সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪ | ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

জনগণের প্রত্যাশা পূরণে কী অবদান রাখবে বাজেট

একদিকে লাগামহীন দ্রব্যমূল্য, অন্যদিকে উন্নয়নের রোলমডেলে বাংলাদেশ। বহির্বিশ্বের নাজুক অর্থনীতি, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। অর্থনীতিকে চাঙা করার জন্য স্বপ্ন দেখোনোর কোনো কিছুই যেনো নেই হাতের নাগালে। কিন্তু জনগণকে প্রত্যাশা পূরণ করতে হবে। যা সরকারের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ বলে মনে করেন অর্থনীতিবিদরা।

এ পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার (৯ জুন) জাতীয় সংসদে উত্থাপন করা হচ্ছে ২০২২-২৩ অর্থ বছরের বাজেট। বাংলাদেশের ইতিহাসে ৫১ তম এবং বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের টানা ১৪ তম এবং আওয়ামী লীগের ২৩তম বাজেট এটি।
এবার (২০২২-২০২৩ অর্থবছর) বাজেটের সম্ভাব্য আকার ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকা। ঘাটতির আকার ধরা হয়েছে ২ লাখ ৪৫ হাজার ৬৪ কোটি টাকা। আর আয়ের সম্ভাব্য লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করতে যাচ্ছে ৪ লাখ ৩৬ হাজার ২৭১ কোটি টাকা।

বাজেটের আকার যাই হোক এ বাজেট ঘিরে জনসাধারণের প্রত্যাশা অনেক বেশি। সে প্রত্যাশা কতটুকু পূরণ হবে তাই এখন দেখার বিষয়।

অর্থনীতিবিদরা মনে করেন লাগামহীন দ্রব্যমূল্যের এ বাজারে এবারের বাজেট হতে হবে জনবান্ধব। অর্থনীতিবিদ ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ড. এ বি মির্জা আজিজুল ইসলাম মনে করেন, নতুন বাজেটে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, সামাজিক নিরাপত্তাখাতে ব্যয় বৃদ্ধি, কর্মসংস্থান বৃদ্ধি কতোটুকু করা হবে সেটাই দেখার বিষয়। এসব বিষয়ে বেশি বেশি করে বরাদ্দ দিলে বলা যাবে সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা পূরণ করবে। এটা আমার মনে হয়।

বাজারে স্বস্থি ফেরার সম্ভাবনা আছে কী? মির্জা আজিজুল ইসলাম মনে করেন, মূল্যস্ফীতির লাগাম বৈদেশিক পণ্য নির্ভরতার কারণেই বেশি হচ্ছে। এটার জন্য তেমন করার কিছু নেই। তবে অভ্যন্তরীণ মুদ্রানীতির মাধ্যমে সরকার দরিদ্র জনগোষ্ঠির জীবন যাপনে সমর্থন দিতে পারলে বাজারে স্বস্তি ফিরতে পারে।

শোনা যাচ্ছে এবারের বাজেটে ভর্তুকি ঘোষণা আসতে পারে বেশি। এ কারণে কি পরিমান ভর্তুকি আসছে সেটাই দেখার বিষয়। যেখানে যেখানে বেশি প্রয়োজন সেখানে ভর্তুকি বাড়াতে হবে। কৃষি, স্বাস্থ্য, শিক্ষাখাতে বেশি করে ভর্তুকি দিতে হবে। এসব করা হলে সরকারের জন্য কিছুটা স্বচ্ছিদায়ক হতে পারে বলে মনে করেন মির্জা আজিজ।

জিডিবির প্রবৃদ্ধি নিয়ে বরাবই বাজেটে থাকে নির্দেশনা। আগামীর বাজেটে জিডিপির প্রবৃদ্ধি ৭ দশমিক ৫ শতাংশ প্রাক্কলন করা হচ্ছে। এটা অর্জন করতে হলে অনেক বিনিয়োগ বাড়াতে হবে বলে মনে করেন মির্জা আজিজ। তিনি বলেন, ব্যবসার পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে। বিদ্যুৎ, গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে। উৎপাদনমুখী শিল্পে নজর দিতে হবে। এসব ক্ষেত্রে সরকার পুরোপুরি ভূমিকা রাখলে অর্থনীতি চাঙ্গা হতে পারে।

