বাংলাদেশ ব্যাংকে ই-ট্রানজেকশন হাব উদ্বোধন
বাংলাদেশ ব্যাংকের নিজস্ব আইটি জনবল দিয়ে গভর্মেন্ট ই-ট্রানজেকশন প্রসেসিং হাব সফটওয়্যার রবিবার (১৯ ডিসেম্বর) উদ্বোধন করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন গভর্নর ফজলে কবির। বিশেষ অতিথি ছিলেন অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিব আব্দুর রউফ তালুকদার। বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর কাজী ছাইদুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি গভর্নর আহমেদ জামাল, আবু ফরাহ্ মো. নাছেরসহ বাংলাদেশ ব্যাংক ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন কর্মকর্তারা।
সোমবার (২০ ডিসেম্বর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
গভর্নর বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক সবসময় যুগের চাহিদার সাথে তাল মিলিয়ে চলে। অটোমেশনের মাধ্যমে ‘সরকারি ব্যয় ব্যবস্থাপনা শক্তিশালীকরণ’ কর্মসূচিকে আরও বেগবান করতে এ সফটওয়্যারটি যুগান্তকারী ভূমিকা রাখবে।
তিনি বলেন, ২০১২ সালে চালু হওয়া সরকারি কর্মকর্তা, কর্মচারীদের বেতন-ভাতাদি ও অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, কর্মচারীদের পেনশন জিটুপি পদ্ধতিতে ইলেকট্রনিক ফান্ড এর মাধ্যমে স্ব স্ব হিসাবে জমা করার কার্যক্রম পরিচালিত হতো। তবে সে পরিসর ছিল সীমিত। দৈনিক সক্ষমতা ছিল মাত্র এক লাখ ১৫ হাজার টি ইএফটি। পরবর্তীতে ২০১৯ সালে সরকারি কর্মকর্তা, কর্মচারীদের বেতন-ভাতাদির সাথে সামাজিক নিরপত্তা বেষ্টনীর ভাতা, শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির ভাতা, ইএফটির মাধ্যমে সরাসরি গ্রহীতাদের হিসাবে (ব্যাংক/এমএফএস) প্রেরণ করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়।
সিনিয়র সচিব আব্দুর রউফ তালুকদার বলেন, সরকারি বিভিন্ন সেবা স্বল্প সময়ে জনসাধারণের কাছে পৌঁছে দেয়াই হলো ডিজিটাল বাংলাদেশ এর অন্যতম লক্ষ্য। আগে বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা ব্যক্তির কাছে পৌঁছুতে ৩-৬ মাস সময় লাগতো। কিন্তু ইএফটির মাধ্যমে এখন তা মুহূর্তে পৌঁছে যাচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন এ সফট্ওয়্যারটির মাধ্যমে এ সেবা এখন আরো দ্রুততর হবে।
উল্লেখ্য, এ সফটওয়্যারের মাধ্যমে গত ২০২০-২০২১ অর্থ বছরে প্রায় সাড়ে নয় কোটি গ্রহীতার ব্যাংক হিসাবে সরাসরি সরকারি অর্থ প্রেরণ করা হয়েছে।
জেডএ/এএস