‘কাইজেন’ বাস্তবায়নে এসএমই ফাউন্ডেশনের সহায়তা
দেশের এমএসএমই শিল্পের উৎপাদনশীলতার উন্নয়নে সচেতনতা সৃষ্টি, দক্ষতা উন্নয়ন, কাইজেন প্রয়োগসহ বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে এসএমই ফাউন্ডেশন। এর মধ্যে ‘এসএমই-তে কাইজেন’ কর্মসূচির আওতায় এখন পর্যন্ত ৫১টি এমএসএমইকে কারিগরি সহযোগিতা, ২৬৭জন উদ্যোক্তাকে প্রশিক্ষণ প্রদান করে এসএমই ফাউন্ডেশন।
বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) এসএমই ফাউন্ডেশনের সহকারী মহাব্যবস্থাপক মুহাম্মদ মোরশেদ আলম প্রেরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশের ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের ‘কাইজেন’ বাস্তবায়নে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে বুধবার (১০ আগস্ট) ‘এসএমই-তে উৎপাদনশীলতা’ শিরোনামে এক ওয়েবিনার কর্মশালার আয়োজন করে এসএমই ফাউন্ডেশন। কৃষি ও খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ, হালকা প্রকৌশল, প্লাস্টিক, চামড়া ও চামড়াজাত, ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক্স, তৈরি পোশাক ও হস্তশিল্প, পাট ও পাটজাতসহ প্রভৃতি শিল্পের উদ্যোক্তা, প্রতিনিধি ও অন্যান্য অংশীজনসহ ৮৬জন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।
এসএমই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মো. মফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল প্রোডাকটিভিটি অর্গানাইজেশন (এনপিও)-এর মহাপরিচালক মুহাম্মদ মেসবাহুল আলম। প্যানেল আলোচক ছিলেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. এ কে এম মাসুদ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র টেকনিক্যাল ডেমনস্ট্রেটর মোহাম্মদ আবুল বাশার।
উৎপাদনশীলতা উন্নয়নে একটি সার্বজনীন কৌশল হচ্ছে কাইজেন। কাইজেন একটি জাপানি শব্দ যার অর্থ ‘ভালোর জন্য পরিবর্তন’। এটি এমন একটি অনুশীলন যা শুন্য বা নূন্যতম ব্যয়ে যে কোনো কার্যক্রমের ধারাবাহিক উন্নয়নের ওপর আলোকপাত করে। শিল্প, বাণিজ্য, ব্যাংকিং, স্বাস্থ্য সেবা, প্রশাসন, দৈনন্দিন জীবনযাপনসহ সকল ক্ষেত্রেই কাইজেন অনুসরণ করা যেতে পারে। এটি বাস্তবায়নের ফলে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি, কর্মপরিবেশ উন্নয়ন ও অপচয় রোধ সম্ভব। পণ্যের মানোন্নয়ন ও সার্বিক উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির দ্বারা প্রতিযোগিতা সক্ষমতা উন্নয়নের কোনো বিকল্প নেই।
৮টি ধাপে কাইজেন বাস্তবায়িত হয়
১. সচেতনতা উন্নয়ন কার্যক্রম
২. প্রতিষ্ঠান বাছাই ও নিশ্চিতকরণ
৩. উৎপাদনশীলতা নিরীক্ষণ
৪. কাইজেন পাইলট প্রকল্প প্রণয়ন
৫. দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ
৬. প্রকল্প বাস্তবায়ন ও পর্যবেক্ষণ
৭. চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রণয়ন এবং
৮. উদ্বুদ্ধকরণ কার্যক্রম।
/এএস