সোমবার, ২৭ জানুয়ারি ২০২৫ | ১৩ মাঘ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

‘কাইজেন’ বাস্তবায়নে এসএমই ফাউন্ডেশনের সহায়তা

দেশের এমএসএমই শিল্পের উৎপাদনশীলতার উন্নয়নে সচেতনতা সৃষ্টি, দক্ষতা উন্নয়ন, কাইজেন প্রয়োগসহ বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে এসএমই ফাউন্ডেশন। এর মধ্যে ‘এসএমই-তে কাইজেন’ কর্মসূচির আওতায় এখন পর্যন্ত ৫১টি এমএসএমইকে কারিগরি সহযোগিতা, ২৬৭জন উদ্যোক্তাকে প্রশিক্ষণ প্রদান করে এসএমই ফাউন্ডেশন।

বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) এসএমই ফাউন্ডেশনের সহকারী মহাব্যবস্থাপক মুহাম্মদ মোরশেদ আলম প্রেরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশের ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের ‘কাইজেন’ বাস্তবায়নে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে বুধবার (১০ আগস্ট) ‘এসএমই-তে উৎপাদনশীলতা’ শিরোনামে এক ওয়েবিনার কর্মশালার আয়োজন করে এসএমই ফাউন্ডেশন। কৃষি ও খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ, হালকা প্রকৌশল, প্লাস্টিক, চামড়া ও চামড়াজাত, ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক্স, তৈরি পোশাক ও হস্তশিল্প, পাট ও পাটজাতসহ প্রভৃতি শিল্পের উদ্যোক্তা, প্রতিনিধি ও অন্যান্য অংশীজনসহ ৮৬জন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।

এসএমই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মো. মফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল প্রোডাকটিভিটি অর্গানাইজেশন (এনপিও)-এর মহাপরিচালক মুহাম্মদ মেসবাহুল আলম। প্যানেল আলোচক ছিলেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. এ কে এম মাসুদ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র টেকনিক্যাল ডেমনস্ট্রেটর মোহাম্মদ আবুল বাশার।

উৎপাদনশীলতা উন্নয়নে একটি সার্বজনীন কৌশল হচ্ছে কাইজেন। কাইজেন একটি জাপানি শব্দ যার অর্থ ‘ভালোর জন্য পরিবর্তন’। এটি এমন একটি অনুশীলন যা শুন্য বা নূন্যতম ব্যয়ে যে কোনো কার্যক্রমের ধারাবাহিক উন্নয়নের ওপর আলোকপাত করে। শিল্প, বাণিজ্য, ব্যাংকিং, স্বাস্থ্য সেবা, প্রশাসন, দৈনন্দিন জীবনযাপনসহ সকল ক্ষেত্রেই কাইজেন অনুসরণ করা যেতে পারে। এটি বাস্তবায়নের ফলে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি, কর্মপরিবেশ উন্নয়ন ও অপচয় রোধ সম্ভব। পণ্যের মানোন্নয়ন ও সার্বিক উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির দ্বারা প্রতিযোগিতা সক্ষমতা উন্নয়নের কোনো বিকল্প নেই।

৮টি ধাপে কাইজেন বাস্তবায়িত হয়

১. সচেতনতা উন্নয়ন কার্যক্রম
২. প্রতিষ্ঠান বাছাই ও নিশ্চিতকরণ
৩. উৎপাদনশীলতা নিরীক্ষণ
৪. কাইজেন পাইলট প্রকল্প প্রণয়ন
৫. দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ
৬. প্রকল্প বাস্তবায়ন ও পর্যবেক্ষণ
৭. চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রণয়ন এবং
৮. উদ্বুদ্ধকরণ কার্যক্রম।

/এএস

Header Ad
Header Ad

মালয়েশিয়া নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে বাংলাদেশি প্রবাসীর মৃত্যু

ছবিঃ সংগৃহীত

মালয়েশিয়ার পেরাকের বান্দার মেরু রায়া এলাকার একটি নির্মাণস্থলে আট মিটার উচ্চতার লোহার কাঠামো থেকে পড়ে এক বাংলাদেশি নাগরিক নিহত হয়েছেন।

সোমবার (২৭ জানুয়ারি) সকালে এ ঘটনা ঘটে।

পেরাক ফায়ার অ্যান্ড রেসকিউ বিভাগের (জেবিপিএম) অপারেশন শাখার সহকারী পরিচালক সাবারোজি নোর আহমদ জানান, ঘটনার খবর পাওয়ার পর মেরু রায়া ফায়ার স্টেশনের সাত সদস্যের একটি দল ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়। নিহত ব্যক্তি ৪৩ বছর বয়সী এবং ঘটনার সময় তিনি নির্মাণস্থলে কাজ করছিলেন।