অপর দিকে অর্থনীতিবিদ ও বিআইডিএস-এর সিনিয়র রিসার্চ ফেলো ড. নাজনীন আহমেদ মনে করেন, এবারের বাজেট সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা কতোটুকু পূরণ হবে তার চেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার বাজেট। তাই যেভাবে হোক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করাটাই বড় বিষয়। কারণ ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের প্রভাবে আন্তর্জাতিকভাবে মূল্যস্ফীতি যেভাবে বাড়ছে তাতে সরকারের করার কিছু নেই।

কৃষিক্ষেত্রে অবশ্যই ভর্তুকি বাড়াতে হবে বলে মনে করেন ড. নাজনীন। তিনি বলেন, যাতে কোনোক্রমেই খাদ্য উৎপাদন কম না হয়। খাদ্য উৎপাদন কমে গেলে আবার দাম বেড়ে যাবে। একইভাবে সামাজিক সুরক্ষা খাতেও বরাদ্দ বেশি করে বাড়াতে হবে। কারণ করোনায় অনেক ক্ষতি হয়েছে। এসএমই খাতের অনেক উদ্যোক্তা ব্যবসায় ফিরতে পারেনি। অনেকের ব্যবসা নষ্ট হয়েছে। অনেকে কর্মহীন ও বেকার হয়েছে।

ড. নাজনীন বলেন, করোনার ধকল মোকাবেলা না করতেই ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবও ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। এর চ্যালেঞ্চ মোকাবেলা করাই বড় চ্যালেঞ্চ হয়েছে সরকারের জন্য। বিশ্বব্যাপী তাপ কমার চাপ মোকাবেলা করে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে হবে। তবেই কিছুটা স্বস্তি ফিরে আসতে পারে।

সামাজিক সুরক্ষা খাতেও বেশি করে বরাদ্দ বাড়াতে হবে। জ্বালানি খাতেও ভর্তূতি বাড়াতে হবে। এভাবে বিভিন্ন খাতে ব্যয় বাড়িয়ে সামষ্টিক অর্থনীতিকে ঠিক রাখতে সরকারের ব্যয়ও কমাতে হবে। বিশেষ করে একেবারে অপ্রয়োজনীয় ব্যয় যেভাবে হোক বন্ধ করতে হবে। বিদেশে ভ্রমণ থেকে শুরু করে দেশের অভ্যন্তরেও অপ্রয়োজনীয় ব্যয় বন্ধ করতে হবে। এভাবে সরকারকে ব্যয় সংকোচন অব্যাহত রাখতে হবে আয় বাড়ার দিকে।

বেসরকারি সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ-সিপিডির জ্যেষ্ঠ গবেষক ড. তৌফিকুল ইসলাম খান ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, ‘ব্যক্তিখাতে করদাতাদের পরিমান বাড়াতে হবে। এতে করের আওতা বাড়বে। সামাজিক নিরাপত্তা খাতেও বরাদ্দ বাড়াতে হবে। কর্মসংস্থানের বেশি করে সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে। অপ্রয়োজনীয় ব্যয় যেভাবে হোক কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। এভাবে ব্যয় কমিয়ে মূল্যস্ফীতির লাগাম টেনে ধরতে হবে। এভাবে বিভিন্ন উদ্যোগ বাস্তবায়িত হলে জনগণের প্রত্যাশা পূরণ হতে পারে।’

জেড/

 

Header Ad

বেনাপোলে টানা ৪ দিন বন্ধ রয়েছে দূরপাল্লার সকল পরিবহন

বেনাপোলে টানা ৪ দিন বন্ধ রয়েছে দূরপাল্লার সকল পরিবহন। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর থেকে চতুর্থ দিনের মত দূরপাল্লার সব পরিবহন বাস বন্ধ রয়েছে। বাস মালিক সমিতি পূর্ব ঘোষনা অনুযায়ী সোমবার (২৫ নভেম্বর) সাতক্ষীরা থেকে ঢাকাগামী সকল দূরপাল্লার বাস বন্ধ রেখেছে।

এতদিন বেনাপোল থেকে দূরপাল্লার বাস বন্ধ থাকলেও ভারত ফেরত অনেক পাসপোর্ট যাত্রী ১২ কিলোমিটার দূরে নাভারন সাতক্ষীরা মোড় থেকে সাতক্ষীরা রুটের গাড়ি ধরে বাড়ি ফিরছিলেন।সোমবার থেকে সেটাও বন্ধ করে দিয়েছে মালিক সমিতি।

