এবার শর্তমুক্ত হলো রেমিট্যান্সের প্রণোদনা
আমদানি ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় হুহু করে বাড়ছে ডলারের দাম। বাংলাদেশ ব্যাংক কয়েক দফা টাকার মান কমিয়েও স্থিতিশীল হচ্ছে না। প্রবাসী আয় বাড়ানোর বিকল্প নেই। এ জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক এবার রেমিট্যান্স পাঠানোর পথ সহজ করেছে। প্রণোদনার ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়েছে, এখন থেকে পাঁচ হাজার ডলার বা ৫ লাখ টাকার বেশি রেমিট্যান্স এলে কোনো ধরনের কাগজপত্র ছাড়াই পাওয়া যাবে প্রণোদনা। সোমবার (২৩ মে) এ ব্যাপারে একটি সার্কুলার জারি করে কার্যকর করতে বলা হয়েছে।
প্রবাসীদের রেমিট্যান্স পাঠাতে সরকার দুই শতাংশ থেকে বাড়িয়ে আড়াই শতাংশ প্রণোদনার ব্যবস্থা করেছে। তবে কিছু শর্তও আছে। পাঁচ হাজার থেকে পাঁচ লাখ টাকার বেশি রেমিট্যান্স পাঠাতে গেলে রেমিটারকে (অর্থপ্রেরক) বিদেশি এক্সচেঞ্জ হাউজের কাছে বিস্তারিত কাগজপত্র জমা দেয়ার বাধ্যবাধকতা ছিল।
এরফলে অনেকে বেধপথে রেমিট্যান্স না পাঠিয়ে হুন্ডির আশ্রয় নেয়।
সম্প্রতি ডলারের সমস্যা প্রকট আকার ধারণ করেছে। সহজে পাওয়া যায় না। তাই বৈধ উপায়ে রেমিট্যান্সের বিপরীতে প্রণোদনার প্রক্রিয়া সহজ করতে সোমবার একটি নির্দেশনা দিয়েছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা নীতি বিভাগের মহাব্যবস্থাপক মো. কাজী রফিকুল হাসান।
নির্দেশনা দিয়ে সার্কুলার জারি করে দেশে কার্যরত সব ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে পাঠানো হয়েছে। এই নির্দেশ সার্কুলার জারির তারিখ থেকেই কার্যকর বলে গণ্য হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
বর্তমানে পাঁচ হাজার বা পাঁচ লাখ টাকার বেশি রেমিট্যান্স পাঠালে প্রণোদনা বা নগদ সহায়তা পাওয়ার জন্য প্রবাসীর কাগজপত্র বিদেশের এক্সচেঞ্জ হাউজ থেকে পাঠানোর বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
তাই সার্কুলারে উল্লেখ করা হয়েছে ‘সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বৈধ উপায়ে দেশে রেমিট্যান্স প্রেরণের বিপরীতে রেমিট্যান্স প্রণোদনা/নগদ সহায়তা প্রদানে রেমিটারের কোনো কাগজপত্র ব্যতীত বিদ্যমান হারে (২.৫০ শতাংশ) রেমিট্যান্স প্রণোদনা/নগদ সহায়তা প্রযোজ্য হবে।’
একই সঙ্গে রেমিট্যান্স প্রেরণের বিপরীতে প্রণোদনা/নগদ সহায়তা সংক্রান্ত ইত:পূর্বে ২০১৯ সালের ৬ আগষ্ট ইস্যুকৃত (এফই সার্কুলার নং-৩১) এর ধারাবাহিকতায় জারিকৃত সার্কুলার পত্রগুলোর অপরাপর নির্দেশনা অপরিবর্তিত থাকবে।
প্রতি ডলারের বিপরীতে নির্ধারিত হারের অতিরিক্ত পাওয়া যাবে আরও আড়াই টাকা। অর্থাৎ প্রবাসী ১০০ টাকা পাঠালে আড়াই টাকা বেশি পাওয়া যাবে। রেমিট্যান্স বেশি আসলে রিজার্ভও বাড়বে। গত বছরের ২৪ আগস্ট ৪৮ বিলিয়ন ডলার রিজার্ভ হলেও বর্তমানে কমে গত বুধবার রিজার্ভ ৪২ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করে। এ হিসাবে এই রিজার্ভ দিয়ে সাড়ে পাঁচ মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব।
জেডএ/