জাপানিজ অর্থনৈতিক অঞ্চল উদ্বোধন মঙ্গলবার
জি টু জির ভিত্তিতে বাংলাদেশে হচ্ছে ‘বাংলাদেশ স্পেশাল ইকনমিক জোন (জাপানিজ অর্থনৈতিক অঞ্চল)। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সোমবার (৬ ডিসেম্বর) আনুষ্ঠানিকভাবে এর উদ্বোধন করবেন। এ অর্থনৈতিক অঞ্চল থেকে আগামী বছর উৎপাদন শুরু হবে।
রাজধানীর শেরে-ই-বাংলা নগরে রবিবার (৪ ডিসেম্বর) বেজার সম্মেলন কক্ষে মতো বিনিময় সভায় এ তথ্য জানান বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ ইউসুফ হারুন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএসইজেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক টারোকাওয়াচি, বেজার যুগ্নসচিব আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ ফারুক সালেহ আহমেদসহ অন্য শীর্ষ কর্মকর্তারা।
বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান বলেন, এ জোনে সরকার সিইটিপি করে দিবে। অঅর বিনিয়োগকারিদের ইটিপি করে শিল্প গড়ে তুলতে হবে। জি টু জি ভিত্তিতে এই জোন করা হচ্ছে। এতে সরকারের ২৪ শতাংশ এবং জাপানের ৭৬ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বেজা ২০১৩ সাল থেকে পরিকল্পিত শিল্প অঞ্চল গড়ে তুলতে কাজ করছে। এরই অংশ হিসেবে বিএসইজোন ৬ ডিসেম্বর ভার্চ্যুয়ালি উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। এতে জাপানিজ বিনিয়োগ ও বৈদেশিক বিনিয়োগের নতুন দিগন্ত উন্মোচন হবে। ইতোমধ্যে এ অঞ্চলে শিল্প নির্মাণ কাজ শুরু করেছে সিংগার। চুক্তি হয়েছে জার্মান কোম্পানি রুডলুফের সঙ্গে। এ ছাড়া, ৬ ডিসেম্বর আরও দুইটি জাপানিজ বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে চুক্তি হবে। তবে এদের নাম বলা যাবে না উদ্বোধনের আগে।
খুব তাড়াতাড়ি আরও কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি হবে। পুরো অঞ্চল চালু হলে এখানে প্রায় ১৫০ কোটি ডলার বিনিয়োগ হবে। তাতে এক লাখের বেশি কর্মসংস্থান হবে।
চেয়াম্যান আরও বলেন, দেশের সম্ভাবনাময় এলাকায় অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা, পরিকল্পিত শিল্পায়ন, দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণ, অর্থনৈতিক অঞ্চল উন্নয়নে বেসরকারি ডেভলাপারের অংশগ্রহণ এবং ব্যাপক কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে ‘বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ আইন’ প্রণয়নে গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ গ্রহণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার। বেজা ২০১৩ সাল থেকে পরিকল্পিত শিল্পায়নের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতির দৃশ্যপট পরিবর্তন করতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। ২০১৬ সালে প্রধানমন্ত্রী ১০টি অর্থনৈতিক অঞ্চলের উন্নয়ন কাজের শুভ সূচনা করেন। ২০১৯ সালে এসব অর্থনৈতিক অঞ্চলে কয়েকটি শিল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। সবশেষ গত ২০ নভেম্বর স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে অর্থনৈতিক অঞ্চলের ৫০টি শিল্প ও অবকাঠামো উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে জাপানিজ অর্থনৈতিক অঞ্চল নির্মাণের পথ চলা শুরু হয় প্রধানমন্ত্রীর ২০১৪ সালে জাপান সফরের মাধ্যমে। ২০১৫ সালে জাপানের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের বাংলাদেশ সফরের সময় বিষয়টি গুরুত্বের সাথে আলোচনা হয়। ২০১৮ সালে জাইকার অর্থে সম্ভাব্যতা সমীক্ষা শেষে নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে এ অঞ্চল স্থাপনের কাজ শুরু হয় যৌথ উদ্যোগে।
প্রথম পর্যায়ে ৫০০ একর ভূমি উন্নয়ন কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে। এ পর্যন্ত কোম্পানির অনুকূলে ১৮০ একর জমি বাংলাদেশ স্পেশাল ইকনমিক জোনকে হস্তান্তর করা হয়েছে এবং তা শিল্প কারখানা তৈরির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। অবশিষ্ট জমি খুব শীঘ্রই হস্তান্তর করা হবে। এখানে ২২ লোককে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে এ অঞ্চলে কাজ করার জন্য। এরমধ্যে ৩০ শতাংশ মহিলা হবে।
জেডএ/এমএমএ/