সংসদে বাজেট উত্থাপন শুরু
করোনা মহামারিতে বিপর্যস্ত অর্থনীতিকে ঘুরে দাঁড়াতে এবার সর্বোচ্চ ভর্তুকি রেখে ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকার বাজেট উত্থাপন করছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
বৃহস্পতিবার (৯ জুন) বিকাল ৩টায় অর্থমন্ত্রী ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের জন্য বাজেট উপস্থাপন করেন। এটি ছিল স্বাধীন বাংলাদেশের ৫১তম বাজেট আর আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের ২৩তম বাজেট। অর্থমন্ত্রী হিসেবে আ হ ম মুস্তফা কামালের চতুর্থ বাজেট এটি।
অর্থনীতি দ্রুত পুনরুদ্ধার হবে এমন প্রত্যাশা নিয়ে আগামী অর্থবছরে ৬ লাখ ৭৭ হাজার ৮৬৪ কোটি টাকার বাজেট দিতে চাইছে অর্থ মন্ত্রণালয়। এটি দেশের জিডিপির ১৫ দশমিক ৪০ শতাংশ। আর চলতি অর্থবছরের বাজেট থেকে এটি ৭৪ হাজার ১৮৩ কোটি টাকা বেশি। চলতি অর্থবছরের ঘোষিত বাজেটের আকার ৬ লাখ ৩ হাজার ৬৮১ কোটি টাকা। এ হিসেবে আগামী অর্থবছর বাজেটের আকার বাড়ছে ১২ দশমিক ২৮ শতাংশ।
প্রস্তাবিত বাজেটের রূপরেখায় চলতি অর্থবছরের তুলনায় সরকারের পরিচালনসহ অন্যান্য ব্যয় বাড়ছে ১২ দশমিক ৩৩ শতাংশ। চলতি অর্থবছরের তুলনায় এ খাতে ব্যয় ৫৩ হাজার ৩০০ কোটি টাকা বাড়ছে। সে অনুপাতে বাড়ছে না বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) বরাদ্দ। এক্ষেত্রে চলতি বছরের তুলনায় বরাদ্দ বাড়ছে ৮ দশমিক ৪৮ শতাংশ বা ২০ হাজার ৮৮৩ কোটি টাকা।
২০২২-২০২৩ অর্থবছরের প্রাক্কলিত বাজেটে ভর্তুকি প্রণোদনা ও নগদ ঋণ খাতে বরাদ্দ রাখা হচ্ছে ১ লাখ ৭৭ হাজার ১৪৫ কোটি টাকা, চলতি বাজেটে যা ছিল ১ লাখ ৪৯ হাজার ২৩৫ কোটি টাকা। সরকারের দেশি-বিদেশি ঋণের বিপরীতে সুদ পরিশোধ বাবদ রাখা হয়েছে ৮০ হাজার ২৭৫ কোটি টাকা, চলতি বাজেটে যা ছিল ৬৮ হাজার ৫৮৯ কোটি টাকা।
সংসদে প্রস্তাবিত বাজেটের উপর সংসদ সদস্যগণ দীর্ঘ আলোচনা করবেন। শেষ দিকে প্রধানমন্ত্রীর কিছু সংশোধনী গ্রহণ করে অর্থমন্ত্রী ৩০ জুন সংশোধিত আকারে ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে পাসের প্রস্তাব উত্থাপন করবেন। সেদিনই সর্বসম্মতিক্রমে বাজেট পাস হবে। আর ১ জুলাই থেকে নতুন অর্থবছর শুরু হবে। এই অর্থবছর হবে অর্থনৈতিকভাবে ঘুরে দাঁড়ানোর বছর।
এসএম/এমএমএ/