কৃষিতে আরও বরাদ্দ বাড়ানো দাবি
স্বাধীনতার পরে কৃষির অনেক উন্নয়ন হয়েছে। তারপরও কৃষিতে আরও বরাদ্দ বাড়ানো দরকার। বৈরী আবহাওয়ায় কৃষিজ উৎপাদন: অস্থিতিশীল বৈশ্বিক কৃষি পণ্যের বাণিজ্য শীর্ষক জাতীয় সংলাপে বক্তারা এই অভিমত প্রকাশ করেছেন। রবিবার (২৩ এপ্রিল) নগরীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (কেআইবি) মিলনায়তনে এই সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়।
সংলাপে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, ‘মানুষের মাথাপিছু আয় বাড়ছে। বর্তমানে মাথাপিছু আয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৫৯১ ডলার হয়েছে। জাতীয় উন্নয়নের জোয়ার হচ্ছে। আমি কৃষির পাশে আছি। কৃষিতে আরও বরাদ্দ বাড়ানো দরকার।’
কৃষি ও বৈরী আবহাওয়া প্রসঙ্গে এম এ মান্নান বলেন, ‘আমিও কৃষিতে বৈরী আবহাওয়ার শিকার। হাওরে বোরো ধান ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তবে ৯০ শতাংশ বোরো ঘরে তুলতে পারবো। বৈরী আবহাওয়া থেকে কৃষিকে বাঁচাতে নতুন নতুন কৌশল বের করতে হবে। কীভাবে কৃষিকে বাঁচাতে পারি, সে বিষয়ে আরও গবেষণা করতে হবে। হাওরের বাঁধ প্রসঙ্গে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘আমি হাওরের সন্তান। বাঁধের সঙ্গে বহুকালের সম্পর্ক। তবে বাঁধগুলো সাময়িকভাবে দেওয়া হয়। এই বাঁধ নির্মাণের ফলে বোরোর ফলন বেড়েছে।
সিপিডির সম্মানীয় ফেলো অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘বর্তমানে কৃষিতে অর্জন নিয়ে দ্বিমত নেই। স্বাধীনতার পরে কৃষির অনেক উন্নয়ন হয়েছে। তবে কৃষির আরও বহুমুখীকরণ করতে হবে। কৃষিতে প্রযুক্তি ব্যবহারের বড় ধরনের অর্জন নেই। সামনের দিকে কৃষি আরও এগিয়ে নিতে হবে। আসন্ন বাজেটে কৃষিতে আরও বেশি বরাদ্দ দিতে হবে। কারণ উন্নয়নশীল দেশের মধ্যে বাংলাদেশেই কৃষিতে বরাদ্দ কম।’
ড. মোস্তাফিজুর রহমান আরও বলেন, কৃষিতে রপ্তানি খুবই কম। ১০ বিলিয়ন ডলার যদি হিসাব করি তবে দেখা যাবে ৯ বিলিয়ন ডলারের কৃষি উপকরণ সার, ডিজেলসহ অন্যান্য কৃষি উপকরণ আমদানি করি। অথচ এর বিপরীতে মাত্র এক বিলিয়ন ডলারের কৃষিপণ্য রপ্তানি করি। তার মানে এখানে বড় ধরনের গ্যাপ রয়ে গেছে। সারে আমরা বড় ধরনের ভর্তুকি দিয়ে থাকি।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।
জেডএ/