বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪ | ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ফিরে দেখা ২০২১

ধকল সামলে অর্থনীতিতে ফিরেছে চাঙ্গাভাব

করোনা পরিস্থিতির আগে দেশের মোট দেশজ উৎপাদন-জিডিপি হার ছিল ৮ দশমিক ১৫ শতাংশ। কিন্তু ২০১৯ সালে বিশ্বজুরে করোনা মহামারি ছড়িয়ে পড়লে আঘাত আসে বিশ্ব অর্থনীতিতে। বাংলাদেশেও এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। ফলে হঠাৎই দেশের জিডিপি নেমে আসে ৩ এর ঘরে। এ অবস্থা থেকে রক্ষা পেতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চলতি বাজেটে বিভিন্নখাতে প্রায় সোয়া লাখ কোটি টাকা প্রণোদণা ঘোষণা করেন। উন্নয়ন কাজ এগিয়ে নিতে বরাদ্দ দেন ছয় লাখ কোটি টাকা। এতে অর্থনীতিতে ফিরে আসে চাঙ্গা ভাব। বাড়তে থাকে আমদানি-রফতানি। বছরের শেষ সময়ে বাংলাদেশ ভালো করছে বলে বিশ্বব্যাংক, আইএমএফও প্রশংসা করছে। উন্নয়নশীল দেশের কাতারে পৌঁছার মর্যাদার সুপারিশ করেছে জাতিসংঘও।

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, ‘সব খাতেই আমাদের প্রবৃদ্ধি ভালো হচ্ছে। রপ্তানি বাড়ছে, আমদানিও বাড়ছে। অর্থনীতি গতিশীল হচ্ছে। সামষ্টিক অর্থনীতি’র ভিত যথেষ্ট মজবুত রয়েছে। অর্থনীতি যেভাবে এগোচ্ছে, আশা করা হচ্ছে চলতি অর্থবছরে (২০২১-২২) মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি ৭ দশমিক ২ শতাংশ হবে। 

বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উত্তরণে বিশ্বব্যাংকও প্রশংসা করেছে। গত ৫ ডিসেম্বর ঢাকার একটি হোটেলে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সাথে বৈঠকে বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট হার্টউইগ শ্যেফার বলেছেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি অনেক দেশের তুলনায় ভালো করছে। কোভিড মোকাবিলা করে ঘুরে দাঁড়িয়েছে।

রাজস্ব আদায়: ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রথম চার মাসে (জুলাই-অক্টোবর) রাজস্ব আদায়ে রেকর্ড পরিমাণ (১৬ শতাংশেরও বেশি) প্রবৃদ্ধি হয়েছে। যা গত অর্থবছরের একই সময়ে ২ দশমিক ৮৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি পেয়েছিল এনবিআর।

বেড়েছে রফতানি ও আমদানি:

চলতি বছরের শুরু থেকেই চমক দেখাচ্ছে রফতানি আয়। রেমিট্যান্স নিম্নমুখী হওয়ার মধ্যে অর্থনীতিতে আশার আলো দেখাচ্ছে রফতানি আয়। পোশাক রপ্তানির উচ্চ প্রবৃদ্ধির উপর ভর করে চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রথম ৫ মাসে (জুলাই-নভেম্বর) রপ্তানি আয় বেড়েছে আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ২৪ দশমিক ২৯ শতাংশ। এ সময়ে রপ্তানি আয় হয়েছে ১ হাজার ৯৭৯ কোটি মার্কিন ডলার, যা লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ১৩ দশমিক ২৭ শতাংশ বেশি।  অন্যদিকে,একক মাস হিসেবে সর্বশেষ নভেম্বর মাসে রপ্তানি আয় আগের বছরের একই মাসের তুলনায় ৩১ দশমিক ২৫ শতাংশ বেড়েছে।

রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সর্বশেষ হালনাগাদ তথ্যে জানা যায়, চলতি অর্থবছরের প্রথম ৫ মাসে রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১ হাজার ৭৪৭ কোটি ২০ লাখ ডলার। এর বিপরীতে আয় হয়েছে ১ হাজার ৯৭৯ কোটি ডলার। আর গত অর্থবছরের একই সময়ে আয় ছিল ১ হাজার ৫৯২ কোটি ৩৫ লাখ ডলার।

অন্যদিকে, নভেম্বর মাসে ৩৫৭ কোটি ৫০ লাখ ডলার লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে রপ্তানি আয় হয়েছে ৪০৪ কোটি ১৩ লাখ ডলার। সুতরাং লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় গত মাসে রপ্তানি আয় ১৩ দশমিক শুন্য ৪ শতাংশ বেশি।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সূত্র বলছে, রপ্তানি আয়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে আমদানি ব্যয়ও। রেকর্ডের পর রেকর্ড হচ্ছে। শুধু সেপ্টেম্বর মাসেই ৬০ হাজার কোটি টাকার আমদানি হয়েছে দেশে। বাংলাদেশের ইতিহাসে এর আগে কখনই এক মাসে পণ্য আমদানিতে এতো বেশি অর্থ ব্যয় হয়নি।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য মতে, চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিক অর্থাৎ জুলাই-সেপ্টেম্বর সময়ে ১ হাজার ৮৭২ কোটি ডলারের পণ্য আমদানি হয়েছে। এই অঙ্ক গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ৪৭ দশমিক ৫৬ শতাংশ বেশি। যা গত অর্থবছরের একই সময়ে ১ হাজার ২৬৮ কোটি ৬৫ লাখ (১২.৬৮ বিলিয়ন) ডলারের পণ্য আমদানি করেছিল বাংলাদেশ। সার্বিকভাবে অর্থবছরের প্রথম চার মাসে আমদানি ব্যয় বেড়েছে ৫১ দশমিক ৩৯ শতাংশ।

বেসরকারি খাতে ঋণের প্রবাহ:

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, বিনিয়োগ বাড়াতে থাকায় দীর্ঘদিন পর বেসরকারি খাতে ঋণের প্রবাহ স্বাভাবিক ধারায় ফিরেছে। করোনার কারণে ব্যাংকগুলোর ঋণ বিতরণে যে মন্দাভাব ছিল, তা কেটে যাচ্ছে। অক্টোবরে বেসরকারি খাতে ঋণের প্রবৃদ্ধি ৯ দশমিক ৪৪ শতাংশে উন্নীত হয়েছে, যা গত ১৩ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। যদিও গত বছরের অক্টোবরে ঋণের বার্ষিক প্রবৃদ্ধি হয়েছিল ৮ দশমিক ৬১ শতাংশ।

প্রবাসী আয় রেমিট্যান্স:

করোনায় প্রায় মানুষ ঘরবন্দী হলেও প্রবাসীরা বেশি বেশি করে রেমিটেন্স পাঠাতে থাকেন দেশে। এ আয় ছিল অনেক ঊর্ধ্বমুখী। কিন্তু ছয় মাস ধরে প্রবাসী আয় টানা কমেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সূত্র বলছে,চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের (জুলাই-নভেম্বর) প্রথম পাঁচ মাসে ব্যাংকিং চ্যানেলে ৮৬০ কোটি ৮৯ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। এর মধ্যে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে থাকা প্রবাসীরা পাঠিয়েছেন ৪৬৬ কোটি ৯৩ লাখ ডলার; যা মোট আহরিত রেমিট্যান্সের ৫৪ দশমিক ২৪ শতাংশ। আর বিশ্বের অন্য দেশগুলো থেকে রেমিট্যান্স এসেছে ৩৯৩ কোটি ৯৬ লাখ ডলার। চলতি অর্থবছরে প্রবাসী আয় পাঠানোর শীর্ষে থাকা ১০ দেশের মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় শ্রমবাজার সৌদি আরব, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কুয়েত, আরব আমিরাত, কাতার, মালয়েশিয়া, ওমান, ইতালি ও বাহরাইন।

