শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫ | ২৯ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

বিশেষ সাক্ষাৎকার

‘অনেক ক্ষেত্রে চীনের চেয়েও এগিয়ে বাংলাদেশ’

পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম

যুদ্ধ বিধ্বস্ত ও ধ্বংস স্তুপের বাংলাদেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা অর্জন করে বিশ্বকে তাক লাগিয়েছে। কীভাবে এটা সম্ভব হয়েছে বিশেষ সাক্ষাৎকারে তার আদ্যপান্ত জানান পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম। তার সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন ঢাকাপ্রকাশ-এর সিনিয়র রিপোর্টার জাহাঙ্গীর আলম।

ঢাকাপ্রকাশ: ১৯৭২ সালের বাংলাদেশ ও আজকের বাংলাদেশকে আপনি কীভাবে মূল্যায়ন করেন?

ড. শামসুল আলম: স্বাধীনতার সময় দখলদার বাহিনীরা বাংলাদেশের অবকাঠামোসহ সব জায়গা ধ্বংস করে দেয়। তাই যুদ্ধ বিধ্বস্ত বাংলাদেশকে পুনরুদ্ধার করতে অল্প সময়ে পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা করেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বিধ্বস্ত বাংলাদেশে ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশে এসে ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য দেশ পুনর্গঠনে যুদ্ধের ২১ দিনের মধ্যে পরিকল্পনা কমিশন তৈরি করেন । অত্যন্ত শক্তিশালী পরিকল্পনা কমিশন করেছিলেন অর্থনীতিবিদদের নিয়ে। যা ভারত ৩ বছর পর, পাকিস্তান ৬ বছর পর করেছিল। তিনি কতটা গুরুত্ব দিয়েছিলেন এটা দেখলেই বুঝা যায়। সংবিধান তৈরি, নির্বাচন প্রদান, বিএডিসি, রাইস রিসার্চ ইনস্টিটিউটসহ অনেক প্রতিষ্ঠান সাড়ে তিন বছরে গড়ে তুলেছিলেন তিনি। কৃষিক্ষেত্রে যে বিপ্লব, তার ভিত্তি বঙ্গবন্ধুই গড়েছিলেন।

কাজেই সে সময়ের তুলনায় আমূল পরিবর্তন আসে বাংলাদেশে। মাথাপিছু আয় ৯০ ডলার থেকে ২৫৫৪ ডলারে এসে গেছে। দরিদ্রতার হার ৮৪ শতাংশ থেকে ২০ শতাংশে নেমে এসেছে। দরিদ্র দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশ হয়েছে। তার মধ্যে গত ১৩ বছরে যে অর্জন তা উল্লেখযোগ্য। অনেক দূর এগিয়েছে দেশ। অগ্রগতির কাল বলা যায় একে। কারণ, ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। কাজেই ৭২ সালের বাংলাদেশ আর আজকের বাংলাদেশ এক নয়। এক কথায় সব সূচকে অগ্রগতি হয়েছে দেশের। দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথম হয়েছে।

ঢাকা প্রকাশ: যুদ্ধ পরবর্তী একটি দেশ অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হতে যেসব প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হয় আমরা তার কতটুকু পেরেছি?

ড. শামসুল আলম: অত্যন্ত বলিষ্ঠভাবে প্রথম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা প্রণয়ন করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশকে এগিয়ে নিতে সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। ৫টি মৌলিক অধিকারকে গুরুত্ব দিয়ে এগিয়ে ছিলেন তিনি। কিন্তু ১৯৭৫ সালে তাকে হত্যা করে সবকিছু তছনছ করে দেয় ষড়যন্ত্রকারীরা।