এতে প্রতিদিন ভারত ফেরত হাজার হাজার যাত্রী চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। যাত্রীদের চেকপোস্টে না নিতে দিয়ে গভীর রাতে পৌর বাস টার্মিনালে নামাতে বাধ্য করার অভিযোগে শুক্রবার রাত থেকে বেনাপোলের দূরপাল্লার সব বাস বন্ধ রেখেছে মালিক সমিতি।

বেনাপোল পরিবহন ম্যানেজার সমিতির সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান বলেন,"আমাদের দাবি-দাওয়া না মানায় পরিবহন মালিকরা তাদের গাড়ি এই রুটে চালাবে না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আজ সোমবার থেকে সাতক্ষীরা রুটও বন্ধ করে দিয়েছে মালিক সমিতি।"

সাতক্ষীরা কে লাইন পরিবহনের জামতলা কাউন্টার প্রধান আনোয়ার হোসেন বিদ্যুৎ বলেন,বেনাপোলের সমস্যার সমাধান না হওয়ায় সাতক্ষীরা থেকে দূরপাল্লার পরিবহণের সকল বাস বন্ধ করে দিয়েছে মালিক সমিতি।পরবর্তী নির্দেশ না পাওয়া পর্যন্ত আমরা কোন টিকিট বিক্রি করছি না।

এদিকে হঠাৎ করে বেনাপোল থেকে দূরপাল্লার যাত্রীবাহী বাস চলাচল বন্ধ থাকায় আটকা পড়েছেন ভারত থেকে আসা হাজার হাজার পাসপোর্টধারী যাত্রী। গন্তব্যে যেতে তারা প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস,ট্রেন ব্যবহার করছেন। এতে ভোগান্তি,সময় অপচয়ের পাশাপাশি খরচও বেশি হচ্ছে বলে যাত্রীরা অভিযোগ করেছেন।

বেনাপোল চেকপোস্টে কথা হয় ভারত ফেরত যাত্রী নেত্রকোনার জিতেন সাহা, নারায়নগঞ্জের সাদ্দাম হোসেন টিপু, ঢাকার ফজলুর রহমান শেখ, লাল্টু হোসেন ও বিনয় পালের সাথে।

নেত্রকোনার জিতেন সাহা বলেন, তিন জন মিলে একটি প্রাইভেট নিয়ে যশোর যাচ্ছি।সেখান থেকে বাস ধরে বাড়ি যাবো।ভারত থেকে দেশে ফিরে এখন দেখছি 'দূর্ভোগের শেষ নেই'।

যশোর জেলা বাস মালিক সমিতির সভাপতি মুসলিম উদ্দিন পাপ্পু জানান, বেনাপোল চেকপোস্টে বন্দর ভেহিক্যাল টার্মিনাল চালু হওয়ায় কমে গেছে গাড়ির জট। বাস চলাচলে কোন যানজট হয়না। ভারত বাংলাদেশের আমদানি রপ্তানি পণ্যবাহী ট্রাকের কারনে সৃষ্টি হত যানজটের। দূরপাল্লার যাত্রীদের নিরাপত্তা ও দুর্ভোগের বিষয়টি কর্তৃপক্ষের বিশেষ বিবেচনার দাবী জানান মুসলিম উদ্দিন পাপ্পু।

বেনাপোলে যানজট নিরসনে পৌর বাস টার্মিনাল ব্যবহারে নির্দেশনা দেয় জেলা প্রশাসন। পরিবহন কর্তৃপক্ষ পৌর বাস টার্মিনাল ব্যবহারে সহমত পোষন করে দিনের বাসগুলো ছাড়ছিল সেখান থেকেই। যাত্রীদের নিরাপত্তা ও সুবিধায় রাতের বাস চেকপোস্ট টার্মিনালে এসে যাত্রী নামিয়ে দিয়ে বাস যাচ্ছিল পৌর টার্মিনালে। এরই মধ্যে হঠাৎ করে ২২ নভেম্বর গভীর রাতে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা বাসের যাত্রী পৌর বাস টার্মিাালে নামিয়ে নেওয়া হয়। বাস প্রবেশে দেওয়া হয বাধা। এরই প্রতিবাদে বাস চলাচল বন্ধ রাখে মালিক সমিতি। টানা চার দিন দুর পাল্লার পরিবহন চলাচল বন্ধে ভারত বাংলাদেশ যাতায়াতকারী যাত্রীরা পড়ছেন সীমাহীন ভোগান্তিতে। এর সুরাহা চান ভুক্তভোগী যাত্রীরা।

