‘রেমিট্যান্স সমস্যা দূর হলে রিজার্ভের সমস্যা সহজ হবে’
ইসলামী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ মনিরুল মওলা বলেছেন, প্রবাসীদের টাকা পাঠানোর ক্ষেত্রে সমস্যা দূর করলে রিজার্ভের ক্ষেত্রে বিদ্যমান সমস্যা মোকাবিলা করা সহজ হবে। ডিজিটাল পদ্ধতিতে বেশি করে রেমিট্যান্স আনা গেলে বৈদেশিক মুদ্রার ঘাটতি আগামী দুই-তিন মাসের মধ্যে মেটানো সম্ভব হবে।
বুধবার (৯ নভেম্বর) ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) আয়োজিত সেমিনারে তিনি এসব তথ্য জানান।
রাজধানীর পুরানা পল্টনে সংগঠনটির কার্যালয়ে “বৈধ পথে সহজে নিরাপদে ডিজিটাল মাধ্যমে রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়াতে করণীয়’ শীর্ষক এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। ইআরএফ সভাপতি শারমীন রিনভীর সভাপতিত্বে সঞ্চালনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক এস এম রাশিদুল ইসলাম। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ও সানেমের চেয়ারম্যান ড. বজলুল এইচ খন্দকার।
এমডি মোহাম্মদ মনিরুল মওলা বলেন, ইসলামী ব্যাংকের পরিশোধিত মূলধনের ৭০ শতাংশ হচ্ছে রেমিট্যান্সের। সারা বিশ্ব থেকে বাংলাদেশে যা রেমিট্যান্স আসছে তার ১৩ শতাংশ ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে আসছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকে এক সময়ে যে ৪৮ বিলিয়ন ডলার রিজার্ভ হয়েছে তারমধ্যে ইসলামী ব্যাংকের ছিল ১২ বিলিয়ন ডলার।
তিনি আরও বলেন, প্রবাসীরা যেখানে আছে তাদের সুবিধার্থে বিভিন্ন প্রতিনিধিদের মাধ্যমে তাৎক্ষণিকভাবে রেমিট্যান্স পাঠানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এরফলে প্রবাসীরা জমা করা মাত্র ৩৯২টি ব্যাংকের শাখা ও ২৭০০টি এজেন্ট আউটলেটের মাধ্যমে তাদের কাছের মানুষের কাছে পৌঁছে দিচ্ছে। এরফলে তাড়াতাড়ি তারা টাকা পেয়ে যাচ্ছেন।
এমডি আরও বলেন, করোনাকালে সবকিছু বন্ধ থাকায় দেশে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স এসেছে। মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসের (এমএফএস) বয়স ১০ বছর হয়ে গেছে। তাই এর সুযোগ অবাধ করা দরকার। তাহলে আরও বাড়বে রেমিট্যান্স।
জেডএ/এসএন