সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫ | ১৫ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

ফিরে দেখা ২০২১

ধকল সামলে অর্থনীতিতে ফিরেছে চাঙ্গাভাব

করোনা পরিস্থিতির আগে দেশের মোট দেশজ উৎপাদন-জিডিপি হার ছিল ৮ দশমিক ১৫ শতাংশ। কিন্তু ২০১৯ সালে বিশ্বজুরে করোনা মহামারি ছড়িয়ে পড়লে আঘাত আসে বিশ্ব অর্থনীতিতে। বাংলাদেশেও এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। ফলে হঠাৎই দেশের জিডিপি নেমে আসে ৩ এর ঘরে। এ অবস্থা থেকে রক্ষা পেতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চলতি বাজেটে বিভিন্নখাতে প্রায় সোয়া লাখ কোটি টাকা প্রণোদণা ঘোষণা করেন। উন্নয়ন কাজ এগিয়ে নিতে বরাদ্দ দেন ছয় লাখ কোটি টাকা। এতে অর্থনীতিতে ফিরে আসে চাঙ্গা ভাব। বাড়তে থাকে আমদানি-রফতানি। বছরের শেষ সময়ে বাংলাদেশ ভালো করছে বলে বিশ্বব্যাংক, আইএমএফও প্রশংসা করছে। উন্নয়নশীল দেশের কাতারে পৌঁছার মর্যাদার সুপারিশ করেছে জাতিসংঘও।

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, ‘সব খাতেই আমাদের প্রবৃদ্ধি ভালো হচ্ছে। রপ্তানি বাড়ছে, আমদানিও বাড়ছে। অর্থনীতি গতিশীল হচ্ছে। সামষ্টিক অর্থনীতি’র ভিত যথেষ্ট মজবুত রয়েছে। অর্থনীতি যেভাবে এগোচ্ছে, আশা করা হচ্ছে চলতি অর্থবছরে (২০২১-২২) মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি ৭ দশমিক ২ শতাংশ হবে। 

বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উত্তরণে বিশ্বব্যাংকও প্রশংসা করেছে। গত ৫ ডিসেম্বর ঢাকার একটি হোটেলে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সাথে বৈঠকে বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট হার্টউইগ শ্যেফার বলেছেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি অনেক দেশের তুলনায় ভালো করছে। কোভিড মোকাবিলা করে ঘুরে দাঁড়িয়েছে।

রাজস্ব আদায়: ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রথম চার মাসে (জুলাই-অক্টোবর) রাজস্ব আদায়ে রেকর্ড পরিমাণ (১৬ শতাংশেরও বেশি) প্রবৃদ্ধি হয়েছে। যা গত অর্থবছরের একই সময়ে ২ দশমিক ৮৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি পেয়েছিল এনবিআর।

বেড়েছে রফতানি ও আমদানি:

চলতি বছরের শুরু থেকেই চমক দেখাচ্ছে রফতানি আয়। রেমিট্যান্স নিম্নমুখী হওয়ার মধ্যে অর্থনীতিতে আশার আলো দেখাচ্ছে রফতানি আয়। পোশাক রপ্তানির উচ্চ প্রবৃদ্ধির উপর ভর করে চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রথম ৫ মাসে (জুলাই-নভেম্বর) রপ্তানি আয় বেড়েছে আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ২৪ দশমিক ২৯ শতাংশ। এ সময়ে রপ্তানি আয় হয়েছে ১ হাজার ৯৭৯ কোটি মার্কিন ডলার, যা লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ১৩ দশমিক ২৭ শতাংশ বেশি।  অন্যদিকে,একক মাস হিসেবে সর্বশেষ নভেম্বর মাসে রপ্তানি আয় আগের বছরের একই মাসের তুলনায় ৩১ দশমিক ২৫ শতাংশ বেড়েছে।

রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সর্বশেষ হালনাগাদ তথ্যে জানা যায়, চলতি অর্থবছরের প্রথম ৫ মাসে রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১ হাজার ৭৪৭ কোটি ২০ লাখ ডলার। এর বিপরীতে আয় হয়েছে ১ হাজার ৯৭৯ কোটি ডলার। আর গত অর্থবছরের একই সময়ে আয় ছিল ১ হাজার ৫৯২ কোটি ৩৫ লাখ ডলার।

