শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

চিনি আছে ট্রাকে, নেই বাজারে

কোনো কিছুতেই স্থির হচ্ছে না চিনির বাজার। এখনো হাহাকার লেগে আছে বাজারে। একদিকে ভোক্তারা বলছেন, ১১৫ টাকার কমে চিনি পাওয়া যাচ্ছে না। অপরদিকে খুচরা বিক্রেতাদের দাবি পাইকারি বাজারে এখনো চিনি পাওয়া যাচ্ছে না। আসছে আসছে বলে প্রতিদিন আশ্বাস দিয়ে রাখছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন পাইকারি ব্যবসায়ীরা। তারা বলছেন, ১৫ দিন পার হয়ে গেলেও মিল থেকে চিনি দিচ্ছে না। ডিও দেওয়ার পরও মিলছেনা। প্রতিদিন যোগাযোগ করা হলেও দেওয়া হচ্ছে না চিনি। আর এসবের চূড়ান্ত ভুক্তভোগী ভোক্তারা।

সরকার ৬ অক্টোবর চিনির দাম কেজি প্রতি ৯০ থেকে ৯৫ টাকা বেঁধে দেওয়ার পর থেকেই চিনি পাওয়া যাচ্ছে না। মিলমালিকদের দাবি, বিদ্যুৎ সংকটের কারণে উৎপাদন কমে গেছে। তাই সরবরাহও কমে গেছে।

তবে টিসিবি থেকে ৫৫ টাকা কেজি চিনি বিক্রি করা হলেও তা চাহিদার তুলনায় একেবারে কম। তা পেতে ভোক্তাদের পোহাতে হচ্ছে দীর্ঘ লাইনের জট। অপরদিকে বাজারে চিনি না পাওয়া গেলেও সিটি, মেঘনা ও দেশবন্ধু গ্রুপ রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে ট্রাক সেলে ৯৫ টাকা কেজি প্যাকেট চিনি বিক্রি করছে। বাজার স্থিতিশীল না হওয়া পর্যন্ত এই বিক্রি কার্যক্রম চলবে।

বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) রাজধানীর কারওয়ানবাজারসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমনই চিত্র পাওয়া গেছে।

কারওয়ান বাজারে সরেজমিনে গেলে মনির চা স্টোরের মনির জানান, ১১৫ টাকা কেজি খোলা চিনি কেনা হয়েছে। শুনেছি কমবে, ৯০ টাকা কেজি হবে, সরকার যা ঘোষণা করেছে ২০ দিন আগে। কিন্তু কমছে না। এভাবে আর কতদিন বেশি দামে কিনতে হবে।

তার এ প্রশ্নের জবাব খুঁজতে কথা হয় কারওয়ানবাজারের মায়ের দোয়া জেনারেল স্টোরের শাহ আলম খানের সঙ্গে। চিনি কত করে কেজি? এমন প্রশ্ন করা মাত্র তিনি ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, চিনি নেই। বিক্রি করব কি। কয় দিন থেকে নেই? বলেন, সরকার খোলা ৯০ ও প্যাকেট চিনি ৯৫ টাকা দাম ঘোষণা করার পর থেকেই পাওয়া যাচ্ছে না। পাইকারি বাজারেও পাওয়া যাচ্ছে না। জামাল ট্রেডার্সসহ বিভিন্ন পাইকারি ব্যবসায়ীরা প্রতিদিন শুধু আশ্বাস দিচ্ছে। কিন্তু পাচ্ছি না। এভাবে আর কতো দিন চলবে, ভালো লাগছে না। কারণ ক্রেতারা চিনি না পাওয়ায় খুবই বিরক্তবোধ করছেন। অনেকে আছে লাইনেতো দাঁড়াতে পারে না। কম দামের চিনি নিতেও পারে না।

