ড.ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ পেলেন বাংলাদেশ ব্যাংক পুরস্কার
দেশের অর্থনীতিতে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ অধ্যাপক ড.ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদকে ‘বাংলাদেশ ব্যাংক পুরস্কার-২০২০’ দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) মিরপুর-২ এ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক মানেজমেন্ট (বিআইবিএম) মিলনায়তনে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল আনুষ্ঠানিকভাবে অধ্যাপক ড.ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদকে এ সম্মাননা প্রদান করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির। পুরস্কারের হিসেবে একটি স্বর্ণপদক, বাংলাদেশ ব্যাংকের ক্রেস্ট এবং পাঁচ লক্ষ টাকা প্রদান করা হয়।
অধ্যাপক ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ ১৯৪৮ সালের ১ জুলাই নোয়াখালী জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৬৮ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান অধিকার করে অর্থনীতিতে বিএ (সম্মান) ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৬৯ সালে ইসলামাবাদের কায়েদ-ই-আজম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে রেকর্ড নম্বর পেয়ে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান অধিকার করে এমএসসি ডিগ্রী অর্জন করেন। ১৯৭৭ সালে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৬৩ ও ১৯৬৫ সালে ড. মাহমুদ রেকর্ড নম্বর চেয়ে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় সম্মিলিত মেধা তালিকায় প্রথম স্থান অধিকার করেন।
ড. মাহমুদ ১৯৬৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতি বিভাগে শিক্ষকতা শুরু করেন। ১৯৮৪ সালে অধ্যাপক পদে পদোন্নতি পান এবং ২০১১ সালে অবসর গ্রহণ করেন। তিনি বর্তমানে ইন্টারন্যাশনাল গ্রোথ সেন্টারের সিনিয়র কান্ট্রি উপদেষ্টা এবং বাংলাদেশ ইকোনমিক রিসার্চ গ্রুপের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি বাংলাদেশ সরকারের ‘রূপকল্প ২০৪১’ সংক্রান্ত জাতীয় পরামর্শক কমিটির চেয়ারম্যানের দায়িত্বও পালন করছেন।
অধ্যাপনা পেশার পাশাপাশি ড. মাহমুদ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অনেক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। তিনি কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়, সাসেক্স বিশ্ববিদ্যালয়ের আইডিএস, ইন্টারন্যাশনাল ফুড পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট এবং বিশ্বব্যাংকসহ স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক ও গবেষক হিসেবে কাজ করেছেন। তিনি ১৯৯৬ সালে তত্তাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেন। বাংলাদেশে জাতীয় পর্যায়ে পলিসি প্রণয়নে বিভিন্ন সময়ে তিনি ব্যাপকভাবে সম্পৃক্ত ছিলেন। তিনি ১৯৯৩-২০০৯ সাল পর্যন্ত দীর্ঘ ১৬ বছর বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
জেডএ/এমএমএ/