সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪ | ৮ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

সংকট মোকাবিলায় প্রয়োজন দীর্ঘমেয়াদি উদ্যোগ: সিপিডি

করোনার ধকল সামলে না উঠেতেই ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের প্রভাবে বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক সংকট এখন আর স্বল্পমেয়াদি নয় উল্লেখ করে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন বলেছেন, এই সংকট মধ্যমেয়ািদ থেকে দীর্ঘমেয়াদি হত পারে।

তিনি বলেন, ‘স্বল্পমেয়াদি উদ্যোগ নিয়ে এই সমস্যা সমাধান হবে না। দীর্ঘমেয়াদি উদ্যোগ নিতে হবে। কারণ, রপ্তানি ছাড়া সব ক্ষেত্রে চাপ রয়েছে। রিজার্ভ অনেক কমে গেছে।’

রবিবার (২৪ জুলাই) ধানমন্ডিতে সিপিডি অফিসের সম্মেলন কক্ষে ‘সাম্প্রতিক অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জঃ কতটা ঝুঁকিপূর্ণ?’ শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনায় এসব কথা বলেন তিনি।

ড. ফাহমিদা খাতুন বলেন, ‘সামষ্টিক অর্থনীতি শক্তিশালীকরণে অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার, রাজস্ব আহরণ, ঋণখেলাপি, পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জন্য সামাজিক নিরাপত্তার বৃদ্ধির দিকে আরও নজর দিতে হবে সরকারকে।

ড. ফাহমিদা খাতুন বলেন, ‘বাংলাদেশের অর্থনীতিতে অনেক চাপ দেখা দিয়েছে। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে আমদানি ব্যয় মেটাতে ৪ মাসের পর্যায়ে নেমে গেছে।’

তিনি বলেন, ‘আমদানি ব্যয় মেটাতে মুদ্রার সরবরাহ শৃঙ্খলায় বাধা সৃষ্টি হয়েছে। ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে বাংলাদেশের অর্থনীতিতেও অনেক চাপ দেখা দিয়েছে। আটা-ময়দার দাম ৫০ শতাংশের বেশি বেড়েছে এক বছরের ব্যবধানে।’

‘ডালে ৪০ শতাংশ, সয়াবিন তেলে ৩১ শতাংশ ও ডিমের হালিতে বেড়েছে ২৩ শতাংশ বেড়েছে। এরফলে মূল্যস্ফীতি সাড়ে সাত শতাংশ ছাড়িয়েছে। প্রকৃত মূল্যস্ফীতি আরও বেশি। সম্প্রতি আইএমএফ বলেছে, ২০২৩ সালেও অর্থনৈতিক সংকট থাকতে পারে। শ্রীলঙ্কার অবস্থা বেশি খারাপ হয়েছে। বাংলাদেশের অবস্থান কিছুটা ভালো হলেও সতর্ক হওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। সরকারকে দীর্ঘমেয়াদি পদক্ষেপ নিতে হবে।’

ফাহমিদা বলেন, ‘করোনায় দরিদ্ররা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাই তাদের সহায়তা দিতে হবে। রপ্তানির তুলনায় আমদানি অনেক বেড়েছে। এ জন্য ঘাটতি দেখা দিয়েছে। নিত্যপণ্যের চাহিদা মেটাতে রিজার্ভ কমে ৩৯ বিলিয়নে নেমে গেছে। যা দিয়ে চার মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো যাবে। তাই যে করে হোক রিজার্ভ বাড়াতে হবে। এ জন্য রপ্তানি ও রেমিট্যান্সের দিকে নজর দিতে হবে।’

আলোচনা সভায় ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইর সিনিয়র সহ-সভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু বলেন, ‘বিশ্ব প্রেক্ষাপটে অর্থনীতির যে অবস্থা তাতে বাংলাদেশও এর বাইরে নয়। তাই বর্তমান অবস্থায় ব্যবসায়ীরা স্বাভাবিক অবস্থায় নেই। সুখে নেই। অস্বস্তিতে রয়েছে। দোকান, খাবার দোকানের বেচা-বিক্রি কমে গেছে। সংকটকালীন সময় মেনে নেওয়া হয়েছে। তবে বিদ্যুতে সাশ্রয়ী হতে উৎপাদন যাতে কোনোক্রমেই বিঘ্ন না ঘটে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। কারণ, এটা হলে রপ্তানি কমে যাবে। এর ফলে ডলারের মূল্য কমতে শুরু করবে।’

তিনি আরও বলেন, সরকার যেই মাত্র লোডশেডিং শুরু করেছে অনেকে চার্জার লাইট ও ফ্যানের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। ২ থেকে ৩ শতাংশ ব্যবসায়ীরা এভাবে লাভের জন্য বিক্রি করছে। আমরা তাদের সমর্থন করি না।’

বুয়েটের অধ্যাপক ম তামিম বলেন, ২০০৭ সালের দিকে দ্রুত বিদ্যুতের উৎপাদন বাড়ার সিদ্ধান্ত সঠিক ছিল। রেন্টাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র ৩ থেকে ৫ বছরে সীমাবন্ধ রাখার কথা ছিলো কিন্তু ১২ বছর পরও বর্তমানে তেলভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র দেশের জন্য বড় সমস্যা। তাই বিশ্ব সংকটের প্রভাব পড়েছে। এটা বড় সমস্যা। বিদেশি বিনিয়োগ আনা হয়নি। এটা বড় ঝুঁকিতে পড়েছে দেশ। আবার ডিজেল ভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থা্পনও ভুল সিদ্ধান্ত ছিল। কারণ, জ্বালানির দাম বেশি। এতবেশি দাম বাড়বে কেউ কখনো কল্পনা করতে পারেনি। তাই গ্যাস ভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের দিকে যেতে পরিকল্পনা করে চিন্তা করতে হবে। আমদানিকৃত কয়লা থেকে সরে আসতে হবে।’

সভায় সিপিডির সম্মানীয় ফেলো অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘বাণিজ্যের নামে ৮০ শতাংশ ওভারভয়েসিং-ইনভয়েসিং হয়ে টাকা পাচার হচ্ছে। গত ১০ বছরে ৬০ বিলিয়ন ডলার পাচার হয়েছে। এই অর্থ পাচারের পথ বন্ধ করতে হবে। আন্ডারভয়েসিং, ওভারভয়েসিং এর নামে জিরো টলারেন্স অবলম্বন করতে হবে।’

অর্থনীতিবিদ আরও বলেন, ‘আমদানি ব্যয় মেটাতে ডলারের দাম বাড়াতে হচ্ছে। যা আগে করা হয়নি। টাকার মান আগে অবমূল্যায়ন করা না হলেও সম্প্রতি তা ১০ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে। ২০ শতাংশ অবমূল্যায়ন করা হলে বাজারে ৩৩ শতাংশ পণ্যের উপর প্রভাব পড়বে। ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে রিজার্ভেও প্রভাব পড়েছে। আগের চেয়ে তা কমে যাচ্ছে। আমদানি ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় মূল্যস্ফীতিও বেড়ে যাচ্ছে। তাই আমদানি থেকে শুরু করে ভোক্তা পর্যায়ে নজরদারি খরবদারিতে নজর দিতে হবে।’

পিপিআরসির নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, ‘বর্তমানে স্বার্থের দ্বন্দ্বভিত্তিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনা গড়ে উঠেছে। লৌহ ত্রিভুজ মাত্রিক উন্নয়ন দর্শনে আটকে গেছে দেশ। সার্বিক প্রেক্ষিতে সামষ্টিক অর্থনীতিতে ভারসাম্যহীনতা দেখা দিয়েছে। তিনটা অবিচার দেখা দিয়েছে। করোনার পরে নতুনভাবে দারিদ্র বেড়ে গেছে। এসডিজি অর্জনে পুষ্টির ঘাটতি, যা দুঃচিন্তার বিষয় হচ্ছে ও শিক্ষা ক্ষেত্রে ড্রফ আউট। এই তিন খাতে সুস্পষ্ট অবিচারের চেহারা দেখা দিয়েছে।’

জেডএ/এমএমএ/

 

Header Ad
Header Ad

দ্য ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের প্রতিবেদন;