শুধু শাহ আলম নয়, ওই বাজারের শাহপরান জেনারেল স্টোর, ইউসুফ জোনারেল স্টোরসহ বিভিন্ন খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, চিনি নেই। এভাবে আর কতো দিন চলব। তারা আরও বলছেন, ভোক্তা অধিদপ্তর থেকে শনিবার মিটিং করে আশ্বাস দিয়েছেন যে চিনি সমস্যা কেটে যাবে। কিন্তু এখনো হাহাকার লেগে আছে। কেউ দিতে পারছে না।

খুচরা ব্যবসায়ীদের অভিযোগের সত্যতা জানতে পাইকারি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাদেরও অভিযোগ, চিনি নেই। মিল থেকে দিচ্ছে না। এ ব্যাপারে মেঘনা গ্রুপের ডিলার কারওয়ান বাজারের মেসার্স জামাল ট্রেডার্সের মো. খোকন এই প্রতিবেদককে জানান, চিনি কিভাবে পাব, মিল থেকে তো দিচ্ছে না। কখন থেকে নেই, এমন প্রশ্নের জবাবে খাতা দেখিয়ে তিনি বলেন, গত ৯ অক্টোবর শেষ চালান চিনি এসেছে। এরপর থেকে আর পাচ্ছি না। ডিও করতে করতে ১৪ হাজার কেজি জমে গেছে। প্রতিদিন মিলে যোগাযোগ করা হচ্ছে, দিচ্ছি করে আর দিচ্ছে না। কেন দিচ্ছে না জানেন কি? বলেন, মিলে নাকি বিদ্যুৎ পাচ্ছে না, উৎপাদন কমে গেছে। তাই দিতে পারছে না।

অন্যান্য ডিলারদেরও একই বক্তব্য, মিল থেকে দিচ্ছে না চিনি। পাওয়ার অপেক্ষায় আছি। তাই পাইকারি বাজারেও পাওয়া যাচ্ছে না। রাজধানীর মোহাম্মদপুরের কৃষি মার্কেটের সিটি এন্টারপ্রাইজের আবু তাহের সহ বিভিন্ন পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতারা এবং টাউনহলের নিউ হক ভ্যারাইটি স্টোরের মো. আবদুল হাই লিটনসহ বিভিন্ন বিক্রেতারা জানান চিনি পাওয়া যাচ্ছে না প্রায় ১৫ দিন থেকে। তাই বিক্রি করতে পারছি না।

এদিকে চিনি বাজার অস্থিতিশীল হলে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে রবিবার (২৩ অক্টোবর) যে কোনো মূল্যে নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য বলা হয়েছে। এমন অবস্থায় জাতীয় ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তর রবিবার চিনি রিফাইনারি মালিক, ডিলার, পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ী এবং বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতিকে নিয়ে সভা করে। ওই দিনই মিলমালিকদের পক্ষ থেকে দেশবন্ধু গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক গোলাম রহমান বলেন, আসলে চিনির বাজার অস্থির হওয়ার জন্য আমাদের সবার কিছু ত্রুটি রয়েছে। তবে আর সমস্যা হবে না। আমরা যে কেউ চাইলে চিনি দিব। কারণ পরিশোধিত ও র' সবমিলিয়ে ৩ লাখ ৭৫ হাজার টন চিনি রেডি রয়েছে। তাতে তিন মাস চলা যাবে।

অপরদিকে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিজ্জামান বলেন, ‘আমাদের কাছে পর্যাপ্ত ‘র সুগার’ আছে। কিন্তু গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংকটের কারণে রিফাইন করতে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। প্রতিদিন আমাদের পাঁচ হাজার মেট্রিক টন চিনির চাহিদা। পাওয়া যাচ্ছে সাড়ে তিন হাজার টন। এটা প্রতিদিন উৎপাদন করতে পারলে সমস্যা আর থাকবে না। কারণ মিলমালিকরা আশ্বস্ত করেছেন, যে যা চিনি চাইবে তারা চিনি দিবেন।