তার ফলে আবার থমকে যায় দেশ। তখন পরিকল্পনা হতো কিন্তু বাস্তবায়ন হতো না। এর ফলে মাথাপিছু আয় ২৩৮ ডলার থেকে আবার নেমে যায়। যা ৮৮ সালে আবার সে জায়গায় আসে। বিদেশিদের সঙ্গে সমঝোতা ও আনুকূল্যে তারা দেশ পরিচালনা করত। ১৯৭৫ থেকে শুরুটা হয়েছে অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনকভাবে। স্বৈরশাসনসহ বিভিন্ন কারণে ৮০ এর দশকে সাড়ে ৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। এরপর বিভিন্ন ঘটনার পটপরিবর্তনে ৯০ এর দশকে তার ধারাবাহিকতা থেকে যায়। কিন্তু ১৯৯৫ সালের আগে কোন পঞ্চবাষিকী পরিকল্পনা হয়নি। অর্থনীতিতে কাঠামোগত পরিবর্তন আনে বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফ-এর প্রেসক্রিপশন দিয়ে। বলা যায় তেমন পরিকল্পনা ছিল না। কিন্তু শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ৫ম পঞ্চবাষিকী আমরা পাই ১৯৯৬ সালে। বাড়তে থাকে উন্নয়নের ধারা। অর্থনীতি পুনরুজ্জীবিত হতে থাকে। এর পর আসে তত্ত্বাবধায়ক সরকার। কিন্তু তারা বিতর্কিত ছিল।

২১ শতকেও অস্থিতিশীল আধা-সামরিক সরকারের আমল শুরু হয়। ২০০২ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা ছিল না। কারণ, সংবিধানের ব্যত্যয় ঘটিয়ে সময় পার করা হয়েছ সে সময়। দেশ উদ্দেশ্যহীন ছিল। কিন্তু ২০০৮ সালে শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টি ও অন্তর্দৃষ্টির নেতৃত্বের ফলে বলা যায় প্রথম পঞ্চবার্ষিকী আনা হয়। নির্বাচনের আগে শেখ হাসিনা ডিজিটাল বাংলাদেশ, প্রেক্ষিত ২০২১ প্রণয়ন করেন। দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা নেওয়া হয়। ২০১০ সালেই বলা হয়েছিল বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হবে। সাড়ে ৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি বেড়ে হয়েছে ৭ শতাংশ ।

ষষ্ঠ পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা (২০১১-১৫) অনুযায়ী জিডিপির প্রবৃদ্ধি, শিক্ষার হার বৃদ্ধি, বেশি বিদ্যুৎ উৎপদান, বিদেশে লোক পাঠানোসহ সব ক্ষেত্রে উদ্যোগ নেওয়া হয়। সেটা বাস্তবে রূপ নিয়েছে, দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে প্রথম হয়েছে প্রবৃদ্ধিতে, ৮ দশমিক ১৫ শতাংশ অর্জন করা সম্ভব হয়েছে। পরিকল্পনার সঙ্গে মিল রেখে উদ্যোগ নেওয়ায় পাঁচ লাখের টার্গেট ধরা হলেও সাত লাখ করে বিদেশে লোক পাঠানো হয়েছে। রিজার্ভ হুহু করে বেড়েছে, করোনার আগে ৪৩ বিলিয়ন ডলার হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর দূরদৃষ্টির জন্য এই সাফল্য অর্জন সম্ভব হয়েছে। এর ফলে করোনার আঘাত মোকাবেলা করে আবারও প্রবৃদ্ধির গতি বাড়ানো সম্ভব হয়েছে। উৎপাদনে আঘাত হানেনি। আমেরিকা, ইউরোপ ও ভারতে নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি হলেও বাংলাদেশে এর প্রভাব পড়েনি।

ঢাকা প্রকাশ: বিশ্বের অন্যান্য যেসব দেশ রোল মডেল তাদের সঙ্গে তুলনা করলে আমরা কি তাদের মতোই এগিয়েছি?

