৪ শতাংশ সুদে লবণ চাষে পাওয়া যাবে ঋণ
ফাইল ছবি
সমুদ্র উপকূলীয় লবণ চাষের উপযোগী এলাকার লবণ চাষিদের এখন ৪ শতাংশ সুদে ঋণ দেওয়া হবে। কৃষি ও পল্লী ঋণ নীতিমালার আওতায় রেয়াতি সুবিধায় সহজ শর্তে এ ঋণ দেওয়া হবে।
রবিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের কৃষি ঋণ বিভাগ এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করেছে।
কৃষি ঋণ বিভাগের পরিচালক মো. আবুল কালাম আজাদ স্বাক্ষরিত সার্কুলারে জানানো হয়, সমুদ্র উপকূলীয় যেসব এলাকা লবণ চাষের উপযোগী, সেখানে লবণ চাষ মৌসুমে (নভেম্বর থেকে মে পর্যন্ত) রেয়াতি সুদের হারে ঋণ দেওয়া হবে। প্রকৃত লবণ চাষিদের অনুকূলে লবণ চাষের জন্য একক ও গ্রুপ ভিত্তিতে ঋণ দেওয়া যাবে।
যেসব লবণ চাষির জমির মালিকানা রয়েছে তাদের মালিকানার সপক্ষে দাখিল করা দলিলপত্র এবং প্রাথমিক জামানত হিসেবে উৎপাদিত লবণ হাইপোথিকেশন-এর বিপরীতে রেয়াতি সুদে ঋণ পাবে। বর্গাচাষিদের ক্ষেত্রে জমির মালিক ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তির প্রত্যয়নপত্র নিতে হবে।
১০ টাকায় খোলা অ্যাকাউন্টে ও কৃষি উপকরণ সহায়তা কার্ড ছাড়া লবণ চাষিদের শনাক্তকরণের অন্য কোনো কাগজপত্রের প্রয়োজন হবে না। বিতরণ করা ঋণের নির্ধারিত মেয়াদ শেষে কোনো ঋণ সম্পূর্ণ বা আংশিক অনাদায়ী থাকলে রেয়াতি সুদ পাবে না। এক্ষেত্রে ঋণ বিতরণের তারিখ থেকে ব্যাংক নির্ধারিত স্বাভাবিক সুদ হার প্রযোজ্য হবে।
ব্যাংকগুলোর রেয়াতি সুদে বিতরণ করা ঋণ আদায় ও সমন্বয়ের পর ঋণ হিসেবের বিপরীতে সংশ্লিষ্ট অর্থবছর শেষ হওয়ার এক মাসের মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে ৪ শতাংশ হারে সুদ ক্ষতিপূরণের আবেদন করবে।
দাখিল করা দাবি ন্যূনতম ১০ শতাংশ ঋণ নথি সরেজমিনে যাচাই করে প্রাপ্য সুদ ক্ষতিপূরণের পরিমাণ নির্ধারণ করে বাংলাদেশ ব্যাংক তার নিজস্ব হিসাব থেকে ব্যাংকগুলোকে সুদ ক্ষতির অর্থ পরিশোধ করে অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে তা পুনর্ভরণের ব্যবস্থা করবে। তবে কোনো ঋণ হিসাবে ৪ শতাংশের বেশি সুদ আদায় করলে ঋণ হিসাব সুদ ও ক্ষতি পুনর্ভরণের জন্য বিবেচিত হবে না।
কৃষি ও পল্লী ঋণ নীতিমালায় বর্ণিত অন্যান্য নির্দেশনা লবণ চাষে ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে। ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১ এর ক্ষমতাবলে এ নির্দেশনা অবিলম্বে কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
জেডএ/এসজি