Header Ad

৮ হাজার শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে পুলিশের মামলা

ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজসহ বিভিন্ন কলেজের ৮ হাজার শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে ভাঙচুর ও গুলিভর্তি ম্যাগাজিন চুরির অভিযোগে মামলা করেছে পুলিশ। সোমবার (২৫ নভেম্বর) সূত্রাপুর থানার সাধারণ নিবন্ধন শাখারুম সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

এর আগে গতকাল রোববার (২৪ নভেম্বর) সূত্রাপুর থানার উপপরিদর্শক এ কে এম হাসান মাহমুদুল কবীর বাদী হয়ে মামলাটি করেন।

ঢাকার অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমানের আদালত তা গ্রহণ করেন। আগামী ২৪ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন আদালত।

মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, গতকাল ২৪ নভেম্বর ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজসহ বিভিন্ন কলেজের সাত-আট হাজার শিক্ষার্থী বেআইনি জনতাবদ্ধে মারাত্মক অস্ত্র-শস্ত্রসহ দাঙ্গা সৃষ্টি করে সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর করে। সরকারি অস্ত্রের (পিস্তল) গুলিভর্তি ম্যাগাজিন চুরি, সরকারি ডিউটিতে ব্যবহৃত এপিসি গাড়ি ভাঙচুর করে ক্ষতিসাধন করে।

কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যদের ওপর আক্রমণ করা, জীবননাশের হুমকি দেওয়া এবং ত্রাস সৃষ্টির মাধ্যমে অন্তর্ঘাতমূলক কাজ করে। এছাড়া পুলিশের এপিসি কার ও ডিউটিরত পুলিশের মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে দুই লাখ ৭০ হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।

এতে পেনাল কোড ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৫(৩) ধারার অপরাধ আনা হয়েছে।

Header Ad

ঋণ দেওয়ার নামে শাহবাগে লোক জড়ো করা মোস্তফা আমীন আটক

মোস্তফা আমীন। ছবি: সংগৃহীত

‘বিনা সুদে এক লাখ টাকা ঋণের প্রলোভন দেওয়া অহিংস গণঅভ্যুত্থান বাংলাদশের আহ্বায়ক আ ব ম মোস্তাফা আমীনকে আটক করেছে পুলিশ। সোমবার (২৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায় তাকে আটক করা হয়।

‘বিদেশে পাচার করা অর্থ দেশে ফিরিয়ে জনপ্রতি এক লাখ টাকা ঋণ দেওয়া হবে, এজন্য শাহবাগে বিশাল সমাবেশে জড়ো হতে হবে।’ এমন কথা বলে রাজধানীর শাহবাগে লক্ষাধিক মানুষের সমাবেশের চেষ্টা করে পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করার অভিযোগ উঠেছে অহিংস গণঅভ্যুত্থান বাংলাদশ নামের একটি সংগঠনের বিরুদ্ধে।

এই অভিযোগে সংগঠনটির আহ্বায়ক মোস্তফা আমীনকে আটক করে পুলিশ।

এসব অসহায় মানুষদের বলা হয়েছিল সোমবার (২৫ নভেম্বর) সকাল ১০টায় রাজধানীর শাহবাগে একটি গুরুত্বপূর্ণ সভা হবে, যেখানে ঋণ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। মূলত ঢাকায় একটি সমাবেশ করার উদ্দেশ্যেই এরকম প্রলোভন দেওয়া হয় বলে জানা গেছে।

সভায় আসা ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মোস্তাফা আমিন নামে এক ব্যক্তির মিটিং আছে সকাল ১০টায়। এ কথা বলে তাদের ফরম পূরণ করিয়ে ঢাকায় নিয়ে আসেন। মোস্তাফা ফরওয়ার্ড পার্টির আহ্বায়ক বলে জানা গেছে।

