দাম বাড়ে দ্রুত, সংকট কাটানোর গতি মন্থর
ঈদের আগে হঠাৎই বাজারে সংকট দেখা দেয় সয়াবিন তেলের। বাজারে কৃত্রিম সংকট দেখিয়ে তেল নিয়ে ডিলার, সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ও পাইকারি বিক্রেতাদের মধ্যে চলছে চোর পুলিশ খেলা। গত প্রায় একসপ্তাহ ধরে এপরিস্থিতি চলছে। এ বিষয়ে নজরে আনা হলে বাণিজ্য সচিব বলছেন রবিবার থেকে ভোক্তা অধিকারের টিম মাঠে নামবে। প্রশ্ন হচ্ছে ভোক্তা অধিকারের টিম মাঠে নামতে দেরি কেন? যে গতিতে দাম বাড়ানো হলো সংকট কাটানোর গতি ততটা নয় কেন?
বাজারের ডিলাররা বলে তেল পাচ্ছি না, তাই মার্কেটে দিতে পারছি না। অন্যদিকে পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতারা বলেন তেল নাই কাস্টমারকে দেব কিভাবে? এপরিস্থিতিতে ভোক্তা অধিকার টিমের বা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কোনো পদক্ষেপ লক্ষ্য করা যায়নি।
এদিকে সংকট সৃষ্টির পর চারদিকে আলোচনা হচ্ছিল দাম বাড়ানোর পায়তারা চলছে। ঘটলো আসলে তাই। ব্যবসায়ীদের আবদারে দ্রুতগতিতে গত বৃহস্পতিবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে লিটার প্রতি ৩৮ থেকে ৪৪ টাকা বাড়িয়ে নতুন দামে নির্ধারণ করে দেওয়া হয়। বর্ধিত দামে ৬ মে শুক্রবার থেকেই বাজারে তেল থাকার কথা। কিন্তু গত দুই দিন মার্কেটে তেল নেই বলে জানান ব্যবসায়ীরা। তাদের দাবি নতুন দামের লেবেল বোতলের গায়ে লাগলে বাজারে এই সংকট থাকবে না।
তেল নিয়ে এই কারসাজির জবাবে বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, আগামীকাল (ররিবার) থেকে আমাদের টিম মাঠে নামবে। ঈদের বন্ধের কারণে সব কিছু ঝিমিয়ে পড়েছিল। যে কারণে অনেকেই সুযোগ নিয়েছে। রবিবার থেকে ভোক্তা অধিকারের টিম মাঠে নামবে; আশা করি পরিস্থিতি ঠিক হয়ে যাবে।
তিনি বলেন, ঈদের বন্ধের সময় মিলের উৎপাদন ও সরবরাহ বন্ধ থাকার কারণে একটা সংকট তৈরি হয়েছে। আগামী দুই তিন দিনের মধ্যে সংকট কেটে যাবে বলে আশা করি। দাম আর কমবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এখনই বলা যাচ্ছে না। তবে আমরা দেশে এবং বিদেশ থেকে আমদানি ও সরবারহ নিশ্চিতের উপর জোর দিচ্ছি।
বাণিজ্য সচিব বলেন, যারা এখন বেশি দামে তেল কিনছেন তার সুনির্দিষ্ট দোকোনের নাম ঠিকানা দিয়ে ভোক্তা অধিকারে অভিযোগ করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।