অন্যদিকে, নভেম্বর মাসে ৩৫৭ কোটি ৫০ লাখ ডলার লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে রপ্তানি আয় হয়েছে ৪০৪ কোটি ১৩ লাখ ডলার। সুতরাং লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় গত মাসে রপ্তানি আয় ১৩ দশমিক শুন্য ৪ শতাংশ বেশি।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সূত্র বলছে, রপ্তানি আয়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে আমদানি ব্যয়ও। রেকর্ডের পর রেকর্ড হচ্ছে। শুধু সেপ্টেম্বর মাসেই ৬০ হাজার কোটি টাকার আমদানি হয়েছে দেশে। বাংলাদেশের ইতিহাসে এর আগে কখনই এক মাসে পণ্য আমদানিতে এতো বেশি অর্থ ব্যয় হয়নি।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য মতে, চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিক অর্থাৎ জুলাই-সেপ্টেম্বর সময়ে ১ হাজার ৮৭২ কোটি ডলারের পণ্য আমদানি হয়েছে। এই অঙ্ক গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ৪৭ দশমিক ৫৬ শতাংশ বেশি। যা গত অর্থবছরের একই সময়ে ১ হাজার ২৬৮ কোটি ৬৫ লাখ (১২.৬৮ বিলিয়ন) ডলারের পণ্য আমদানি করেছিল বাংলাদেশ। সার্বিকভাবে অর্থবছরের প্রথম চার মাসে আমদানি ব্যয় বেড়েছে ৫১ দশমিক ৩৯ শতাংশ।

বেসরকারি খাতে ঋণের প্রবাহ:

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, বিনিয়োগ বাড়াতে থাকায় দীর্ঘদিন পর বেসরকারি খাতে ঋণের প্রবাহ স্বাভাবিক ধারায় ফিরেছে। করোনার কারণে ব্যাংকগুলোর ঋণ বিতরণে যে মন্দাভাব ছিল, তা কেটে যাচ্ছে। অক্টোবরে বেসরকারি খাতে ঋণের প্রবৃদ্ধি ৯ দশমিক ৪৪ শতাংশে উন্নীত হয়েছে, যা গত ১৩ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। যদিও গত বছরের অক্টোবরে ঋণের বার্ষিক প্রবৃদ্ধি হয়েছিল ৮ দশমিক ৬১ শতাংশ।

প্রবাসী আয় রেমিট্যান্স:

করোনায় প্রায় মানুষ ঘরবন্দী হলেও প্রবাসীরা বেশি বেশি করে রেমিটেন্স পাঠাতে থাকেন দেশে। এ আয় ছিল অনেক ঊর্ধ্বমুখী। কিন্তু ছয় মাস ধরে প্রবাসী আয় টানা কমেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সূত্র বলছে,চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের (জুলাই-নভেম্বর) প্রথম পাঁচ মাসে ব্যাংকিং চ্যানেলে ৮৬০ কোটি ৮৯ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। এর মধ্যে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে থাকা প্রবাসীরা পাঠিয়েছেন ৪৬৬ কোটি ৯৩ লাখ ডলার; যা মোট আহরিত রেমিট্যান্সের ৫৪ দশমিক ২৪ শতাংশ। আর বিশ্বের অন্য দেশগুলো থেকে রেমিট্যান্স এসেছে ৩৯৩ কোটি ৯৬ লাখ ডলার। চলতি অর্থবছরে প্রবাসী আয় পাঠানোর শীর্ষে থাকা ১০ দেশের মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় শ্রমবাজার সৌদি আরব, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কুয়েত, আরব আমিরাত, কাতার, মালয়েশিয়া, ওমান, ইতালি ও বাহরাইন।

২০২১ সালে  রেমিট্যান্স এসেছে ২১ দশমিক ৮৭ বিলিয়ন ডলার। যা গত বছর ছিল ২১ দশমিক ৭৮ বিলিয়ন ডলার।

নতুন দরিদ্রের ছাপ:

করোনার আগে বাংলাদেশে দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করতো ২০ দশমিক ৫ শতাংশ মানুষ। আর হতদরিদ্র মানুষ ছিলো সাড়ে ১০ শতাংশ। তবে করোনায় লাখ লাখ মানুষ নতুন করে দারিদ্র্যসীমার নিচে নেমেছে, এর সরকারি হিসাব এখনো দিতে পারেনি বিবিএস। তবে সাধারণ অর্থনীতি বিভাগ (জিইডি) ও বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) মতে, করোনাভাইরাসের ধাক্কায় দেশে দারিদ্র্যের হার পাঁচ বছর আগের অবস্থায় ফিরে গেছে।

৩০ সেপ্টেম্বর ‘এক্সট্রিম পোভার্টি: দ্য চ্যালেঞ্জেস অব ইনক্লুশন ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক প্রতিবেদনে জানানো হয়, এ বছরের জানুয়ারির হিসাব অনুযায়ী দেশে দারিদ্র্যের হার ২৫ শতাংশ। ২০১৬ সালেও দারিদ্র্যের হার এমনই ছিল।

এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনের সুপারিশ জাতিসংঘে অনুমোদন:

স্বল্পোন্নত দেশ হতে বাংলাদেশের উত্তরণের সুপারিশ জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে অনুমোদিত হয়েছে। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৬ তম বৈঠকের ৪০তম প্লেনারি সভায় ২৪ নভেম্বর এই ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। অর্থমন্ত্রী আহম মুস্তফা কামাল, এই ঐতিহাসিক অর্জনকে বাংলাদেশের উন্নয়ন যাত্রার এক মহান মাইলফলক হিসেবে অভিহিত করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর দিকনির্দেশনায় গত এক দশকের বেশি সময় ধরে বাংলাদেশের যে অপ্রতিরোধ্য উন্নয়ন যাত্রা-এটি তারই একটি আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি। বাংলাদেশকে ২০২১ থেকে ২০২৬ সাল পর্যন্ত পাঁচ বছরব্যাপী প্রস্তুতিকালীন সময় প্রদানের সুপারিশ করেছে।

অর্থনীতিবিদদের ভাবনা:

অর্থনীতিবিদ ড. আতিউর রহমান ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, গত বছরের চেয়ে ২১ সাল ভালো করছে। কৃষি পণ্যের বাম্পার ফলন হয়েছে। সার্বিকভাবে অর্থনীতি সঠিক ধারাতেই আছে। তৃতীয় ঢেউকে সামাল দেয়া হচ্ছে। তবে জিনিসপত্রের দাম কমানো দরকার। সম্প্রতি প্রবাসী আয় কমে গেছে। তবে তুলনামূলক ভালো। তা বাড়াতে উদ্যোগী হতে হবে। অর্থনীতির স্বস্তির জায়গা হচ্ছে, আমদানির সঙ্গে রফতানিও পাল্লা দিয়ে বাড়ছে। এখন ঠিকঠাক বিনিয়োগ হলেই অর্থনীতি চাঙ্গা হয়ে উঠবে। এ কথা ঠিক জিনিস পত্রের দাম বেড়েছে। বিশ্বে বাড়ার কারণে তার প্রভাব বাংলাদেশেও পড়েছে।

Header Ad
Header Ad

পাকিস্তানের পাশে দাঁড়িয়ে ৭টি অস্ত্রবাহী বিমান পাঠালো তুরস্ক

ছবি: সংগৃহীত

ভারতের সঙ্গে সম্ভাব্য যুদ্ধের আশঙ্কায় পাকিস্তানকে সরাসরি সামরিক সহায়তা দিচ্ছে তুরস্ক। ভারতীয় গণমাধ্যম টাইমস অফ ইন্ডিয়া জানিয়েছে, ইতোমধ্যে তুরস্ক থেকে সাতটি অস্ত্রবাহী সামরিক বিমান পাকিস্তানে পৌঁছেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ২৭ এপ্রিল তুরস্কের বিমান বাহিনীর একটি হারকিউলিস সি-১৩০ কার্গো বিমান করাচিতে অবতরণ করে, যাতে নানা ধরনের সামরিক সরঞ্জাম ছিল। এ ঘটনাকে তুরস্কের পক্ষ থেকে পাকিস্তানের জন্য বৃহত্তর প্রতিরক্ষা সহায়তার অংশ হিসেবে উল্লেখ করা হচ্ছে।

শুধু একটি বিমানই নয়, ইসলামাবাদের সামরিক ঘাঁটিতেও তুরস্কের আরও ছয়টি কার্গো বিমান অবতরণ করেছে, যেগুলোতেও সামরিক সরঞ্জাম ছিল বলে নিশ্চিত করেছে তুর্কি ও পাকিস্তানি সূত্র।

টাইমস অফ ইন্ডিয়া বিশ্লেষণ করে বলছে, ভারত-অধিকৃত কাশ্মীরের পেহেলগামে সাম্প্রতিক হামলার ঘটনার পর দিল্লি ও ইসলামাবাদের মধ্যে বেড়ে চলা উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে তুরস্কের এই পদক্ষেপ এসেছে।

তুরস্কের পাশাপাশি পাকিস্তান চীনের সঙ্গেও সামরিক সম্পর্ক জোরদার করছে। পরিসংখ্যান বলছে, ২০১৯ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে চীন প্রায় ৪০টি দেশে অস্ত্র রপ্তানি করেছে, যার মধ্যে ৮২ শতাংশেরও বেশি অস্ত্র গেছে পাকিস্তানে।