ড. শামসুল আলম: পৃথিবীতে উন্নয়নের রোল মডেল বাংলাদেশ। ভিয়েতনামের সঙ্গে কিছুটা তুলনা করতে পারি। রফতানিতে এগিয়ে আছে। তবে জিডিপিতে বাংলাদেশের কাছেও নেই। অনেক উন্নত হলেও চীনকেও এর সঙ্গে আনা যায় না। কারণ, প্রকাশ্যে জনমত প্রকাশের সামান্যতম সুযোগ নেই সে দেশে। যা বাংলাদেশে সম্ভব হয়েছে। গণতান্ত্রিকভাবে সবার মত প্রকাশের স্বাধীনতা রয়েছে। যেটা চীন ও ভিয়েতনামে সুযোগ নেই। বর্তমানে বাংলাদেশকে অনেকে অনুসরণ করছে।

ঢাকা প্রকাশ: স্বাধীনতার ৫০ বছর পর অর্থনীতিতে বাংলাদেশের অগ্রগতির খাত গুলো কী কী?

ড. শামসুল আলম: প্রবৃদ্ধির অনেক অগ্রগতি হয়েছে। কারিগরি শিক্ষার অগ্রগতি হয়েছে, ১০৮টি বিশ্ববিদ্যালয় হয়েছে। মুত্যৃ হার কমেছে। নারী শিক্ষার হারও বেড়েছে। বিশাল অগ্রগতি হয়েছে। ছাত্রী বেশি মাধ্যমিকে। মাথাপিছু আয় আড়াই গুণ হয়েছে গত ১৩ বছরে। সামজিক নিরাপত্তার ক্ষেত্রেও গুরুত্ব দেওয়ায় ব্যাপক অগ্রহতি হয়েছে।

ঢাকা প্রকাশ: দারিদ্র বিমোচন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে ৫০ বছরে আমাদের প্রাপ্তি কতটুকু?

ড. শামসুল আলম: ২০০৫ সালে দারিদ্রের হার ৪০ শতাংশ থাকলেও বর্তমানে তা ২০ শতাংশে নেমে এসেছে। হত দরিদ্রও অর্ধেক কমে ১০ শতাংশে এসেছে। রিজার্ভ বেড়েছে অনেক, ৫০ বিলিয়ন ডলার ছুঁইছুঁই করছে। সব মিলে বলা যায় বাংলাদেশ বিশ্বে বিস্ময়।

ঢাকা প্রকাশ: স্বাধীনতার ৫০ বছরে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক মুক্তির বিষয়ে আপনার মন্তব্য কী?

ড. শামসুল আলম: আমরা থেমে নেই। উন্নয়নের জন্য কাজ করা হচ্ছে। রূপকল্প-২০২১ প্রণয়ন করে ২০৩১ মধ্যে উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশ ও ২০৪১ সালে উন্নত দেশে পরিণত হবে বাংলাদেশ। ১০০ বছরের পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে 'বদ্বীপ' পরিকল্পনায়। কাজেই বলা যায় ২০২৫ সালে দুই অংকের অর্থ্যাৎ ১০ শতাংশের প্রবৃদ্ধিতে পৌঁছতে পারবে বাংলাদেশ।

 

জেডেএ/এমএমএ/

 

 

Header Ad
Header Ad

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে জাতিসংঘ মহাসচিবের সাক্ষাৎ

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। ছবি: সংগৃহীত

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। শুক্রবার সকালে ঢাকায় প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে তারা সাক্ষাৎ করেন।

প্রধান উপদেষ্টা উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার এ তথ্য জানিয়েছেন। আবুল কালাম আজাদ মজুমদার জানান, সাক্ষাৎ শেষে প্রধান উপদেষ্টা ও জাতিসংঘ মহাসচিব একই বিমানে কক্সবাজার ভ্রমণ করবেন।

কক্সবাজারে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস নির্মাণাধীন কক্সবাজার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও খুরুশকূল জলবায়ু উদ্বাস্তু কেন্দ্র পরিদর্শন করবেন। পরিদর্শন শেষে উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস উখিয়ায় জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস এবং প্রায় এক লক্ষ রোহিঙ্গা শরণার্থীর সঙ্গে ইফতারে যোগ দেবেন।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টা ফারুক ই আজম কক্সবাজারে জাতিসংঘ মহাসচিবকে স্বাগত জানাবেন।

জাতিসংঘ মহাসচিব গুতেরেস বিমানবন্দর থেকে সরাসরি উখিয়ায় যাবেন। সেখানে তিনি রোহিঙ্গা লার্নিং সেন্টার, রোহিঙ্গাদের সাংস্কৃতিক কেন্দ্র ও পাটজাত পণ্যের উৎপাদন কেন্দ্র পরিদর্শন করবেন।

পরিদর্শন ও ইফতার শেষে প্রধান উপদেষ্টা ও জাতিসংঘ মহাসচিব একসঙ্গে সন্ধ্যায় ঢাকায় ফিরবেন।

Header Ad
Header Ad

৩ ম্যাচ পর মাঠে ফিরেই মেসির দুর্দান্ত গোল, কোয়ার্টারে ইন্টার মিয়ামি (ভিডিও)

লিওনেল মেসি। ছবি: সংগৃহীত

চোটের কারণে টানা তিন ম্যাচ মাঠের বাইরে থাকার পর আবারও মাঠে ফিরে দুর্দান্ত এক গোল করেছেন লিওনেল মেসি। ক্যাভালিয়েরের বিপক্ষে কনক্যাকাফ চ্যাম্পিয়নস কাপের শেষ ষোলোর দ্বিতীয় লেগে মেসি ছিলেন বেঞ্চে, তবে বিরতির পর ৫৩ মিনিটে লুইস সুয়ারেজের বদলি হিসেবে মাঠে নামেন এবং নিজের প্রথম গোল করেন।

মেসির জন্য এটি ছিল জ্যামাইকায় প্রথম ম্যাচ এবং তার উপস্থিতি নিয়ে দেশটিতে উন্মাদনা ছিল তুঙ্গে। মেসির কারণে ম্যাচটি ক্যাভালিয়েরের ৩ হাজার ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন মাঠ থেকে সরিয়ে নেওয়া হয় ন্যাশনাল স্টেডিয়াম ইনডিপেনডেন্টস পার্কে, যেখানে ধারণক্ষমতা ছিল প্রায় ৩৫ হাজার। এই মাঠে এসে মেসিকে একনজর দেখতে আসা দর্শকরা হতাশ হননি, কারণ তারা মেসিকে গোল করতে দেখার আনন্দ পেয়েছেন।

মেসি ম্যাচের যোগ করা সময়ে দারুণ একটি গোল করেন। সতীর্থ সান্তিয়াগো মোরালেসের পাস ধরে বক্সে ঢুকে মেসি দুর্দান্ত ফিনিশিংয়ে গোল করেন। এর ফলে, ক্যাভালিয়েরের বিপক্ষে ২-০ ব্যবধানে জয়লাভ করে ইন্টার মায়ামি। দুই লেগ মিলিয়ে ৪-০ গোলের জয় নিয়ে তারা কনক্যাকাফ চ্যাম্পিয়নস কাপের কোয়ার্টারে পৌঁছেছে।

মেসির অনুপস্থিতিতে প্রথমার্ধে সুয়ারেজের পেনাল্টি গোলে ৩৭ মিনিটে ইন্টার মায়ামি ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে ছিল। ম্যাচের বাকি সময়টা ১-০ ব্যবধানেই শেষ হওয়ার মতো মনে হচ্ছিল, তবে যোগ করা সময়ের দ্বিতীয় মিনিটে মেসি গোল করে সবাইকে উল্লসিত করেন।

এদিন মেসির ক্যারিয়ার গোল সংখ্যা ৮৫৩-এ পৌঁছেছে এবং মায়ামির হয়ে তার গোলের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৭।

