক ধারা থেকে বেরিয়ে নভেম্বর মাসে আয় বেড়েছে। এটা ইতিবাচক দিক।
জেডএ/এমএমএ/