এর একদিন পর থেকেই সিটি, দেশবন্ধু ও মেঘনা গ্রুপ ৯৫ টাকা কেজি প্যাকেট চিনি বিক্রি করছে রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে। বৃহস্পতিবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে দেখা যায় সিটি গ্রুপ ট্রাকে করে ৯৫ টাকা কেজি দরে চিনি বিক্রি করছে। এ ব্যাপারে সিটি গ্রুপের হেমায়েত ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ‘সকাল ৯টার পর থেকে ৯৫ টাকা কেজি চিনি বিক্রি শুরু হয়েছে। চলবে রাত পর্যন্ত। এ ব্যাপারে সিটি গ্রুপের পরিচালক বিশ্বজিৎ সাহা ঢাকাপ্রকাশ-কে জানান, বুধবার (২৬ অক্টোবর) থেকে রাজধানীর মতিঝিল, আজিমপুর, মোহাম্মদপুরের টাউনহল, মিরপুর-১ ও কারওয়ান বাজারে সিটি গ্রুপের চিনি বিক্রি করা হচ্ছে। সরকারের বেঁধে দেওয়া রেটে প্রতি কেজি প্যাকেট চিনি ৯৫ টাকা দরে বিক্রি করা হবে। ভোক্তাদের স্বার্থে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

অপরদিকে, মেঘনা গ্রুপের মো. সাহাজু উদ্দিন মৃধা বলেন, ‘সকাল ৯ টার পর থেকে রাত পর্যন্ত কারওয়ানবাজার, মতিঝিল ও নিউমার্কেটে ৯৫ টাকা কেজি চিনি বিক্রি করা হচ্ছে। বাজার স্থিতিশীল না হওয়া পর্যন্ত এই কার্যক্রম চলমান থাকবে। অন্যদিকে দেশবন্ধু গ্রুপও বুধবার সকাল থেকে মতিঝিল, সচিবালয়, প্রেস ক্লাব, জিরো পয়েন্ট, নিউমার্কেট ও কারওয়ান বাজারে নির্ধারিত দামে (প্রতি কেজি ৯৫ টাকা) চিনি বিক্রি করছে।

এদিকে বাজার স্থিতিশীল করার জন্য সরকারের পক্ষ থেকেও ৫৫ টাকা কেজি চিনি বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তা শুরু করলেও চাহিদার তুলনায় অত্যন্ত কম। কারণ টিসিবির মুখপাত্র মো. হুমায়ন কবীর ঢাকাপ্রকাশ-কে জানান, ঢাকাতে ১১টি এলাকায় প্রতিদিন ১ হাজার ৫০০ কেজি চিনি বিক্রি করা হচ্ছে, দেড় হাজার পরিবারের জন্য। ট্রাকের অপেক্ষায় দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে অনেকে অতিষ্ঠ হয়ে যাচ্ছে? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, গোডাউন থেকে ট্রাকে মাল আসতে দুপুর হয়ে যাছে। কারণ অন্য ডিলারদেও মাল দেওয়া হচ্ছে। তাই একটু দেরি হচ্ছে ট্রাক বের হতে।

উল্লেখ্য, গত ৬ অক্টোবর সরকার প্রতি কেজি খোলা চিনি ৯০ টাকা আর প্যাকেটজাত চিনির কেজি ৯৫ টাকা নির্ধারণ করেছে। কিন্তু বিভিন্ন কারণে এখনো বাজারে সহজে পাওয়া যাচ্ছে না।

জেডএ/এএস

Header Ad

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের এ কুশল বিনিময় হয়।

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া পৌঁছালে উপস্থিত সবাই তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টা তার পাশে এসে দাঁড়ান এবং শারীরিক খোঁজখবর নেন। এ সময় খালেদা জিয়া তাদের অভিনন্দন জানান এবং দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এ সময় এই ৩ উপদেষ্টা বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে দোয়া চান এবং সরকারের সংস্কার কাজে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা চান।

এদিকে সেনাকুঞ্জে গেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।

Header Ad

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

ছবি: সংগৃহীত

আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আজকেও ছিল এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

এর আগে, সবশেষ গত ১৯ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় টানা চার দফা কমার পর ভরিতে ২ হাজার ৯৪০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২০ নভেম্বর থেকে।

এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫১ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩০ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২১ বার।

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত