৮ লাখ কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে
মালয়েশিয়ার সঙ্গে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর কাল
ছবি : সংগৃহীত
বিভিন্ন দেশে চলতি অর্থবছরে আট লাখ মানুষের কর্মসংস্থানের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়। এ লক্ষ্য সামনে রেখেই আগামীকাল রবিবার (১৯ ডিসেম্বর) মালয়েশিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের কর্মী পাঠানোর সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হতে যাচ্ছে।
দীর্ঘ তিন বছর পর মালয়েশিয়ায় খুলছে বাংলাদেশের শ্রমবাজার। তাই সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করতে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ মালয়েশিয়ায় অবস্থান করছেন।
সম্প্রতি প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান সচিব আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন সাংবাদিকদের বলেন, করোনা সংক্রমণ কমার সঙ্গে সঙ্গে ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রথম চার মাসেই আড়াই লক্ষাধিক কর্মীর কর্মসংস্থান হয়েছে। আমাদের প্রত্যাশা, বিদেশ গমনের এই ধারা অব্যাহত থাকলে এ অর্থবছরে সাত থেকে আট লাখ লোকের বিদেশে কর্মসংস্থান হবে।
মালয়েশিয়ার সঙ্গে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হলে বিভিন্ন খাতে বহু বাংলাদেশি কর্মীর কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে বলে আশা সংশ্লিষ্টদের।
গত ১১ ডিসেম্বর মালয়েশিয়ার মন্ত্রিসভা বাংলাদেশ থেকে আবারও শ্রমিক নেওয়ার সিদ্ধান্ত অনুমোদন দেয়।
এর আগে জিটুজি প্লাস পদ্ধতিতে কর্মী নিতে ২০১৬ সালে সমঝোতা স্মারক সই করে দুই দেশ। চুক্তির মেয়াদ ৫ বছর থাকলেও ১০টি জনশক্তি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান সিন্ডিকেট করে ২০০ কোটি রিঙ্গিত হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ ওঠায় ২০১৮ সালের পর আর ভিসা দেয়নি মালয়েশিয়া।
জানা যায়, সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আসায় বিশ্বে বাংলাদেশের শ্রম উন্মুক্ত হচ্ছে। ইতিমধ্যে গ্রিসের সঙ্গে একটি আগ্রহপত্র স্বাক্ষর করেছে বাংলাদেশ। আলবেনিয়া, মাল্টা ও বসনিয়ার সঙ্গেও কর্মী পাঠানোর চুক্তি হবে।
নতুন শ্রমবাজার হিসেবে কম্বোডিয়া, উজবেকিস্তান, পোল্যান্ড, হাঙ্গেরি, রোমানিয়া, ক্রোয়েশিয়াসহ আফ্রিকা মহাদেশের কয়েকটি দেশ এবং জাপান, সেনেগাল, বুরুন্ডি এবং সেশেলসে কর্মী পাঠানো শুরু হয়েছে।
এ সম্পর্কে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন সম্প্রতি সাংবাদিকদের বলেন, মধ্যপ্রাচ্যে আমাদের ভবিষ্যৎ ভালো নয়। তাই বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নতুন শ্রমবাজার সন্ধান করছে বাংলাদেশ।
আরইউ/টিটি