এদিকে, ভারতের সাথে যুদ্ধ শুরু হলে পাকিস্তানের পক্ষে লড়াই করার ঘোষণা দিয়েছে খালিস্তানপন্থী শিখরা। খালিস্তানি নেতা গুরপাতওয়ান্ত সিং পান্নু হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, যুদ্ধ বাধলে দুই কোটি শিখ পাকিস্তানের পক্ষে অপ্রতিরোধ্য দেয়াল হয়ে দাঁড়াবে এবং ভারতীয় সেনাদের পাঞ্জাব পার হতে দেওয়া হবে না। পান্নু আরও দাবি করেন, ভারতের বিজেপি সরকার রাজনৈতিক স্বার্থে কাশ্মীরে হামলার নাটক সাজিয়েছে এবং হিন্দুদের হত্যা করে নির্বাচনী ফায়দা তুলতে চাইছে।

তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে সতর্ক করে বলেন, ইন্দিরা গান্ধীর পরিণতি তাদেরও হতে পারে।

Header Ad
Header Ad

বিএনপির ৩ সংগঠনের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির তিন সহযোগী সংগঠন—জাতীয়তাবাদী যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল—আগামী ৯ মে থেকে ২৮ মে পর্যন্ত দেশজুড়ে বিভাগীয় পর্যায়ে সেমিনার ও সমাবেশের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সোমবার (২৮ এপ্রিল) এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কর্মসূচি ঘোষণা করেন যুবদলের সভাপতি আব্দুল মোনায়েম মুন্না।

তিনি জানান, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনায় তিন সংগঠন সম্মিলিতভাবে ১০টি সাংগঠনিক বিভাগকে ৪টি বৃহত্তর অঞ্চলে ভাগ করে এ কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। উদ্দেশ্য হলো—তরুণদের ক্ষমতায়ন, রাষ্ট্রীয় নীতিনির্ধারণে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা এবং একটি আধুনিক, মানবিক বাংলাদেশ নির্মাণে তরুণ প্রজন্মের মতামত ও চিন্তা সংগ্রহ করা।

প্রথম দিন: "তারুণ্যের ভবিষ্যৎ ভাবনা, ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ" শীর্ষক সেমিনার।
দ্বিতীয় দিন: "তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সমাবেশ"।

সেমিনারে তরুণ প্রতিনিধি, শিক্ষার্থী, চিন্তাবিদ ও উদ্যোক্তারা কর্মসংস্থান, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, প্রযুক্তি, পরিবেশ ও রাজনৈতিক অধিকারসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করবেন। এ কর্মসূচি বিএনপি ঘোষিত ৩১ দফা রূপরেখা ও তারেক রহমানের রাজনৈতিক দর্শনের আলোকে পরিচালিত হবে।

চট্টগ্রাম ও কুমিল্লা বিভাগ:
▪ ৯ মে — কর্মসংস্থান ও শিল্পায়ন নিয়ে সেমিনার
▪ ১০ মে — তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সমাবেশ

খুলনা ও বরিশাল বিভাগ:
▪ ১৬ মে — শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও মৌলিক অধিকার নিয়ে সেমিনার
▪ ১৭ মে — তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সমাবেশ

রাজশাহী ও রংপুর বিভাগ:
▪ ২৩ মে — কৃষি উন্নয়ন, পরিবেশ রক্ষা ও নাগরিক সমস্যা নিয়ে সেমিনার
▪ ২৪ মে — তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সমাবেশ

ঢাকা, ফরিদপুর, সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগ:
▪ ২৭ মে — তরুণদের অর্থনৈতিক মুক্তি ও রাজনৈতিক ভাবনা নিয়ে সেমিনার
▪ ২৮ মে — তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সমাবেশ

মোনায়েম মুন্না বলেন, এই কর্মসূচিগুলোর মাধ্যমে তরুণদের প্রত্যাশা, মতামত ও ভাবনাকে রাজনৈতিক নীতিতে যুক্ত করে একটি জনমুখী, অন্তর্ভুক্তিমূলক রাষ্ট্র গঠনের পথ তৈরি করবে বিএনপি।

Header Ad
Header Ad

পাঁচ জেলায় বজ্রপাতে ১১ জনের মৃত্যু

ছবি: সংগৃহীত

দেশের পাঁচটি জেলায় বজ্রপাতে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। রোববার ও সোমবার (২৭ ও ২৮ এপ্রিল) দেশের বিভিন্ন স্থানে এসব মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। কুমিল্লার মুরাদনগর ও বরুড়া উপজেলায় চারজন, কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম ও মিঠামইনে তিনজন, নেত্রকোনার কলমাকান্দা ও মদনে দুজন, সুনামগঞ্জের শাল্লায় একজন এবং চাঁদপুরের কচুয়ায় একজন প্রাণ হারিয়েছেন।