২০২১ সালে  রেমিট্যান্স এসেছে ২১ দশমিক ৮৭ বিলিয়ন ডলার। যা গত বছর ছিল ২১ দশমিক ৭৮ বিলিয়ন ডলার।

নতুন দরিদ্রের ছাপ:

করোনার আগে বাংলাদেশে দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করতো ২০ দশমিক ৫ শতাংশ মানুষ। আর হতদরিদ্র মানুষ ছিলো সাড়ে ১০ শতাংশ। তবে করোনায় লাখ লাখ মানুষ নতুন করে দারিদ্র্যসীমার নিচে নেমেছে, এর সরকারি হিসাব এখনো দিতে পারেনি বিবিএস। তবে সাধারণ অর্থনীতি বিভাগ (জিইডি) ও বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) মতে, করোনাভাইরাসের ধাক্কায় দেশে দারিদ্র্যের হার পাঁচ বছর আগের অবস্থায় ফিরে গেছে।

৩০ সেপ্টেম্বর ‘এক্সট্রিম পোভার্টি: দ্য চ্যালেঞ্জেস অব ইনক্লুশন ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক প্রতিবেদনে জানানো হয়, এ বছরের জানুয়ারির হিসাব অনুযায়ী দেশে দারিদ্র্যের হার ২৫ শতাংশ। ২০১৬ সালেও দারিদ্র্যের হার এমনই ছিল।

এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনের সুপারিশ জাতিসংঘে অনুমোদন:

স্বল্পোন্নত দেশ হতে বাংলাদেশের উত্তরণের সুপারিশ জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে অনুমোদিত হয়েছে। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৬ তম বৈঠকের ৪০তম প্লেনারি সভায় ২৪ নভেম্বর এই ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। অর্থমন্ত্রী আহম মুস্তফা কামাল, এই ঐতিহাসিক অর্জনকে বাংলাদেশের উন্নয়ন যাত্রার এক মহান মাইলফলক হিসেবে অভিহিত করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর দিকনির্দেশনায় গত এক দশকের বেশি সময় ধরে বাংলাদেশের যে অপ্রতিরোধ্য উন্নয়ন যাত্রা-এটি তারই একটি আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি। বাংলাদেশকে ২০২১ থেকে ২০২৬ সাল পর্যন্ত পাঁচ বছরব্যাপী প্রস্তুতিকালীন সময় প্রদানের সুপারিশ করেছে।

অর্থনীতিবিদদের ভাবনা:

অর্থনীতিবিদ ড. আতিউর রহমান ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, গত বছরের চেয়ে ২১ সাল ভালো করছে। কৃষি পণ্যের বাম্পার ফলন হয়েছে। সার্বিকভাবে অর্থনীতি সঠিক ধারাতেই আছে। তৃতীয় ঢেউকে সামাল দেয়া হচ্ছে। তবে জিনিসপত্রের দাম কমানো দরকার। সম্প্রতি প্রবাসী আয় কমে গেছে। তবে তুলনামূলক ভালো। তা বাড়াতে উদ্যোগী হতে হবে। অর্থনীতির স্বস্তির জায়গা হচ্ছে, আমদানির সঙ্গে রফতানিও পাল্লা দিয়ে বাড়ছে। এখন ঠিকঠাক বিনিয়োগ হলেই অর্থনীতি চাঙ্গা হয়ে উঠবে। এ কথা ঠিক জিনিস পত্রের দাম বেড়েছে। বিশ্বে বাড়ার কারণে তার প্রভাব বাংলাদেশেও পড়েছে।

Header Ad

হাসনাত ও সারজিসকে হত্যাচেষ্টাকারী ড্রাইভার ও হেলপার আটক

হাসনাত-সারজিসকে হত্যাচেষ্টাকারী ড্রাইভার ও হেলপার আটক। ছবি: সংগৃহীত

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম দুই সমন্বয়ক, হাসনাত আবদুল্লাহ ও সারজিস আলমকে ট্রাকচাপা দিয়ে হত্যার চেষ্টায় অভিযুক্ত ট্রাক চালক ও হেলপারকে আটক করা হয়েছে।

