নতুন সড়ক না করতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ
নতুন সড়ক আর না বানিয়ে বিদ্যমান সড়কই রক্ষণাবেক্ষণের গুরুত্ব দিতে হবে বলে নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘নতুন সড়ক নির্মাণে বিরতি দিয়ে পুরাতন সড়কে নজর দিতে হবে।’
মঙ্গলবার (১০ মে) জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় সড়কের প্রকল্প অনুমোদন প্রসঙ্গে এসব নির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী। সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান এসব তথ্য জানান।
গণভবন থেকে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা। শের-ই-বাংলা নগরে পরিকল্পনা কমিশনের এনইসি সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক ড. শামসুল আলম, পরিকল্পনা সচিব প্রদীপ রঞ্জন চক্রবর্তী, ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সদস্য (সচিব) মামুন-আল-রশীদ, কৃষি, পানিসম্পদ ও পল্লী প্রতিষ্ঠান বিভাগের সদস্য (সচিব) শরিফা বেগমসহ অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা (অনুশাসন) কি গণমাধ্যমকর্মীরা জানতে চাইলে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘নতুন সড়ক আর না বানিয়ে চলমান সড়ক রক্ষণাবেক্ষণের পরিধি বাড়াতে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়ে বলেছেন, ‘পৃথিবীর মধ্যে বাংলাদেশে সড়কের ঘনত্ব বেশি। তাই নতুন সড়ক নির্মাণ না করে যেগুলো আছে সেগুলো রক্ষণাবেক্ষণ করতে হবে। দেশে যথেষ্ট সড়ক নির্মাণ করা হয়েছে।’
সভায় শেখ কামাল আইটি ট্রেনিংসহ ১১ প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এগুলো বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৫ হাজার ৮২৫ কোটি ৭৪ লাখ টাকা।
অনুমোদিত প্রকল্পগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের (বাপবিবো) বিদ্যমান ৩৩/১১ কেভি পোল মাউন্টেড উপকেন্দ্রের নবায়ন ও আধুনিকায়ন প্রকল্প। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৬৭৯ কোটি ৭২ লাখ টাকা। নেসকো এলাকায় স্মার্ট ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেম বাস্তবায়ন প্রকল্প। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ২৪১ কোটি টাকা। ইনসটেলেশন অব সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং (এসপিএম) উইথ ডাবল পাইপ লাইন। এ প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয়েছে ৫৫৬ কোটি টাকা। লোকাল গভর্নমেন্ট ইনিশিয়েটিভ অন ক্লাইমেট চেঞ্জ (এলওজিআইসি) প্রকল্প। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ১৩৭ কোটি টাকা। যশোরে শেখ জহুরুল হক পল্লী উন্নয়ন একাডেমি প্রতিষ্ঠাকরণ। এ প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয়েছে ১৯৯ কোটি টাকা। মিঠামইন উপজেলার ঘোড়াউতরা, বোলাই-শ্রীগাং নদীর অংশবিশেষ ও র্টনা উপজেলার ধনু নদী, নামাকুড়া নদী এবং অষ্টগ্রাম উপজেলার ধলেশ্বরী নদীর অংশ বিশেষের নব্যতা উন্নয়ন ও পুনরুদ্ধার। এ প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৪২ কোটি টাকা। আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর অস্ত্রাগার (প্রথম পর্যায়ে ৪০টি) নির্মাণ। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৬৫ কোটি টাকা।
এ ছাড়া সভায় দিনাজপুর সড়ক বিভাগাধীন হিলি (স্থলবন্দর)-ডুগডুগি-ঘোড়াঘাট জাতীয় মহাসড়ক যথাযথ মানে উন্নীতকরণসহ ৩টি গুরুত্বপূর্ণ সড়কের বিদ্যমান সরু/জরাজীর্ণ কালভার্টগুলো পুনর্নির্মাণ এবং বাজার অংশে রিজিড পেভমেন্ট ও ড্রেন নির্মাণ প্রকল্প। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৪৬৪ কোটি টাকা। শেরপুর (কানাসাখোলা)-ভীমগঞ্জ-নারায়ণখোলা-রামভদ্রপুর-পরানগঞ্জ-ময়মনসিংহ (রহমতপুর) সড়ক উন্নয়ন। এ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ৮৪২ কোটি টাকা। শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং ও ইনকিউবেশন সেন্টার স্থাপন (১৪টি) প্রকল্প। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ১১৫ কোটি টাকা। সভায় ১০০টি উপজেলায় একটি করে টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজ স্থাপন সংশোধিত প্রকল্পেরও অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ১৮৫ কোটি টাকা।
জেডএ/এমএমএ/