এবার মান কমল টাকার দাম বাড়ল ডলারের
যতই দিন যাচ্ছে বাড়ছে ডলারের দাম। খোলা বাজারে ৯৩ টাকা ছাড়িয়ে গেছে। এতে কমছে টাকার মান। বাধ্য হয়ে বাংলাদশে ব্যাংক এক সপ্তাহরে ব্যবধানে আবার মার্কিন ডলারের বিপরীতে টাকার মান কমিয়েছে। সোমবার (১৭ মে) প্রতি মার্কিন ডলারের বিনিময় মূল্য ৮৬ টাকা ৭০ পয়সা থেকে ৮০ পয়সা বাড়িয়ে ৮৭ টাকা ৫০ পয়সা নির্ধারণ করেছে। এর ফলে রপ্তানিকারক ও প্রবাসীরা লাভবান হলেও আমদানিকারকদের ব্যয় বাড়বে।
ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের ফলে কয়েক মাস থেকে আমদানি ব্যয় অনেক বেড়ে গেছে। কিন্তু সেই তুলনায় রপ্তানি ও রেমিট্যান্স আয় কম হচ্ছে। এজন্য ডলারের চাহিদা অনকে বেড়ে যাচ্ছে। তাই বাংলাদেশ ব্যাংক সর্বশেষ ৯ মে ডলারের বিনিময় মূল্য ২৫ পয়সা বাড়িয়ে ৮৬ টাকা ৭০ পয়সা নির্ধারণ করে। এর আগে জানুয়ারি মাসের শুরুতে ডলারের বিনিময় মূল্য ২০ পয়সা বাড়িয়ে ৮৬ টাকা করেছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
২৩ মার্চও ২০ পয়সা বাড়িয়ে ৮৬ টাকা ২০ পয়সা করা হয়েছিল। গত ২৭ এপ্রিল বাড়ানো হয় ২৫ পয়সা। তাতে ১ ডলারের বিনিময় মূল্য দাঁড়ায় ৮৬ টাকা ৪৫ পয়সা। যদিও খোলাবাজারে ডলারের দাম বহু আগেই ৯০ টাকা ছাড়িয়ে গছে। খোলাবাজারে এখন ডলারের দাম ৯৩ টাকার বেশি। আর পণ্য দ্রব্য এলসির বিপরীতে আমদানিকারকদের ডলার কিনতে হচ্ছে ৯৫–৯৬ টাকায়।
বাংলাদেশ ব্যাংক রিজার্ভ থেকে প্রতিনিয়ত ডলার বিক্রি করছে। এভাবে বাজার নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। কিন্তু রিজার্ভ কমে যাওয়ায় অনেকে শঙ্কা প্রকাশ করেছন। কিন্তু ভয়ের কিছু নেই বলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক মনে করছে। কারণ এখন যে রজার্ভ রয়েছে, তা দিয়ে সাড়ে পাঁচ মাসের আমদানি ব্যয় মটোনো সম্ভব। সম্প্রতি আকু পেমেন্টের পর র্বতমানে রিজার্ভ রয়েছে প্রায় ৪ হাজার ২০০ কোটি মার্কিন ডলার।
ব্যাংকাররা বলছেন, ঈদের কারণে দেশে ভালো প্রবাসী আয় এসেছে। তবে আমদানি খরচ যে হারে বেড়েছে, প্রবাসী আয় ও রপ্তানি আয় দিয়ে সেই খরচ মেটনো যাচ্ছে না। ফলে ডলার নিয়ে দেশের মুদ্রাবাজারে এখন অস্থিরতা বিরাজ করছে। তাই বাংলাদেশ ব্যাংক বিলাসী পণ্য আমদানি কমাসহ কিছু উদ্যোগ নিয়েছে। যাতে আমদানি কম হয়।
জডেএ/এএজেড