বুধবার (২৭ নভেম্বর) রাতে চট্টগ্রামের লোহাগাড়া থানা পুলিশ তাদের আটক করে। তবে আটক হওয়া ওই চালক ও হেলপারের নাম-পরিচয় এখনো জানা যায়নি।

এর আগে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে এ হত্যাচেষ্টার ঘটনা ঘটে। লোহাগাড়া থানার দায়িত্বরত সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মো. আলিম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, বিষয়টি নিয়ে একটি আইনগত প্রক্রিয়া চলছে।

জানা গেছে, বুধবার অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফের কবর জিয়ারত শেষে ফেরার পথে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চুনতি ইউনিয়নের হাজী রাস্তার মোড়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

এর আগে আজ দুপুরে চট্টগ্রাম নগরের টাইগারপাস মোড়ে চট্টগ্রামে আইনজীবী আলিফ হত্যার প্রতিবাদে এক বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে বক্তব্য দেন হাসনাত আব্দুল্লাহ ও সারজিস আলম। সমাবেশে ইসকনকে নিষিদ্ধের দাবি জানিয়ে আইনজীবী আলিফ নিহতের ঘটনায় জড়িতদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তারের দাবি জানান তারা।

Header Ad

বিমান বাহিনীকে পঞ্চম জেনারেশনে উন্নীত করাই প্রধান লক্ষ্য: এয়ার চিফ মার্শাল

বক্তব্য রাখছেন এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁন। ছবি: সংগৃহীত

একুশ শতকের স্পেশাল বৈষয়িক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় অন্তবর্তীকালীন সরকারের মাধ্যমে বিমান বাহিনীকে পঞ্চম জেনারেশনে উন্নতি করাই প্রধান লক্ষ্য বলে জানিয়েছেন বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চীফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁন। তিনি বলেন, মহড়ার মূল উদ্দেশ্যে হচ্ছে আমাদের সক্ষমতা যাচাই করা এবং এর মাধ্যমে আমরা আমাদের অনেক বিষয় নির্ণয় করে সে মোতাবেক পদক্ষেপ গ্রহণ করি।

বুধবার (২৭ নভেম্বর) দুপুরে টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার রসুলপুর বিমানবাহিনীর ফায়ারিং রেঞ্জে বার্ষিক গোলা বর্ষণ মহড়া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

হাসান মাহমুদ খাঁন বলেন, বিমানবাহিনীর প্রধান ভূমিকা হচ্ছে দিগন্ত, স্থলে ও জলে যে কোন আঘাত প্রতিহত করা। এছাড়াও দেশের যে কোন প্রয়োজনে ২৪ ঘন্টা, ৭ দিন সবসময় আমরা প্রস্তুত থাকি।

এদিকে, মহড়ায় শুরুতেই দেখানো হয় দুর্ঘটনা কবলিত পাইলটকে উদ্ধারে কমান্ডো অভিযান। এতে দুটি যুদ্ধ হেলিকপ্টার ও একটি রেসকিউ হেলিকপ্টার অংশ নেয়। এরপর মহড়ায় যোগ দেয় এফ সেভেন বিজিআই ও  মিগ ২৯সহ পাঁচটি যুদ্ধ বিমান।

এসময় গোলাবর্ষণ ও রকেট নিক্ষেপ করে প্রদর্শন করে নানা যুদ্ধ কৌশল। পরে মিগ ২৯ যুদ্ধ বিমান বিমানবাহিনী প্রধানকে সালামের মাধ্যমে মহড়ার কার্যক্রম শেষ করে। অনুষ্ঠানে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী, বিভিন্ন মন্ত্রাণালয় ও প্রশাসনের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

Header Ad

দুর্ঘটনার কবলে হাসনাত-সারজিস, দুমড়ে-মুচড়ে গেল গাড়ি

দুর্ঘটনার কবলে হাসনাত-সারজিস, দুমড়ে-মুচড়ে গেল গাড়ি। ছবি: সংগৃহীত

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা হাসনাত আব্দুল্লাহ ও সারজিস আলমের বহরের একটি গাড়ি দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে। এতে গাড়িটির সামনের অংশ দুমড়ে-মুচড়ে গেছে।

