আজিমপুরে ভ্রাম্যমাণ বাজারের মাংস বিক্রি ২০ মিনিটে শেষ
রাজধানীতে প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে বেশ কয়েকটি স্পটে বিক্রি করা হচ্ছে গরু, খাসি, মুরগির মাংস, দুধ ও ডিম। প্রথম রমজান থেকে শুরু হওয়া ভ্রাম্যমাণ এই বিক্রি কার্যক্রম চলবে ২৮ রমজান পর্যন্ত।
এরই ধারাবাহিকতায় রাজধানীর লালবাগের আজিমপুর মেটার্নিটি হাসপাতালের সামনের একটি স্পটে দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় দ্রব্য বিক্রি করছে প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের বিক্রেতারা। এ স্পটে সঠিক মত মাংস পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ করেছেন ক্রেতারা। ক্রেতাদের অভিযোগ ২০ মিনিটে মাংস কেনাবেচা শেষ হয়ে যাচ্ছে। বাজার শুরু হওয়ার আগে থেকেই সাধারণ মানুষের অনেক ভিড় দেখা যাচ্ছে।
অনেকে গরুর মাংস কেনার উদ্দেশে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে থেকেও মাংস পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৭ এপ্রিল) আজিমপুর মেটার্নিটি হাসপাতালের সামনে ভ্রাম্যমাণ এই বিক্রয় কেন্দ্র পরিদর্শন করে এ সব তথ্য জানা গেছে।
ভ্রাম্যমাণ বাজার করতে আসা ক্রেতাদের অভিযোগ, সকাল দশটার পর দীর্ঘ সময় লাইনে দাঁড়িয়ে থেকেও মাংস পাওয়া যাচ্ছে না। লাইনে মানুষের উপচে পড়া ভিড়। বিক্রেতারা ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী পণ্য দিতে পারছেন না।
ক্রেতা পলাশ আহমেদ অভিযোগ করে বলেন, ২০ মিনিটেই মাংস বিক্রি শেষ হয়ে যাচ্ছে। তাহলে এটা কেমন বাজার হল।
হাসপাতালের সামনে ভ্রাম্যমাণ বাজারে গরুর মাংস কিনতে এসে চার ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন ৫০ বছর বয়সী বেলায়েত হোসেন। এ সময় বেলায়েত হোসেন অভিযোগ করে বলেন, এ বাজারে এসে দেখি মানুষের ভিড়। গরুর মাংস কিনতে এসে খাসির মাংস কিনেছি।
কেন খাসির মাংস নিয়েছেন, খাসির মাংসের তো দাম বেশি এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমিতো গরুর মাংস কিনতে এসেছি এখন বাসায় মাংস নিয়ে যেতে হবে। এজন্য নিয়েছি।
জানতে চাইলে এই স্পটের বিক্রেতা আজিজ বলেন, আজ গরুর মাংসের ক্রেতাদের অনেক ভিড় ছিল। তাদের চাহিদা অনুযায়ী আমরা মাংস দিতে পারছি না, তবে অন্যান্য জিনিস স্বাভাবিকভাবে বিক্রি হচ্ছে।
সেলস অফিসার (ক্যাশিয়ার) মোসাদ্দেক বলেন, আজ প্রায় লক্ষাধিক টাকার পণ্য সামগ্রী বিক্রি করেছি। আপনারা সঠিক মত ক্রেতাদের মাংস দিতে পারছেন না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, গরুর মাংস ৩০-৪০ মিনিটের মধ্যেই শেষ হয়ে যায়। মাংস কিনতে ক্রেতাদের দীর্ঘ লাইন থাকে। বিক্রির আগেই আমরা ক্যাশ স্লিপ দিয়ে দিই।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে রাজধানী ঢাকার ১০টি স্পটের ও বেশি স্থানে বিক্রি করা হচ্ছে গরু, খাসি ও মুরগির মাংস, দুধ ও ডিম। প্রথম রমজান থেকে শুরু হওয়া ভ্রাম্যমাণ এই বিক্রয় কার্যক্রম চলবে ২৮ রমজান পর্যন্ত।
সরেজমিন দেখা গেছে, রমজান উপলক্ষে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে চালু হওয়া ভ্রাম্যমাণ মাংস, দুধ ও ডিম বিক্রির কার্যক্রম সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। কিন্তু পর্যাপ্ত পণ্য সরবরাহ না থাকায় মানুষের মধ্যে কাড়াকাড়ি শুরু হয়। মাংস, দুধ ও ডিম কিনতে আসা সাধারণ মানুষ বলেছেন, ভ্রাম্যমাণ গাড়িগুলোতে পর্যাপ্ত পণ্য দিলে কোথাও কোনো সংকট তৈরি হবে না বরং মানুষ বেশি করে কেনার সুযোগ পাবে।
কেএম/আরএ/