বেশি দামে ডিম-মুরগি বিক্রি করায় জরিমানা
বাজারে হঠাৎ বৃদ্ধি পেয়েছে ডিম ও পোল্ট্রি মুরগির দাম। এই ঊর্ধ্বগতি ঠেকাতে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ডিম ও কারওয়ান বাজারে মুরগির আড়তসহ দেশের বিভিন্ন বাজারে অভিযান চালিয়েছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। এসময় বাড়তি দামের কোনো ডকুমেন্ট দেখাতে না পারায় বিভিন্ন স্থানে ডিম, মুরগির আড়ত ও দোকানদারকে জরিমানা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৮ আগস্ট) রাজধানীতে এ অভিযান পরিচালনা করেন ভোক্তা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক হাসানুজ্জামান এবং সহকারী পরিচালক আব্দুল জব্বার মণ্ডল।
অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেন, ‘সম্প্রতি ডিম ও মুরগির বাজার অস্থিতিশীল হয়ে গেছে। তাই আগামী দুই দিন শুক্র ও শনিবার সারা দেশে ডিম ও মুরগির বাজারে ভোক্তা অধিকারের অভিযান চলবে। এ ছাড়া আগামী রবিবার সকাল ১১টায় ডিম ও মুরগির আড়ত সমিতিকে নিয়ে অধিদপ্তরে একটি মতবিনিময় সভা করা হবে।’
আড়তগুলো গ্রামগঞ্জের মোকাম থেকে বাড়তি দামে ডিম কেনার কথা বললেও কোনো রশিদ দেখাতে পারেনি। এ ছাড়া তারাও বাড়তি দামে ডিম বিক্রির কোনো রশিদ দেয়নি খুচরা বাজারের ক্রেতাদের। এসব অভিযোগে তেজগাঁও এলাকায় দুটি ডিমের আড়তকে ও কারওয়ান বাজারে একটি মুরগির দোকানকে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়।
হাসানুজ্জামান বলেন, ‘ডিমের আড়তে বিক্রেতা কী দামে কিনেছেন তার কোনো রশিদ নেই। তাদের বিক্রির কোনো মূল্য তালিকাও নেই। আবার যার কাছে বিক্রি করছেন তাদেরও কোনো রশিদ দিচ্ছেন না। সম্পূর্ণ পেপারলেস বিজনেস। বাধ্য হয়ে তাদের জরিমানা করা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিক্রেতারা সরবরাহ ও চাহিদা দেখে নিজেদের মতো দাম নির্ধারণ করছেন। কোনো নিয়মনীতির তোয়াক্কা করছেন না। সেজন্য এবার সতর্কতামূলক জরিমানা করেছি। সেটা না মানলে কঠোর ব্যবস্থা নেব। অন্যদিকে কারওয়ান বাজারে মুরগির আড়তেও একই অবস্থা। এই পাইকারি আড়তে কোনো মূল্য তালিকা নেই। নিজের ইচ্ছে মতো দাম চাইছে। বিক্রিও করছে মুরগি ব্যবসায়ীরা।’
এদিকে রাজশাহীতে ডিমের দাম বেশি রাখায় দুই ব্যবসায়ীকে জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। বৃহস্পতিবার অধিদপ্তরের রাজশাহী বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক হাসান-আল-মারুফ এ অভিযান পরিচালনা করেন মহানগরীর খড়খড়ি, আশরাফের মোড় ও নলখোলা মোড়ে।
হাসান-আল-মারুফ বলেন, ‘বাজারে যাওয়ার পর হালিতে ৬ টাকা কমে ডিমের দাম ৪০ টাকা হয়ে গেছে। অন্তত ৩০ দোকানে মূল্য তালিকায় একই দর দেখা যায়। তবে মূল্য তালিকা না থাকা ও বেশি দামে বিক্রির দায়ে আল মদিনা ট্রেডার্সকে ১ হাজার টাকা ও মধুঘরকে ২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।’
জেডএ/এসজি/