 

Header Ad
Header Ad

মাগুরার সেই শিশুর মৃত্যু কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না: তারেক রহমান

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ছবি: সংগৃহীত

মাগুরার সেই শিশুর মৃত্যু কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেন, সেই শিশুর মৃত্যুর ঘটনা সারা দেশের মানুষকে লজ্জিত করেছে। আমরা দেখছি পবিত্র মাহে রমজান মাসেও ধর্ষণের ঘটনা থামছে না। দেশের বিভিন্ন স্থানে নারী ও শিশুদের ওপর চলমান নিপীড়ন, হেনস্তাকরণ ও ধর্ষণের মতো ঘৃণ্য কাজ রোধে সর্বস্তরের মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে।

বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) দিবাগত মধ্যরাতে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তারেক রহমান এসব কথা বলেন। বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী প্রেরিত বিজ্ঞপ্তিটি বিএনপির অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজ থেকেও প্রকাশ করা হয়।

বিবৃতিতে তারেক রহমান বলেছেন, নির্মম পাশবিকতায় সেই শিশুর মৃত্যুর ঘটনা দেশবাসীর মতো আমাকেও ব্যথিত করেছে। তার মৃত্যুর সংবাদে স্তব্ধ হয়ে পড়েছে গোটা দেশ। এ মৃত্যু কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। এ ঘটনা সারা দেশের মানুষকে লজ্জিত করেছে। সেই শিশুর ওপর ঘটে যাওয়া নির্মম পাশবিক ঘটনার প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে শহর থেকে গ্রামে। রাজপথ উত্তপ্ত হয়েছে মিছিল আর স্লোগানে। একইসঙ্গে তার ফিরে আসার জন্য প্রার্থনা ছিল প্রতিটি মানুষের।

তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার দুপুরের পর সিএমএইচ থেকে আসা খবরে শোক আর ক্ষোভে একাকার মানুষ ধিক্কার জানাচ্ছে মানুষরূপী কুলাঙ্গারদের। আমি শুরুতে এ ঘটনা জানার পর তার চিকিৎসা ও আইনি সহায়তার ঘোষণা দিয়েছিলাম। অতীতের ফ্যাসিবাদ সরকারের আমলে ধর্ষণকারীদেরকে বিচারের আওতায় না এনে বিভিন্নভাবে পুরস্কৃত করার ফলে দেশে ধারাবাহিকভাবে একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটছে। বিচারের দীর্ঘসূত্রিতার ফলে আইনের ফাঁক দিয়ে ধর্ষণকারীরা বারবার রক্ষা পেয়ে যাচ্ছে। যার ফলে ধর্ষণের মাত্রা দিনদিন বেড়েই চলছে।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, আধুনিক এ যুগে মানবজাতি এরূপ অমানবিক, পৈশাচিক এবং বর্বরোচিত কাজে লিপ্ত হতে পারে, তা কল্পনাতীত। ধর্ষণ শুধু অপরাধই নয়, মানবতার বিরুদ্ধে চরম আঘাত এবং সমাজের নৈতিক অবক্ষয়ের ভয়াবহ চিত্র। আমাদের সমাজে যে নির্মম ও বর্বরোচিত ঘটনাগুলো ঘটে চলছে, তা মানবতা ও নৈতিকতার মৌলিক ভিত্তিকেই প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। আমরা দেখছি পবিত্র মাহে রমজান মাসেও ধর্ষণের ঘটনা থামছে না। দেশের বিভিন্ন স্থানে নারী ও শিশুদের ওপর চলমান নিপীড়ন, হেনস্তাকরণ ও ধর্ষণের মতো ঘৃণ্য কাজ রোধে সর্বস্তরের মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে।