সরকারের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আইনে ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি এস আলমের

মোহাম্মদ সাইফুল আলম ওরফে এস আলম। ছবি: সংগৃহীত

সম্পদ জব্দ ও বিনিয়োগে বাধাগ্রস্ত করায় মোহাম্মদ সাইফুল আলম ওরফে এস আলম সিঙ্গাপুরের নাগরিক হিসেবে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আইনি পদক্ষেপ গ্রহণের উদ্যোগ নিয়েছেন বলে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

এস আলমের দাবি, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকার তার সম্পদ জব্দ এবং বিনিয়োগ ক্ষতিগ্রস্ত করেছে; এই ক্ষতি আদায়ের জন্য তিনি আইনি পদক্ষেপ নিচ্ছেন।

এস আলমের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান সাইফুল আলম বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় আসার পর তার পরিবারের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ করা হয়েছে, তাদের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে এবং তারা তাদের কোম্পানিগুলোর নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছেন। এছাড়া কোনো অফিশিয়াল বিজ্ঞপ্তি ছাড়াই অর্থপাচারের অভিযোগে তদন্তের মুখোমুখি হয়েছেন।

দ্য ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুস ও অন্যান্য উপদেষ্টাদের কাছে একটি 'বিরোধ নিষ্পত্তির নোটিশ' পাঠিয়েছে এস আলম।

নোটিশে সতর্ক করে বলা হয়, ছয় মাসের মধ্যে বিষয়টির সমাধান না করা হলে বাংলাদেশ ও সিঙ্গাপুরের মধ্যে ২০০৪ সালের দ্বিপক্ষীয় বিনিয়োগ চুক্তির অধীনে আন্তর্জাতিক সালিশি প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হবে।

২০০৪ সালে বাংলাদেশ ও সিঙ্গাপুর মধ্যে স্বাক্ষরিত দ্বিপাক্ষিক বিনিয়োগ চুক্তির আওতায় এস আলমের আইনজীবীরা এই আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগ নিচ্ছেন।

১৮ ডিসেম্বর পাঠানো নোটিশে বলা হয়েছে, এস আলম পরিবার ২০১১ সালে সিঙ্গাপুরের পার্মানেন্ট রেসিডেন্স (স্থায়ী বসবাস) এবং ২০২১ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে দেশটির নাগরিকত্ব পেয়েছেন। এস আলমের পরিবারের সদস্যরা ২০২০ সালে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব ত্যাগ করেছেন বলেও উল্লেখ করা হয় এতে।

আইনি প্রতিষ্ঠান কুইন ইমানুয়েল অ্যান্ড সুলিভানের আইনজীবীদের পাঠানো ওই নোটিশের চিঠি দেখেছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ফিন্যান্সিয়াল টাইমস (এফটি)।

ওই নোটিশে অভিযোগ করা হয়েছে, এস আলম পরিবারের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ করা হয়েছে, তাদের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে এবং তারা নিজেদের কোম্পানিগুলোর নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছেন। এছাড়া কোনো অফিশিয়াল নোটিশ ছাড়াই তাদের বিরুদ্ধে সম্ভাব্য অর্থ পাচারের তদন্ত করছে রাষ্ট্রীয় সংস্থাগুলো।

আরও বলা হয়েছে, এস আলম গ্রুপের মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর ঋণ বিতরণে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। বদলে ফেলা হয়েছে ব্যাংকগুলোর ম্যানেজমেন্ট টিম। তাদের চুক্তিগুলো ‘যথেচ্ছভাবে এবং যথাযথ প্রক্রিয়া ছাড়াই’ বাতিল করে দিয়েছে সরকার।

কুইন ইমানুয়েলের পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সরকার ও তার বিভিন্ন সংস্থার কর্মকাণ্ড ও অবহেলার মাধ্যমে ‘বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ করা সম্পদমূল্য পুরোপুরি বা আংশিকভাবে ধ্বংস করা হয়েছে।’

চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, এই অব্যাহত কর্মকাণ্ড ও অবহেলা বিনিয়োগ চুক্তির আওতায় পাওয়া অধিকার এবং বাংলাদেশের আইন লঙ্ঘন করেছে এবং চলমান বিরোধের ভিত গড়ে দিয়েছে।