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার পূর্বধইর পূর্ব ইউনিয়নের কোরবানপুর পূর্বপাড়া এলাকায় ধান কাটতে গিয়ে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বজ্রপাতে দুজন কৃষক নিহত হন। নিহতরা হলেন নিখিল দেবনাথ (৫৮) ও জুয়েল ভূঁইয়া (৩০)।

একই জেলার বরুড়া উপজেলার খোসবাস উত্তর ইউনিয়নের পয়েলগচ্ছ গ্রামে দুপুর ১২টার দিকে ঘুড়ি ওড়ানোর সময় বজ্রপাতে মারা যায় দুই কিশোর—মোহাম্মদ জিহাদ (১৪) ও মো. ফাহাদ (১৩)। এ সময় আবু সুফিয়ান (সাড়ে ৭) নামের একটি শিশু আহত হয় এবং তাকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রামে খয়েরপুর আব্দুল্লাহপুর ইউনিয়নের হাওরে ধান কাটার সময় সকালে বজ্রপাতে প্রাণ হারান দুই কৃষক—ইন্দ্রজিৎ দাস (৩০) ও স্বাধীন মিয়া (১৫)। একই সময়ে মিঠামইন উপজেলার শান্তিগঞ্জ হাওরে ধানের খড় শুকাতে গিয়ে বজ্রপাতে নিহত হন ফুলেছা বেগম (৬৫) নামের এক নারী।

নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের ধনুন্দ গ্রামে রবিবার রাত ১০টার দিকে বজ্রপাতে আহত হয়ে পরে হাসপাতালে মারা যান দিদারুল ইসলাম (২৮)। তিনি একটি ইফতেদায়ি মাদ্রাসার শিক্ষক ছিলেন।
আজ সকাল ৭টার দিকে মদন উপজেলার তিয়োশ্রী গ্রামে মাদ্রাসাগামী শিশু মো. আরাফাত (১০) বজ্রপাতে মারা যায়।

সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার আটগাঁও গ্রামের বুড়িগাঙ্গাল হাওরে গরু চরাতে গিয়ে বজ্রপাতে মারা যান রিমন তালুকদার। তিনি শাল্লা ডিগ্রি কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।

চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার নাহারা গ্রামে সকালে বজ্রপাতের বিকট শব্দে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যান বিশাখা রানী (৩৫)। তিনি কৃষক হরিপদ সরকারের স্ত্রী। চিকিৎসক জানান, বজ্রপাতের সরাসরি আঘাতের কোনো চিহ্ন ছিল না, শব্দের প্রভাবে তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।

 

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

পাকিস্তানের পাশে দাঁড়িয়ে ৭টি অস্ত্রবাহী বিমান পাঠালো তুরস্ক
বিএনপির ৩ সংগঠনের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা
পাঁচ জেলায় বজ্রপাতে ১১ জনের মৃত্যু
জামিন পেলেন মডেল মেঘনা আলম
জুলাই গণ-অভ্যুত্থান অধিদপ্তর গঠন করলো সরকার
নিরীহ কাউকে মামলা দিয়ে হয়রানি করা যাবে না: আইজিপি
পাকিস্তানে সামরিক হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে ভারত: নিউইয়র্ক টাইমস
ঢাকায় অটোরিকশা ও চার্জিং স্টেশন বন্ধে ডিএনসিসির অভিযান শুরু হতে যাচ্ছে
চাঁদা না দিলে রেলের কমান্ড্যান্টকে বদলির হুমকির অভিযোগ দুই ছাত্র প্রতিনিধির বিরুদ্ধে (ভিডিও)
বলিউডে সেনারা হিরো, বাস্তবে কেন জিরো ভারতীয় বাহিনী!
কুমিল্লায় বজ্রপাতে স্কুলছাত্রসহ নিহত ৪
মে মাসে শেখ হাসিনার বিচার শুরু হচ্ছে: প্রধান উপদেষ্টা
ঢাকাসহ সারাদেশে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে
সবাই মিলে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করাই লক্ষ্য: আলী রীয়াজ
ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ
কাশ্মীর সীমান্তে ভারত-পাকিস্তানের ফের গোলাগুলি
টস হেরে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ, একাদশে ৩ পরিবর্তন
দেশে ফিরেছেন প্রধান উপদেষ্টা
টটেনহামকে উড়িয়ে প্রিমিয়ার লিগের চ্যাম্পিয়ন লিভারপুল
শেখ হাসিনাকে ‘চুপ’ রাখতে পারবেন না মোদি