তারেক রহমান বলেন, গত ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের পর থেকে নারী হেনস্তা, হয়রানি, ধর্ষণ বা ধর্ষণের হুমকির মতো ঘটনা মানুষ আর প্রত্যাশা করে না। তারপরেও এ ঘটনাগুলো ঘটেই চলেছে। নারী, কিশোরী ও শিশুদের প্রতি যেকোনো ধরনের সহিংসতা বা হয়রানি মানবাধিকারের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। তাই সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নারী ও শিশুদের নিরাপত্তা এবং মর্যাদা নিশ্চিতে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের আহ্বান জানাচ্ছি। এ ছাড়া একটি বিস্তৃত শিশু সুরক্ষা ব্যবস্থা তৈরি করে নারী ও শিশুদের জন্য নিরাপদ চলাচল, নাগরিক স্বাধীনতা এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা নিশ্চিতে ভূমিকা রাখতে হবে। ভুক্তভোগী ও তাদের পরিবারের সর্বোচ্চ সুরক্ষা দিতে হবে আইনিভাবে।

বিএনপির শীর্ষ এ নেতা বলেন, এ ধরনের অপরাধের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা সমাজে শান্তি ও ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য অতীব গুরুত্বপূর্ণ। এ ঘটনা শুধু বর্তমান সমাজকে কলুষিত করছে না, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্যও এক ভয়ংকর দৃষ্টান্ত তৈরি করছে। এমন ব্যবস্থা নিতে হবে যাতে ভবিষ্যতে কেউ যেন এ ধরনের অপরাধ করার সাহস না পায়।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে জাতিসংঘ মহাসচিবের সাক্ষাৎ
৩ ম্যাচ পর মাঠে ফিরেই মেসির দুর্দান্ত গোল, কোয়ার্টারে ইন্টার মিয়ামি (ভিডিও)
মাগুরার সেই শিশুর মৃত্যু কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না: তারেক রহমান
ইসলামী শাসনে চলবে সিরিয়া, অস্থায়ী সংবিধানে সই করলেন প্রেসিডেন্ট
বিরামপুরে ভিটামিন 'এ' প্লাস ক্যাম্পেইন উপলক্ষে পরিকল্পনা সভা অনুষ্ঠিত
ঈদে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু, আজ পাওয়া যাচ্ছে ২৪ মার্চের টিকিট
ড. ইউনূস ও গুতেরেসের কক্সবাজার সফর আজ, ইফতার করবেন লাখো রোহিঙ্গার সঙ্গে
ঢাকা বশ্বিবিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. আরেফিন সিদ্দিক মারা গেছেন
আমি জানি না, ওরা কেন মাঠ থেকে অবসর নিতে চায় না : খালেদ মাহমুদ সুজন
উপদেষ্টা মাহফুজ শাহরিয়ার কবিরদের ভাষাতেই কথা বলেছেন : জামায়াত
নওগাঁ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের পূর্ণাঙ্গ আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা
শিশু আছিয়ার দাফন সম্পন্ন, অভিযুক্তের বাড়িতে আগুন দিলো বিক্ষুব্ধ জনতা
বেইজিংয়ে শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন ড. ইউনূস
‘২০২৬ সালেই বাংলাদেশকে এলডিসি থেকে উত্তরণ করা হবে’
নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি শোভনের বাবা গ্রেপ্তার
শুক্রবার থেকে বন্ধ হচ্ছে দেশের সব পর্ন ওয়েবসাইট
ট্রাম্পের গাজা দখলের পরিকল্পনা থেকে সরে আসা নিয়ে যা বলল হামাস
গাম্বিয়ার সঙ্গে ভিসা অব্যাহতি চুক্তি দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও গভীরতর করবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
স্ত্রীসহ সাবেক বিজিবি প্রধান সাফিনুল ইসলামের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
মাগুরার শিশু ধর্ষণ ও হত্যার বিচার ৭ দিনের মধ্যে শুরু হবে: আইন উপদেষ্টা