দ্য ফিন্যান্সিয়াল টাইমস অনুরোধ করলেও বাংলাদেশ সরকার এই নোটিশের বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।

Header Ad
Header Ad

রাজধানীতে ২৪ ঘণ্টায় ৯৩ ছিনতাইকারী গ্রেপ্তার

ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীতে ছিনতাই রোধে বিশেষ অভিযান শুরু করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। এই অভিযানের প্রথম দিন রবিবার ৯৩ জন পেশাদার ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে লালবাগ বিভাগে সবচেয়ে বেশি ছিনতাইকারী গ্রেপ্তার হয়েছে।

সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার এস এন মো. নজরুল ইসলাম।

তিনি জানান, রবিবার সকাল ৮টা থেকে সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে এসব ছিনতাইকারী গ্রেপ্তার করা হয়।

এর মধ্যে রমনা বিভাগ আটজন, মতিঝিল বিভাগে ১৪ জন, লালবাগ বিভাগে ২৬ জন, ওয়ারী বিভাগে ১০ জন, তেজগাঁও বিভাগে ১৯ জন, মিরপুর বিভাগে ৪ জন, উত্তরা বিভাগ ৮ জন ও গুলশান বিভাগে ৪ ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন আছে বলে জানান পুলিশ কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম।

অতিরিক্ত কমিশনার বলেন, আমরা ছিনতাইপ্রবণ এলাকাগুলোকে চিহ্নিত করে কারা এসব এলাকায় ছিনতাই করে তাদেরকে চিহ্নিত করছি এবং তাদেরকে আইনের আওতায় আনার সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাচ্ছি। ফুট পেট্রোল গাড়িতে পেট্রোল এবং মোটরসাইকেল পেট্রোল অব্যাহত রেখেছি। এখন শীতের রাত, গভীর রাতেও ছিনতাই হচ্ছে। বিশেষ করে দূরপাল্লার যেসব গাড়ি ঢাকায় আসছে সেসব গাড়ির যাত্রীদের থেকে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটছে। মোবাইল পেট্রোলগুলো যেন ঠিকঠাক কাজ করে এজন্য আমাদের প্রত্যেক ডিভিশনের এসি এবং এডিসিকে নজরদারি করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। প্রত্যেক রাতে তারা গাড়ি নিয়ে মুভে থাকছে এবং তদারকি করছি। এছাড়া আমাদের কন্ট্রোল রুম থেকে ওয়ারলেসের পেট্রোলগুলোর লোকেশন নেওয়া হচ্ছে এবং তারা সজাগ আছে কি না তদারকি করা হচ্ছে।

যারা এসব ছিনতাইয়ের কাজে অভ্যস্ত, তাদেরকে কোর্টে চালান করার পর অতি সহজেই তারা জামিন নিয়ে বের হয়ে আসছে এবং আবার ছিনতাইয়ে জড়িয়ে পড়ছে। ঢাকা মহানগরীতে ২ কোটির মতো মানুষের বসবাস। তাদের নিরাপত্তার কথা ভেবে এসব ছিনতাইকারী যেন সহজে জামিন না পায় এজন্য কোর্ট বা সংশ্লিষ্ট বিচারকদের অনুরোধ করেন তিনি।

Header Ad
Header Ad

বাংলাদেশে রফতানি বন্ধ: ময়ূখ রঞ্জনের বাড়ি ঘেরাও করলেন পশ্চিমবঙ্গের কৃষকরা

ময়ূখ রঞ্জনের বাড়ি ঘেরাও করলেন পশ্চিমবঙ্গের কৃষকরা। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশে পেঁয়াজ ও আলু রফতানি বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে পশ্চিমবঙ্গের কৃষকদের মধ্যে চরম হতাশা বিরাজ করছে। মাত্র আড়াই থেকে তিন টাকায় পেঁয়াজ বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন তারা, যা উৎপাদন খরচের তুলনায় অত্যন্ত কম।

কৃষকরা অভিযোগ করছেন, রফতানির সুযোগ বন্ধ করে তাদের দুর্দশার দিকে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। এক কৃষক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমাদের কষ্টার্জিত ফসলের ন্যায্য মূল্য নেই। এখন এই পেঁয়াজ শুভেন্দু অধিকারী আর রিপাবলিক টেলিভিশনের ময়ূখ রঞ্জনকেই কিনতে হবে!

