চট্টগ্রামে ফুলকলি মিষ্টি বিপণিকে জরিমানা
নগরীতে মিস্টি বিক্রেতা প্রতিষ্ঠানগুলো দীর্ঘদিন ধরেই মিস্টি বিক্রয়ের সময় ওজনে প্যাকেটসহ ওজন করে বিক্রি করে যাচ্ছেন। বিষয়টি জেলা প্রশাসন চট্টগ্রাম, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন অধিধপ্তর ও ক্যাব চট্টগ্রাম কর্তৃক বিভিন্ন সময়ে মিস্টি বিক্রেতা ব্যবসায়ীদের নজরে আনলেও তারা কর্ণপাত করেননি।
তারই ধারাবাহিকতায় বুধবার (১০ আগস্ট) ভোক্তাদের কাছে ওজনে কারচুপি প্রতিরোধ, খাদ্যপণ্যে ভেজাল রোধের লক্ষ্যে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ও ক্যাব চট্টগ্রামের যৌথ বাজার তদারকির অংশ হিসেবে এদিন ১০টায় নগরীর কাপ্তাই রাস্তার মাথা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়।
নগরীর অভিজাত মিষ্টির দোকান ‘ফুলকলি’ কাপ্তাই রাস্তার মাথা শাখায় এক অভিযান পরিচালনা করেন। উক্ত অভিযানে ভোক্তার সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে প্যাকেটের ওজনসহ মিষ্টি বিক্রি করার অভিযোগ প্রমানিত হওয়ায় ফুলকলি মিষ্টি বিপণিকে আট হাজার টাকা জরিমানা করা হয় এবং মেয়াদহীন ও মেয়াদোত্তীর্ণ বিপুল পরিমান বেকারি পণ্য, কেক ও কোমল পানীয় জব্দ করা হয়।
এই অপরাধে ফুলকলিকে আরও ৪০ হাজার টাকা প্রশাসনিক ব্যবস্থায় জরিমানা করা হয়। পরবর্তী সময়ে পাশ্ববর্তী বনফুল মিষ্টির দোকানে মেয়াদ উত্তীর্ণ বিভিন্ন রকমের পণ্য বিক্রির অপরাধে বনফুল মিষ্টি বিপণিকে আট হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. আনিছুর রহমান, সহকারী পরিচালক মো. দিদার হোসেন ও ক্যাব চট্টগ্রামের পক্ষে ক্যাব পাঁচলাইশ এর সাধারণ সম্পাদক মো. সেলিম জাহাঙ্গীরের নেতৃত্বে উক্ত অভিযান পরিচালিত হয়। চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ-সিএমপি-এর একটি চৌকশ টিমের সহায়তায় অভিযান পরিচালনা করা হয়।
নগরীতে মিষ্টি জাতীয় খাদ্য পণ্য ক্রয়ে ভোক্তাদেরকে মিষ্টি ক্রয়ের সময় প্যাকেটসহ ওজনে মিস্টি বিক্রয় করলে, ওজনে কারচুপি ও মানহীন, ভেজাল ও মেয়াদোত্তীর্ণ খাদ্যপণ্য বিক্রি করলে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের হটলাইন নাম্বার ১৬১২১, ৩৩৩ অথবা ক্যাব চ্ট্টগ্রামকে জানানোর জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।
এমএমএ/