২৭ ব্যাংকের ৭১ ক্রেডিট কার্ডের লেনদেনে অনিয়ম
ক্রেডিট কার্ডে লেনদেনের সীমা লঙ্ঘন করায় দেশি-বিদেশি ২৭টি ব্যাংকের কাছে কৈফিয়ত তলব করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ ব্যাপারে রবিবার (৪ সেপ্টেম্বর) চিঠি ইস্যু করা হয়েছে। পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে এর জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক সিরাজুল ইসলাম ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ‘আমাদের ক্রেডিট কার্ডে লেনদেনের নির্দিষ্ট লিমিট আছে। প্রতিটি কার্ডের বিপরীতে সাড়ে ১২ হাজার ডলার লেনদেন করা যায়। কিন্তু দেশি-বিদেশি ২৭টি ব্যাংকের ৭১টি কার্ড ২০ হাজার ডলার সীমা ছাড়িয়ে গেছে। তাই কার্ডের বিষয় পুনরায় খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’
উল্লেখ্য, বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ আইন, ১৯৪৭-এর ক্ষমতাবলে ব্যক্তি পর্যায়ে সর্বোচ্চ কী পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা নিজ জিম্মায় রাখা যাবে বা অনলাইন কেনাকাটায় মূল্য পরিশোধ করা যাবে, তা নির্ধারণ করে দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক।
জানা গেছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী, একজন ব্যক্তি নিজের জন্য নির্দিষ্ট পঞ্জিকা বছরে নিয়ম অনুসারে সর্বোচ্চ ১২ হাজার ডলার পর্যন্ত এনডোর্স করে নিতে পারবেন। অর্থাৎ যদি কারও পাসপোর্টের মেয়াদ পাঁচ বছর থাকে, তাহলে তিনি পাঁচ বছরের জন্য ডলার এনডোর্সমেন্ট করাতে পারবেন। তবে নিয়ম অনুযায়ী এক বছরে ১২ হাজার ডলারের বেশি খরচ করা যায় না। তবে এর পুরোটা নগদ বা নোট আকারে নেওয়া যাবে না। নগদ বা নোট আকারে জনপ্রতি একবারে সর্বোচ্চ পাঁচ হাজার ডলার নেওয়া যাবে। বাকি সাত হাজার ডলার পর্যন্ত অর্থ ইন্টারন্যাশনাল কার্ডের মাধ্যমে নেওয়া যাবে।
সীমার বাইরে নগদে বৈদেশিক মুদ্রা বিদেশে নিয়ে যাওয়া বেআইনি। তবে সীমার অতিরিক্ত অর্থ ব্যাংকে বৈদেশিক মুদ্রা অ্যাকাউন্ট খুলে জমা রাখতে হয়। কিন্তু ২৭টি ব্যাংকের ওই সব কার্ডে তা হয়নি।
জেডএ/এসএন