পর্যটনে ব্যর্থ হলে এসডিজি অর্জনও ব্যাহত হবে: এফবিসিসিআই
পর্যটনের উন্নয়নের জন্য এসডিজির অন্তত ৬টি লক্ষ্য সরাসরি জড়িত। বাকি লক্ষ্যগুলোও পরোক্ষভাবে সম্পর্কিত। তাই পর্যটনের বিকাশ না হলে ২০৩০ সাল নাগাদ টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনও বাধাগ্রস্ত হবে। সেজন্য পর্যটনের উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ অত্যন্ত জরুরি। সোমবার (২৩ মে) পর্যটন উন্নয়ন বিষয়ক এফবিসিসিআই স্ট্যান্ডিং কমিটির সভায় এসব কথা বলেছেন পর্যটন শিল্পের সঙ্গে জড়িত ব্যবসায়ীরা। মতিঝিলে এফবিসিসিআই কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় তারা বলেন, পর্যটনের সঙ্গে সরাসরি ১০৯টি খাত ও পরোক্ষভাবে ১১০০টি খাত সংযুক্ত। প্রতি ১জন পর্যটকের জন্য ১০টি প্রত্যক্ষ ও ৩৫টি পরোক্ষ কর্মসংস্থানের তৈরি হয়। তাই বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির জন্যও পর্যটনকে অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত খাত হিসেবে চিহ্নিত করা উচিৎ। সরকার কোভিড পরবর্তী সময়ে বিদেশি ব্যবসায়ীদের জন্য বাংলাদেশ ভ্রমণকে উন্মুক্ত করার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়েছে। পর্যটকদের জন্যও একই ঘোষণা দিলে বাংলাদেশে বিদেশি পর্যটকরা আসতে আগ্রহী হবেন। একই সঙ্গে অন-অ্যারাইভাল ভিসা সুবিধা পুনরায় চালুও করা দরকার।
বৈঠকে ট্যুর অপারেটরদের লাইসেন্স প্রদান, রপ্তানিকারকের স্বীকৃতি প্রাপ্তি, আউটবাউন্ড ট্যুর অপারেটরদের বিদেশে অর্থ পাঠানোর প্রক্রিয়া সহজ করা, পর্যটন কেন্দ্রগুলোকে পর্যটন মন্ত্রনালয়ের আওতায় আনা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান ব্যবসায়ীরা।
সভায় এফবিসিসিআই’র সিনিয়র সহ-সভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু বলেন, দেশে পর্যটন খাতে দক্ষ জনবলের ঘাটতি রয়েছে। এক্ষেত্রে শ্রীলঙ্কা থেকে দক্ষ ব্যবস্থাপকসহ জনশক্তি আমদানি করে এ খাতের ঘাটতি মোকাবিলা করা দরকার।
পরিচালক আমজাদ হোসাইন বলেন, বর্তমানে জিডিপিতে পর্যটনের সাড়ে তিন থেকে ৪ শতাংশ অবদান রয়েছে। এ হারকে ১০ শতাংশে নিয়ে যেতে হবে। সেজন্য নির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়নের বিকল্প নেই।
বাংলাদেশ ট্যুরিজ্যম বোর্ডের সাবেক সিইও আখতারুজ জামান খান পর্যটন বোর্ডে এফবিসিসিআই’র প্রতিনিধিত্ব থাকা দরকার বলে মন্তব্য করেন।
স্ট্যান্ডিং কমিটির ডিরেক্টর ইন চার্জ এম জি আর নাসির মজুমদার বলেন, বৈঠকে পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে এফবিসিসিআই’র পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ সহায়তা অব্যাহত রাখার আশ্বাস দেন। কমিটির চেয়ারম্যান তৌফিক উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে বৈঠকে স্ট্যান্ডিং কমিটির কো-চেয়ারম্যান ও অন্যান্য সদস্যবৃন্দসহ উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআইর পরিচালক হারুন অর রশীদ।
জেডএ/