তিনি বলেন, প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী দুর্ঘটনার পর আহত ব্যক্তি সংজ্ঞাহীন অবস্থায় ছিলেন। অন্য শ্রমিকরা তাকে একটি ফাঁকা জায়গায় নিয়ে আসে এবং সাহায্যের চেষ্টা করে। অপারেশন দলের প্রধান আহত ব্যক্তির স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেন এবং সিপিআর (কার্ডিওপালমোনারি রিসাসিটেশন) প্রদান করেন। পরে চিকিৎসকরা আহত ব্যক্তিকে ঘটনাস্থলেই মৃত ঘোষণা করেন। পরবর্তী পদক্ষেপের জন্য মরদেহ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

নিহত ব্যক্তির জাতীয়তা বাংলাদেশি ও বয়স ৪৩ বছর বলা হলেও বিস্তারিত পরিচয় প্রকাশ করেনি কর্তৃপক্ষ।

Header Ad
Header Ad

ঢাবি-সাত কলেজ সংঘর্ষ নিয়ে আজহারীর প্রতিক্রিয়া    

ড. মিজানুর রহমান আজহারী। ছবিঃ সংগৃহীত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ও অধিভুক্ত সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা নিয়ে আলোচনা চলছে। এ বিষয়ে নিজের মতামত জানিয়েছেন আলোচিত ইসলামী বক্তা ড. মিজানুর রহমান আজহারী।

সোমবার (২৭ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক স্ট্যাটাসে তিনি লিখেছেন, শকুনদের টার্গেট শিক্ষার্থীদের ঐক্য নষ্ট করা। ঐক্য নষ্ট করার মতো নির্বুদ্ধিতাপূর্ণ কোনো কাজ আর হতে পারে না। ঐক্যবদ্ধ থাকলে, দেশীয় বা আন্তর্জাতিক যে কোনো ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করা সম্ভব ইনশাআল্লাহ।

এর আগে রোববার (২৬ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় পাঁচ দফা দাবি নিয়ে সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা প্রো-ভিসির সঙ্গে আলোচনা করতে গেলে তিনি ‘দুর্ব্যবহার’করেছেন বলে অভিযোগ করেছেন আন্দোলনকারীরা। এমন অভিযোগে সন্ধ্যা ৬টার দিকে সায়েন্স ল্যাবরটরি মোড় অবরোধ করেন তারা। এ সময় প্রো-ভিসি ড. মামুন আহমেদকে ক্ষমা চাওয়ার জন্য সময় বেঁধে দেন সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা।

তাতে সাড়া না পেয়ে রাত ১১টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় প্রো-ভিসির বাসভবন ঘেরাও করার ঘোষণা দিয়ে মিছিল নিয়ে অগ্রসর হন সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা। খবর পেয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আগে থেকে নীলক্ষেত সংলগ্ন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তি ও গণতন্ত্র তোরণের প্রবেশমুখে অবস্থান নেন।

রাত ১১টা ৪০ মিনিটের দিকে ঢাকা কলেজের সামনে থেকে মুক্তি ও গণতন্ত্র তোরণের সামনে পৌঁছান সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা। অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশমুখে স্যার এ এফ রহমান হলের সামনে ঢাবি শিক্ষার্থীরা লাঠি নিয়ে অবস্থান নেন। এ সময় দুপক্ষ ঢিল মারতে থাকেন। একপর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া শুরু হয়।

দুপক্ষের উত্তেজনাময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা কয়েক রাউন্ড টিয়ার শেল ও সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পরে পুলিশের সহায়তায় চার প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়।

Header Ad
Header Ad

দুই ঘণ্টায় স্বদেশে ফিরলেন ২ লাখ ফিলিস্তিনি

ছবি: সংগৃহীত

ইসরাইল নেটজারিম করিডোর খুলে দেয়ার পর মাত্র দুই ঘণ্টার মধ্যে উত্তর গাজায় ফিরেছেন প্রায় ২ লাখ ফিলিস্তিনি। দীর্ঘ ১৫ মাসের যুদ্ধের পর প্রথমবারের মতো তারা প্রিয়জনদের কাছে ফিরে যাচ্ছেন।

