তামাকের ব্যবহার কমাতে বেশি করারোপ চান বক্তারা
তামাকের ব্যবহার মাদকের গলিপথ। তাই তামাকের ব্যবহার কমাতে বেশি করে কর আরোপ করতে হবে। কারণ এটি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। রেস্তোরাঁতে ঢুকলে কোনো মানুষ দেখা যায় না। শুধু ধোঁয়া আর ধোঁয়া।
তামাকপণ্যের কার্যকর কর বিষয়ক প্রাক বাজেট আলোচনায় বক্তারা এসব কথা বলেন। বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ উন্নয়ন সমন্বয় এর উদ্যোগে সোমবার (২৩ মে) বাংলামোটরে বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের সম্মেলন কক্ষে এ সেমিনারের আয়োজন করা হয়।
আলোচনা সভায় উন্নয়ন সমন্বয় এর চেয়ারম্যান ও সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান বলেন, ‘তামাকপণ্যে আরও বেশি কর আরোপ করতে হবে। কারণ স্বাস্থ্য নষ্ট হচ্ছে। অর্থের অপচয় হচ্ছে। তাই কর আরোপ করা হলে একদিকে রাজস্ব বাড়বে, অন্যদিকে শাস্তি থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘যারা আয় কম করে তাদের জন্যই করা আরোপ অভিযান সফল করা দরকার।’
ডাক্তার অরূপ রতন চৌধুরীকে বলেন, ‘১৯৮৪ সাল থেকে টিভিতে তামাক বিরোধী অভিযান শুরু করা হয়েছে। অনেক সচেতন হয় ভয়াবহতা চোখে পড়লে। ২০১৩ সালের সংসদের তামাক আইন হয়েছে। স্বামীরা ধূমপায়ী হলে মহিলারা ব্রেস্ট ক্যান্সারে আক্রান্ত বেশি হয়। তিনি আরও বলেন, যারা তামাক ব্যবহার করে তারা ক্যান্সারে বেশি আক্রান্ত হয়। মুখে গলায় ক্যান্সার ধরা পড়ে বেশি।’
সংসদ সদস্য শামীমা আক্তার খানম বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০৪০ সালে তামাক মুক্ত বাংলাদেশ গড়ার ঘোষণা করেছেন। তাই আমরাও তামাক মুক্ত বাংলাদেশ গড়ার অংশ নিয়েছি। গুলশান ধানমন্ডি প্রতিটি রেস্টুরেন্টে স্মোকিং জোন করায় তা ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘গুলশান ধানমন্ডি রেস্তোরাঁ এর জন্য ভরে গেছে যুবকরা তামাকে আসক্ত হচ্ছে। কিন্তু বুঝতে হবে সরকারের চেয়ে তামাক কোম্পানিগুলো শক্তিশালী নয়। অধ্যাপক ডক্টর তৈবুর রহমান বলেন তামাক ব্যবহারে শীর্ষ ১০টার মধ্যে বাংলাদেশে রয়েছে। ১৫ শতাংশের বেশি মানুষ তামাকপণ্যের ব্যবহার করছে। এ চিত্র কীভাবে এলো। তা দেখতে হবে। তা অবশ্যই খতিয়ে দেখা দরকার।’
তিনি আরও বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবনের গেটের সিগারেট বিক্রি হচ্ছে। ধূমপান করে শিক্ষার্থীরা ক্লাসে যাচ্ছে। তামাকের ব্যবহার মাদকের গলিপথ। তাই এর ব্যবহারে কর বাড়িয়ে মাদক থেকে রক্ষা করতে হবে শিক্ষার্থীদের। কারণ তামাক সস্তা হওয়ায় মাদকে আসক্ত হচ্ছে শিক্ষার্থীরা।’
জেডএ/এমএমএ/