এই সংকটকে কেন্দ্র করে কৃষকরা রিপাবলিক টেলিভিশনের সাংবাদিক ময়ূখ রঞ্জনের বাড়ি ঘেরাও করেন। তাদের অভিযোগ, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচার চালিয়ে ময়ূখ সংকট আরও জটিল করে তুলেছেন। এক কৃষক বলেন, আমরা শুনছি, বাংলাদেশ আমাদের থেকে পেঁয়াজ নিতে চাইছে না। অথচ ময়ূখ বলছে, তারা নাকি আমাদের পেঁয়াজ অপমান করেছে! এই বিভ্রান্তি ছড়ানোর জন্য তিনিই দায়ী।

শুধু তাই নয় রাজ্যের বিরোধী নেতা শুভেন্দু অধিকারীকেও এই পরিস্থিতির জন্য দায়ী করেছেন কৃষকরা। তাদের হুঁশিয়ারি, এই বিপর্যয়ের সমাধান না হলে রাজ্যের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ অন্ধকার হবে।

পেঁয়াজ ও আলুর দাম নিয়ে রাজ্যে উত্তেজনা তুঙ্গে। রাস্তায় ফসল ফেলে কৃষকরা তাদের ক্ষোভ প্রকাশ করছেন। তারা অভিযোগ করেন, তিন টাকায় পেঁয়াজ বিক্রি করতে হচ্ছে, অথচ বাজারে এই পেঁয়াজই ২০ টাকার নিচে পাওয়া যায় না। আমাদের এই কষ্ট কেউ বুঝতে চায় না।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

সরকারের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আইনে ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি এস আলমের
রাজধানীতে ২৪ ঘণ্টায় ৯৩ ছিনতাইকারী গ্রেপ্তার
বাংলাদেশে রফতানি বন্ধ: ময়ূখ রঞ্জনের বাড়ি ঘেরাও করলেন পশ্চিমবঙ্গের কৃষকরা
সাদা পোশাকে সেঞ্চুরিতে জ্যোতির ইতিহাস
টাঙ্গাইলে মোটরসাইকেল ও সিএনজি দুর্ঘটনায় ব্যবসায়ীসহ ৩ জন নিহত
শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে আনতে দিল্লিকে কূটনৈতিক চিঠি
বছরখানেক সময় পেলে সংস্কার কাজগুলো করে যাব: আসিফ নজরুল
পপ তারকা ম্যাডোনার সঙ্গে পোপ ফ্রান্সিসের ডিপফেক ছবি ভাইরাল
কুমিল্লায় বীর মুক্তিযোদ্ধাকে হেনস্তার ঘটনায় প্রধান উপদেষ্টার নিন্দা
দেশে ১৯ লাখ ৪০ হাজার তরুণ বেকার- বিবিএস’র জরিপ
শেখ হাসিনাকে ফেরাতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেওয়া হয়েছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
স্ত্রী-সন্তানসহ সাবেক ডেপুটি গভর্নর এসকে সুরের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
কুমিল্লায় বীর মুক্তিযোদ্ধাকে জুতার মালা পরিয়ে হেনস্তা, ভিডিও ভাইরাল
বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনা তদন্তে কমিশন গঠন
চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন উপদেষ্টা হাসান আরিফ
বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে ফেরার পথে প্রাণ গেল ৩ যুবকের
যুক্তরাজ্যে টিউলিপ সিদ্দিককে জিজ্ঞাসাবাদ
বিমান বিধ্বস্ত হয়ে একই পরিবারের ১০ জন নিহত
উপদেষ্টা হাসান আরিফের মৃত্যুতে আজ রাষ্ট্রীয় শোক
গাজায় হাসপাতাল-স্কুল ও ‘সেফ জোনে’ ইসরায়েলের হামলা, নিহত ৫০