বুধবার (২৭ নভেম্বর) সন্ধ্যার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, চট্টগ্রামে নিহত অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফের কবর জিয়ারত শেষে ফেরার পথে আনুমানিক সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চুনতি ইউনিয়নের হাজী রাস্তার মোড়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে। তবে এই ঘটনায় দুই সমন্বয়ক অক্ষত রয়েছেন।

লোহাগাড়া থানার দায়িত্বরত সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মো. আলিম দুর্ঘটনার তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, এই ঘটনায় একটি ট্রাক জব্দ করা হয়েছে। জিডির প্রক্রিয়া চলছে। তবে কীভাবে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে তা প্রাথমিকভাবে জানাতে পারেননি এএসআই আলিম।

এদিকে, ফেসবুকে ভাঙা গাড়ির ছবি আপলোড করে বিষয়টি জানান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য সংগঠক হান্নান মাসুদ।

পোস্টে তিনি লিখেন, শহীদ এডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফ ভাইয়ের কবর জেয়ারত করে ফেরার পথে আনুমানিক সন্ধ্যা ৭.৩০ মিনিটে চট্রগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চুনতি ইউনিয়নের হাজী রাস্তার মোড়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ ও সার্জিস আলমের গাড়ি বহরে ট্রাক চাপা দিয়ে হত্যা চেষ্টা করা হয়।

প্রাথমিক তদন্তে ড্রাইভার ময়মনসিংহ থেকে কক্সবাজারে মালামাল খালাস করে আসার কথা বললেও মাল খালাসের কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। অতীতে ভারতীয় কর্তৃক বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় অনেক ব্যক্তিকে হত্যা করার নজির রয়েছে।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

হাসনাত ও সারজিসকে হত্যাচেষ্টাকারী ড্রাইভার ও হেলপার আটক
বিমান বাহিনীকে পঞ্চম জেনারেশনে উন্নীত করাই প্রধান লক্ষ্য: এয়ার চিফ মার্শাল
দুর্ঘটনার কবলে হাসনাত-সারজিস, দুমড়ে-মুচড়ে গেল গাড়ি
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে আইনজীবী সাইফুলের গায়েবানা জানাজা
দুই দফা কমার পর আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
বিসিএসের প্রশ্নফাঁস: বিজি প্রেসের দুই কর্মচারী গ্রেপ্তার
সাত কলেজের অনার্স ১ম বর্ষের পরীক্ষা স্থগিত
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক শেষে যা বললেন মির্জা ফখরুল
ফ্যাসিবাদের দোসরদের ষড়যন্ত্র এখনো অব্যাহত: রিজভী
জিয়াউর রহমানকে নিয়ে ‘আপত্তিকর’ মন্তব্য, বিচারককে ডিম ছুড়লেন আইনজীবীরা
কলকাতায় বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনের সামনে বিজেপির বিক্ষোভ
নিরবের পরকীয়ার অভিযোগ ফিরিয়ে নিলেন স্ত্রী, চাইলেন ক্ষমা
মিয়ানমারের জান্তা প্রধানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন
স্ত্রী হত্যা মামলায় জামিন পেলেন সাবেক এসপি বাবুল
ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে উত্তাল চট্টগ্রাম, নেতৃত্বে হাসনাত-সারজিস
চাঁদাবাজি ও কর ফাঁকির মামলা থেকে তারেক রহমানের অব্যাহতি
পাবনার আটঘরিয়ায় দিনে-দুপুরে বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর ও লুটপাট
যে পেশায় মানুষের জায়গা নিতে পারবে না এআই
প্রবাসীদের জন্য মধ্যপ্রাচ্যে ইলিশ রপ্তানির উদ্যোগ
সুপ্তার সেঞ্চুরির আক্ষেপের পরেও বাংলাদেশের রেকর্ড সংগ্রহ