তালিকার চেয়ে কম দামে মাছ-মাংস বিক্রি
‘লন লন কম দামে মুরগি লন। পাকিস্তানি কর্ক মুরগি লন ২৮০ টাকা কেজি, তালিকার চেয়ে ২০ টাকা কম। দেশি মুরগির কেজিতেও ৫০ টাকা কমে ৫৫০ টাকা কেজি।’ ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে এভাবেই মূল্য তালিকার চেয়ে কম দামে মুরগি বিক্রির কথা জানান কারওয়ান বাজারের ভাই ভাই মুরগির আড়তের আমান উল্লাহ। একইভাবে গরুর মাংস বিক্রেতা রুবেল বলেন, ‘কম দামেই বিক্রি করা হচ্ছে গরুর মাংস। ৬৫০ টাকার মাংস ৬৩০ টাকা কেজি।’ খাসির মাংসও তালিকার চেয়ে কম দামে বিক্রি করতে দেখা গেছে। বেশি নিলে আরও কম দামে বিক্রির কথা জানান বিক্রেতারা। শুধু মাংস নয়, মাছের বাজারেও একই চিত্র। তালিকার চেয়ে কম দামে বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা।
শনিবার (১৬ এপ্রিল) রাজধানীর কারওয়ান বাজারের বিভিন্ন দোকান ঘুরে এমনই চিত্র পাওয়া গেছে। বিক্রেতারা বলছেন, রমজানের মাঝামাঝিতে বাজারে ক্রেতারা তুলনামূলক কম আসছেন। তাই একটু কম দামেই বিক্রি করা হচ্ছে।
আমান উল্লাহ বলেন, ‘শুধু পাকিস্তানি বা দেশি মুরগির দাম যে কম তা নয়, রমজানে পোল্ট্রি মুরগির দামও কমেছে। তালিকায় ১৭০ টাকা কেজি লেখা থাকলেও ১৬৫ টাকা কেজি বিক্রি করা হচ্ছে।’
একই বাজরের সততা মুরগির আড়তের বিল্লাল বলেন, ‘৩০০ টাকা কেজি পাকিস্তানি কর্ক। নিলে ২৮০ টাকা কেজি দেওয়া যাবে। দেশি মুরগি ৬০০ টাকা লেখা থাকলেও ৫৫০ টাকা কেজি বিক্রি করা হচ্ছে। আর পোল্ট্রি ১৬৫ টাকা কেজি।’
এদিকে, খাসির মাংস ৯৫০ টাকা লেখা থাকলেও ৮৫০ টাকা কেজি বিক্রি করছেন বিক্রেতারা।
এভাবে বেশি দাম লিখে কম দামে বিক্রি করার কারণ কি? জানতে চাইলে বিক্রেতারা বলছেন, সব কিছু একই দামে বিক্রি হয় না। তাই তালিকার চেয়ে কম দামেই বিক্রি করা হচ্ছে। যাতে ক্রেতাদের আগ্রহ থাকে।
একই চিত্র দেখা গেছে মাছের বাজারেও। বিক্রেতারা বলছেন, রমজানে মাছের দাম বাড়েনি। আগের মতোই মাছ বিক্রি করা হচ্ছে। তাই মাছের বাজার স্থিতিশীল বলে বিক্রেতারা জানান। কারওয়ান বাজারের মাছ বিক্রেতা এনামুল হক ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, ‘আকারভেদে রুই ও কাতলা ২০০ থেকে ৪৫০ টাকা কেজি। খুব ভালোটা অর্থাৎ জীবিত মাছের কেজি ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকা কেজি বিক্রি করা হচ্ছে’।
চিংড়ির কেজি আকারভেদে ৫০০ থেকে ৮০০ টাকা, সবচেয়ে বড়টা ১২০০ টাকা কেজি। চাষের শিং মাছ ৩০০, দেশি শিং ৬০০-৭০০ টাকা, চাষের কই ৩০০ টাকা ও দেশি কই ৫০০ টাকা, দেশি শোল ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা, বোয়াল ৬০০ থেকে ৯০০ টাকা, ট্যাংরা ৪০০ থেকে ৭০০, আইড় আকারভেদে ৪০০ থেকে ১২০০ টাকা কেজি বিক্রি করা হচ্ছে।
ইলিশ মাছ আকার ৮০০ থেকে ১৪০০ টাকা কেজি বিক্রি করা হচ্ছে বলে বিক্রেতারা জানান। কারওয়ান বাজারের মাছ বিক্রেতা আ. মান্নান বলেন, ‘ইলিশ কেজির নিচে ১২০০ টাকা আর বেশি হলে ১৪০০ টাকা কেজি বিক্রি করা হচ্ছে।’
এদিকে, রমজানের প্রথম দিনে মরিচের দাম হঠাৎ বেড়ে ১০০ টাকা কেজি হলেও বর্তমানে ৪০ থেকে সর্বোচ্চ ৭০ টাকা কেজি, ১০০ টাকা বেগুনের কেজি ৫০ থেকে ৮০ টাকা। আর ১০০ টাকার শসার কেজি ২০ থেকে ৩০ টাকায় নেমে গেছে। ১০০ টাকা লেবুর ডজন ৪০ থেকে সর্বোচ্চ ৭০ টাকা বিক্রি করতে দেখা গেছে। পেঁয়াজের পাল্লা ১২০ টাকা ও কেজি ৩০ টাকা, আদা ও রসুনের কেজি ৬০ থেকে ১২০ টাকা কেজি বিক্রি করছেন বিক্রেতারা।
জেডএ/আরএ/