আরও জানা গেছে, এনজিও সংস্থার পরিচয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে কিছু ব্যক্তি মানুষকে বিনা সুদে ঋণ দেওয়ার আশ্বাস দেন। যারা বলেছেন, ঢাকায় গেলে বিনা সুদে ১ থেকে ১০ লাখ টাকা করে ঋণ দেওয়া হবে। অনেকের কাছ থেকে এ জন্য ১ হাজার টাকা করেও নিয়েছে। এ আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে তারা গাড়িতে করে ঢাকায় এসেছেন।

জানা গেছে, ঢাকার বিভিন্ন বস্তি ও আশপাশের এলাকা থেকে সমাবেশে লোক জড়ো করার উদ্দেশে কয়েকদিন ধরে নানা কর্মসূচি পালন করে অহিংস গণঅভ্যুত্থান বাংলাদেশ সংগঠনের নেতারা। এ ছাড়াও শুক্রবার (২২ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের মাওলানা আকরম খাঁ হলে সংবাদ সম্মেলন করে সংগঠনটি। সেখানে সোমবার সমাবেশের কথা জানানো হয়।

ঢাকায় আসা মানুষের কাছে অহিংস গণঅভ্যুত্থান বাংলাদেশ সংগঠনের ব্যানার, ফেস্টুন ও লিফলেট পাওয়া যায়। তাদের হাতে ফেস্টুনে লেখা ছিল, ‘লুণ্ঠিত অর্থ উদ্ধার করব, বিনা সুদে পুঁজি নেব’।

জানা গেছে, বিনা সুদে ঋণ দেওয়ার নামে ঢাকায় সমাবেশে লোকজন জড়ো করার নেপথ্যে কাজ করেছেন ফরওয়ার্ড পার্টির আহ্বায়ক ও অহিংস আন্দোলন বাংলাদেশের প্রধান সংগঠক আ ব ম মোস্তাফা আমীন ও সদস্য সচিব মো. মাহবুবুল আলম চৌধুরী।

সংগঠনের নেতারা কয়েকদিন আগে থেকেই ঢাকায় মানুষ জমায়েতের পরিকল্পনা করছিলেন। মোস্তাফা আমীন গত ১৫ নভেম্বর তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে স্ট্যাটাস দেন, ‘স্মরণকালের সর্ববৃহৎ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে ২৫ নভেম্বর ২০২৪ শাহবাগ মোড়ে, সকাল ১০টায়। ইতিহাসে নাম লিখান।’

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

বেনাপোলে টানা ৪ দিন বন্ধ রয়েছে দূরপাল্লার সকল পরিবহন
৮ হাজার শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে পুলিশের মামলা
ঋণ দেওয়ার নামে শাহবাগে লোক জড়ো করা মোস্তফা আমীন আটক
সেন্ট মার্টিনে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচলের অনুমতি
আইপিএলে দল পেলেন না মুস্তাফিজুর রহমান
টাঙ্গাইলে আওয়ামী লীগ নেতা আজাহার গ্রেফতার
চলতি মৌসুমে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা আজ নওগাঁয়
নির্লজ্জ দলাদলির পরিণতি দেশবাসী দেখেছে: তারেক রহমান
মোল্লা কলেজের সার্টিফিকেট-ল্যাপটপ লুট, ক্ষতি ৭০ কোটি টাকা: অধ্যক্ষ
ইসকন নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাস গ্রেপ্তার
সাত কলেজের স্নাতক পরীক্ষা স্থগিত
সংঘর্ষের ঘটনায় যাত্রাবাড়ী-ডেমরা এলাকায় ৬ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন
পার্থ টেস্টে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে রেকর্ড জয় ভারতের
বদলগাছীতে বাসের ধাক্কায় ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা নারী নিহত, আহত ২
মামলা না নিলে ওসিকে এক মিনিটে বরখাস্ত করে দেবো: ডিএমপি কমিশনার
মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে যৌন নিপীড়নের মামলায় যুবকের যাবজ্জীবন
বিগ ব্যাশ খেলার অনুমতি পেলেন রিশাদ
শাকিব খানের সঙ্গে আইটেম গানে নুসরাত
রাজধানীর মোল্লা কলেজে হামলা-ভাঙচুর, শিক্ষার্থীদের দখলে সড়ক
ওয়ানডে সিরিজেও অনিশ্চিত মুশফিক