ড্রোন ফুটেজে দেখা গেছে, ফিলিস্তিনিরা কাঁধে ব্যাগপত্র নিয়ে এবং কোলে সন্তানদের নিয়ে উপকূলীয় পথ ধরে হাঁটছেন। তবে যারা যানবাহনে করে যাচ্ছেন তাদের চেকপয়েন্টে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে হচ্ছে।

গাজার একজন নিরাপত্তা কর্মকর্তা জানিয়েছেন, করিডোর খোলার পর দুই ঘণ্টার মধ্যেই হেঁটে অন্তত ২ লাখ বাস্তুচ্যুত মানুষ উত্তর গাজায় ফিরে এসেছেন। তবে তাদের অধিকাংশই বাড়ি ফিরে ধ্বংসস্তুপ ছাড়া আর কিছুই পাচ্ছেন না। তবুও তাদের চোখেমুখে ছিল ফিরে আসার আনন্দ।

কাঁধে ব্যাগ ঝুলিয়ে ফিরতে থাকা ১৯ বছর বয়সী আহমেদ জানান, তিনি ১৫ মাস ধরে তার বাবা-মায়ের সঙ্গে দেখা করতে পারেননি। তিনি বলেন, “আমরা ক্লান্ত, আমরা আমাদের পরিবারের কাছে যেতে চাই। আমাদের আর কোথাও যাওয়ার জায়গা নেই।”

ফিলিস্তিনিরা শনিবার (২৫ জানুয়ারি) উত্তর গাজায় ফিরতে প্রস্তুত থাকলেও ইসরাইলি জিম্মি আরবেল ইয়েহুদকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট বিরোধের কারণে তারা আটকে পড়েন। অবশেষে স্থানীয় সময় সকাল ৭টায় পায়ে হেঁটে এবং সকাল ৯টায় যানবাহনে করে তাদের পার হতে দেয়া হয়।

উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের আকস্মিক হামলার পর ইসরাইল গাজায় হামলা শুরু করে। টানা ১৫ মাস ধরে চলা এ যুদ্ধে ৪৭ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হন। তবে চলতি বছরের ১৯ জানুয়ারি ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। সূত্র: আল জাজিরা, বিবিসি

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

মালয়েশিয়া নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে বাংলাদেশি প্রবাসীর মৃত্যু
ঢাবি-সাত কলেজ সংঘর্ষ নিয়ে আজহারীর প্রতিক্রিয়া    
দুই ঘণ্টায় স্বদেশে ফিরলেন ২ লাখ ফিলিস্তিনি
ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে অতিথিদের তালিকায় ১১ জনই আ:লীগ নেতা  
বিশ্ব ইজতেমায় মুসল্লিদের যাতায়াতে ডিএমপির ১৩ নির্দেশনা  
ঢাবি ও সাত কলেজের সংঘর্ষ অনাকাঙ্ক্ষিত: আইন উপদেষ্টা
এবার ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের
প্লে অফে এক পা রাজশাহীর  
সীমান্তের ওপারে মাদকের বাঙ্কার: বাংলাদেশে পাচারের আগেই ধরা পড়লো বিশাল চালান
ড. ইউনূসকে শুভেচ্ছা জানিয়েছে নরেন্দ্র মোদি  
সাত কলেজের সামনে দিয়ে ঢাবির বাস চলতে না দেয়ার হুঁশিয়ারি
টাঙ্গাইলে গুড়িয়ে দেওয়া হলো সীসা তৈরি কারখানা
কেউ কেউ আওয়ামী লীগের ভাষায় কথা বলছে: জামায়াত সেক্রেটারি
নিউমার্কেট থানা ঘেরাওয়ের ঘোষণা ৭ কলেজ শিক্ষার্থীদের  
ইবতেদায়ি শিক্ষকদের জাতীয়করণ করে ক্লাসে ফিরিয়ে দিন : চরমোনাই পীর  
‘‘বেতনে না পোষালে অন্য পেশায় চলে যান’’ সংবাদের বিষয়ে যে ব্যাখ্যা দিলেন গণশিক্ষা উপদেষ্টা
ক্ষমতার লোভে তরুণ প্রজন্মকে কেনা সম্ভব নয়: হাসনাত আব্দুল্লাহ
বিচারপতি মানিকের মৃত্যু! যা জানা গেলো
মধ্যরাত থেকে সারাদেশে বন্ধ হতে পারে ট্রেন চলাচল
সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবি মেনে নিতে বললেন ছাত্রশিবির